তারুণ্য ব্লগ
আরো আলো আরো আলো এই নয়নে,প্রভু,ঢালোঃ
---------
কবি প্রভুর কাছে আলো চেয়েছেন,এ কিসের আলো?শুধু চোখ দিয়ে দেখার জন্য? আলোর সাহায্য ছাড়া দেখা যায়না,এটা ঠিক।সেজন্য সূর্যতো আছেই আলো দেয়ার জন্য।
"আরো বেদনা আরো বেদনা,প্রভু দাও মোরে আরও চেতনা"- কবি আলোর সাথে সাথে বেদনা এবং চেতনা চেয়েছেন।আলো ছাড়া- চেতনা আসবে কি করে! আর চেতনার জন্য বেদনা বা কষ্ট অতীব প্রয়োজন।
এই আলো হচ্ছে জ্ঞানের আলো।এই জ্ঞানের আলো জ্বালাতে বেদনার প্রয়োজন।সাধনা ও একাগ্রতা প্রয়োজন- কাজেই বেদনা চেতনা উভয়কেই আলো বা জ্ঞান অর্জনের নিয়ামক ধরে নেয়া যায়।
জ্ঞান আর শিক্ষা শব্দ দুটো এক নয়।বিবিধ কারণে এক নয় আমার মতে।
শিক্ষা হল-education, teaches.,আনুষ্ঠানিক,শিক্ষা দেয়া হয়,শিক্ষার নিয়ম ও পাঠ্যক্রম নির্ধারিত।নির্ধারিত শিক্ষা সমাপ্ত হলে সার্টিফিকেট বা লিখিত স্বীকৃতি দেয়া হয়।
অপরদিকে জ্ঞান হলো -knowledge,wisdom, অনানুষ্ঠানিক,জ্ঞান অর্জন করতে হয়,জানা হচ্ছে জ্ঞান তাই যেহেতু জানার কোন শেষ নেই তাই জ্ঞানের রাজ্য হচ্ছে অসীম।
অসীম রহস্যময় জ্ঞানের আধার এই মহাবিশ্ব প্রকৃতির সর্বত্রই আছে অসীম বিষয়াদি।যার যে কোনো একটি ক্ষুদ্রাতিক্ষুদ্র বিষয়কে কেন্দ্র করে যদি কেউ এগিয়ে যায়,জানতে যায়, তার জীবন চলে যাবে তবু জানা সম্পন্ন হবেনা।
আমরা যার যার পরিসরে চলার মত যে যার মত যতটুকু জানি তা কত য়ে ক্ষুদ্র, পরমাণুর চেয়েও ক্ষুদ্রাতিক্ষুদ্র।
" জ্ঞান সমুদ্রের তীরে দাড়িয়ে,আমি কয়েকটি নুড়ি কুড়িয়েছি মাত্র----নিউটন"
বৈজ্ঞানিক নিউটন যিনি বলবিদ্যার উপর গবেষণা করে এর মৌলিক তত্ত্বগুলোর অবতারণা করেন। পদার্থবিজ্ঞানের একটি শাখা বলবিদ্যা।
জ্ঞান যেহেতু একটি রাজ্য এবং এর সম্যক উপলব্ধি সামগ্রিক ভাবে কখনই সম্ভব নয় তাই এর অসংখ্য বিষয়ের অসংখ্য শাখা,প্রশাখা উপশাখা আছে।
একেকজন একেক বিষয়ে জীবনভর সাধনা করে নুড়ি কয়েকটি পেলেও পেতে পারেন।কিন্তু সম্পূর্ণ হয়েছেন এটা বলাবাহুল্য।
সেই তুলনায় আমি অকাট মূর্খ,অর্বাচীন এক।নিজেকে শূন্য ভাবি,বিশ্বাস করি আর পিপাসার্ত একজন।এই পিপাসা জন্মাবধি আমাকে নিরন্তর অন্বেষণে রেখেছে,যেখানে দুয়ার খোলা দেখি নির্ভীক চিত্তে ঢুকে পড়ি।কিছুটা সুবাস যদি পাই সেই আশায়।
