সবকিছু যে আমাকেই করতে হবে
সবকিছু যে আমাকেই করতে হবে কারণঃ
-----
"জানেন ভাবী, আমার বরটা এক গ্লাস পানি পর্যন্ত ঢেলে খেতে পারেনা"-- সেই অপদার্থ বরের স্ত্রীটির চোখে মুখে এ কথাটি বলার সময় থাকে পরম তৃপ্তি,প্রচ্ছন্ন অহংকার।
"জানো,আমার ছেলেটা তার কোনও কিছু ঠিকঠাক রাখতে পারেনা,সব আমাকে দেখতে হয়"
এ কথা বলার সময় সেই অগোছালো ছেলেটির মায়ের মুখে থাকে মমতাময় প্রচ্ছন্ন তৃপ্তি।
আমার বর এটা পছন্দ করে,আমার ভাই এটা পছন্দ করে,আমার বাবা এটা পছন্দ করে,আমার ছেলে এটা পছন্দ করে---
আমি কখনই বলবনা সবার সব পছন্দ সবাই চাপিয়ে দেয় আমাতে।
আমি বরং অনেক চাপ নেই,কারণ আমার যে ভালো লাগে।
আমার বাবা,আমার ভাই,আমার স্বামী আমার সন্তানকে আমার করে রাখতে,আমার মমতার আঁচলে বেধে রাখতে আমিই সেটা করি,বেশি করে করি।অনেক সময় নিজের দিকেও তাকাইনা,নিজের সুস্থতা নিজের সুবিধা খু্ঁজিনা।
এটা হলো মায়ের জাতের বৈশিষ্ট্য।
এর থাকতে পারে ঐতিহ্যগত,প্রথাগত, মনোদৈহিক কোনও কারণ,যা হয়তো আমি খুঁজে বের করে বিশ্লেষণ করতে পারিনা।
কোনও মেয়ে,কোনও বোন,কোনও মা কখনই তার বাবার, তার ভায়ের তার সন্তানের প্রিয় খাবারটা খায়না।খেতে পারেনা,এটা কেউ বাধ্য করেনা,সামর্থ্যহীন কিংবা সামর্থ্যবান কোনও বিবেচ্য নয়।কেউ বাধ্য করেনা,তবুও হাড়ি ভর্তি মাছ মাংস থেকে মায়ের জাত কেবল ঝোলটা কিংবা ছোট অপছন্দের একটি পিস কিংবা গলার হাড়টা খেয়ে পরম তৃপ্তি নিয়ে খাবারটা শেষ করে।
আহা আমার অমুক ইলিশ খেতে পছন্দ করে,পর্যাপ্ত থাকার পরও মেয়েরা সেটা পরের বেলা পাতে তুলে দেয়ার জন্য রেখে দেয়।
একদম সিঙ্গেল পরিবারেও এটা হয়,যেখানে খেতে নিষেধ দেবার কেউ থাকেনা।
এই মেয়েগুলো যখন বিয়ের পর বাবার বাড়ি যায়- বাবা, ভায়েরা বড় মাছটা কিনে আনে,মা ভাবীরা বড় পিসটা মেয়ের পাতে ননদের পাতে তুলে দেয়।
কারণ জানা,মেয়েটা তার স্বামীর ঘরে ভালো কিছু ইচ্ছে করেই খায়না।বাবার বাড়িতেও খেতে চায়না,বলে অমুককে দিও।
জোর করে মা খাওয়ায়,ভায়ের বৌরা খাওয়ায়।
কিছু ব্যতিক্রম থাকলেও এটাই বাঙালী মেয়েদের জীবনের চরম সত্য।আগ বাড়িয়ে তারা নিজেরাই ঠকে নেয়,বরণ করে ঠকে যাওয়াটা নিজের করে নেয়।
যত যাই কর মা বোনেরা, কিছু মৌলিক জিনিস শেখাতে হবেই।যাতে তোমার অবর্তমানে তোমার আদরের ধনেরা অসহায় না হয়ে পড়ে।
আর ছেলেকে মাঝে মাঝে এটা বলতে হবে," বাবা যাই কর,এমন কিছু করনা যা আমার মুখটাকে ছোট করে দেয় সবার কাছে।আমি তোমার মা,আমার সম্মান তুমি রেখো।"
এই ছেলে কোনও অপকর্ম করার আগে একবার হলেও মায়ের কথাটি ভাববে।
কোনও আইন নয়,কোনও শাস্তি নয়-- একজন আদর্শ মা কেবল পারেন একটি আদর্শ ছেলে সমাজকে উপহার দিতে।
একজন মা পারেন দুর্নীতি মুক্ত,ইভটিজিং মুক্ত, ধর্ষণমুক্ত সমাজ উপহার দিতে।
হ্যাঁ সেই মা কেবল মমতাময়ী নন,সবদিকেই আদর্শ একজন মা।
---০৯/০৩/২০১৯
-----
"জানেন ভাবী, আমার বরটা এক গ্লাস পানি পর্যন্ত ঢেলে খেতে পারেনা"-- সেই অপদার্থ বরের স্ত্রীটির চোখে মুখে এ কথাটি বলার সময় থাকে পরম তৃপ্তি,প্রচ্ছন্ন অহংকার।
