সবিনয় নিবেদন
সবিনয় নিবেদনঃ
---
গত বছর ২০ জুন থেকে ২৬ জুন পর্যন্ত আমরা বাংলাদেশের কয়েকজন প্রাথমিক শিক্ষক নয়াদিল্লীতে অবস্থান করছিলাম।
দিল্লীতে তখন প্রচণ্ড তাপমাত্রা,৪০-৪৬ ডিগ্রী পর্যন্ত উঠানামা করছিলো।
প্রাথমিক স্কুলগুলো বন্ধ ছিলো শুধু মাত্র গরমের কারণে।শিক্ষার্থীদের কথা বিবেচনা করে এরকম সাময়িক বন্ধ শুধু দিল্লীতে নয়,বিশ্বের অনেক দেশেই শিশুদের স্বাচ্ছন্দ্য,শারীরিক সুরক্ষা ও শারীরিক বিকাশের কথা বিবেচনা করে দেয়া হয়।
স্কুল বন্ধ ছিলো কাজেই স্কুল কার্যক্রম আমরা দেখতে পারি নি,আমাদেরকে তাই প্রচুর সেশনে অংশগ্রহন করতে হয় যা ছিলো শীতাতপ নিয়ন্ত্রিত।
আমরা কিছু কিছু স্থাপনা দেখেছি, ভ্রমণ ছিলো শীতাতপ নিয়ন্ত্রিত বাহনে।
**
স্কুল আমাদের দেখার সুযোগ ছিলো না আনুষ্ঠানিক ভাবে,তবে আমরা যখন বিকেলে আই এম আই ভবনের সামনের পার্কে বিকেলে গিয়েছিলাম তখন পথিমধ্যে দুটো প্রাথমিক স্কুল দেখতে পাই,আমি একটি স্কুলে অনুমতি নিয়ে ঢুকে পড়ি।বহিরাঙ্গনটা ভিডিও করে আনি।
স্কুলের পরিবেশ দেখে শুধু আমি নই,যে কেউ মুগ্ধ হবে।
এটাও একটা অভিজ্ঞতা,এটা একটা অমূল্য সঞ্চয়। এটাকে একটা শিক্ষাও বটে।
শিক্ষার কাজ কি?
নিশ্চয়ই শিক্ষার কাজ আচরণিক পরিবর্তন।
যে শিক্ষা আচরণিক পরিবর্তন ঘটায় না,তা কোনও শিক্ষাই নয়,অথবা শিক্ষা গ্রহনে ব্যক্তির ঘাটতি বা অসমর্থতা বোঝায়।
**
বিশ্বের বহু দেশে দুর্যোগকালীন সাময়িক বন্ধ থাকে।
দাবদাহ বা প্রচণ্ড শৈত্যপ্রবাহ কি প্রাকৃতিক দুর্যোগের আওতায় পড়ে না?
পড়ে বলেই তো ওরা সাময়িক বন্ধ দেয়।
স্কুল বন্ধ বলে কি পড়াশোনা বা পাঠদান কার্যক্রম বন্ধ থাকে?
মোটেও না,প্রযুক্তির মাধ্যমে পাঠদান চলে।শিক্ষক পাঠ দেন,শিক্ষার্থীরা গ্রহন করে বাড়িতে বসেই।
সরকার প্রাথমিক খাতে প্রচুর বরাদ্দ করেন আন্তরিক ভাবে।প্রচুর পরিকল্পনা নেয়া হয় যা অবশেষে ফলপ্রসূ হয় না।প্রতিটি খাতে অর্থ বরাদ্দ করতে সবচেয়ে জরুরী কি তা বিবেচনায় আনতে হবে।
প্রযুক্তি ব্যবহার করে কিভাবে পাঠদান কার্যক্রম এরকম বন্ধকালীন সময়ে দেয়া যায় তা নিয়ে ভাবার সময় এসে গেছে আমার মনে হয়।
এখন স্মার্ট ফোন এবং ইন্টারনেট সবার নাগালে,বিষয়টা ভাবা যেতে পারে।এজন্য বিদ্যুত এবং নেট দুটো থাকলে এবং একটু প্রশিক্ষণ পেলে বিষয়টা কার্যকর করা যেতে পারে।
**
বাংলাদেশে মাস বলতে কি কেবল জুন মাস?
