মুক্ত করো ভয়
"ম" - মুক্ত করো ভয়ঃ
----
"বড় বাবু রেগে গরম আজ,ওদিকে যেওনা বাপু--- তোমায় পেলে মেজে-ঘষে দেবে খুব করে"
বেশ তো,একদম পিলে চমকে যাবার কথা বটে কিন্তু সবার পিলে চমকালেও কারও কারও চমকায় না,এরা বেপরোয়া।
"নিষেধের বাধায় সাধা কেবল না, না, না" এরা মানে না,মানতে জানে না।সাদাকে চোখ বন্ধ করে সাদা বলবেই,কালোকে কালো বলবেই।এরাই গাইতে পারে
"আমরা চঞ্চল,আমরা অদ্ভূত
আমরা নূতন যৌবনেরই দূত"।
তাই বলে এরা যে নিয়ম মেনে চলে না,তাতো নয়।নিয়ম মানে নিজের মতো করে ভেবে,নিজের মতো ভালো মন্দ বিচার করে।এবং এরা ইতিবাচক হয়,না হলে অদম্য মনোবল, শিকল ভাঙার ইচ্ছাশক্তি পাবে কই।তাই সব ভালোটা এরা চিন্তা করে বটে কিন্তু মুক্ত আকাশে মুক্ত পাখির মতই বিচরণ করতে পছন্দ করে।মুক্ত আকাশ বলতে ওই নীল আকাশ নয়।মানুষের মনেও আকাশ থাকে,চিন্তার আকাশ,ভাবের আকাশ।
তো তাকে মেজে ঘষে দেবে,মাজা ঘষা মানে কি?পরিষ্কার করা,মাজতে হলে মাজন লাগবে।মাজন হলো মার্জ্জন,যেমন বাসনপত্র ঘষে মার্জ্জন করে, বইকে ভালো করে দেখে শুনে কৃত ভুল ত্রুটি সংযোজন বিয়োজন করে পরিমার্জ্জন করে।
কোনও মানুষের যদি ভুল হয় তবে তাকে মাফ করা যায়ই অর্থাৎ মার্জ্জনা করা যায় যদি মর্জ্জি হয়।
মর্জ্জি হলো ইচ্ছা।মজার কথা যে মেয়ে মর্জ্জিমাফিক চলে তাকে মর্জ্জিনা বলা গেলে,যে ছেলে মর্জ্জিমাফিক চলে তাকে কি বলা যাবে? মর্জ্জিন? কি জানি মার্জিন( ইংরেজী- সীমা) অতিক্রম করলাম কি, না!
মার্জিন অতিক্রম করে মার্জ্জিত আর রয়না,অমার্জ্জিত হয়ে যায়।
আচরণ বিধির একটি মান থাকে,সেটা অতিক্রম সেটা মার্জ্জিত রূপ ত্যাগ করে অমার্জ্জিত হয়ে যায়।
যাক মাজা থেকে মজা পেয়ে মজে গেলাম।মজা উল্টালে জাম হয় আর রাম উল্টালে মরা হয়।
আর জামাকে উল্টালে মাজা হয় আবার।
"ম" বর্ণটি আমার প্রিয় বর্ণ। "ম" তে মা,মাটি মাতৃভূমি।
ভাষার মাসে বর্ণ আর শব্দ নিয়ে একটু খেলতেই পারি।
খু্ঁজতে পারি বর্ণের উৎস,অর্থ।।শব্দের উৎস খুঁজতে পারি,একই শব্দের বিভিন্নমুখী রূপ বা গমন নিয়ে ভাবতেই পারি।
আর ও হ্যাঁ,আমি তোমার সব ব্যপারে একমত নাও হতে পারি,তুমিও না হতে পারো।হাতের পাঁচ আঙ্গুল সমান হলে কাজকর্মের অসুবিধা হতো তাই পাঁচ আঙ্গুল বিভিন্ন রকম।আঙ্গুলের রেখাতো বটেই সৃষ্টির কোনও কিছুই একরকম নয়,প্রতিটি সৃষ্টিই ব্যতিক্রমধর্মী ও স্বাতন্ত্র্যময়।
এই স্বাতন্ত্র্যময়তা আছে বলেই তো পৃথিবী এতো সুন্দর!
