চার
কথা অমৃত,অমৃতে অরুচিঃ
---
কথা কাকে বলে?
যা কওয়া হয় তাইতো কথা।কথার অনেক অর্থ আছে,কথার ভেতর অনেক কথা আছে,কথায় আছে সুখ,আবার কথার ভেতরই দুঃখ থাকে।
আমরা মনের ভাব যে প্রক্রিয়ায় বলি বা প্রকাশ করি তাইতো কথা।
"কথা দাও, কথাগুলো ফেরত নেবেনা।"-- বলা হলেও কথা সহজেই ফেরত নেয়া যায়,নিতে ভুল করেনা মানুষ।
"কথা দিলাম-" নিবার জন্যই দিলাম।"কথা দিয়ে কথা না রাখা"র জন্যইতো দিলাম আমি কথা।
কথাতো সের দরে কেনা যায়না,বিক্রিও হয়না- তাই বিনে পয়সায় সুযোগ পেলে বলতে কি দোষ? বাঙালী মাগনা কেরোসিনও খেতে রাজি,আর এতো কথাই কেবল।
তবে হ্যাঁ কথা বললে যেখানে খরচের প্রশ্ন আসে সেখানে কথা থাকে সীমিত।
কথা একবার মুখ হতে বের হলে ফিরিয়ে নেয়া যায়না,যদিও দেওয়া কথা ভাঙা যায়।কথা ভেঙে কার হৃদয় ভেঙে চুরমার হলো তা কথাদানকারীর বিবেচ্য নয়।
কথা কত ধরনের হতে পারে---
--সোজা কথা
--- বাঁকা কথা
----সত্য কথা
---- মিথ্যা কথা
----হক্ক কথা
---- নীতি কথা
----- উচিত কথা
----স্পষ্ট কথা
---- অস্পষ্ট কথা
---- গোপন কথা
----- মনের কথা
---- মূখ্য কথা
---- গৌণ কথা
-----ঘরের কথা
---- পরের কথা
----আমার কথা
---- তোমার কথা
---- তাহার কথা
----- আমাদের কথা
----- তোমাদের কথা
----- তাহাদের কথা
----- সবার কথা এবং
--- কথার কথা
কারও কারও কথা শুনতে ভালো লাগে,মন ভরে যায়।
কথা বলার ভঙ্গীটাই এমন যে কান পেতে শুনতেই মন চায়,মনে আশা জাগে- এ ধরনের কথাকে পুষ্পকথা বলা যায়।
কারও কারও কথা এমন যে শুনলেই কান পঁচে যায়,মন খারাপ হয়,হতাশা নেমে আসে।
কোনও কোনও কথা শুনলে কথকের বলার ভঙ্গিটাতেই প্রচণ্ড হাস্যরসের সৃষ্টি হয়,আবার কোনও কোনও কথায় কান্নাও আসে।
বলার ধরণে অনেক সময় কথার ভাব পরিবর্তিত হয়ে যেতে পারে।আবার বারংবার পুনরাবৃত্তিতে আসল কথাও একঘেয়ে হয়ে যায়,কথার ভাব পরিবর্তনও হয়ে যায়।
কথা প্রকাশের ধরণ অনুযায়ী -
কথা হয় কবিতা
কথা হয় গান
কথা হয় গল্প
কথা হয় আবৃত্তি
কথা হয় গালি
কথা হয় শোরগোল
কথা হয় শান্তি
কথা হয় সুখ
কিংবা কথা হয় দুঃখ।
কথা কখন অমৃত হয়?যে কথা আমার পক্ষে যায়,যে কথা আমার সুবিধা ও সুযোগ সৃষ্টি করার ক্ষেত্র তৈরী করে,যে কথা আমার প্রশংসা করে,যে কথা কেবলই আমার জন্য ভাবে-- সে কথাই আমার জন্য অমৃত।আমার জন্য যা অমৃত অন্যের জন্য তা গরল হতেও পারে।
অমৃত হলো সুধা, অমিয় রস, যা পান করলে মৃত্যু হয়না।এই অর্থটা রূপক ধরে নেই কারণ মৃত্যু অবশ্যম্ভাবী।দেহের মৃত্যুর আগে মনের মৃত্যু হতে পারে।
অমৃতের সংস্পর্শে থাকলে মনের মৃত্যু হয়না।
এখন খুঁজে নিতে হবে নিজেকেই নিজের জন্য কি অমৃত,এবং তা সঠিক নাকি বেঠিক।
অরুচি হলো বিস্বাদ,রুচিকর নয় যা।
সার্বজনীন সত্য ও ভালো কথাগুলো কথা অমৃত, যা সবার পক্ষে নাও যেতে পারে,তখনই কথাগুলো অমৃত হলেও সবার হজম হবেনা,তখনই অমৃতে অরুচি হয়।
শেষ করি রবীন্দ্রনাথের উক্তি দিয়ে,
"নিন্দা করা সহজ কিন্তু বিচার করতে গেলে ভিতরে প্রবেশ করতে হয়।"
--- সে চেষ্টা কি আমরা করি?
আমরা তো সবাই বাইরে থেকেই উঁকি দিয়ে সমগ্রটা বুঝে নেই, বুঝে গেছি ভাব ধরি।
বুঝতে গেলে ভিতরে ঢুকতে হবে,তা নাহলে বোঝাবুঝি সবটাই বোঝা হয়ে যাবে যে।
----৮/১২/২০১৮
---
কথা কাকে বলে?
