ক্রিয়াহীন প্রতিক্রিয়া
ক্রিয়াহীন প্রতিক্রিয়াঃ
---
***
প্রতিটি বস্তুর একটি নির্ধারিত জীবৎকাল আছে,একটি নির্দিষ্ট সময়ের পর বস্তুটির ক্ষয় হবে যাকে অবিনাশিতাবাদের সূত্র অনুযায়ী রূপান্তর বলে।
জড় কিংবা জীব প্রতিটি পদার্থই শক্তি।
শক্তি কাকে বলে? কাজ করার সামর্থ্য বা ক্ষমতাকে শক্তি বলে।এই শক্তি যখন ক্ষয় হতে থাকে তখনই রূপান্তর হতে থাকে- মানুষের বেলায় তরুণ থেকে ক্রমশ প্রৌঢ়ত্বের দিকে যাত্রা,তারপর জরাগ্রস্ত,অতঃপর মৃত্য।মৃত্যুর পর দেহের রূপান্তর ঘটে মাটিতে।সেটাও আবার অন্য এক শক্তি।
***
মানুষের যখন বয়স কম থাকে চেহারায় থাকে সজীবতা,বয়সের ভার এসে আক্রান্ত করলে ত্বকে বলিরেখা পড়ে,যতই প্রসাধন চর্চিত হোক না কেন প্রসাধনের প্রলেপ ভেদ করে আসল চেহারা বের হবে হবেই।ক্ষয় ঢেকে রাখা যায় না,তবে তা একটা নির্দিষ্ট সময়ের পর।অবশ্য অনাকাঙ্ক্ষিত অপমৃত্যু যদি না হয় অসময়ে।
***
জীবৎকাল নিয়ে বলে ছিলাম যে প্রতিটি বস্তুর নির্দিষ্ট জীবৎকাল রয়েছে,আকাশের তারা কখন খসে পড়ে? যখন পুড়তে পুড়তে ছাই হয় তখন? জানা নেই।
তবে আমাদের প্রাথমিকের ভবনগুলো অসময়ে ধ্বসে পড়ে,খসে যায় স্কুল প্রাঙ্গন থেকে, এ বড় বেদনাবিধুর।
সরকার কত আন্তরিক ভাবে চান যে ভবনগুলো মজবুত হোক,দৃষ্টিনন্দন হোক।এ জন্য ভবন নির্মাণে প্রচুর বরাদ্দও থাকে,তবে কেন এমন হয়?
কখনও উদ্বোধনের আগেই ধ্বসে,কখনও ফাটল ধরে,আস্তর খসে খসে পড়ে।
প্রলেপ দিয়ে কত আর জরা ঢেকে রাখা যায়! যায় না তো।
***
বৃটিশ আমলের ভবনগুলো দেখুন,দাড়িয়ে আছে সটান তালগাছের মতো।
আচ্ছা মিশরের মিরামিডের বয়স কত?চীনের প্রাচীর কিংবা মোঘল আমলের স্থাপনাগুলো!
একটা স্কুল ভবন মিনিয়াম একশ বছরতো অন্তত টিকবে এ আশা করা কি বাতুলতা!
কেন পাঁচ/ দশ বছরের মাথায় জীর্ণদশা হবে?
কে কাকে ঠকায়! পুকুরের জল আক্রান্ত হলে সবাই কোনও না কোনও ভাবে তার শিকার হবে।
তো আমি ঠকাই,তুমি ঠকাও, আমরা ঠকাই - আমরা সবাই কিন্তু ঠকিও।
সমাজে বিবেক যদি ধ্বংস হয় তবে একা একজনের ক্ষতি হয় না, পুরো সমাজের ক্ষতি হয়।দেখাদেখি,প্র
তিযোগিতা ; কি যে অসুস্থ পতনের সময়।
***
নতুন ভবনের গোবাক্ষ এমন ভাবে তৈরি,তা শুধু চড়ুই পাখির বাসা হয়েছিলো,আর টুকরো টুকরো হয়ে ইট পাথর খসে পড়তো,একদম স্টিল পাত দিয়ে মুড়ে দিয়েছি,শিশুদের মাথা তো বাঁচাতে হবে!
