পাখি উড়ে ইঁদুর উড়ে
পাখি উড়ে,ইঁদুর উড়েঃ
-----
**
শিশুদের একটি মজার খেলা এটি।যখন পাখি উড়ে বলা হবে তখন শিশুরা দুই হাত নেড়ে উড়ে যাওয়া দেখাবে,আর যখন বলা হবে ইঁদুর উড়ে তখন শিশুরা হাত নাড়াবেনা,স্থির রাখবে,কারণ পাখি উড়ে বটে ইঁদুরতো উড়েনা।
আমাদের ছোটবেলা শীতের বিকেলে অনেক "পাখী" উড়ে যেতো,দল বেঁধে ঝাঁকে ঝাঁকে,এখন আর "পাখী" উড়েনা,দিন বদলে গেছে,পরিবেশ বদলেছে।ঝাঁকের "পাখী" উড়েনা আকাশে আর,অবশ্য কাক দেখা যায়- যদিও বা কাক বলতে কাকই বুঝি,কাককে কে কবে পাখির মর্যাদা দিয়েছে।সে আমাদের চিরচেনা,ময়লা ভক্ষণকারী,কা কা করে জ্বালাতনকারী কাকই চিরদিন।
আমাদের ছোটবেলা গ্রামে "বাড়ী " ছিলো।এখন মানুষের বাসা-বাড়ি থাকে শহরে,সামর্থ্য আছে এমন কেউ আর বলেনা" বাড়ী" থাকি, বলে "বাড়ী" যাবো।অবশ্য ঈদের ছুটিতে মানুষ এখন বাড়ি বেড়াতে যায়।
**
সমস্যা ইঁদুর করে বটে,ঘরে ঢুকে নাশ-বিনাশ করে কুটুর-কুটুর করে সব ছিঁড়েখুঁড়ে দেয়।আমার বহু লেখা ইঁদুর মহাশয় নিরাপদে,নির্ভয়ে পেটে চালান দিয়েছেন।
"পাখী" আমি ভালোবাসতাম,উড়তেও সাধ ছিলো আকাশে উড়ার।বিধি পাখা দিলো না আমায় কেমনে উড়ি আকাশে।তাই যেতে যেতে পথে পূর্ণিমা রাতে আকাশে চাঁদটাই দেখে যাই কেবল।
**
ছোটবেলা "পাখী" লেখেছি লেখা শেখার পর থেকেই,কখন যে "পাখী" পাখি হয়ে গেলো বড়বেলায়,একদিন শিশুদের বই খুলে দেখি "পাখী" আর "পাখী" নাই, পাখি হয়ে গেছে।
"বাড়ী" আর "বাড়ী" নেই, বাড়ি হয়ে গেছে।খুব ঝামেলা হতো,বানান ভুল হতো।কারণ পাখী যদি পাখি হয় তবে তো পাখি-ই লিখতে হবে।বাড়ী যদি বাড়ি হয় তবে তো বাড়ি-ই লিখতে হবে আমাকে।আমি তো উল্টোরথের যাত্রী হতে পারিনা।যাত্রী এখনও যাত্রি হয়েছে কিনা জানিনা তবে রাত্রি আছে জানি।
**
কি ও কী --- এখনও আছে।কেন আছে? একটা "ই" থাকলেই তো চলে।
কি- যে সকল প্রশ্নের উত্তর হ্যাঁ কিংবা না দিয়ে দিতে হয় বা দেয়া যায় কিংবা এক কথায় দেয়া যায় সে ক্ষেত্রে " কি" ব্যবহার করা হয়।
কী- বর্ণনামূলক যদি উত্তরটা হয়, তবে "কী" ব্যবহার করতে হবে।
তাহলে? পার্থক্যটা তবে আছে।
না,আমি এখানে কোথাও অব্যয়,বিশেষ্য,ক্রিয়া বিশেষণ কিংবা বিশেষণের বিশেষণে যাচ্ছি না।ওটা ব্যাকরণের জটিল বিষয়,আমি আছি "ই- ি" এবং "ঈ - ী "তে।
