তুমি সুন্দর যদি নাহি হও
তুমি সুন্দর যদি নাহি হও
৪৯
---
ঘটনা একঃ ভদ্রমহিলার সন্তান হয়না।ভাইঝিকে এনে স্কুলে ভর্তি করিয়েছেন।সেই সূত্রে স্কুলে নিয়মিত আসতেন,আমার সাথে প্রচুর গল্প করতেন।একটি সন্তানের জন্য একটি মায়ের কি আকুতি,আমি তার চোখ দেখে বুঝে নিতাম।
মহিলার রঙ একেবারেই কালো,বেশ স্বাস্থ্যবতী,উচ
্চতা গড়পড়তা।
উনার স্বামীর সাথে সতেরো বছরের সংসার।সন্তান কেন হয়না ডাক্তারও বলতে পারেন না,উনাদের কোনও শারিরীক ত্রুটি ছিলনা।
স্বামীর আত্মীয়স্বজন প্রচুর চেষ্টা করছেন আবার বিয়ে করাতে ভদ্রলোক রাজী নন।বন্ধুরা বলে,তুই ওই কালোর মাঝে কি পেয়েছিস যে আরেকটা বিয়ে করিস না?
উনার স্বামীর উত্তর,কালোর মাঝে কি পেয়েছি সেটা কেবল আমিই জানি তোরা বুঝবি কি!!
-- এর নামই ভালোবাসা।
ঘটনা দুইঃ ভদ্রলোকের সাথে এক ট্রেনিং এ পরিচয়।দেশখ্যাত প্রতিষ্ঠানের প্রশিক্ষক।যথারীতি উনার সাথে আমার কথা হতো বেশ,এবং ভদ্রলোক অনেক লম্বা,সু-স্বাস্
থ্যবান,সুপুরুষ জাতীয় একজন।
উনার স্ত্রী সাথে এসেছেন,ভাবলাম না জানি উনার স্ত্রী কত সুন্দর।
দেখে টাসকি খেলাম।বেটে খাটো,রোগা পটকা- এবং কোনও অর্থেই ( ক্ষমাপ্রার্থী) চলনসইও বলা যাবেনা।
নিঃসংকোচে ভদ্রলোক তার প্রিয়তমা স্ত্রীকে নিয়ে সর্বত্র ঘুরে বেড়াচ্ছেন।
এরই নাম ভালোবাসা।
ভদ্রলোক একটি দামী কথা বলেছিলেন," আমার চেহারা সেটা বিধাতার দান,কালো কি ধলো সেটাতে আমার কোনও হাত নেই।যে বিষয়ে আমার কোন হাত নেই তা নিয়ে আমার কোনও অহংকারের কিছু নেই।তবে হ্যাঁ যা আমি কষ্ট করে অর্জন করেছি তার জন্য আমি অহংকার করতেই পারি।"
সেটা হলো উনার অধীত জ্ঞান,গবেষণামূলক কাজকর্ম ইত্যাদি।
ঘটনা তিনঃতিনি নিজে সুন্দর, বহু খুঁজে সুন্দরী দেখে তিনি বিয়ে করলেন,না বউটির সাথে বনিবনা হলনা।কারণ দুজনের আদর্শে, বিশ্বাসে মিল নেই।
তাই দুজনের আলাদা অবস্থান।
এখানে ভালোবাসা সৃষ্টি হয়নি।
ঘটনা চারঃ বেশ কয়েক দশক আগের ঘটনা।
পারিবারিক ভাবে বিয়ে।বিয়ের পর স্বামী স্ত্রী দুজনেই স্বাভাবিক সংসার করেছেন,সুখে দুঃখে পাশাপাশি থেকেছেন।আলাদা থাকা,আলাদা ভাবার অবকাশই মেলেনি।
এখানেও ভালোবাসা ছিলো।
উপসংহারঃ ভালোবাসার জন্য গাত্রবর্ণ কোনও বিবেচ্য নয়।
মানুষের রঙ ধূসর হয়,মানুষের অর্জনগুলোই থেকে যায়।
জানিনা আজকাল ভালোবাসা নিয়ে তরুণ তরুণীরা কি ভাবে,আমার কাছে যে বাসায় ভালো ভাবে সম্মান নিয়ে বাঁচা যায়,চলা যায় তাই ভালোবাসা।
--- ০৮/০৩/২০১৯
৪৯
---
ঘটনা একঃ ভদ্রমহিলার সন্তান হয়না।ভাইঝিকে এনে স্কুলে ভর্তি করিয়েছেন।সেই সূত্রে স্কুলে নিয়মিত আসতেন,আমার সাথে প্রচুর গল্প করতেন।একটি সন্তানের জন্য একটি মায়ের কি আকুতি,আমি তার চোখ দেখে বুঝে নিতাম।
মহিলার রঙ একেবারেই কালো,বেশ স্বাস্থ্যবতী,উচ
্চতা গড়পড়তা।
উনার স্বামীর সাথে সতেরো বছরের সংসার।সন্তান কেন হয়না ডাক্তারও বলতে পারেন না,উনাদের কোনও শারিরীক ত্রুটি ছিলনা।
স্বামীর আত্মীয়স্বজন প্রচুর চেষ্টা করছেন আবার বিয়ে করাতে ভদ্রলোক রাজী নন।বন্ধুরা বলে,তুই ওই কালোর মাঝে কি পেয়েছিস যে আরেকটা বিয়ে করিস না?
