আত্মতুষ্টি
Job satisfaction,Mental satisfaction
---
শব্দ দুটোর যথাযথ অর্থ আমি খুঁজে পাইনি।
অনেক সাধ্য সাধনা করে আমরা যে চাকুরী পাই তাতে আমাদের আনন্দ নেই।কোথায় যেন একটা খচখচ ভাব মনের ভেতরে।আমরা আমাদের কাজকে হয়তো বা যে যা করি তাকে ভালোবাসি না,মন থেকে গ্রহন করি না,মন চায় আরও বেশি কিছু।
চাকুরী কেন শুধু,মানুষ তার গোটা একটা জীবনের কোথাও কি কোনও সন্তুষ্টি খুঁজে পায়?যতই অভাববোধ ততই দহন- সোনার হরিণ খুঁজে ফিরি সবাই।সোনার হরিণ- দিল্লী দূর অস্ত।
অনেক অতৃপ্তি নিয়ে মানুষকে চলতে হয়,বেশিরভাগ মানুষকে তাই করতে হয়।জীবন যখন যেমন সেই ছাঁচে নিজেকেই ঢেলে সাজিয়ে,গুজিয়ে মানিয়ে চলতে হয়।
মানসিক অতৃপ্তি মানুষের চাহিদা থেকে তৈরী হয়।অনেক চাহিদা প্রাকৃতিক আর অনেক চাহিদা আরোপিত।দেখাদেখি প্রতিযোগিতা মূলক চাহিদা, কারও প্রণোদনায় সৃষ্ট চাহিদা মানুষকে ব্যতিব্যস্ত করে,অশান্তির সৃষ্টি করে- মনোরাজ্যে ব্যাপক বিপরীত প্রতিক্রিয়া সৃষ্টি করে,সাদামাটা জীবন থেকে লক্ষ্যচ্যুত হয়।
কোথায় আলোড়ন হয়? মনে? মনের কোনও বিবর্তন কি দেহেও প্রভাব ফেলে না?মন অসুস্থ হলে দেহ অসুস্থ হবে,এটাই স্বাভাবিক।পরিবারে বা সমাজের কেউ অসুস্থ হলে সেটা পরিবারে বা সমাজেও প্রভাব ফেলবে।
মন থেকেই মন্দ।মন্দ অর্থ যতটুকু পেয়েছি তাতে মনে হলো এখন মন্দ যা বুঝি মূল অর্থ তা নয়,অর্থাৎ মন্দ মানে খারাপ বা বদ সেটা আসলে নয়।মন্দ হলো ধীর,শান্ত,মন্থর।মন্দ থেকেই মৃদুমন্দ,নিন্দেমন্দ,মন্দগতি,মন
্দাকিনী -এই শব্দগুলো মন্দের ক্রিয়াভিত্তিক অর্থ আদতে কি ছিলো তার ইঙ্গিত বহন করে।
মন্দ হলো যা পেছন দিক থেকে টেনে ধরে, এগোতে দেয়না,আবার মন্দকে স্তুস্তি বা প্রশংসাও বলা হয়েছে।
কারও প্রশংসা করলে তাকে পিছন থেকে টেনে ধরা হয়,তার এগোবার পথ অনেকটা রুদ্ধ করে দেবার আয়োজন সম্পন্ন করা হয় এতে।
মানসিক অশান্তিও হয় এতে,জীবনে চলার গতি রুদ্ধ হলে মানবিক বিকারও আক্রান্ত করে মানুষকে।
প্রাচীনকালে মানুষ খোলা আকাশের নিচে দলবদ্ধ থাকতো,ক্রমে এসেছে ঘরবন্দী জীবন।ঘরবন্দী জীবন মানুষকে শান্তি দেয়।
" যেখানে গেলে মানুষের গতি শ্লথ হয়,মন্দ হয়,শান্ত করে মন সেই স্থানকে সেকালে মন্দির বলা হতো।"
কাজেই ঘর এক মন্দির বটে।
তো যা বলছিলাম- চাকরীর সন্তুষ্টি,মনের সন্তুষ্টি বা আত্মতৃপ্তি কোনটাই আমাদের নেই।কিভাবে থাকবে,এখন সময় ছুটছে লাগামছাড়া ঘোড়ার মতো।প্রতিযোগিতার এই বাজারে মানুষ ছুটছে অর্থ, সম্মান,নাম খ্যাতি আর যশের পিছনে,কোথাও স্থিরতা নেই।
যেভাবেই হোক, " আমার সোনার হরিণ চাই"।
আমার সোনার হরিণ চাই না,আমি শান্তি চাই।
তাই আমি মনের শান্তির জন্য নিজের মত করে মন্দির বানিয়ে ওখানেই নিজের মত করে থাকতে চাই।
কিন্তু ওই যে মন্দ আমাকে টেনে হিঁচড়ে বের করে আনে,প্রলুব্ধ হই- প্রভাবিত হই।
খুব কঠিন ব্রত, নিজেকে সকল প্রলোভন থেকে রক্ষা করা।খুব সাধনার, খুবই কঠিন সে সাধনা।
--- মন ময়না পাখি নয় যে তাকে সোনার শিকল দিয়ে বাধা যাবে।তাই সে অল্পতেই বিগড়ে যায়,বিকল হয়,প্রলুব্ধ হয়।
---( কৃতজ্ঞতাঃ বঙ্গীয় শব্দার্থকোষ।কলিম খান,রবি চক্রবর্তী প্রণীত)
---১০/০১/২০১৯
---
শব্দ দুটোর যথাযথ অর্থ আমি খুঁজে পাইনি।
