কত কবির লেখা
কত কবির লেখা কবিতা গানে-
----
***
--কথা শুনে মাথায় যেন আকাশ ভেঙে পড়লো।
আকাশ কি ভাঙার জিনিস তাও জল - স্থল- অন্তরীক্ষের আর কোথাও নয়,সটান মাথায়?
---মন উড়ে যায় বলাকা হয়ে।
বলাকা হলো বক পাখি,মন কি করে বক পাখি হয়ে উড়ে যায়? কোথায় যায়?
" পৃথিবীর আকাশে উড়ে উড়ে যায় সে" শুধু তাই নয় চাইলে সাগরতলে,এস্কিমোদের দেশে,হিমালয়ের চূড়া এমন চাঁদ মঙ্গলেও যায়।কেমন করে?
---মাথায় আমার বাজ পড়লো।
বাজ হলো বজ্র,বিদ্যুৎ যাকে আদর করে অণুভা ডাকা হয়।
বাজ যদি সত্যিই পড়তো তবে আর বলা হতো কি করে যে আমার মাথায় বাজ পড়লো!
--বাঁধ ভেঙে দাও- রবিঠাকুর বলে গেছেন।
বাঁধ হলো -আল, জল আটকাবার আড় যা বালু বা মাটির বস্তা দিয়ে হাওরাঞ্চলে দেয়া হয়,জাঙাল।
বাঁধ নিয়ে কত গোল বাধে ফি বছর,জেলা পর্যায়,উপজেলা পর্যায়ের কর্মকর্তাগণ নাওয়া খাওয়া ঘুম হারাম করে দিনরাত তদারকি করেন যাতে বাঁধ সঠিক মতো হয়।
রবি ঠাকুর এই বাঁধ ভাঙতে বললেন নাকি সেই বাধ ভাঙতে বললেন?
বাঁধ তো দু'রকম
বাঁধ ও বাধ।
***
উপরে যে চারটি বাক্য দেয়া হয়েছে এগুলোর মত আরও অনেক বাক্য বাংলা ভাষায় আছে।এসব বাক্য হলো রূপক বা তুলনা যেমন সরাসরি বলা যায় না এমন কথা রূপকে প্রকাশ করতে হয়, অনেকটা" ঝি কে মেরে বৌকে শেখানোর মতো"।তুলনা করতেও রূপক ব্যবহৃত হয়, " চাঁদের মত মুখ", " আমি চাঁদকে বলেছি আজ রাতে, জোছনা লুকোতে"
চাঁদ কেমন কেউ দেখেছে?
চাঁদের সাথে কারও কোনও দিন কথা হয়েছে?
সবই কল্পনা- কল্পনা, রূপক বুঝতে কল্পনাশক্তি থাকা লাগে।
না হলে তিন কালার কাহিনী হয়ে যাবে।
কবি, লেখকগণ অনেক কিছু রূপক দিয়ে প্রকাশ করেন।
***
বলেছিলাম বাঁধ ও বাধ দুটো আছে।
একটির অর্থ আগে বলেছি,এখন দেখি আরেকটির অর্থ কি!
বাধ-নিষেধ,বাদ,মানা,নিরোধ,আটকানো।
যদি বলি আমি আসলে দুটোর মধ্যে আসলে তেমন পার্থক্য নেই,খুব একটা ভুল হবে কি? এটা আমার নিজস্ব মতামত,ভুল হতেও পারে।
বাঁধ দিয়ে বন্যা আটকানো হয়।বন্যাকে মানা করা হয়।
বাধ দিয়েও তো আটকানো হয়,নিরোধ হয়, মানা করা হয়।
***
বাঁধ থেকে আসে বাঁধা। বাঁধা -বন্ধন,আবদ্ধ,মিলিত,দুই ততোধিক বস্তুকে একত্রিত করা।
বাধ থেকে বাধা।
বাধা -প্রতিরোধ করা, আটকানো,মানা, নিষেধ।
যদি আটকানো ধরে নেই তখন দুই বা ততোধিক বস্তুর বিচ্ছিন্নতা রোধ করতে দড়ি দিয়ে আটকে দিলাম,একটা বন্ধন হলো।
আসলে শব্দগুলোর বিভিন্ন অর্থ আছে,শব্দগুলো নাড়াচাড়া করা যায় প্রয়োজন মাফিক।
***
বঙ্গীয় শব্দার্থকোষ বলছেন-
"বন্ধ( বন্ ধ্) ক্রিয়ামূলের বংশ থেকে বাঁধ এবং বাঁধা শব্দদ্বয় এসেছে।
বন্ধ( বন্ ধ্)= বন্( আবর্ত্তন) ধারিত যাহাতে।
(বন্=বহনের অন,বন= বহন অন যাহাতে।)
বন্ধ- যাহাকে বন্ধ করা হয়েছে,নিবন্ধ- যাহাকে নিশ্চয়ই বন্ধ করা হয়েছে।
বন্ধ নবরূপে উত্তীর্ণ হয়ে বন্ধু হয়,
বন্ধ অন(on) যাহাতে তা বন্ধন,বন্ধু রহে যাহাতে তাহা হলো বন্ধুর।"
কিন্তু প্রচলিত অর্থে বন্ধুর হলো অসমতল,অমসৃণ ইত্যাদি ইত্যাদি।
বাঁধকে রহস্যরূপী বাহীর ধারণ বলা যায় নাকি!