**
বাংলা একাডেমী অভিধানে পাখি আছে।এই পাখি উড়তে পারে।
আমার কাছে বর্ণ শব্দের প্রাচীন ইতিহাস এবং ব্যাখ্যা সম্বলিত অভিধান " বঙ্গীয় শব্দার্থকোষ"।
আমি পাখি লিখছি,পাখি উড়ছে এখন তবে সংখ্যায় কমে গেছে অনেক,হয়তো সচেতন না হলে অচিরেই অনেক পাখি বিরল প্রজাতির হয়ে যাবে।মানুষ যেহেতু এখন আর বাড়ীতে না থেকে বাসাবাড়িতে থাকে কাজেই বাড়ি লিখতেও সমস্যা নেই আমার।
তবে আমি " ই এবং ঈ" বর্ণের ক্রিয়াভিত্তিক ব্যাখ্যা জেনে রাখতেই পারি যদি আমার আগ্রহ থাকে।
**
ই= অস্তিত্বের বিকাশ সাধন করে যে,গতিশীল করে,চলমানতা।
ই বর্ণের অর্থে যাওয়াও বুঝানো হয়ে থাকে।
বিয়ে বাড়িতে বা বিশেষ দিবসে কিংবা অভিজাত শপিং মলে আমরা এক ধরনের বাতি জ্বলতে দেখি।চমৎকার লাগে দেখতে ওগুলো কারণ ওগুলো সব এক সাথে জ্বলেনা,একটার পর একটা জ্বলতে জ্বলতে নিভতে নিভতে যায়।
ই- এর যাওয়াটা হচ্ছে এমন। অর্থাৎ ই হলো যাওয়া।
**
ঈ - ই এর আধার,ই+ই= ঈ।
বিকাশ সাধনের আধার,গতিশীলতার আধার।
ইঁদুর উড়েনা,ঈগল উড়ে।
ই যদি যায়- তবে যে যায় সে হলো ঈ।
ই - গতিশীল করে,যায়।
ঈ- হল যে আধারে গতিশীল (ই) হয়।
অর্থাৎ ঈ মানেই হল গতিশীল বস্তু বা বিষয়।
**
যদি ঈ-কারান্ত শব্দকে ই- কারান্ত করা হয় তাতে গতিশীলতার আধার কথাটি বাদ যায়।
ঈ - তে যে যায় অর্থাৎ পাখী উড়ে না বলে, পাখি উড়ে বললে গতিশীলতার আধারটি আর থাকেনা।
কারণ ই -কেবল যায়,আর যে যায় সে হল ঈ।
**
বঙ্গীয় শব্দার্থকোষ অনুযায়ী
পাখী=পায়ীর ক্ষয়করণের গতিশীল আধার।
পাখি= পায়ীর ক্ষয়করণের গতিশীলতা।
অর্থ সম্পূর্ণ বদলে গেলো।
প- পায়ী,
খ=করা যেখানে থেমে যায়।খ "ক্ষ" এর একটি বিবর্তিত রূপ।
এতো আরেক আলোচনা- সময় পেলে আরেকদিন হবে।
আপাতত জেনে রাখি "পাখি কেন পাখী হয়,আর পাখী কেন পাখি নয়।"
যদিও আমরা কার্যক্ষেত্রে প্রচলিত বানানরীতি -ই অনুসরণ করবো।কিন্তু বাংলাভাষী হয়ে বাংলা ভাষার ইতিহাস জানবো না,এতো হবার নয়।
--- কৃতজ্ঞতাঃবঙ্গীয় শব্দার্থকোষ।
( বানানরীতি প্রচলিত,কেবল বঙ্গীয় শব্দার্থকোষ থেকে সরাসরি নেয়া শব্দগুলি অবিকৃত)
২৭/০৪/২০১৯
-----
