www.tarunyo.com

সাম্প্রতিক মন্তব্যসমূহ

আমরা

আমরাঃ
--
নিজ> আপন,স্ব,যার যার, কোনও ব্যক্তিসত্তার।
নিজের কথায় আমরা লাগালে
মানে হলো নিজ এর কথায় নিজ রিপ্লেসমেন্ট হয়ে আমরা লাগানো হলো,অথবা নিজ এর সাথে আমরা কে যুক্ত করা হলো।
আমরা- আমি,তুমি,সে
নিজ এর স্থলে আমরা লাগালে মানে আমার বা কারও নিজের কথাকে আমরা লাগিয়ে আমাদের করা হলো- তাহলে সেটা সত্যি হয়?
হবে আবার হবেও না,কারণ যে কোনও কথা, মত,মতবাদের প্রবক্তা একজন হয়,অনুসারীরা সমর্থণ করে,ফলে নিজ তখন আমরা হয়।যে বা যারা যে মতের অনুসারী তাদের কাছে তাদের মত বা মতবাদই সেরা,বাকি সব মিথ্যা।
পৃথিবীতে সবাই আমরা হয়ে একই দলভূক্ত নয়।
এজন্য মুসলিমের আছে বিভিন্ন দল,ধর্মানুযায়ী আছে বিভিন্ন দল,রাজনৈতিক বিশ্বাস অনুযায়ী আছে, আছে কত শত মতবাদ,বিভিন্ন বাদের উৎপাত।
সবাই বলে,আনাল হক- আমিই সত্য"
**
সমাজ কিভাবে হয়? সব মানুষ কি সব সমাজের অন্তর্ভূক্ত? আমি শিক্ষক তাই আমি শিক্ষক সমাজভূক্ত এবং তাদের সাথেই আমি হই আমরা।যখন লেখক তখন লেখক সমাজ।পরিবারে এক সমাজ-- এরকম ভাগ ভাগ করা আছে বিভিন্ন রকম" আমরা"।আমি যেহেতু ডাক্তার নই,তাই আমি ডাক্তার সমাজের অন্তর্ভূক্ত নই,কাজেই আমি তাদের আমরা নই,তাদের স্বার্থ আর আমার স্বার্থ এক নয় বলেই ওখানে আমরার অন্তর্ভূক্ত নই।এরকম অন্যান্য ক্ষেত্রের উদাহরণও টানা যায়।
**
আমি রাতে বাসায় ঢুকার পথে একটা কিছু বাঁকা হয়ে পড়ে থাকতে দেখলাম,কারেন্ট ছিল না,কাজেই স্পষ্ট বুঝতে পারছিলাম না,ওটা দড়ি নাকি সাপ।
ছোটবেলা ডোরা সাপে কামড়েছিলো,আমি জানতাম প্রচলিত বিশ্বাস থেকে যে ডোরাসাপে কামড়ালে আর কোনও সাপে কামড়ায় না।এই বিশ্বাস থেকে আমি এগিয়ে গিয়ে ওটাকে পা দিয়ে নাড়া দিয়ে দেখি ওটা আসলেই দড়ি।
দৃষ্টিবিভ্রম থেকে ভুলের জন্ম হতে পারে,প্রমাণে ভুল দূর হয়।
আমি বিশ্বাস থেকে সাহস পেয়েছিলাম- সাহসে আমি এগিয়ে গিয়েছি।
বিশ্বাস আসে কোথা থেকে,প্রচলিত বিশ্বাসের মধ্যে বেড়ে উঠলে,কোনও প্রমাণিত ঘটনার সাপেক্ষে।হুজুগে থাকে সংশয়ের দোলাচল।
আমি জানি আগুনে হাত পুড়ে,এটা বিশ্বাস থেকে আসা বোধ, আর সত্যিকারে যেদিন হাত পুড়লো সেদিন বুঝলম পোড়া কাকে বলে- এটা বাস্তব প্রমাণসাপেক্ষে।অন্তর্গত বিশ্বাস থেকে জন্ম নেয় দৃষ্টিভঙ্গি।
ব্যক্তিগত বিশ্বাসের উপর যার যার দৃষ্টিভঙ্গি নির্ভর করে।
