হাঁটু ভাঙা দ
হাঁটু ভাঙা "দ"ঃ
----
"দ" বাংলা বর্ণমালার একটি বর্ণ,এই বর্ণটিকে "ধ" থেকে উচ্চারণে পৃথকতা আনতে অনেকে হাঁটু ভাঙা "দ" বলে থাকেন।অনেকে "দা"এর "দ"ও বলে থাকেন।দুটোই আমি শুনেছি এবং চমকেও উঠেছি উচ্চারণ করার অদ্ভূত পদ্ধতি আবিষ্কার দেখে।
* দ= দ্ অন করে যে,যে দেয়,যে দান করে=দায়ী।
দান অর্থ দেওয়া।
বিনিময়যুক্ত অথবা বিনিময়হীন সকল প্রকার দেওয়াই "দ",অর্থাৎ যে দেয়,দায়ী।
যে দেয়। কি দেয়?
যা কিছু দেবার মত, পৃথিবীতে দান করার মত,দেওয়ার মত যা কিছু আছে তার সবই দেয়।
ভাত দেয়-খোঁটাও দেয়,সুখ দেয়-দুঃখও দেয়,জ্ঞান দেয়-গালিও দেয়,বুদ্ধি দেয়-বোঝাও দেয়,আদর দেয়-লাথিও দেয়,কন্যা দেয়-যৌতুকও দেয়,মার দেয়-মলমও দেয়।
দেয় কে? দাতা দেয়।
দ্= দান
দ=দাতা
দ্ বর্ণটি দান ক্রিয়ার ধারক।
**
প্রতিদানঃপ্রতি(প্রকৃষ্ট তারণ গতিশীল)থাকে যে দানে।দানের পরিবর্তে দান।
যে দানের পরিবর্তে প্রতিদান আশা করা হয়,দাতাকে প্রতিদান দিতে হয় গ্রহীতার।
সম্প্রদানঃসম্যক প্রদান থাকে যাহাতে।
যে বস্তু সম্প্রদান করা হয় তাতে দাতার অধিকার থাকেনা আর,দানকৃত বস্তু যখন গ্রহীতার সম্প্রদায়ভুক্ত হয়ে যায়।
প্রদানঃপ্রকৃষ্ট দান যাহাতে।
নিদানঃনির্গত দান যাহাতে।
কারণ অনুসন্ধান,রোগ অনুসন্ধান।
**
দেবঃদিশাগ্রস্ত গতিশীল দান বহন করে যে,
অর্থাৎ দেব-দেব ( দেবো-দেবো) বলে যে।
দেব=দ্যোতনাত্মক,দীপ্ত,অমর,ইষ্ট
দেবতা,ব্রাহ্মণ,রাজা,পূজ্য, প্রভু,মেঘ,ইন্দ্
র,বিষ্ণু,মহাদেব,পারদ,পরমাত্মা,
শিশু,দেবন,কায়স্থের উপাধি,গুরু।
অনির্ব্বচনীয়( যাকে বচনের সাহায্যে প্রকাশ করা যায়না) দেব থেকে নির্ব্বচনীয়(যাকে বচনের সাহায্যে প্রকাশ করা যায়) দেব পর্যন্ত যত প্রকার দেব-কে আমাদের পূর্বপুরুষেরা দেওন-কারী বা দেব রূপে চিনতে পেরেছিলেন, দেব শব্দের অর্থ হিসেবে তাদের সকলকেই উপস্থাপন করা যায়।
এদের প্রত্যেকেই দেওন-কারী দেব-সত্তা।
সকল প্রকার দেওন-কারীকে তিনটি ভাগে ভাগ করা যায়।
ঊর্ধ্ব,মধ্য ও নিম্ন।
ঊর্ধ্ব ও নিম্ন দেব পদবাচ্য সত্তাগুলির অধিকাংশ সহজে চিনতে পারা যায়না,স্বরূপ বোঝা কঠিন।
যেমন,অমর- ঊর্ধ্বদেব।
পারদ- নিম্নভাগের দেব।
**
দেবতাঃদেব তারণের আধার যে।
অর্থাৎ দেব-দেব বলে দেয় যে।
দেব আর দেবতা শব্দ দুটির অর্থ কাছাকাছি হলেও তারা এক না,পার্থক্য আছে।
যে সত্তা দেব-দেব বলে সেই হল দেব।
দেব এর দিতে পারার শক্তি আছে,ইচ্ছে আছে,দিতেও পারে কিন্তু দিয়ে ফেলেছে এমন নয়।
