জানার মাঝে অজানারে
জানার মাঝে অজানারে করেছি সন্ধানঃ
-----
অনেক বছর আগে পাকিস্তানের ক্রিকেটার শহীদ আফ্রিদী টপ ফর্মে।ঢাকায় খেলছেন,খেলা দেখতে এসেছেন অনেকে।এক তরুণী গালে স্টিকার, " আফ্রিদী মেরি মি"-- তখন ফেসবুক ছিল না,খবরের কাগজগুলো আলোচনা-সমালোচনায় মুখর।
বিশ্বের বড় বড় আয়োজনগুলোর উদ্বোধনী পর্বগুলো দেখুন- কত বিচিত্র ভাবে,কত না বিচিত্র কসরতে কতজন নিজেকে উপস্থাপন করছে- উদ্দেশ্য একটাই দৃষ্টি আকর্ষণ,আলোচিত হতে চাওয়া।
আলোচিত হতে পারার সবচে সহজ উপায়টি বেঁচে নিতে কেউ কেউ দ্বিধা বোধ করেনা।
ফুলে আসি,বিচিত্র রঙের ফুল ফোটে।রঙের বিচিত্রতা হেতু তার গন্ধে হেরফের থাকে।প্রজাপতি ছুটে আসে কখনও রঙ তাকে আকর্ষণ করে, কখনও গন্ধ তাকে মোহিত করে।
মানুষ ফুল নয়,মানুষ সামাজিক শৃঙ্খলা বজায় রাখার জন্য নিয়ম-নীতি তৈরি করে, সেগুলো কতটুকু পালন হয়,কে পালন করে সে আলোচনায় যাচ্ছিনা।বলছি শৃঙ্খলার জন্য নিয়ম-কানুন তৈরি করে।
পুরুষ ও নারী দুইভাগে বিভক্ত মানুষ প্রজাতি।
প্রত্যেকের অবয়ব, দৈহিক কাঠামো তার কাজের প্রকৃতি নির্ধারণ করে।
একজন নারী যা করতে পারে পুরুষ তা করতে পারেনা তেমনি পুরুষ যা পারে নারী তা পারেনা- এখানে মেনে না নেয়ার কিছু নেই।আবার কিছু কিছু কাজ মানুষ হিসেবে দুজনেই সমান পারে- পারার ক্ষমতা রাখে; ব্যক্তিস্বাতন্ত্র্য ভেদে যদিও তার হেরফের হতে পারে।
একজন নারী আগে মানুষ তারপর নারী,একজন পুরুষ আগে মানুষ তারপর পুরুষ।
প্রাকৃতিক কিছু বিষয় আছে, মানুষ দুর্বল সেখানে।মানুষ তার মনুষত্ব দিয়ে বিবেক দিয়ে তা নিয়ন্ত্রণে রাখবে,রাখা উচিত।
আপনি চিনি ছড়িয়ে ছিটিয়ে রাখবেন,পিঁপড়ে আসবেই।মিস্টি উন্মুক্ত রাখবেন, মাছি আসবেই।প্রতিবাদ করে লাভ হবেনা- পিঁপড়ে মাছি বা আরও আরও যে সকল প্রাণী আছে তাদের বৈশিষ্ট্য অনুযায়ী সে চলবে,যেমন মানুষ হিসেবে আপনি আপনার বৈশিষ্ট্য ধারণ করেন,লালন করেন।
অন্ধকারে পথ চলবেন? আলোর সাহায্য নিতে হবে।সেক্ষেত্রে আপনি অন্ধকারকে চ্যালেঞ্জ করলে বোকামী সেটা,কৌশল অবলম্বন জরুরী; যা আপনি আলোর সাহায্য নিয়ে করলেন।
আপনি একজন নারী হিসেবে পুতুপুতু করবেন,নারী হয়েছেন সেজন্য সুবিধামত সুযোগ নিতে চাইবেন,নিজেকে উপস্থাপন করবেন দৃষ্টি আকর্ষণের জন্য-ফায়দা লোটার জন্য।আপনি যতটুকুতে সীমাবদ্ধ থাকতে চাইছেন অন্যপক্ষ সে সীমাতে হয়তো সীমাবদ্ধ থাকবেনা- সবাই নিজের সুবিধামতই চিন্তা করে।
কেন আপনি একজন মানুষ হিসেবে নিজেকে উপস্থাপন করবেন না?