জুন এলে কেন সব কাজ সারতে হবে? বছরের বাকি মাসগুলো?
এখন চলছে বঙ্গবন্ধু এবং বঙ্গমাতা গোল্ড-কাপ ফুটবল টুর্ণামেন্ট।প্রচণ্ড গরমে কচি শিশুগুলো মাঠে খেলছে।
আমার মনে হয় না,বঙ্গবন্ধু বেঁচে থাকলে এই প্রচণ্ড গরমে শিশুদের খেলাটা মেনে নিতেন।জনদরদী বঙ্গমাতা ফজিলাতুন্নেছা বেঁচে থাকলেও এটা হতে দিতেন না।
আমার ধারণা আমাদের মমতাময়ী শিশুদরদী মাননীয় প্রধানমন্ত্রী যিনি শিশুদের সব সময় দেখলেই পরম মমতায় আগলে ধরেন- তিনি জানেন না যে এই প্রচণ্ড গরমে শিশুরা মাঠে ছুটাছুটি করছে।জানলে তিনি এই আয়োজন হয়তো জানুয়ারি বা ডিসেম্বরে করার কথা বলতেন।
**
প্রাথমিকের সব আয়োজন কোমলমতি শিশুদের সার্বিক বিকাশের জন্যই।
প্রচুর আয়োজন,প্রচুর বরাদ্দ সব ঠিক আছে,কিন্তু সময়টাও হতে হবে শিশুবান্ধব।
--- এই প্রবন্ধে আমি আমার নিজস্ব চিন্তা-ভাবনা প্রকাশ করার প্রয়াস পেয়েছি।
ভুল ত্রুটি মার্জনীয়।
১৯/০৬/২০১৯
---
গত বছর ২০ জুন থেকে ২৬ জুন পর্যন্ত আমরা বাংলাদেশের কয়েকজন প্রাথমিক শিক্ষক নয়াদিল্লীতে অবস্থান করছিলাম।
দিল্লীতে তখন প্রচণ্ড তাপমাত্রা,৪০-৪৬ ডিগ্রী পর্যন্ত উঠানামা করছিলো।
প্রাথমিক স্কুলগুলো বন্ধ ছিলো শুধু মাত্র গরমের কারণে।শিক্ষার্থীদের কথা বিবেচনা করে এরকম সাময়িক বন্ধ শুধু দিল্লীতে নয়,বিশ্বের অনেক দেশেই শিশুদের স্বাচ্ছন্দ্য,শারীরিক সুরক্ষা ও শারীরিক বিকাশের কথা বিবেচনা করে দেয়া হয়।
স্কুল বন্ধ ছিলো কাজেই স্কুল কার্যক্রম আমরা দেখতে পারি নি,আমাদেরকে তাই প্রচুর সেশনে অংশগ্রহন করতে হয় যা ছিলো শীতাতপ নিয়ন্ত্রিত।
আমরা কিছু কিছু স্থাপনা দেখেছি, ভ্রমণ ছিলো শীতাতপ নিয়ন্ত্রিত বাহনে।
**
স্কুল আমাদের দেখার সুযোগ ছিলো না আনুষ্ঠানিক ভাবে,তবে আমরা যখন বিকেলে আই এম আই ভবনের সামনের পার্কে বিকেলে গিয়েছিলাম তখন পথিমধ্যে দুটো প্রাথমিক স্কুল দেখতে পাই,আমি একটি স্কুলে অনুমতি নিয়ে ঢুকে পড়ি।বহিরাঙ্গনটা ভিডিও করে আনি।
স্কুলের পরিবেশ দেখে শুধু আমি নই,যে কেউ মুগ্ধ হবে।
এটাও একটা অভিজ্ঞতা,এটা একটা অমূল্য সঞ্চয়। এটাকে একটা শিক্ষাও বটে।
শিক্ষার কাজ কি?
নিশ্চয়ই শিক্ষার কাজ আচরণিক পরিবর্তন।
যে শিক্ষা আচরণিক পরিবর্তন ঘটায় না,তা কোনও শিক্ষাই নয়,অথবা শিক্ষা গ্রহনে ব্যক্তির ঘাটতি বা অসমর্থতা বোঝায়।
**
বিশ্বের বহু দেশে দুর্যোগকালীন সাময়িক বন্ধ থাকে।
দাবদাহ বা প্রচণ্ড শৈত্যপ্রবাহ কি প্রাকৃতিক দুর্যোগের আওতায় পড়ে না?