জ্ঞান কুক্ষিগত করে রাখার বিষয় নয়,বিতরণের বিষয়।দান করলে ধন কমে, জ্ঞান নয়।প্রাণবন্ত আলোচনায় জ্ঞান বাড়ে।
আপনি বেছে বেছে জ্ঞান বিতরণ করবেন? সেটা অপাত্রে হতে পারে।যে জানতে চায় তাকে নিরুৎসাহিত করা কোন জ্ঞানীর কাজ নয়।
আবার সাথে সাথে এটাও বলি জ্ঞানের কোনো একটি ক্ষুদ্র অংশে আপনি বিচরণ করছেন বা করার সুযোগ পেয়েছেন এর মানে এই নয় যে আপনি সম্পূর্ণ হয়েছেন।
জ্ঞানের রাজ্য যেহেতু অসীম তাই কোনও মানুষই সম্পূর্ণ নয়।
আমি অকাট মূর্খ তাই জ্ঞান পিপাসুদের কাতারে সবশেষে দাড়িয়ে আছি,কাতারে আপনিও আছেন। হয়তো আমার চেয়ে এগিয়ে, কিন্তু আপনিও লাইনে আছেন।এক্ষেত্রে আমিও অসম্পূর্ণ সাথে আপনিও,মাত্রার হেরফের হতে পারে শুধু।
মানুষ যুগে যুগে বিভিন্ন বিষয়ে বিভিন্ন ভাবে অন্বেষণ করেছে, সামগ্রিক থেকে খণ্ডিত অংশ খুঁজে আনতে পেরেছে।তাও একেকদল একটি সমগ্র থেকে ভিন্ন ভিন্ন খণ্ড এনে একেকটি মতবাদের প্রবক্তা হয়েছে।তাই একই বিষয়ে একেকদলের একেক মতবাদ,দ্বন্ধের শুরু এখানেই।সবাই ভাবে আমিই সম্পূর্ণ।
কোনও মতবাদই এ পর্যন্ত সর্বজনস্বীকৃত নয় তারপরও এটাই ভাবে বিভিন্ন বিষয়ে বিভিন্ন মতবাদের প্রবক্তারা।
মানুষ অসম্পূর্ণ কারণ বিশাল জ্ঞানরাজ্যে তার বিচরণ আংশিক।
প্রকৃতি সম্পূর্ণ কেবল।সূর্য পূর্বদিকে উঠে,পশ্চিমে অস্ত যাবে এটা চিরন্তন সত্য।
মানুষ মরে যাবে এটাও চিরন্তন সত্য।কারণ মৃত্যুর দিনক্ষণ মানুষ জানেনা ওটা প্রকৃতির হাতে।
মানুষ শৃঙ্খলা মানেনা,প্রকৃতির যাবতীয় বিষয় এক কঠোর শৃঙ্খলে শৃঙ্খলিত।এ শৃঙ্খলা লঙ্ঘন মানুষের অসাধ্য।
আমি তো প্রশ্ন করবই,কারণ আমার মধ্যে জানার তৃষ্ণা প্রবল।এটা আমি বাধ দিয়ে কোনো ভাবেই আটকাতে পারবনা,এটা আমার অক্ষমতা।
আমার প্রশ্নে তুমি কেন বিব্রত হবে,বিরক্তি বোধ করবে?
প্রকৃত জ্ঞানী উত্তম শিষ্য পেলে খুশি হয়,আমি না হয় অধম একজন,দুর্বাদল সম।
"আরো প্রেমে আরো প্রেমে,মোর আমি ডুবে যাক নেমে।"
মানুষকে ভালোবাসো যদি তুমি জ্ঞান তাপস হও।আমিত্ব বোধ,অহংবোধ যদি থাকে তবে তুমি যা অর্জন করেছ,তা কোথায় ছড়িয়ে দেবে?