***
কেউ বলেন " আপনাদের বলা আছে নির্মাণ কাজ তদারকি করার জন্য,কমিটিও তা করবে।"
কিভাবে? নির্মাণ কাজ তদারকি করতে মিনিয়াম স্থাপত্য জ্ঞান থাকা লাগবে তো!
শুধু তিন কেজি পাথরে দুই কেজি সিমেন্টের অনুপাত শেখালেই কি তদারকি হয়!
এটা তো কোনও কৌশলে মিস্ত্রি হেরফের করতে পারবেই,তদারকি তখন হবে যেমন" একজন দক্ষ ইঞ্জিনিয়ার একটি দেয়াল দেখেই বলতে পারবেন এটা কতটা টেকসই হয়েছে "তেমনটা বলতে পারলে।
সবজান্তা শমসের ছাড়া তা আর কারও পক্ষে সেটা সম্ভব নয়।
***
দেশটা বহু রক্তের বিনিময়ে অর্জিত।দেশকে ঠকানো মানে প্রকারান্তরে নিজেকেই ঠকানো।আমি চলে যাবো,আমার ভবিষ্যৎ তো থেকে যাবে।
আমরা আমাদের ভালোটা বুঝি না,কবে আমরা আমাদের নিজেদের ভালো সামগ্রিক ভাবে বুঝবো!
একা একা কি ভালো থাকা যায়?
ভালো থাকতে হয় সবাইকে নিয়ে।
আমাদের দেশপ্রেম শুধু সুন্দর সুন্দর বাণীতে সীমাবদ্ধ রাখলেই চলবে না।
কাজে পরিস্ফুট হোক দেশপ্রেম- সামগ্রিক ভালোর জন্য হোক আমাদের জীবন।
বেঁচে থাকার প্রতিটি মুহূর্ত হোক সঠিক চিন্তা চেতনা ও কর্মে সমৃদ্ধ।
--১৪/০৬/২০১৯
---
***
প্রতিটি বস্তুর একটি নির্ধারিত জীবৎকাল আছে,একটি নির্দিষ্ট সময়ের পর বস্তুটির ক্ষয় হবে যাকে অবিনাশিতাবাদের সূত্র অনুযায়ী রূপান্তর বলে।
জড় কিংবা জীব প্রতিটি পদার্থই শক্তি।
শক্তি কাকে বলে? কাজ করার সামর্থ্য বা ক্ষমতাকে শক্তি বলে।এই শক্তি যখন ক্ষয় হতে থাকে তখনই রূপান্তর হতে থাকে- মানুষের বেলায় তরুণ থেকে ক্রমশ প্রৌঢ়ত্বের দিকে যাত্রা,তারপর জরাগ্রস্ত,অতঃপর মৃত্য।মৃত্যুর পর দেহের রূপান্তর ঘটে মাটিতে।সেটাও আবার অন্য এক শক্তি।
***
মানুষের যখন বয়স কম থাকে চেহারায় থাকে সজীবতা,বয়সের ভার এসে আক্রান্ত করলে ত্বকে বলিরেখা পড়ে,যতই প্রসাধন চর্চিত হোক না কেন প্রসাধনের প্রলেপ ভেদ করে আসল চেহারা বের হবে হবেই।ক্ষয় ঢেকে রাখা যায় না,তবে তা একটা নির্দিষ্ট সময়ের পর।অবশ্য অনাকাঙ্ক্ষিত অপমৃত্যু যদি না হয় অসময়ে।
***
জীবৎকাল নিয়ে বলে ছিলাম যে প্রতিটি বস্তুর নির্দিষ্ট জীবৎকাল রয়েছে,আকাশের তারা কখন খসে পড়ে? যখন পুড়তে পুড়তে ছাই হয় তখন? জানা নেই।
তবে আমাদের প্রাথমিকের ভবনগুলো অসময়ে ধ্বসে পড়ে,খসে যায় স্কুল প্রাঙ্গন থেকে, এ বড় বেদনাবিধুর।
সরকার কত আন্তরিক ভাবে চান যে ভবনগুলো মজবুত হোক,দৃষ্টিনন্দন হোক।এ জন্য ভবন নির্মাণে প্রচুর বরাদ্দও থাকে,তবে কেন এমন হয়?