পড়ে বলেই তো ওরা সাময়িক বন্ধ দেয়।
স্কুল বন্ধ বলে কি পড়াশোনা বা পাঠদান কার্যক্রম বন্ধ থাকে?
মোটেও না,প্রযুক্তির মাধ্যমে পাঠদান চলে।শিক্ষক পাঠ দেন,শিক্ষার্থীরা গ্রহন করে বাড়িতে বসেই।
সরকার প্রাথমিক খাতে প্রচুর বরাদ্দ করেন আন্তরিক ভাবে।প্রচুর পরিকল্পনা নেয়া হয় যা অবশেষে ফলপ্রসূ হয় না।প্রতিটি খাতে অর্থ বরাদ্দ করতে সবচেয়ে জরুরী কি তা বিবেচনায় আনতে হবে।
প্রযুক্তি ব্যবহার করে কিভাবে পাঠদান কার্যক্রম এরকম বন্ধকালীন সময়ে দেয়া যায় তা নিয়ে ভাবার সময় এসে গেছে আমার মনে হয়।
এখন স্মার্ট ফোন এবং ইন্টারনেট সবার নাগালে,বিষয়টা ভাবা যেতে পারে।এজন্য বিদ্যুত এবং নেট দুটো থাকলে এবং একটু প্রশিক্ষণ পেলে বিষয়টা কার্যকর করা যেতে পারে।
**
বাংলাদেশে মাস বলতে কি কেবল জুন মাস?
জুন এলে কেন সব কাজ সারতে হবে? বছরের বাকি মাসগুলো?
এখন চলছে বঙ্গবন্ধু এবং বঙ্গমাতা গোল্ড-কাপ ফুটবল টুর্ণামেন্ট।প্রচণ্ড গরমে কচি শিশুগুলো মাঠে খেলছে।
আমার মনে হয় না,বঙ্গবন্ধু বেঁচে থাকলে এই প্রচণ্ড গরমে শিশুদের খেলাটা মেনে নিতেন।জনদরদী বঙ্গমাতা ফজিলাতুন্নেছা বেঁচে থাকলেও এটা হতে দিতেন না।
আমার ধারণা আমাদের মমতাময়ী শিশুদরদী মাননীয় প্রধানমন্ত্রী যিনি শিশুদের সব সময় দেখলেই পরম মমতায় আগলে ধরেন- তিনি জানেন না যে এই প্রচণ্ড গরমে শিশুরা মাঠে ছুটাছুটি করছে।জানলে তিনি এই আয়োজন হয়তো জানুয়ারি বা ডিসেম্বরে করার কথা বলতেন।
**
প্রাথমিকের সব আয়োজন কোমলমতি শিশুদের সার্বিক বিকাশের জন্যই।
প্রচুর আয়োজন,প্রচুর বরাদ্দ সব ঠিক আছে,কিন্তু সময়টাও হতে হবে শিশুবান্ধব।
--- এই প্রবন্ধে আমি আমার নিজস্ব চিন্তা-ভাবনা প্রকাশ করার প্রয়াস পেয়েছি।
ভুল ত্রুটি মার্জনীয়।
১৯/০৬/২০১৯
মন্তব্য যোগ করুন
এই লেখার উপর আপনার মন্তব্য জানাতে নিচের ফরমটি ব্যবহার করুন।
মন্তব্যসমূহ
-
দীপঙ্কর বেরা ১১/০৮/২০১৯ঠিক বলেছেন
-
রনোজিত সরকার(বামুনের চাঁদ) ১১/০৭/২০১৯সত্যি আপনারা ভারতে এসেছিলেন।
তাহলে খুব ভালো👍 -
সাইয়িদ রফিকুল হক ২১/০৬/২০১৯ভালো।
-
মুহাম্মদ মোজাম্মেল হোসেন ২০/০৬/২০১৯সচেতনার জন্য অভিজ্ঞতামূলক মতামত তুলে ধরেছেন।
এই জন্য লেখককে ধন্যবাদ। -
আনাস খান ১৯/০৬/২০১৯শুভেচ্ছা ও শুভকামনা সব সময়।