**
বোঝাবুঝি বিষয়টা কি?
এখানে দুটো পক্ষ থাকবে,একপক্ষ বুঝাবে, আরেকপক্ষ বুঝে নেবে।
বোঝাবুঝিতে দু'পক্ষকেই সক্রিয় থাকতে হবে।
বিটিভির স্বর্ণযুগে হুমায়ূন আহমেদের নাটক দেখাতো,তখন টিন এজ,হুমায়ূন মানেই - দেখতে হবে।
নাটকটা ছিলো পারিবারিক,নাটকের একটি চরিত্র ছিলো মামার,এই চরিত্রে ছিলেন আলী যাকের,দুর্দান্ত অভিনেতা।
মামা অতিশয় মেধাবী,নতুন নতুন তত্ত্ব আবিষ্কার করেন,বোন, দুলাভাই বা পরিবারের কেউ পাত্তা দেয় না,তিনি কাজের বুয়াকে জোর করে শুনান,কাজের বুয়া হাই তুলতে তুলতে বলে,মামা শেষ?
এখানে বুয়ার কোনও আগ্রহ ছিলো না।
কাজেই আগ্রহ থাকতে হবে বোঝানোর জন্য,আবার বোঝার জন্যও আগ্রহ দরকার,তা না হলে অরণ্যে রোদন।বোঝাবুঝি তখন বোঝা হয়ে সোজাসুজি ভুল বুঝাবে।
**
জোর করে আমরা হওয়া যায় না,আমরা হতে হলে সংশ্লিষ্ট বিষয়ে স্বার্থ থাকতে হবে।আর স্বার্থ সংশ্লিষ্ট হলে সব ঠিক,সব সত্য।
সর্বজনীন বিষয় খুব কম পৃথিবীতে,যদি বেশি হতো তবে পৃথিবী নামক গ্রহটাতে এতো অশান্তি থাকতো না।
কাজেই নিজের কথায় আমরা লাগালে সেটা সত্যি হয় কখন? যখন আমরা একই স্বার্থভূক্ত হয়।
**
আমরা শব্দটি নিয়ে একটু বিশ্লেষণে যাই।
সমস্যা কি! একটু না হয় অন্যরকম ভিন্নরকম ভাবি!
আ কি?
আ একটি উপসর্গ।
এটি অন্য শব্দের পূর্বে যুক্ত হয়।
আ - অভাব বোঝায়,যেমন লবনের অভাব = আলুনি।
কাঁড়ার অভাব= আকাঁড়া।
আ- বাজে,নিকৃষ্ট বোঝায়, যেমন আগাছা,আকাঠা।
**
ক্রিয়াভিত্তিক বিশ্লেষণে যাই।
আ মরা
আ- আধার
মরা- মর + আ
মর- সীমায়িত করে রাখা হয় যাহাতে
মর- ম রহে যাহাতে
ম- সীমায়িত।
তাহলে, মরা-মর এর আধার যে।
আমরা- আম রহে যে আধারে
আম থেকে আমি
আর বহু আমি মিলে হই আমরা।
মরা অর্থ- মৃত,শুস্ক, নিপীড়িত।
আবার উপসর্গে যাই - আমরা = মরার অভাব।
**
আমি বিভিন্নভাবে শব্দ নিয়ে ভাবতেই পারি আমার মত করে।
ভাবনার উপর কারও হাত নেই,নিজেরও নেই।
কাজেই এটা সর্বজনীন নয় যে " নিজের কথায় আমরা লাগালে সেটা সত্যি হয়"।
--১১/০৬/২০১৯
বিষয়শ্রেণী: প্রবন্ধ
ব্লগটি ৪৭১ বার পঠিত হয়েছে।
প্রকাশের তারিখ: ১১/০৬/২০১৯

মন্তব্য যোগ করুন

এই লেখার উপর আপনার মন্তব্য জানাতে নিচের ফরমটি ব্যবহার করুন।

Use the following form to leave your comment on this post.

মন্তব্যসমূহ

 
Quantcast