দেবতা শুধু দেব-দেব বলেনা,দিয়ে দেয় বা দিয়ে দিয়েছে তাই সে দেবতা।
যে বা যারা মানুষকে কিছু দেয় তাদের দেবতা বলার রেওয়াজ আছে।
অনেক প্রকার দেবতা আছেন যারা দেন কিন্তু তাদের ঠিক চেনা যায়না।
যিনি দেবার পরিবর্তে প্রতিদান আশা করেন না,তিনিও দেবতা আবার দেওয়ার বিপরীতে নেওয়াতে অভ্যস্তগণও দেবতা;যেমন দোকানদার।
**
*দেবকন্যা,দেবদুহিতা=অপ্সরা=আদি ফেরিওয়ালা।
*দেবকুল্যা=আকাশগঙ্গা,অলকানন্দা
=ব্যক্তিমালিকদের পণ্যপ্রবাহ।
*দেবগায়ন=গন্ধর্ব=আদিকালের ব্যবসা সহায়ক সত্তা,একালের ভাষায় বিজ্ঞাপনী সংস্থা।
*দেবগিরি=পর্ব্বতভেদ,ধনপতি ব্যবসায়ীর সংস্থা।
*দেবগুরু=বৃহস্পতি=ব্যবসায় বিশেষজ্ঞ,একালের ভাষায় বিজনেস অ্যাডভাইসার।
*দেবতরু=মন্দার,পারিজাত,সন্তান,
কল্পবৃক্ষ,হরিচন্দা এই পঞ্চস্বর্গীয় তরু,চৈত্যবৃক্ষ,অশ্বত্থ =মন্দা সৃষ্টিকারী উৎপাদনকারী সংস্থা,নকলকারী সংস্থা,পরিকল্পনামাফিক বস্তু উৎপাদনের সংস্থা।
*দেবদারু=দেবতাদের বা পুঁজিপতিদের একটি সংস্থা।এই সংস্থার দ্বারা অন্যদের বিদারণ করা যায়।
*দেবনদী=গঙ্গা।
*দেবভাষা=সংস্কৃত ভাষা, ভারতে পণ্যবিনিময় প্রতিষ্ঠিত হওয়ার পর ক্রয়বিক্রয়াদির সুবিধার্তে নগরবাসী পণ্যজীবীরা দেব নাগরী লিপির জন্ম দেন।সেই লিপিতে যা লেখা হত,তা সংস্কৃত-পাঠ মান্য করে লেখা হত,তারই নাম পরে হয়ে যায় সংস্কৃত ভাষা।
কিন্তু ভাষা চার প্রকারঃ
১।অভিভাষা
২।আর্য্যভাষা
৩।জ্ঞাতিভাষা
৪।জাত্যন্তরী ভাষা।
অভিভাষাই দেবগণের ভাষা বা দেবভাষা।
*দেবযজ্ঞঃদেব সম্বন্ধীয় যজ্ঞ= যে উৎপাদন কর্মযজ্ঞ পণ্য বানিয়ে বিক্রি করার জন্য চালান হয়।একালে এর নাম "ক্যাশ-ক্রপ প্রডাকশন।
*দেবলোক=স্বর্গ= স্ব- র বা ' আমার বস্তু ' অর্থাৎ ব্যক্তিমালিকের পণ্য যেখানে গমন করে।অর্থাৎ যে লোকে দেবন ক্রিয়া চলে।
*দেবস্ব=যাগাদিতে বিনিয়োগ হেতু যজ্ঞশীলদের ধন= শিল্পপতির বিনিয়োগের পুঁজি।
-----কৃতজ্ঞতাঃবঙ্গীয় শব্দার্থকোষ এর আলোকে লিখিত।লেখকঃকলিম খান এবং রবি চক্রবর্তী
২৮/০৩/২০১৯
----
"দ" বাংলা বর্ণমালার একটি বর্ণ,এই বর্ণটিকে "ধ" থেকে উচ্চারণে পৃথকতা আনতে অনেকে হাঁটু ভাঙা "দ" বলে থাকেন।অনেকে "দা"এর "দ"ও বলে থাকেন।দুটোই আমি শুনেছি এবং চমকেও উঠেছি উচ্চারণ করার অদ্ভূত পদ্ধতি আবিষ্কার দেখে।
* দ= দ্ অন করে যে,যে দেয়,যে দান করে=দায়ী।
দান অর্থ দেওয়া।
বিনিময়যুক্ত অথবা বিনিময়হীন সকল প্রকার দেওয়াই "দ",অর্থাৎ যে দেয়,দায়ী।
যে দেয়। কি দেয়?