অনেক সাধ্য সাধনা করে আমরা যে চাকুরী পাই তাতে আমাদের আনন্দ নেই।কোথায় যেন একটা খচখচ ভাব মনের ভেতরে।আমরা আমাদের কাজকে হয়তো বা যে যা করি তাকে ভালোবাসি না,মন থেকে গ্রহন করি না,মন চায় আরও বেশি কিছু।
চাকুরী কেন শুধু,মানুষ তার গোটা একটা জীবনের কোথাও কি কোনও সন্তুষ্টি খুঁজে পায়?যতই অভাববোধ ততই দহন- সোনার হরিণ খুঁজে ফিরি সবাই।সোনার হরিণ- দিল্লী দূর অস্ত।
অনেক অতৃপ্তি নিয়ে মানুষকে চলতে হয়,বেশিরভাগ মানুষকে তাই করতে হয়।জীবন যখন যেমন সেই ছাঁচে নিজেকেই ঢেলে সাজিয়ে,গুজিয়ে মানিয়ে চলতে হয়।
মানসিক অতৃপ্তি মানুষের চাহিদা থেকে তৈরী হয়।অনেক চাহিদা প্রাকৃতিক আর অনেক চাহিদা আরোপিত।দেখাদেখি প্রতিযোগিতা মূলক চাহিদা, কারও প্রণোদনায় সৃষ্ট চাহিদা মানুষকে ব্যতিব্যস্ত করে,অশান্তির সৃষ্টি করে- মনোরাজ্যে ব্যাপক বিপরীত প্রতিক্রিয়া সৃষ্টি করে,সাদামাটা জীবন থেকে লক্ষ্যচ্যুত হয়।
কোথায় আলোড়ন হয়? মনে? মনের কোনও বিবর্তন কি দেহেও প্রভাব ফেলে না?মন অসুস্থ হলে দেহ অসুস্থ হবে,এটাই স্বাভাবিক।পরিবারে বা সমাজের কেউ অসুস্থ হলে সেটা পরিবারে বা সমাজেও প্রভাব ফেলবে।
মন থেকেই মন্দ।মন্দ অর্থ যতটুকু পেয়েছি তাতে মনে হলো এখন মন্দ যা বুঝি মূল অর্থ তা নয়,অর্থাৎ মন্দ মানে খারাপ বা বদ সেটা আসলে নয়।মন্দ হলো ধীর,শান্ত,মন্থর।মন্দ থেকেই মৃদুমন্দ,নিন্দেমন্দ,মন্দগতি,মন
্দাকিনী -এই শব্দগুলো মন্দের ক্রিয়াভিত্তিক অর্থ আদতে কি ছিলো তার ইঙ্গিত বহন করে।
মন্দ হলো যা পেছন দিক থেকে টেনে ধরে, এগোতে দেয়না,আবার মন্দকে স্তুস্তি বা প্রশংসাও বলা হয়েছে।
কারও প্রশংসা করলে তাকে পিছন থেকে টেনে ধরা হয়,তার এগোবার পথ অনেকটা রুদ্ধ করে দেবার আয়োজন সম্পন্ন করা হয় এতে।
মানসিক অশান্তিও হয় এতে,জীবনে চলার গতি রুদ্ধ হলে মানবিক বিকারও আক্রান্ত করে মানুষকে।
প্রাচীনকালে মানুষ খোলা আকাশের নিচে দলবদ্ধ থাকতো,ক্রমে এসেছে ঘরবন্দী জীবন।ঘরবন্দী জীবন মানুষকে শান্তি দেয়।
" যেখানে গেলে মানুষের গতি শ্লথ হয়,মন্দ হয়,শান্ত করে মন সেই স্থানকে সেকালে মন্দির বলা হতো।"
কাজেই ঘর এক মন্দির বটে।
তো যা বলছিলাম- চাকরীর সন্তুষ্টি,মনের সন্তুষ্টি বা আত্মতৃপ্তি কোনটাই আমাদের নেই।কিভাবে থাকবে,এখন সময় ছুটছে লাগামছাড়া ঘোড়ার মতো।প্রতিযোগিতার এই বাজারে মানুষ ছুটছে অর্থ, সম্মান,নাম খ্যাতি আর যশের পিছনে,কোথাও স্থিরতা নেই।
যেভাবেই হোক, " আমার সোনার হরিণ চাই"।
আমার সোনার হরিণ চাই না,আমি শান্তি চাই।
তাই আমি মনের শান্তির জন্য নিজের মত করে মন্দির বানিয়ে ওখানেই নিজের মত করে থাকতে চাই।
কিন্তু ওই যে মন্দ আমাকে টেনে হিঁচড়ে বের করে আনে,প্রলুব্ধ হই- প্রভাবিত হই।
খুব কঠিন ব্রত, নিজেকে সকল প্রলোভন থেকে রক্ষা করা।খুব সাধনার, খুবই কঠিন সে সাধনা।
--- মন ময়না পাখি নয় যে তাকে সোনার শিকল দিয়ে বাধা যাবে।তাই সে অল্পতেই বিগড়ে যায়,বিকল হয়,প্রলুব্ধ হয়।
---( কৃতজ্ঞতাঃ বঙ্গীয় শব্দার্থকোষ।কলিম খান,রবি চক্রবর্তী প্রণীত)
---১০/০১/২০১৯
মন্তব্য যোগ করুন
এই লেখার উপর আপনার মন্তব্য জানাতে নিচের ফরমটি ব্যবহার করুন।
মন্তব্যসমূহ
-
সেলিম রেজা সাগর ০৮/০২/২০১৯দারুণ
-
মোঃ নূর ইমাম শেখ বাবু ১১/০১/২০১৯Nice.
-
সাইয়িদ রফিকুল হক ১০/০১/২০১৯কথা সত্য।