যেখানে আপনার সমস্যা তা উত্তরণে হাস্যকর পথ অবলম্বন না করে কৌশলী হোন।এমন কৌশল যে, যে আপনাকে বিব্রত করতে চাইবে কেবল সেই বুঝবে আপনি কি ও কত প্রকার।জীবনে আর হাত বাড়াবে? সাহসই হবেনা।
মানুষের মত চলেন,বলেন,হাঁটেন কাজ করেন।আপনি নারী সেটা জানা কথা,সাথে সাথে আপনি মানুষও বটে।
আমরা নিজেরাই তো ভুলে যাই- মানুষ হবো নাকি নারী হবো।
সাবধান! নারী হবার সুবিধা যেমন অসুবিধা ঢের বেশি।
আপনাকে পরিচয় দিতে হবে যে আপনি নারী! আপনি কার কাছে সুরক্ষা চান?
আপনার সুরক্ষার ব্যবস্থা আপনাকেই নিতে হবে।নিতে হবে মেধা, প্রজ্ঞা ও উপস্থিত বুদ্ধিমত্তা কৌশল করে।
প্রকৃতি প্রতিটি সৃষ্টিতে আত্মরক্ষার কৌশল দিয়েছেন।
তারপরও ব্যতিক্রম কিছু ঘটবে- তবে ব্যতিক্রম কিছু ঘটনা ঘটার ক্ষেত্রে যে বা যারা বা যে উপাদানই দায়ী হোক আপনি যেন সেটা না হোন।
আপনি প্রশ্ন করতেই পারেন তাহলে আমি কি করবো!
আপনি সাঁতার জানলেই কেবল পানিতে নামবেন,আপনি গাড়ি চালাতে জানলেই কেবল স্টিয়ারিং হাতে নেবেন।
নিজেকে রক্ষার কৌশল এটা নয় যে নিজেকে উন্মুক্ত করে চ্যালেঞ্জে নামবেন যে এটা আমার অধিকার-
অধিকার কি বুঝতে হবে।
আপনি নারী।মেয়ে,বোন,স্ত্রী মা - সবই আপনি।
কখনও আপনিই হেলেন কিলার কখনও মাদার তেরেসা কখনও প্রীতিলতা।
আপনার ব্যক্তিত্ব,আপনার রুচি আপনার মার্জিত আচরণ,আপনার সর্ব্বোচ্চ সুরক্ষা।ব্যতিক্রমী ক্ষেত্রে ওইযে বললাম কৌশলী হতে হবে- সেটা কি রকম আপনি উপস্থিত মুহূর্তে অথবা প্রতিদিন আপনার সাথে ঘটতে থাকা বিপ্রতীপ আচরণ অনুযায়ী নেবেন।
নিজেকে সস্তা করে তুলবেন না,নিজেকে প্রদর্শনীর উপকরণ করে তুলবেন না।
আপনার কাজ হোক আপনার পরিচয়।
আপনি যখন নিজেকে নারী হিসেবে নয়,মানুষ হিসেবে প্রমাণ করবেন-তখন?
তখন কেউ সাহস পাবেনা, পাবেই না।
মানুষের মাঝে কিছু পশুও থাকে,পশুদের দ্বারা পাশবিকতার শিকার হয় কেউ কেউ।
ওই সমস্ত মানুষরূপী জানোয়ারদের প্রতি একরাশ ঘৃণা জানিয়ে শেষ করছি।
ওই জানোয়ারদের থেকে কিভাবে একজন নীরিহ মা,বোন,মেয়ে নিজেকে রক্ষা করবেন! প্রথমেই সাবধান হোন,প্রকাশ করুন,সাহায্য নিন- নিজেকে নিরাপত্তা দিন।
সবাই তো জানোয়ার নয়- আপনি প্রথমেই জানোয়ারের মুখোশ উন্মোচন করে দিন যাতে সে আর আগ বাড়াতে সাহস না পায়।
আর অনভিপ্রেত ব্যতিক্রম কিছু দুর্ঘটনা ঘটবে- তার জন্য রাষ্ট্র যথাযথ আইন প্রনয়ণ ও প্রয়োগ করবে দৃষ্টান্তমূলক ভাবে।
আইন যখন কঠোর ভাবে প্রয়োগ হবে-তখন যখন-তখন যা কিছু করার খায়েশটা আপনা থেকেই কমে যাবে।
---০৮/০৪/২০১৯
-----
অনেক বছর আগে পাকিস্তানের ক্রিকেটার শহীদ আফ্রিদী টপ ফর্মে।ঢাকায় খেলছেন,খেলা দেখতে এসেছেন অনেকে।এক তরুণী গালে স্টিকার, " আফ্রিদী মেরি মি"-- তখন ফেসবুক ছিল না,খবরের কাগজগুলো আলোচনা-সমালোচনায় মুখর।