আরে অ আ ক খ তো আমার মত একজনই তোমাকে শিখিয়েছিলেন।
বাংলা ভাষার ঐতিহ্যময়,গৌরবময় ইতিহাস ভুলে গিয়ে উদ্ভট বানান সামনে নিয়ে এলে আমার সাধ্যমত প্রশ্ন করবই।
আমার বর্ণ আমার অক্ষর নিয়ে খেলি,আমি ভাবি,কথা বলি।আমার ভাষার আছে রক্তাক্ত ইতিহাস।কাজেই এই ভাষা কারও ইচ্ছেমাফিক গবেষণার বিষয় নয়,কোনও কিছু আরোপ করার বিষয় নয়।ভাষা প্রকৃতির নিয়ম অনুযায়ী পরিবর্তিত হবে, এখানে জোর খাটানোর কিছু নেই।
আমি সাধারণ,সাধারণ আছি,সাধারণ থাকতে চাই।
লোকের কথায় সোনা যেহেতু কয়লা হয়না,তাই কয়লারও সোনা হওয়ার সুযোগ নেই।
২৭/১০/২০১৮
---------
কবি প্রভুর কাছে আলো চেয়েছেন,এ কিসের আলো?শুধু চোখ দিয়ে দেখার জন্য? আলোর সাহায্য ছাড়া দেখা যায়না,এটা ঠিক।সেজন্য সূর্যতো আছেই আলো দেয়ার জন্য।
"আরো বেদনা আরো বেদনা,প্রভু দাও মোরে আরও চেতনা"- কবি আলোর সাথে সাথে বেদনা এবং চেতনা চেয়েছেন।আলো ছাড়া- চেতনা আসবে কি করে! আর চেতনার জন্য বেদনা বা কষ্ট অতীব প্রয়োজন।
এই আলো হচ্ছে জ্ঞানের আলো।এই জ্ঞানের আলো জ্বালাতে বেদনার প্রয়োজন।সাধনা ও একাগ্রতা প্রয়োজন- কাজেই বেদনা চেতনা উভয়কেই আলো বা জ্ঞান অর্জনের নিয়ামক ধরে নেয়া যায়।
জ্ঞান আর শিক্ষা শব্দ দুটো এক নয়।বিবিধ কারণে এক নয় আমার মতে।
শিক্ষা হল-education, teaches.,আনুষ্ঠানিক,শিক্ষা দেয়া হয়,শিক্ষার নিয়ম ও পাঠ্যক্রম নির্ধারিত।নির্ধারিত শিক্ষা সমাপ্ত হলে সার্টিফিকেট বা লিখিত স্বীকৃতি দেয়া হয়।
অপরদিকে জ্ঞান হলো -knowledge,wisdom, অনানুষ্ঠানিক,জ্ঞান অর্জন করতে হয়,জানা হচ্ছে জ্ঞান তাই যেহেতু জানার কোন শেষ নেই তাই জ্ঞানের রাজ্য হচ্ছে অসীম।
অসীম রহস্যময় জ্ঞানের আধার এই মহাবিশ্ব প্রকৃতির সর্বত্রই আছে অসীম বিষয়াদি।যার যে কোনো একটি ক্ষুদ্রাতিক্ষুদ্র বিষয়কে কেন্দ্র করে যদি কেউ এগিয়ে যায়,জানতে যায়, তার জীবন চলে যাবে তবু জানা সম্পন্ন হবেনা।
আমরা যার যার পরিসরে চলার মত যে যার মত যতটুকু জানি তা কত য়ে ক্ষুদ্র, পরমাণুর চেয়েও ক্ষুদ্রাতিক্ষুদ্র।
" জ্ঞান সমুদ্রের তীরে দাড়িয়ে,আমি কয়েকটি নুড়ি কুড়িয়েছি মাত্র----নিউটন"
বৈজ্ঞানিক নিউটন যিনি বলবিদ্যার উপর গবেষণা করে এর মৌলিক তত্ত্বগুলোর অবতারণা করেন। পদার্থবিজ্ঞানের একটি শাখা বলবিদ্যা।
জ্ঞান যেহেতু একটি রাজ্য এবং এর সম্যক উপলব্ধি সামগ্রিক ভাবে কখনই সম্ভব নয় তাই এর অসংখ্য বিষয়ের অসংখ্য শাখা,প্রশাখা উপশাখা আছে।
একেকজন একেক বিষয়ে জীবনভর সাধনা করে নুড়ি কয়েকটি পেলেও পেতে পারেন।কিন্তু সম্পূর্ণ হয়েছেন এটা বলাবাহুল্য।
সেই তুলনায় আমি অকাট মূর্খ,অর্বাচীন এক।নিজেকে শূন্য ভাবি,বিশ্বাস করি আর পিপাসার্ত একজন।এই পিপাসা জন্মাবধি আমাকে নিরন্তর অন্বেষণে রেখেছে,যেখানে দুয়ার খোলা দেখি নির্ভীক চিত্তে ঢুকে পড়ি।কিছুটা সুবাস যদি পাই সেই আশায়।
জ্ঞান কুক্ষিগত করে রাখার বিষয় নয়,বিতরণের বিষয়।দান করলে ধন কমে, জ্ঞান নয়।প্রাণবন্ত আলোচনায় জ্ঞান বাড়ে।