উনার স্বামীর উত্তর,কালোর মাঝে কি পেয়েছি সেটা কেবল আমিই জানি তোরা বুঝবি কি!!
-- এর নামই ভালোবাসা।
ঘটনা দুইঃ ভদ্রলোকের সাথে এক ট্রেনিং এ পরিচয়।দেশখ্যাত প্রতিষ্ঠানের প্রশিক্ষক।যথারীতি উনার সাথে আমার কথা হতো বেশ,এবং ভদ্রলোক অনেক লম্বা,সু-স্বাস্
থ্যবান,সুপুরুষ জাতীয় একজন।
উনার স্ত্রী সাথে এসেছেন,ভাবলাম না জানি উনার স্ত্রী কত সুন্দর।
দেখে টাসকি খেলাম।বেটে খাটো,রোগা পটকা- এবং কোনও অর্থেই ( ক্ষমাপ্রার্থী) চলনসইও বলা যাবেনা।
নিঃসংকোচে ভদ্রলোক তার প্রিয়তমা স্ত্রীকে নিয়ে সর্বত্র ঘুরে বেড়াচ্ছেন।
এরই নাম ভালোবাসা।
ভদ্রলোক একটি দামী কথা বলেছিলেন," আমার চেহারা সেটা বিধাতার দান,কালো কি ধলো সেটাতে আমার কোনও হাত নেই।যে বিষয়ে আমার কোন হাত নেই তা নিয়ে আমার কোনও অহংকারের কিছু নেই।তবে হ্যাঁ যা আমি কষ্ট করে অর্জন করেছি তার জন্য আমি অহংকার করতেই পারি।"
সেটা হলো উনার অধীত জ্ঞান,গবেষণামূলক কাজকর্ম ইত্যাদি।
ঘটনা তিনঃতিনি নিজে সুন্দর, বহু খুঁজে সুন্দরী দেখে তিনি বিয়ে করলেন,না বউটির সাথে বনিবনা হলনা।কারণ দুজনের আদর্শে, বিশ্বাসে মিল নেই।
তাই দুজনের আলাদা অবস্থান।
এখানে ভালোবাসা সৃষ্টি হয়নি।
ঘটনা চারঃ বেশ কয়েক দশক আগের ঘটনা।
পারিবারিক ভাবে বিয়ে।বিয়ের পর স্বামী স্ত্রী দুজনেই স্বাভাবিক সংসার করেছেন,সুখে দুঃখে পাশাপাশি থেকেছেন।আলাদা থাকা,আলাদা ভাবার অবকাশই মেলেনি।
এখানেও ভালোবাসা ছিলো।
উপসংহারঃ ভালোবাসার জন্য গাত্রবর্ণ কোনও বিবেচ্য নয়।
মানুষের রঙ ধূসর হয়,মানুষের অর্জনগুলোই থেকে যায়।
জানিনা আজকাল ভালোবাসা নিয়ে তরুণ তরুণীরা কি ভাবে,আমার কাছে যে বাসায় ভালো ভাবে সম্মান নিয়ে বাঁচা যায়,চলা যায় তাই ভালোবাসা।
--- ০৮/০৩/২০১৯
মন্তব্য যোগ করুন
এই লেখার উপর আপনার মন্তব্য জানাতে নিচের ফরমটি ব্যবহার করুন।
মন্তব্যসমূহ
-
জামাল উদ্দিন জীবন ০৭/১১/২০২১সুন্দর বলেছেন।।
-
সাইয়িদ রফিকুল হক ২২/০৫/২০১৯সবাই যদি এমন হতো!
-
সৌবর্ণ বাঁধন ২০/০৫/২০১৯ভালো লিখা।
-
মোঃ নূর ইমাম শেখ বাবু ১৯/০৫/২০১৯আপনি বেশ লেখেন