এসো সব কিছু জড়ো করি,বাছাই করি,মেজে ঘষে পরিমার্জ্জিত করি।সুন্দর পৃথিবী গড়ি।
"মুক্ত করো ভয়"।
--- কৃতজ্ঞতাঃবঙ্গীয় শব্দার্থকোষ।
--১২/২/২০১৯
----
"বড় বাবু রেগে গরম আজ,ওদিকে যেওনা বাপু--- তোমায় পেলে মেজে-ঘষে দেবে খুব করে"
বেশ তো,একদম পিলে চমকে যাবার কথা বটে কিন্তু সবার পিলে চমকালেও কারও কারও চমকায় না,এরা বেপরোয়া।
"নিষেধের বাধায় সাধা কেবল না, না, না" এরা মানে না,মানতে জানে না।সাদাকে চোখ বন্ধ করে সাদা বলবেই,কালোকে কালো বলবেই।এরাই গাইতে পারে
"আমরা চঞ্চল,আমরা অদ্ভূত
আমরা নূতন যৌবনেরই দূত"।
তাই বলে এরা যে নিয়ম মেনে চলে না,তাতো নয়।নিয়ম মানে নিজের মতো করে ভেবে,নিজের মতো ভালো মন্দ বিচার করে।এবং এরা ইতিবাচক হয়,না হলে অদম্য মনোবল, শিকল ভাঙার ইচ্ছাশক্তি পাবে কই।তাই সব ভালোটা এরা চিন্তা করে বটে কিন্তু মুক্ত আকাশে মুক্ত পাখির মতই বিচরণ করতে পছন্দ করে।মুক্ত আকাশ বলতে ওই নীল আকাশ নয়।মানুষের মনেও আকাশ থাকে,চিন্তার আকাশ,ভাবের আকাশ।
তো তাকে মেজে ঘষে দেবে,মাজা ঘষা মানে কি?পরিষ্কার করা,মাজতে হলে মাজন লাগবে।মাজন হলো মার্জ্জন,যেমন বাসনপত্র ঘষে মার্জ্জন করে, বইকে ভালো করে দেখে শুনে কৃত ভুল ত্রুটি সংযোজন বিয়োজন করে পরিমার্জ্জন করে।
কোনও মানুষের যদি ভুল হয় তবে তাকে মাফ করা যায়ই অর্থাৎ মার্জ্জনা করা যায় যদি মর্জ্জি হয়।
মর্জ্জি হলো ইচ্ছা।মজার কথা যে মেয়ে মর্জ্জিমাফিক চলে তাকে মর্জ্জিনা বলা গেলে,যে ছেলে মর্জ্জিমাফিক চলে তাকে কি বলা যাবে? মর্জ্জিন? কি জানি মার্জিন( ইংরেজী- সীমা) অতিক্রম করলাম কি, না!
মার্জিন অতিক্রম করে মার্জ্জিত আর রয়না,অমার্জ্জিত হয়ে যায়।
আচরণ বিধির একটি মান থাকে,সেটা অতিক্রম সেটা মার্জ্জিত রূপ ত্যাগ করে অমার্জ্জিত হয়ে যায়।
যাক মাজা থেকে মজা পেয়ে মজে গেলাম।মজা উল্টালে জাম হয় আর রাম উল্টালে মরা হয়।
আর জামাকে উল্টালে মাজা হয় আবার।
"ম" বর্ণটি আমার প্রিয় বর্ণ। "ম" তে মা,মাটি মাতৃভূমি।
ভাষার মাসে বর্ণ আর শব্দ নিয়ে একটু খেলতেই পারি।
খু্ঁজতে পারি বর্ণের উৎস,অর্থ।।শব্দের উৎস খুঁজতে পারি,একই শব্দের বিভিন্নমুখী রূপ বা গমন নিয়ে ভাবতেই পারি।
আর ও হ্যাঁ,আমি তোমার সব ব্যপারে একমত নাও হতে পারি,তুমিও না হতে পারো।হাতের পাঁচ আঙ্গুল সমান হলে কাজকর্মের অসুবিধা হতো তাই পাঁচ আঙ্গুল বিভিন্ন রকম।আঙ্গুলের রেখাতো বটেই সৃষ্টির কোনও কিছুই একরকম নয়,প্রতিটি সৃষ্টিই ব্যতিক্রমধর্মী ও স্বাতন্ত্র্যময়।
এই স্বাতন্ত্র্যময়তা আছে বলেই তো পৃথিবী এতো সুন্দর!
এসো সব কিছু জড়ো করি,বাছাই করি,মেজে ঘষে পরিমার্জ্জিত করি।সুন্দর পৃথিবী গড়ি।
"মুক্ত করো ভয়"।
--- কৃতজ্ঞতাঃবঙ্গীয় শব্দার্থকোষ।
--১২/২/২০১৯
মন্তব্য যোগ করুন
এই লেখার উপর আপনার মন্তব্য জানাতে নিচের ফরমটি ব্যবহার করুন।
মন্তব্যসমূহ
-
শেখ চপল ইসলাম সাকিব ২৫/০৩/২০১৯ভালো লাগলো খুব।
-
সেলিম রেজা সাগর ১৯/০২/২০১৯ভালো
-
পি পি আলী আকবর ১৪/০২/২০১৯ভালোই লিখেছেন
-
সাইয়িদ রফিকুল হক ১৩/০২/২০১৯সুন্দর আলোচনা।