বিশ্বের বড় বড় আয়োজনগুলোর উদ্বোধনী পর্বগুলো দেখুন- কত বিচিত্র ভাবে,কত না বিচিত্র কসরতে কতজন নিজেকে উপস্থাপন করছে- উদ্দেশ্য একটাই দৃষ্টি আকর্ষণ,আলোচিত হতে চাওয়া।
আলোচিত হতে পারার সবচে সহজ উপায়টি বেঁচে নিতে কেউ কেউ দ্বিধা বোধ করেনা।
ফুলে আসি,বিচিত্র রঙের ফুল ফোটে।রঙের বিচিত্রতা হেতু তার গন্ধে হেরফের থাকে।প্রজাপতি ছুটে আসে কখনও রঙ তাকে আকর্ষণ করে, কখনও গন্ধ তাকে মোহিত করে।
মানুষ ফুল নয়,মানুষ সামাজিক শৃঙ্খলা বজায় রাখার জন্য নিয়ম-নীতি তৈরি করে, সেগুলো কতটুকু পালন হয়,কে পালন করে সে আলোচনায় যাচ্ছিনা।বলছি শৃঙ্খলার জন্য নিয়ম-কানুন তৈরি করে।
পুরুষ ও নারী দুইভাগে বিভক্ত মানুষ প্রজাতি।
প্রত্যেকের অবয়ব, দৈহিক কাঠামো তার কাজের প্রকৃতি নির্ধারণ করে।
একজন নারী যা করতে পারে পুরুষ তা করতে পারেনা তেমনি পুরুষ যা পারে নারী তা পারেনা- এখানে মেনে না নেয়ার কিছু নেই।আবার কিছু কিছু কাজ মানুষ হিসেবে দুজনেই সমান পারে- পারার ক্ষমতা রাখে; ব্যক্তিস্বাতন্ত্র্য ভেদে যদিও তার হেরফের হতে পারে।
একজন নারী আগে মানুষ তারপর নারী,একজন পুরুষ আগে মানুষ তারপর পুরুষ।
প্রাকৃতিক কিছু বিষয় আছে, মানুষ দুর্বল সেখানে।মানুষ তার মনুষত্ব দিয়ে বিবেক দিয়ে তা নিয়ন্ত্রণে রাখবে,রাখা উচিত।
আপনি চিনি ছড়িয়ে ছিটিয়ে রাখবেন,পিঁপড়ে আসবেই।মিস্টি উন্মুক্ত রাখবেন, মাছি আসবেই।প্রতিবাদ করে লাভ হবেনা- পিঁপড়ে মাছি বা আরও আরও যে সকল প্রাণী আছে তাদের বৈশিষ্ট্য অনুযায়ী সে চলবে,যেমন মানুষ হিসেবে আপনি আপনার বৈশিষ্ট্য ধারণ করেন,লালন করেন।
অন্ধকারে পথ চলবেন? আলোর সাহায্য নিতে হবে।সেক্ষেত্রে আপনি অন্ধকারকে চ্যালেঞ্জ করলে বোকামী সেটা,কৌশল অবলম্বন জরুরী; যা আপনি আলোর সাহায্য নিয়ে করলেন।
আপনি একজন নারী হিসেবে পুতুপুতু করবেন,নারী হয়েছেন সেজন্য সুবিধামত সুযোগ নিতে চাইবেন,নিজেকে উপস্থাপন করবেন দৃষ্টি আকর্ষণের জন্য-ফায়দা লোটার জন্য।আপনি যতটুকুতে সীমাবদ্ধ থাকতে চাইছেন অন্যপক্ষ সে সীমাতে হয়তো সীমাবদ্ধ থাকবেনা- সবাই নিজের সুবিধামতই চিন্তা করে।
কেন আপনি একজন মানুষ হিসেবে নিজেকে উপস্থাপন করবেন না?
যেখানে আপনার সমস্যা তা উত্তরণে হাস্যকর পথ অবলম্বন না করে কৌশলী হোন।এমন কৌশল যে, যে আপনাকে বিব্রত করতে চাইবে কেবল সেই বুঝবে আপনি কি ও কত প্রকার।জীবনে আর হাত বাড়াবে? সাহসই হবেনা।
মানুষের মত চলেন,বলেন,হাঁটেন কাজ করেন।আপনি নারী সেটা জানা কথা,সাথে সাথে আপনি মানুষও বটে।
আমরা নিজেরাই তো ভুলে যাই- মানুষ হবো নাকি নারী হবো।
সাবধান! নারী হবার সুবিধা যেমন অসুবিধা ঢের বেশি।
আপনাকে পরিচয় দিতে হবে যে আপনি নারী! আপনি কার কাছে সুরক্ষা চান?