যা কিছু দেবার মত, পৃথিবীতে দান করার মত,দেওয়ার মত যা কিছু আছে তার সবই দেয়।
ভাত দেয়-খোঁটাও দেয়,সুখ দেয়-দুঃখও দেয়,জ্ঞান দেয়-গালিও দেয়,বুদ্ধি দেয়-বোঝাও দেয়,আদর দেয়-লাথিও দেয়,কন্যা দেয়-যৌতুকও দেয়,মার দেয়-মলমও দেয়।
দেয় কে? দাতা দেয়।
দ্= দান
দ=দাতা
দ্ বর্ণটি দান ক্রিয়ার ধারক।
**
প্রতিদানঃপ্রতি(প্রকৃষ্ট তারণ গতিশীল)থাকে যে দানে।দানের পরিবর্তে দান।
যে দানের পরিবর্তে প্রতিদান আশা করা হয়,দাতাকে প্রতিদান দিতে হয় গ্রহীতার।
সম্প্রদানঃসম্যক প্রদান থাকে যাহাতে।
যে বস্তু সম্প্রদান করা হয় তাতে দাতার অধিকার থাকেনা আর,দানকৃত বস্তু যখন গ্রহীতার সম্প্রদায়ভুক্ত হয়ে যায়।
প্রদানঃপ্রকৃষ্ট দান যাহাতে।
নিদানঃনির্গত দান যাহাতে।
কারণ অনুসন্ধান,রোগ অনুসন্ধান।
**
দেবঃদিশাগ্রস্ত গতিশীল দান বহন করে যে,
অর্থাৎ দেব-দেব ( দেবো-দেবো) বলে যে।
দেব=দ্যোতনাত্মক,দীপ্ত,অমর,ইষ্ট
দেবতা,ব্রাহ্মণ,রাজা,পূজ্য, প্রভু,মেঘ,ইন্দ্
র,বিষ্ণু,মহাদেব,পারদ,পরমাত্মা,
শিশু,দেবন,কায়স্থের উপাধি,গুরু।
অনির্ব্বচনীয়( যাকে বচনের সাহায্যে প্রকাশ করা যায়না) দেব থেকে নির্ব্বচনীয়(যাকে বচনের সাহায্যে প্রকাশ করা যায়) দেব পর্যন্ত যত প্রকার দেব-কে আমাদের পূর্বপুরুষেরা দেওন-কারী বা দেব রূপে চিনতে পেরেছিলেন, দেব শব্দের অর্থ হিসেবে তাদের সকলকেই উপস্থাপন করা যায়।
এদের প্রত্যেকেই দেওন-কারী দেব-সত্তা।
সকল প্রকার দেওন-কারীকে তিনটি ভাগে ভাগ করা যায়।
ঊর্ধ্ব,মধ্য ও নিম্ন।
ঊর্ধ্ব ও নিম্ন দেব পদবাচ্য সত্তাগুলির অধিকাংশ সহজে চিনতে পারা যায়না,স্বরূপ বোঝা কঠিন।
যেমন,অমর- ঊর্ধ্বদেব।
পারদ- নিম্নভাগের দেব।
**
দেবতাঃদেব তারণের আধার যে।
অর্থাৎ দেব-দেব বলে দেয় যে।
দেব আর দেবতা শব্দ দুটির অর্থ কাছাকাছি হলেও তারা এক না,পার্থক্য আছে।
যে সত্তা দেব-দেব বলে সেই হল দেব।
দেব এর দিতে পারার শক্তি আছে,ইচ্ছে আছে,দিতেও পারে কিন্তু দিয়ে ফেলেছে এমন নয়।
দেবতা শুধু দেব-দেব বলেনা,দিয়ে দেয় বা দিয়ে দিয়েছে তাই সে দেবতা।
যে বা যারা মানুষকে কিছু দেয় তাদের দেবতা বলার রেওয়াজ আছে।
অনেক প্রকার দেবতা আছেন যারা দেন কিন্তু তাদের ঠিক চেনা যায়না।