**
শিশুদের একটি মজার খেলা এটি।যখন পাখি উড়ে বলা হবে তখন শিশুরা দুই হাত নেড়ে উড়ে যাওয়া দেখাবে,আর যখন বলা হবে ইঁদুর উড়ে তখন শিশুরা হাত নাড়াবেনা,স্থির রাখবে,কারণ পাখি উড়ে বটে ইঁদুরতো উড়েনা।
আমাদের ছোটবেলা শীতের বিকেলে অনেক "পাখী" উড়ে যেতো,দল বেঁধে ঝাঁকে ঝাঁকে,এখন আর "পাখী" উড়েনা,দিন বদলে গেছে,পরিবেশ বদলেছে।ঝাঁকের "পাখী" উড়েনা আকাশে আর,অবশ্য কাক দেখা যায়- যদিও বা কাক বলতে কাকই বুঝি,কাককে কে কবে পাখির মর্যাদা দিয়েছে।সে আমাদের চিরচেনা,ময়লা ভক্ষণকারী,কা কা করে জ্বালাতনকারী কাকই চিরদিন।
আমাদের ছোটবেলা গ্রামে "বাড়ী " ছিলো।এখন মানুষের বাসা-বাড়ি থাকে শহরে,সামর্থ্য আছে এমন কেউ আর বলেনা" বাড়ী" থাকি, বলে "বাড়ী" যাবো।অবশ্য ঈদের ছুটিতে মানুষ এখন বাড়ি বেড়াতে যায়।
**
সমস্যা ইঁদুর করে বটে,ঘরে ঢুকে নাশ-বিনাশ করে কুটুর-কুটুর করে সব ছিঁড়েখুঁড়ে দেয়।আমার বহু লেখা ইঁদুর মহাশয় নিরাপদে,নির্ভয়ে পেটে চালান দিয়েছেন।
"পাখী" আমি ভালোবাসতাম,উড়তেও সাধ ছিলো আকাশে উড়ার।বিধি পাখা দিলো না আমায় কেমনে উড়ি আকাশে।তাই যেতে যেতে পথে পূর্ণিমা রাতে আকাশে চাঁদটাই দেখে যাই কেবল।
**
ছোটবেলা "পাখী" লেখেছি লেখা শেখার পর থেকেই,কখন যে "পাখী" পাখি হয়ে গেলো বড়বেলায়,একদিন শিশুদের বই খুলে দেখি "পাখী" আর "পাখী" নাই, পাখি হয়ে গেছে।
"বাড়ী" আর "বাড়ী" নেই, বাড়ি হয়ে গেছে।খুব ঝামেলা হতো,বানান ভুল হতো।কারণ পাখী যদি পাখি হয় তবে তো পাখি-ই লিখতে হবে।বাড়ী যদি বাড়ি হয় তবে তো বাড়ি-ই লিখতে হবে আমাকে।আমি তো উল্টোরথের যাত্রী হতে পারিনা।যাত্রী এখনও যাত্রি হয়েছে কিনা জানিনা তবে রাত্রি আছে জানি।
**
কি ও কী --- এখনও আছে।কেন আছে? একটা "ই" থাকলেই তো চলে।
কি- যে সকল প্রশ্নের উত্তর হ্যাঁ কিংবা না দিয়ে দিতে হয় বা দেয়া যায় কিংবা এক কথায় দেয়া যায় সে ক্ষেত্রে " কি" ব্যবহার করা হয়।
কী- বর্ণনামূলক যদি উত্তরটা হয়, তবে "কী" ব্যবহার করতে হবে।
তাহলে? পার্থক্যটা তবে আছে।
না,আমি এখানে কোথাও অব্যয়,বিশেষ্য,ক্রিয়া বিশেষণ কিংবা বিশেষণের বিশেষণে যাচ্ছি না।ওটা ব্যাকরণের জটিল বিষয়,আমি আছি "ই- ি" এবং "ঈ - ী "তে।
**
বাংলা একাডেমী অভিধানে পাখি আছে।এই পাখি উড়তে পারে।
আমার কাছে বর্ণ শব্দের প্রাচীন ইতিহাস এবং ব্যাখ্যা সম্বলিত অভিধান " বঙ্গীয় শব্দার্থকোষ"।