যা কওয়া হয় তাইতো কথা।কথার অনেক অর্থ আছে,কথার ভেতর অনেক কথা আছে,কথায় আছে সুখ,আবার কথার ভেতরই দুঃখ থাকে।
আমরা মনের ভাব যে প্রক্রিয়ায় বলি বা প্রকাশ করি তাইতো কথা।
"কথা দাও, কথাগুলো ফেরত নেবেনা।"-- বলা হলেও কথা সহজেই ফেরত নেয়া যায়,নিতে ভুল করেনা মানুষ।
"কথা দিলাম-" নিবার জন্যই দিলাম।"কথা দিয়ে কথা না রাখা"র জন্যইতো দিলাম আমি কথা।
কথাতো সের দরে কেনা যায়না,বিক্রিও হয়না- তাই বিনে পয়সায় সুযোগ পেলে বলতে কি দোষ? বাঙালী মাগনা কেরোসিনও খেতে রাজি,আর এতো কথাই কেবল।
তবে হ্যাঁ কথা বললে যেখানে খরচের প্রশ্ন আসে সেখানে কথা থাকে সীমিত।
কথা একবার মুখ হতে বের হলে ফিরিয়ে নেয়া যায়না,যদিও দেওয়া কথা ভাঙা যায়।কথা ভেঙে কার হৃদয় ভেঙে চুরমার হলো তা কথাদানকারীর বিবেচ্য নয়।
কথা কত ধরনের হতে পারে---
--সোজা কথা
--- বাঁকা কথা
----সত্য কথা
---- মিথ্যা কথা
----হক্ক কথা
---- নীতি কথা
----- উচিত কথা
----স্পষ্ট কথা
---- অস্পষ্ট কথা
---- গোপন কথা
----- মনের কথা
---- মূখ্য কথা
---- গৌণ কথা
-----ঘরের কথা
---- পরের কথা
----আমার কথা
---- তোমার কথা
---- তাহার কথা
----- আমাদের কথা
----- তোমাদের কথা
----- তাহাদের কথা
----- সবার কথা এবং
--- কথার কথা
কারও কারও কথা শুনতে ভালো লাগে,মন ভরে যায়।
কথা বলার ভঙ্গীটাই এমন যে কান পেতে শুনতেই মন চায়,মনে আশা জাগে- এ ধরনের কথাকে পুষ্পকথা বলা যায়।
কারও কারও কথা এমন যে শুনলেই কান পঁচে যায়,মন খারাপ হয়,হতাশা নেমে আসে।
কোনও কোনও কথা শুনলে কথকের বলার ভঙ্গিটাতেই প্রচণ্ড হাস্যরসের সৃষ্টি হয়,আবার কোনও কোনও কথায় কান্নাও আসে।
বলার ধরণে অনেক সময় কথার ভাব পরিবর্তিত হয়ে যেতে পারে।আবার বারংবার পুনরাবৃত্তিতে আসল কথাও একঘেয়ে হয়ে যায়,কথার ভাব পরিবর্তনও হয়ে যায়।
কথা প্রকাশের ধরণ অনুযায়ী -
কথা হয় কবিতা
কথা হয় গান
কথা হয় গল্প
কথা হয় আবৃত্তি
কথা হয় গালি
কথা হয় শোরগোল
কথা হয় শান্তি
কথা হয় সুখ
কিংবা কথা হয় দুঃখ।
কথা কখন অমৃত হয়?যে কথা আমার পক্ষে যায়,যে কথা আমার সুবিধা ও সুযোগ সৃষ্টি করার ক্ষেত্র তৈরী করে,যে কথা আমার প্রশংসা করে,যে কথা কেবলই আমার জন্য ভাবে-- সে কথাই আমার জন্য অমৃত।আমার জন্য যা অমৃত অন্যের জন্য তা গরল হতেও পারে।
অমৃত হলো সুধা, অমিয় রস, যা পান করলে মৃত্যু হয়না।এই অর্থটা রূপক ধরে নেই কারণ মৃত্যু অবশ্যম্ভাবী।দেহের মৃত্যুর আগে মনের মৃত্যু হতে পারে।
অমৃতের সংস্পর্শে থাকলে মনের মৃত্যু হয়না।
এখন খুঁজে নিতে হবে নিজেকেই নিজের জন্য কি অমৃত,এবং তা সঠিক নাকি বেঠিক।
অরুচি হলো বিস্বাদ,রুচিকর নয় যা।
সার্বজনীন সত্য ও ভালো কথাগুলো কথা অমৃত, যা সবার পক্ষে নাও যেতে পারে,তখনই কথাগুলো অমৃত হলেও সবার হজম হবেনা,তখনই অমৃতে অরুচি হয়।
শেষ করি রবীন্দ্রনাথের উক্তি দিয়ে,
"নিন্দা করা সহজ কিন্তু বিচার করতে গেলে ভিতরে প্রবেশ করতে হয়।"
--- সে চেষ্টা কি আমরা করি?
আমরা তো সবাই বাইরে থেকেই উঁকি দিয়ে সমগ্রটা বুঝে নেই, বুঝে গেছি ভাব ধরি।
বুঝতে গেলে ভিতরে ঢুকতে হবে,তা নাহলে বোঝাবুঝি সবটাই বোঝা হয়ে যাবে যে।
----৮/১২/২০১৮
মন্তব্য যোগ করুন
এই লেখার উপর আপনার মন্তব্য জানাতে নিচের ফরমটি ব্যবহার করুন।
মন্তব্যসমূহ
-
সাইয়িদ রফিকুল হক ২৮/১২/২০১৮লেখার ফরমেট ঠিক হয়নি।
-
মোঃ নূর ইমাম শেখ বাবু ২৮/১২/২০১৮ভাল
-
পবিত্র কুমার গাঙ্গুলী ২৮/১২/২০১৮Valo laglo