যিনি দেবার পরিবর্তে প্রতিদান আশা করেন না,তিনিও দেবতা আবার দেওয়ার বিপরীতে নেওয়াতে অভ্যস্তগণও দেবতা;যেমন দোকানদার।
**
*দেবকন্যা,দেবদুহিতা=অপ্সরা=আদি ফেরিওয়ালা।
*দেবকুল্যা=আকাশগঙ্গা,অলকানন্দা
=ব্যক্তিমালিকদের পণ্যপ্রবাহ।
*দেবগায়ন=গন্ধর্ব=আদিকালের ব্যবসা সহায়ক সত্তা,একালের ভাষায় বিজ্ঞাপনী সংস্থা।
*দেবগিরি=পর্ব্বতভেদ,ধনপতি ব্যবসায়ীর সংস্থা।
*দেবগুরু=বৃহস্পতি=ব্যবসায় বিশেষজ্ঞ,একালের ভাষায় বিজনেস অ্যাডভাইসার।
*দেবতরু=মন্দার,পারিজাত,সন্তান,
কল্পবৃক্ষ,হরিচন্দা এই পঞ্চস্বর্গীয় তরু,চৈত্যবৃক্ষ,অশ্বত্থ =মন্দা সৃষ্টিকারী উৎপাদনকারী সংস্থা,নকলকারী সংস্থা,পরিকল্পনামাফিক বস্তু উৎপাদনের সংস্থা।
*দেবদারু=দেবতাদের বা পুঁজিপতিদের একটি সংস্থা।এই সংস্থার দ্বারা অন্যদের বিদারণ করা যায়।
*দেবনদী=গঙ্গা।
*দেবভাষা=সংস্কৃত ভাষা, ভারতে পণ্যবিনিময় প্রতিষ্ঠিত হওয়ার পর ক্রয়বিক্রয়াদির সুবিধার্তে নগরবাসী পণ্যজীবীরা দেব নাগরী লিপির জন্ম দেন।সেই লিপিতে যা লেখা হত,তা সংস্কৃত-পাঠ মান্য করে লেখা হত,তারই নাম পরে হয়ে যায় সংস্কৃত ভাষা।
কিন্তু ভাষা চার প্রকারঃ
১।অভিভাষা
২।আর্য্যভাষা
৩।জ্ঞাতিভাষা
৪।জাত্যন্তরী ভাষা।
অভিভাষাই দেবগণের ভাষা বা দেবভাষা।
*দেবযজ্ঞঃদেব সম্বন্ধীয় যজ্ঞ= যে উৎপাদন কর্মযজ্ঞ পণ্য বানিয়ে বিক্রি করার জন্য চালান হয়।একালে এর নাম "ক্যাশ-ক্রপ প্রডাকশন।
*দেবলোক=স্বর্গ= স্ব- র বা ' আমার বস্তু ' অর্থাৎ ব্যক্তিমালিকের পণ্য যেখানে গমন করে।অর্থাৎ যে লোকে দেবন ক্রিয়া চলে।
*দেবস্ব=যাগাদিতে বিনিয়োগ হেতু যজ্ঞশীলদের ধন= শিল্পপতির বিনিয়োগের পুঁজি।
-----কৃতজ্ঞতাঃবঙ্গীয় শব্দার্থকোষ এর আলোকে লিখিত।লেখকঃকলিম খান এবং রবি চক্রবর্তী
২৮/০৩/২০১৯
মন্তব্য যোগ করুন
এই লেখার উপর আপনার মন্তব্য জানাতে নিচের ফরমটি ব্যবহার করুন।
মন্তব্যসমূহ
-
রূপক কুমার রক্ষিত ০৮/০৪/২০১৯দারুন লাগলো।
-
মোঃ নূর ইমাম শেখ বাবু ০৬/০৪/২০১৯বেশ লাগলো
-
জসিম বিন ইদ্রিস ০৪/০৪/২০১৯ভালোবাসা অভিরাম। লেখিকার দানে পৃথিবী হোক আলোময়...শুভ কামনা নিরন্তর।
-
সাইয়িদ রফিকুল হক ৩১/০৩/২০১৯সু-আলোচনা
-
দীপঙ্কর বেরা ৩১/০৩/২০১৯অন্য রকম। ভাল লাগল।