আমি পাখি লিখছি,পাখি উড়ছে এখন তবে সংখ্যায় কমে গেছে অনেক,হয়তো সচেতন না হলে অচিরেই অনেক পাখি বিরল প্রজাতির হয়ে যাবে।মানুষ যেহেতু এখন আর বাড়ীতে না থেকে বাসাবাড়িতে থাকে কাজেই বাড়ি লিখতেও সমস্যা নেই আমার।
তবে আমি " ই এবং ঈ" বর্ণের ক্রিয়াভিত্তিক ব্যাখ্যা জেনে রাখতেই পারি যদি আমার আগ্রহ থাকে।
**
ই= অস্তিত্বের বিকাশ সাধন করে যে,গতিশীল করে,চলমানতা।
ই বর্ণের অর্থে যাওয়াও বুঝানো হয়ে থাকে।
বিয়ে বাড়িতে বা বিশেষ দিবসে কিংবা অভিজাত শপিং মলে আমরা এক ধরনের বাতি জ্বলতে দেখি।চমৎকার লাগে দেখতে ওগুলো কারণ ওগুলো সব এক সাথে জ্বলেনা,একটার পর একটা জ্বলতে জ্বলতে নিভতে নিভতে যায়।
ই- এর যাওয়াটা হচ্ছে এমন। অর্থাৎ ই হলো যাওয়া।
**
ঈ - ই এর আধার,ই+ই= ঈ।
বিকাশ সাধনের আধার,গতিশীলতার আধার।
ইঁদুর উড়েনা,ঈগল উড়ে।
ই যদি যায়- তবে যে যায় সে হলো ঈ।
ই - গতিশীল করে,যায়।
ঈ- হল যে আধারে গতিশীল (ই) হয়।
অর্থাৎ ঈ মানেই হল গতিশীল বস্তু বা বিষয়।
**
যদি ঈ-কারান্ত শব্দকে ই- কারান্ত করা হয় তাতে গতিশীলতার আধার কথাটি বাদ যায়।
ঈ - তে যে যায় অর্থাৎ পাখী উড়ে না বলে, পাখি উড়ে বললে গতিশীলতার আধারটি আর থাকেনা।
কারণ ই -কেবল যায়,আর যে যায় সে হল ঈ।
**
বঙ্গীয় শব্দার্থকোষ অনুযায়ী
পাখী=পায়ীর ক্ষয়করণের গতিশীল আধার।
পাখি= পায়ীর ক্ষয়করণের গতিশীলতা।
অর্থ সম্পূর্ণ বদলে গেলো।
প- পায়ী,
খ=করা যেখানে থেমে যায়।খ "ক্ষ" এর একটি বিবর্তিত রূপ।
এতো আরেক আলোচনা- সময় পেলে আরেকদিন হবে।
আপাতত জেনে রাখি "পাখি কেন পাখী হয়,আর পাখী কেন পাখি নয়।"
যদিও আমরা কার্যক্ষেত্রে প্রচলিত বানানরীতি -ই অনুসরণ করবো।কিন্তু বাংলাভাষী হয়ে বাংলা ভাষার ইতিহাস জানবো না,এতো হবার নয়।
--- কৃতজ্ঞতাঃবঙ্গীয় শব্দার্থকোষ।
( বানানরীতি প্রচলিত,কেবল বঙ্গীয় শব্দার্থকোষ থেকে সরাসরি নেয়া শব্দগুলি অবিকৃত)
২৭/০৪/২০১৯
মন্তব্য যোগ করুন
এই লেখার উপর আপনার মন্তব্য জানাতে নিচের ফরমটি ব্যবহার করুন।
মন্তব্যসমূহ
-
রনোজিত সরকার(বামুনের চাঁদ) ০৯/০৫/২০১৯ভালো লাগলো👌
-
মোঃ নূর ইমাম শেখ বাবু ০৯/০৫/২০১৯দারুণ
-
সাইয়িদ রফিকুল হক ০৯/০৫/২০১৯ভালো লাগলো।