তাহলে বাঁধা হবে বাঁধ এর আধার যে।
কারণ বাঁ = রহস্যরূপী বাহীর আধার।
এবং বা= বাহীর আধার।
***
বঙ্গীয় শব্দার্থকোষ আরও বলেছেন
"বধ্ (বাধ্) ক্রিয়ামূলের বংশ থেকে এসেছে বাধ ও বাধা শব্দদ্বয়।
বধ্(বাধ্)=বৃদ্ধির ধারণ।বাধ= বধ হইতে জাত।
( বৃদ্ধি ধৃত যাহাতে)
বাধা- বাধ এর আধার যে।
বাধ্য= বাধ থাকে যাহাতে।
বধ অর্থ হত্যা।
বাধা ক্রমশ বাড়তে বাড়তে বৃদ্ধি সম্পূর্ণ ধৃত হয়ে গেলে তখনই বধ হয়।তাতে তার মৃত্যু ঘটে।"
***
তাহলে একটি শব্দ নিয়ে তার ক্রিয়ামূলের বংশ অনুযায়ী বিভিন্ন ভাবে বিশ্লেষণ করা যায় আমার মতে।
----কৃতজ্ঞতাঃ বঙ্গীয় শব্দার্থকোষ।
১৩/০৬/২০১৯
----
***
--কথা শুনে মাথায় যেন আকাশ ভেঙে পড়লো।
আকাশ কি ভাঙার জিনিস তাও জল - স্থল- অন্তরীক্ষের আর কোথাও নয়,সটান মাথায়?
---মন উড়ে যায় বলাকা হয়ে।
বলাকা হলো বক পাখি,মন কি করে বক পাখি হয়ে উড়ে যায়? কোথায় যায়?
" পৃথিবীর আকাশে উড়ে উড়ে যায় সে" শুধু তাই নয় চাইলে সাগরতলে,এস্কিমোদের দেশে,হিমালয়ের চূড়া এমন চাঁদ মঙ্গলেও যায়।কেমন করে?
---মাথায় আমার বাজ পড়লো।
বাজ হলো বজ্র,বিদ্যুৎ যাকে আদর করে অণুভা ডাকা হয়।
বাজ যদি সত্যিই পড়তো তবে আর বলা হতো কি করে যে আমার মাথায় বাজ পড়লো!
--বাঁধ ভেঙে দাও- রবিঠাকুর বলে গেছেন।
বাঁধ হলো -আল, জল আটকাবার আড় যা বালু বা মাটির বস্তা দিয়ে হাওরাঞ্চলে দেয়া হয়,জাঙাল।
বাঁধ নিয়ে কত গোল বাধে ফি বছর,জেলা পর্যায়,উপজেলা পর্যায়ের কর্মকর্তাগণ নাওয়া খাওয়া ঘুম হারাম করে দিনরাত তদারকি করেন যাতে বাঁধ সঠিক মতো হয়।
রবি ঠাকুর এই বাঁধ ভাঙতে বললেন নাকি সেই বাধ ভাঙতে বললেন?
বাঁধ তো দু'রকম
বাঁধ ও বাধ।
***
উপরে যে চারটি বাক্য দেয়া হয়েছে এগুলোর মত আরও অনেক বাক্য বাংলা ভাষায় আছে।এসব বাক্য হলো রূপক বা তুলনা যেমন সরাসরি বলা যায় না এমন কথা রূপকে প্রকাশ করতে হয়, অনেকটা" ঝি কে মেরে বৌকে শেখানোর মতো"।তুলনা করতেও রূপক ব্যবহৃত হয়, " চাঁদের মত মুখ", " আমি চাঁদকে বলেছি আজ রাতে, জোছনা লুকোতে"
চাঁদ কেমন কেউ দেখেছে?
চাঁদের সাথে কারও কোনও দিন কথা হয়েছে?