আপনার সুরক্ষার ব্যবস্থা আপনাকেই নিতে হবে।নিতে হবে মেধা, প্রজ্ঞা ও উপস্থিত বুদ্ধিমত্তা কৌশল করে।
প্রকৃতি প্রতিটি সৃষ্টিতে আত্মরক্ষার কৌশল দিয়েছেন।
তারপরও ব্যতিক্রম কিছু ঘটবে- তবে ব্যতিক্রম কিছু ঘটনা ঘটার ক্ষেত্রে যে বা যারা বা যে উপাদানই দায়ী হোক আপনি যেন সেটা না হোন।
আপনি প্রশ্ন করতেই পারেন তাহলে আমি কি করবো!
আপনি সাঁতার জানলেই কেবল পানিতে নামবেন,আপনি গাড়ি চালাতে জানলেই কেবল স্টিয়ারিং হাতে নেবেন।
নিজেকে রক্ষার কৌশল এটা নয় যে নিজেকে উন্মুক্ত করে চ্যালেঞ্জে নামবেন যে এটা আমার অধিকার-
অধিকার কি বুঝতে হবে।
আপনি নারী।মেয়ে,বোন,স্ত্রী মা - সবই আপনি।
কখনও আপনিই হেলেন কিলার কখনও মাদার তেরেসা কখনও প্রীতিলতা।
আপনার ব্যক্তিত্ব,আপনার রুচি আপনার মার্জিত আচরণ,আপনার সর্ব্বোচ্চ সুরক্ষা।ব্যতিক্রমী ক্ষেত্রে ওইযে বললাম কৌশলী হতে হবে- সেটা কি রকম আপনি উপস্থিত মুহূর্তে অথবা প্রতিদিন আপনার সাথে ঘটতে থাকা বিপ্রতীপ আচরণ অনুযায়ী নেবেন।
নিজেকে সস্তা করে তুলবেন না,নিজেকে প্রদর্শনীর উপকরণ করে তুলবেন না।
আপনার কাজ হোক আপনার পরিচয়।
আপনি যখন নিজেকে নারী হিসেবে নয়,মানুষ হিসেবে প্রমাণ করবেন-তখন?
তখন কেউ সাহস পাবেনা, পাবেই না।
মানুষের মাঝে কিছু পশুও থাকে,পশুদের দ্বারা পাশবিকতার শিকার হয় কেউ কেউ।
ওই সমস্ত মানুষরূপী জানোয়ারদের প্রতি একরাশ ঘৃণা জানিয়ে শেষ করছি।
ওই জানোয়ারদের থেকে কিভাবে একজন নীরিহ মা,বোন,মেয়ে নিজেকে রক্ষা করবেন! প্রথমেই সাবধান হোন,প্রকাশ করুন,সাহায্য নিন- নিজেকে নিরাপত্তা দিন।
সবাই তো জানোয়ার নয়- আপনি প্রথমেই জানোয়ারের মুখোশ উন্মোচন করে দিন যাতে সে আর আগ বাড়াতে সাহস না পায়।
আর অনভিপ্রেত ব্যতিক্রম কিছু দুর্ঘটনা ঘটবে- তার জন্য রাষ্ট্র যথাযথ আইন প্রনয়ণ ও প্রয়োগ করবে দৃষ্টান্তমূলক ভাবে।
আইন যখন কঠোর ভাবে প্রয়োগ হবে-তখন যখন-তখন যা কিছু করার খায়েশটা আপনা থেকেই কমে যাবে।
---০৮/০৪/২০১৯
মন্তব্য যোগ করুন
এই লেখার উপর আপনার মন্তব্য জানাতে নিচের ফরমটি ব্যবহার করুন।
মন্তব্যসমূহ
-
পরিতোষ ভৌমিক ২ ১৩/০৫/২০১৯কথাগুলো বেশ মূল্যবান এবং প্রাসঙ্গিক । শুভেচ্ছা জানাই লেখককে ।
-
সাইয়িদ রফিকুল হক ১২/০৫/২০১৯আসলে মানুষরূপী পশুদের জন্য আমাদের শান্তি নাই।