আপনি বেছে বেছে জ্ঞান বিতরণ করবেন? সেটা অপাত্রে হতে পারে।যে জানতে চায় তাকে নিরুৎসাহিত করা কোন জ্ঞানীর কাজ নয়।
আবার সাথে সাথে এটাও বলি জ্ঞানের কোনো একটি ক্ষুদ্র অংশে আপনি বিচরণ করছেন বা করার সুযোগ পেয়েছেন এর মানে এই নয় যে আপনি সম্পূর্ণ হয়েছেন।
জ্ঞানের রাজ্য যেহেতু অসীম তাই কোনও মানুষই সম্পূর্ণ নয়।
আমি অকাট মূর্খ তাই জ্ঞান পিপাসুদের কাতারে সবশেষে দাড়িয়ে আছি,কাতারে আপনিও আছেন। হয়তো আমার চেয়ে এগিয়ে, কিন্তু আপনিও লাইনে আছেন।এক্ষেত্রে আমিও অসম্পূর্ণ সাথে আপনিও,মাত্রার হেরফের হতে পারে শুধু।
মানুষ যুগে যুগে বিভিন্ন বিষয়ে বিভিন্ন ভাবে অন্বেষণ করেছে, সামগ্রিক থেকে খণ্ডিত অংশ খুঁজে আনতে পেরেছে।তাও একেকদল একটি সমগ্র থেকে ভিন্ন ভিন্ন খণ্ড এনে একেকটি মতবাদের প্রবক্তা হয়েছে।তাই একই বিষয়ে একেকদলের একেক মতবাদ,দ্বন্ধের শুরু এখানেই।সবাই ভাবে আমিই সম্পূর্ণ।
কোনও মতবাদই এ পর্যন্ত সর্বজনস্বীকৃত নয় তারপরও এটাই ভাবে বিভিন্ন বিষয়ে বিভিন্ন মতবাদের প্রবক্তারা।
মানুষ অসম্পূর্ণ কারণ বিশাল জ্ঞানরাজ্যে তার বিচরণ আংশিক।
প্রকৃতি সম্পূর্ণ কেবল।সূর্য পূর্বদিকে উঠে,পশ্চিমে অস্ত যাবে এটা চিরন্তন সত্য।
মানুষ মরে যাবে এটাও চিরন্তন সত্য।কারণ মৃত্যুর দিনক্ষণ মানুষ জানেনা ওটা প্রকৃতির হাতে।
মানুষ শৃঙ্খলা মানেনা,প্রকৃতির যাবতীয় বিষয় এক কঠোর শৃঙ্খলে শৃঙ্খলিত।এ শৃঙ্খলা লঙ্ঘন মানুষের অসাধ্য।
আমি তো প্রশ্ন করবই,কারণ আমার মধ্যে জানার তৃষ্ণা প্রবল।এটা আমি বাধ দিয়ে কোনো ভাবেই আটকাতে পারবনা,এটা আমার অক্ষমতা।
আমার প্রশ্নে তুমি কেন বিব্রত হবে,বিরক্তি বোধ করবে?
প্রকৃত জ্ঞানী উত্তম শিষ্য পেলে খুশি হয়,আমি না হয় অধম একজন,দুর্বাদল সম।
"আরো প্রেমে আরো প্রেমে,মোর আমি ডুবে যাক নেমে।"
মানুষকে ভালোবাসো যদি তুমি জ্ঞান তাপস হও।আমিত্ব বোধ,অহংবোধ যদি থাকে তবে তুমি যা অর্জন করেছ,তা কোথায় ছড়িয়ে দেবে?
আরে অ আ ক খ তো আমার মত একজনই তোমাকে শিখিয়েছিলেন।
বাংলা ভাষার ঐতিহ্যময়,গৌরবময় ইতিহাস ভুলে গিয়ে উদ্ভট বানান সামনে নিয়ে এলে আমার সাধ্যমত প্রশ্ন করবই।
আমার বর্ণ আমার অক্ষর নিয়ে খেলি,আমি ভাবি,কথা বলি।আমার ভাষার আছে রক্তাক্ত ইতিহাস।কাজেই এই ভাষা কারও ইচ্ছেমাফিক গবেষণার বিষয় নয়,কোনও কিছু আরোপ করার বিষয় নয়।ভাষা প্রকৃতির নিয়ম অনুযায়ী পরিবর্তিত হবে, এখানে জোর খাটানোর কিছু নেই।
আমি সাধারণ,সাধারণ আছি,সাধারণ থাকতে চাই।
লোকের কথায় সোনা যেহেতু কয়লা হয়না,তাই কয়লারও সোনা হওয়ার সুযোগ নেই।
২৭/১০/২০১৮
মন্তব্য যোগ করুন
এই লেখার উপর আপনার মন্তব্য জানাতে নিচের ফরমটি ব্যবহার করুন।
মন্তব্যসমূহ
-
শেখ ফারুক হোসেন ২২/১২/২০১৮অসাধারণ লেখনীতে ধন্য ধরাতল
-
সাইয়িদ রফিকুল হক ২২/১২/২০১৮ভালো লিখেছেন বন্ধু।
-
মোঃ নূর ইমাম শেখ বাবু ২০/১২/২০১৮Good.