নাম আহা কত নাম
নাম,নাম আহা কত নামঃ
----
আমার খুব ছোটবেলায় রাজশাহী শহরে কেটেছিলো কিছুদিন।তখন রেডিওতে একটি গান বাজতো প্রতিদিন।
গানটির কথা এমন ছিলো,
" নামের বড়াই কইর নাকো নাম দিয়ে কি ছাই"
গানের একটা লাইনে রাজশাহী কথাটা ছিলো।
বহুদিন পর্যন্ত আমি বিশ্বাস করতাম গানটা আমার জন্যই গায়- কারণ আমি রাজশাহী থাকি।রাজশাহীতে ছিলো টমটম- ঘোড়ায় টানতো।টমটমে উঠামাত্রই আমি নিজেকে কি যে ভাবতাম- মনে হয় রাজরাণী( রাজা ছাড়া)।
তখন সিনেমাগুলো রাজা রাণীতে ভরপুর,তাই কোনও নির্দিষ্ট ভাবনা ছাড়াই নিজেকে রাজরাণী মনে হতো।
স্কুলে নাম জিজ্ঞেস করতো অনেকে
" এই তোমার নাম কি?"
"রুবি"
"আসল নাম কি?"
আমি চমকে ভাবতাম আসল নামটা আসলে কি?
নাম আবার আসল নকল হয়?
নামে আর কাজে মিল থাকে,নাও থাকতে পারে।
কানা ছেলের নাম তবে পদ্মলোচন হতো কি করে!
আমার ছোট ভায়ের খুব সখ ছিলো তার নাম হবে "বাচিং"
বাচিং তার ক্লাসে পড়তো,সাঁওতাল ছেলে।
আমার আব্বা সব ভাইবোনের নাম বেশ লম্বা দেখে রেখেছিলেন,ওরা সবাই বুদ্ধিমান তাই নিজেরাই নাম কেটে ছেটে ছোট করে দেয়,আমি বোকা তাই তিন মাইল লম্বা নামের বোঝা অকারণে বয়ে বেড়াচ্ছি আর বিবিধ বিবিধ ঝামেলায় সবাইকে ফেলছি।
নাম হলো বিশেষ্য।নামের বিপরীতে থাকে সর্বনাম।
অনেকের অনেক উপনামও থাকে।
উপনাম নামকে মাহাত্ম্য দেয় আবার দুঃখও দেয়।
সবারই উপনাম একটা না একটা আবশ্যিক ভাবে থাকবে এবং সেটা বন্ধুদের দেয়া গোপন নাম।
সকল স্যারদের উপনাম থাকবেই,তিনি যে পর্যায়ের স্যারই হোন না কেন।( স্যার বলতে শিক্ষক বুঝিয়েছি)
এটাও গোপন শুধু নয়,অতি গোপন।
আমিও অনেক উপনাম ধারণ করেছি।ভালোটাই বেশি,তা উল্লেখ না করি।
মন্দটাই বলি।
আমার সন্তানদের কাছে, " পৃথিবীর সবচেয়ে বোকা ও অচেতন মহিলা।"
একদম খুব যারা ভালোবাসে তাদের কাছে," সরলা"
মেঝো ভাই," ডাংকি"
অনেক সহকর্মী ডাকে, কত কিছু ডাকে,সেটা নাই বলি।
উনি ডাকেন," হুযুর / পণ্ডিত"
কেউ কেউ বলে," ঝগড়াটে"
কেউ বলে,"ক্ষ্যাত"
কেউ বলে," এনালগ"
কেউ বলে," অ আধুনিক- বেআধুনিক,প্রাচী
নপহ্নি,অপ্রগতিশীল"
কেউ বলে,"অহংকারী, দেমাগী"
আরও হয়তো কত কি বলে গোপনে কে জানে!
তবে আমি জানি আমি একজন মানুষ হতে চাওয়া মানুষ।
আমি আমার ইতিবাচক ইচ্ছাগুলোর প্রচণ্ড মূল্য দিই।
তিনটি জিনিস সাথে নিয়ে চলি,
১।আমার দ্বারা কারও ক্ষতি না হোক,আমার ক্ষতি হয় যদি তবুও।
২।আমানতের খেয়ানত আমি যেন না করি।কথা কাজ সবকিছুই আমার কাছে আমানত।
৩।আর্থিক ভাবে আমি যেন নিজের কাছে স্বচ্ছ থাকি।
এবং আরও কিছু নিয়ম দিয়ে নিজেকে আমি বেঁধে রাখি।
আমি যেমন হই তোমার পছন্দ হলে আমার সাথে থেকো,না হলে থেকো না।কোনও কিছু আমি বিস্মৃত হইনা,আমার আছে গোপন সিন্দুক। ওখানে সবকিছু জমা রাখি।
আমার গোপন সিন্দুকে অনেক অশ্রুও জমা আছে,যা আমাতে তেমন একটা প্রভাব ফেলেনা,শুধু ডালা খুললেই সমস্যা।
থাক ওটা পড়ে এক কোণে নিজের মত করে থাকুক।
---০২/০৪/২০১৯
----
আমার খুব ছোটবেলায় রাজশাহী শহরে কেটেছিলো কিছুদিন।তখন রেডিওতে একটি গান বাজতো প্রতিদিন।
গানটির কথা এমন ছিলো,
" নামের বড়াই কইর নাকো নাম দিয়ে কি ছাই"
গানের একটা লাইনে রাজশাহী কথাটা ছিলো।
বহুদিন পর্যন্ত আমি বিশ্বাস করতাম গানটা আমার জন্যই গায়- কারণ আমি রাজশাহী থাকি।রাজশাহীতে ছিলো টমটম- ঘোড়ায় টানতো।টমটমে উঠামাত্রই আমি নিজেকে কি যে ভাবতাম- মনে হয় রাজরাণী( রাজা ছাড়া)।
তখন সিনেমাগুলো রাজা রাণীতে ভরপুর,তাই কোনও নির্দিষ্ট ভাবনা ছাড়াই নিজেকে রাজরাণী মনে হতো।
স্কুলে নাম জিজ্ঞেস করতো অনেকে
" এই তোমার নাম কি?"