কখনও উদ্বোধনের আগেই ধ্বসে,কখনও ফাটল ধরে,আস্তর খসে খসে পড়ে।
প্রলেপ দিয়ে কত আর জরা ঢেকে রাখা যায়! যায় না তো।
***
বৃটিশ আমলের ভবনগুলো দেখুন,দাড়িয়ে আছে সটান তালগাছের মতো।
আচ্ছা মিশরের মিরামিডের বয়স কত?চীনের প্রাচীর কিংবা মোঘল আমলের স্থাপনাগুলো!
একটা স্কুল ভবন মিনিয়াম একশ বছরতো অন্তত টিকবে এ আশা করা কি বাতুলতা!
কেন পাঁচ/ দশ বছরের মাথায় জীর্ণদশা হবে?
কে কাকে ঠকায়! পুকুরের জল আক্রান্ত হলে সবাই কোনও না কোনও ভাবে তার শিকার হবে।
তো আমি ঠকাই,তুমি ঠকাও, আমরা ঠকাই - আমরা সবাই কিন্তু ঠকিও।
সমাজে বিবেক যদি ধ্বংস হয় তবে একা একজনের ক্ষতি হয় না, পুরো সমাজের ক্ষতি হয়।দেখাদেখি,প্র
তিযোগিতা ; কি যে অসুস্থ পতনের সময়।
***
নতুন ভবনের গোবাক্ষ এমন ভাবে তৈরি,তা শুধু চড়ুই পাখির বাসা হয়েছিলো,আর টুকরো টুকরো হয়ে ইট পাথর খসে পড়তো,একদম স্টিল পাত দিয়ে মুড়ে দিয়েছি,শিশুদের মাথা তো বাঁচাতে হবে!
***
কেউ বলেন " আপনাদের বলা আছে নির্মাণ কাজ তদারকি করার জন্য,কমিটিও তা করবে।"
কিভাবে? নির্মাণ কাজ তদারকি করতে মিনিয়াম স্থাপত্য জ্ঞান থাকা লাগবে তো!
শুধু তিন কেজি পাথরে দুই কেজি সিমেন্টের অনুপাত শেখালেই কি তদারকি হয়!
এটা তো কোনও কৌশলে মিস্ত্রি হেরফের করতে পারবেই,তদারকি তখন হবে যেমন" একজন দক্ষ ইঞ্জিনিয়ার একটি দেয়াল দেখেই বলতে পারবেন এটা কতটা টেকসই হয়েছে "তেমনটা বলতে পারলে।
সবজান্তা শমসের ছাড়া তা আর কারও পক্ষে সেটা সম্ভব নয়।
***
দেশটা বহু রক্তের বিনিময়ে অর্জিত।দেশকে ঠকানো মানে প্রকারান্তরে নিজেকেই ঠকানো।আমি চলে যাবো,আমার ভবিষ্যৎ তো থেকে যাবে।
আমরা আমাদের ভালোটা বুঝি না,কবে আমরা আমাদের নিজেদের ভালো সামগ্রিক ভাবে বুঝবো!
একা একা কি ভালো থাকা যায়?
ভালো থাকতে হয় সবাইকে নিয়ে।
আমাদের দেশপ্রেম শুধু সুন্দর সুন্দর বাণীতে সীমাবদ্ধ রাখলেই চলবে না।
কাজে পরিস্ফুট হোক দেশপ্রেম- সামগ্রিক ভালোর জন্য হোক আমাদের জীবন।
বেঁচে থাকার প্রতিটি মুহূর্ত হোক সঠিক চিন্তা চেতনা ও কর্মে সমৃদ্ধ।
--১৪/০৬/২০১৯
মন্তব্য যোগ করুন
এই লেখার উপর আপনার মন্তব্য জানাতে নিচের ফরমটি ব্যবহার করুন।
মন্তব্যসমূহ
-
আনাস খান ১৭/০৬/২০১৯অসাধারণ
-
সাইয়িদ রফিকুল হক ১৭/০৬/২০১৯সুন্দর ভাবনা।
-
মুহাম্মদ মোজাম্মেল হোসেন ১৬/০৬/২০১৯বেশ সুন্দর।
দেশ প্রেম।