"জানো,আমার ছেলেটা তার কোনও কিছু ঠিকঠাক রাখতে পারেনা,সব আমাকে দেখতে হয়"
এ কথা বলার সময় সেই অগোছালো ছেলেটির মায়ের মুখে থাকে মমতাময় প্রচ্ছন্ন তৃপ্তি।
আমার বর এটা পছন্দ করে,আমার ভাই এটা পছন্দ করে,আমার বাবা এটা পছন্দ করে,আমার ছেলে এটা পছন্দ করে---
আমি কখনই বলবনা সবার সব পছন্দ সবাই চাপিয়ে দেয় আমাতে।
আমি বরং অনেক চাপ নেই,কারণ আমার যে ভালো লাগে।
আমার বাবা,আমার ভাই,আমার স্বামী আমার সন্তানকে আমার করে রাখতে,আমার মমতার আঁচলে বেধে রাখতে আমিই সেটা করি,বেশি করে করি।অনেক সময় নিজের দিকেও তাকাইনা,নিজের সুস্থতা নিজের সুবিধা খু্ঁজিনা।
এটা হলো মায়ের জাতের বৈশিষ্ট্য।
এর থাকতে পারে ঐতিহ্যগত,প্রথাগত, মনোদৈহিক কোনও কারণ,যা হয়তো আমি খুঁজে বের করে বিশ্লেষণ করতে পারিনা।
কোনও মেয়ে,কোনও বোন,কোনও মা কখনই তার বাবার, তার ভায়ের তার সন্তানের প্রিয় খাবারটা খায়না।খেতে পারেনা,এটা কেউ বাধ্য করেনা,সামর্থ্যহীন কিংবা সামর্থ্যবান কোনও বিবেচ্য নয়।কেউ বাধ্য করেনা,তবুও হাড়ি ভর্তি মাছ মাংস থেকে মায়ের জাত কেবল ঝোলটা কিংবা ছোট অপছন্দের একটি পিস কিংবা গলার হাড়টা খেয়ে পরম তৃপ্তি নিয়ে খাবারটা শেষ করে।
আহা আমার অমুক ইলিশ খেতে পছন্দ করে,পর্যাপ্ত থাকার পরও মেয়েরা সেটা পরের বেলা পাতে তুলে দেয়ার জন্য রেখে দেয়।
একদম সিঙ্গেল পরিবারেও এটা হয়,যেখানে খেতে নিষেধ দেবার কেউ থাকেনা।
এই মেয়েগুলো যখন বিয়ের পর বাবার বাড়ি যায়- বাবা, ভায়েরা বড় মাছটা কিনে আনে,মা ভাবীরা বড় পিসটা মেয়ের পাতে ননদের পাতে তুলে দেয়।
কারণ জানা,মেয়েটা তার স্বামীর ঘরে ভালো কিছু ইচ্ছে করেই খায়না।বাবার বাড়িতেও খেতে চায়না,বলে অমুককে দিও।
জোর করে মা খাওয়ায়,ভায়ের বৌরা খাওয়ায়।
কিছু ব্যতিক্রম থাকলেও এটাই বাঙালী মেয়েদের জীবনের চরম সত্য।আগ বাড়িয়ে তারা নিজেরাই ঠকে নেয়,বরণ করে ঠকে যাওয়াটা নিজের করে নেয়।
যত যাই কর মা বোনেরা, কিছু মৌলিক জিনিস শেখাতে হবেই।যাতে তোমার অবর্তমানে তোমার আদরের ধনেরা অসহায় না হয়ে পড়ে।
আর ছেলেকে মাঝে মাঝে এটা বলতে হবে," বাবা যাই কর,এমন কিছু করনা যা আমার মুখটাকে ছোট করে দেয় সবার কাছে।আমি তোমার মা,আমার সম্মান তুমি রেখো।"
এই ছেলে কোনও অপকর্ম করার আগে একবার হলেও মায়ের কথাটি ভাববে।
কোনও আইন নয়,কোনও শাস্তি নয়-- একজন আদর্শ মা কেবল পারেন একটি আদর্শ ছেলে সমাজকে উপহার দিতে।
একজন মা পারেন দুর্নীতি মুক্ত,ইভটিজিং মুক্ত, ধর্ষণমুক্ত সমাজ উপহার দিতে।
হ্যাঁ সেই মা কেবল মমতাময়ী নন,সবদিকেই আদর্শ একজন মা।
---০৯/০৩/২০১৯
মন্তব্য যোগ করুন
এই লেখার উপর আপনার মন্তব্য জানাতে নিচের ফরমটি ব্যবহার করুন।
মন্তব্যসমূহ
-
রনোজিত সরকার(বামুনের চাঁদ) ১৬/০৫/২০১৯বেশ👌
-
মোঃ নূর ইমাম শেখ বাবু ১৫/০৫/২০১৯চলতে থাকুক
-
নাসরীন আক্তার রুবি ১৫/০৫/২০১৯ধন্যবাদ
-
নাসরীন আক্তার রুবি ১৫/০৫/২০১৯ধন্যবাদ
-
নাসরীন আক্তার রুবি ১৫/০৫/২০১৯ধন্যবাদ
-
সাইয়িদ রফিকুল হক ১৫/০৫/২০১৯ভালো লিখেছেন।