সবই কল্পনা- কল্পনা, রূপক বুঝতে কল্পনাশক্তি থাকা লাগে।
না হলে তিন কালার কাহিনী হয়ে যাবে।
কবি, লেখকগণ অনেক কিছু রূপক দিয়ে প্রকাশ করেন।
***
বলেছিলাম বাঁধ ও বাধ দুটো আছে।
একটির অর্থ আগে বলেছি,এখন দেখি আরেকটির অর্থ কি!
বাধ-নিষেধ,বাদ,মানা,নিরোধ,আটকানো।
যদি বলি আমি আসলে দুটোর মধ্যে আসলে তেমন পার্থক্য নেই,খুব একটা ভুল হবে কি? এটা আমার নিজস্ব মতামত,ভুল হতেও পারে।
বাঁধ দিয়ে বন্যা আটকানো হয়।বন্যাকে মানা করা হয়।
বাধ দিয়েও তো আটকানো হয়,নিরোধ হয়, মানা করা হয়।
***
বাঁধ থেকে আসে বাঁধা। বাঁধা -বন্ধন,আবদ্ধ,মিলিত,দুই ততোধিক বস্তুকে একত্রিত করা।
বাধ থেকে বাধা।
বাধা -প্রতিরোধ করা, আটকানো,মানা, নিষেধ।
যদি আটকানো ধরে নেই তখন দুই বা ততোধিক বস্তুর বিচ্ছিন্নতা রোধ করতে দড়ি দিয়ে আটকে দিলাম,একটা বন্ধন হলো।
আসলে শব্দগুলোর বিভিন্ন অর্থ আছে,শব্দগুলো নাড়াচাড়া করা যায় প্রয়োজন মাফিক।
***
বঙ্গীয় শব্দার্থকোষ বলছেন-
"বন্ধ( বন্ ধ্) ক্রিয়ামূলের বংশ থেকে বাঁধ এবং বাঁধা শব্দদ্বয় এসেছে।
বন্ধ( বন্ ধ্)= বন্( আবর্ত্তন) ধারিত যাহাতে।
(বন্=বহনের অন,বন= বহন অন যাহাতে।)
বন্ধ- যাহাকে বন্ধ করা হয়েছে,নিবন্ধ- যাহাকে নিশ্চয়ই বন্ধ করা হয়েছে।
বন্ধ নবরূপে উত্তীর্ণ হয়ে বন্ধু হয়,
বন্ধ অন(on) যাহাতে তা বন্ধন,বন্ধু রহে যাহাতে তাহা হলো বন্ধুর।"
কিন্তু প্রচলিত অর্থে বন্ধুর হলো অসমতল,অমসৃণ ইত্যাদি ইত্যাদি।
বাঁধকে রহস্যরূপী বাহীর ধারণ বলা যায় নাকি!
তাহলে বাঁধা হবে বাঁধ এর আধার যে।
কারণ বাঁ = রহস্যরূপী বাহীর আধার।
এবং বা= বাহীর আধার।
***
বঙ্গীয় শব্দার্থকোষ আরও বলেছেন
"বধ্ (বাধ্) ক্রিয়ামূলের বংশ থেকে এসেছে বাধ ও বাধা শব্দদ্বয়।
বধ্(বাধ্)=বৃদ্ধির ধারণ।বাধ= বধ হইতে জাত।
( বৃদ্ধি ধৃত যাহাতে)
বাধা- বাধ এর আধার যে।
বাধ্য= বাধ থাকে যাহাতে।
বধ অর্থ হত্যা।
বাধা ক্রমশ বাড়তে বাড়তে বৃদ্ধি সম্পূর্ণ ধৃত হয়ে গেলে তখনই বধ হয়।তাতে তার মৃত্যু ঘটে।"
***
তাহলে একটি শব্দ নিয়ে তার ক্রিয়ামূলের বংশ অনুযায়ী বিভিন্ন ভাবে বিশ্লেষণ করা যায় আমার মতে।
----কৃতজ্ঞতাঃ বঙ্গীয় শব্দার্থকোষ।
১৩/০৬/২০১৯
মন্তব্য যোগ করুন
এই লেখার উপর আপনার মন্তব্য জানাতে নিচের ফরমটি ব্যবহার করুন।
মন্তব্যসমূহ
-
আব্দুর রহমান আনসারী ১৬/০৮/২০২৩মন্দ নয়
-
এন এস এম মঈনুল হাসান সজল ১৪/০৯/২০১৯বেশ ভালো
-
মোঃ নূর ইমাম শেখ বাবু ১৪/০৬/২০১৯Thank you dear.
-
সাইয়িদ রফিকুল হক ১৪/০৬/২০১৯বেশ!