"রুবি"
"আসল নাম কি?"
আমি চমকে ভাবতাম আসল নামটা আসলে কি?
নাম আবার আসল নকল হয়?
নামে আর কাজে মিল থাকে,নাও থাকতে পারে।
কানা ছেলের নাম তবে পদ্মলোচন হতো কি করে!
আমার ছোট ভায়ের খুব সখ ছিলো তার নাম হবে "বাচিং"
বাচিং তার ক্লাসে পড়তো,সাঁওতাল ছেলে।
আমার আব্বা সব ভাইবোনের নাম বেশ লম্বা দেখে রেখেছিলেন,ওরা সবাই বুদ্ধিমান তাই নিজেরাই নাম কেটে ছেটে ছোট করে দেয়,আমি বোকা তাই তিন মাইল লম্বা নামের বোঝা অকারণে বয়ে বেড়াচ্ছি আর বিবিধ বিবিধ ঝামেলায় সবাইকে ফেলছি।
নাম হলো বিশেষ্য।নামের বিপরীতে থাকে সর্বনাম।
অনেকের অনেক উপনামও থাকে।
উপনাম নামকে মাহাত্ম্য দেয় আবার দুঃখও দেয়।
সবারই উপনাম একটা না একটা আবশ্যিক ভাবে থাকবে এবং সেটা বন্ধুদের দেয়া গোপন নাম।
সকল স্যারদের উপনাম থাকবেই,তিনি যে পর্যায়ের স্যারই হোন না কেন।( স্যার বলতে শিক্ষক বুঝিয়েছি)
এটাও গোপন শুধু নয়,অতি গোপন।
আমিও অনেক উপনাম ধারণ করেছি।ভালোটাই বেশি,তা উল্লেখ না করি।
মন্দটাই বলি।
আমার সন্তানদের কাছে, " পৃথিবীর সবচেয়ে বোকা ও অচেতন মহিলা।"
একদম খুব যারা ভালোবাসে তাদের কাছে," সরলা"
মেঝো ভাই," ডাংকি"
অনেক সহকর্মী ডাকে, কত কিছু ডাকে,সেটা নাই বলি।
উনি ডাকেন," হুযুর / পণ্ডিত"
কেউ কেউ বলে," ঝগড়াটে"
কেউ বলে,"ক্ষ্যাত"
কেউ বলে," এনালগ"
কেউ বলে," অ আধুনিক- বেআধুনিক,প্রাচী
নপহ্নি,অপ্রগতিশীল"
কেউ বলে,"অহংকারী, দেমাগী"
আরও হয়তো কত কি বলে গোপনে কে জানে!
তবে আমি জানি আমি একজন মানুষ হতে চাওয়া মানুষ।
আমি আমার ইতিবাচক ইচ্ছাগুলোর প্রচণ্ড মূল্য দিই।
তিনটি জিনিস সাথে নিয়ে চলি,
১।আমার দ্বারা কারও ক্ষতি না হোক,আমার ক্ষতি হয় যদি তবুও।
২।আমানতের খেয়ানত আমি যেন না করি।কথা কাজ সবকিছুই আমার কাছে আমানত।
৩।আর্থিক ভাবে আমি যেন নিজের কাছে স্বচ্ছ থাকি।
এবং আরও কিছু নিয়ম দিয়ে নিজেকে আমি বেঁধে রাখি।
আমি যেমন হই তোমার পছন্দ হলে আমার সাথে থেকো,না হলে থেকো না।কোনও কিছু আমি বিস্মৃত হইনা,আমার আছে গোপন সিন্দুক। ওখানে সবকিছু জমা রাখি।
আমার গোপন সিন্দুকে অনেক অশ্রুও জমা আছে,যা আমাতে তেমন একটা প্রভাব ফেলেনা,শুধু ডালা খুললেই সমস্যা।
থাক ওটা পড়ে এক কোণে নিজের মত করে থাকুক।
---০২/০৪/২০১৯
মন্তব্য যোগ করুন
এই লেখার উপর আপনার মন্তব্য জানাতে নিচের ফরমটি ব্যবহার করুন।
মন্তব্যসমূহ
-
আব্দুর রহমান আনসারী ১৬/০৮/২০২৩অপূরব
-
আনাস খান ১৩/০৬/২০১৯nice
-
সাইয়িদ রফিকুল হক ১৩/০৬/২০১৯আপনি বেশ ভালো।