প্রবন্ধ
যেথা চন্দ্রকলার বাঁকা নায়,মোর মন আজ উধাও হতে চায়ঃ
---
বাঙালী মাত্রই আবেগপ্রবণ,কল্পনাবিলাসী।চাঁদকে নিয়ে তাই কাব্যের শেষ নেই,আবেগ সবেগে ধাবিত হয় চাঁদের আবর্তনকে ঘিরে।বিভিন্ন উৎসব পার্বণও চন্দ্রকেন্দ্রিক।চাঁদকে আমরা ভালোবাসি সূর্যের চেয়ে বেশি,যদিও চাঁদের নিজস্ব আলো নেই।
সূর্য আমাদের প্রচণ্ড উপকার করে,কিন্তু সূর্যের প্রখরতা আমরা সইতে পারিনা,স্নিগ্ধ চাঁদই আমাদের প্রিয় খুব।
চাঁদ হচ্ছে রহস্যময় এক অধরা বস্তু,একে ঘিরে অনেক অজানা প্রশ্ন আছে,চাঁদ কেন মানুষকে আবেগতাড়িত করে- চাঁদকে ঘিরে ছড়া হয়,কবিতা হয়।
বেশ আগে বিথী আমাকে তিথি নিয়ে প্রশ্ন করেছিলো।বলেছিলাম একদিন লিখবো তিথিকে নিয়ে।না,তিথি কোনও মেয়ের নাম নয়।চাঁদকে চিনতে তিথিকে চিনতে হয়,জানতে হয় আরও বেশ কিছু বিষয়,যাকে সাধারণ জ্ঞান বলা যায়।জানার কি কোনও শেষ আছে?
আসুন চাঁদকে জানতে কিছু শব্দ ও তথ্য জানিঃ-
প্রতিপদঃ
---------------
১।*প্রতিপদ-প্রতিরূপ পদ যাহাতে
----*প্রতিপদ-মাস-পক্ষাদির আরম্ভ যাহাতে
-----*প্রতিপদ-পক্ষের প্রতি তিথি।
২।*প্রতিপদ-প্রতির সঙ্গে পদ জুড়ে হয় প্রতিপদ
----*প্রতিপদ-প্রতি প্রথম যে পা'টি ফেলেছে তাই প্রতিপদ
----*প্রতিপদ-প্রত্যেকটি পদ অর্থে প্রতিপদ।
*গমন হল একস্থান থেকে অন্যস্থানে পৌঁছানো।
যাওয়া হল গতি ও স্থিতির নিয়মে যাওয়া,অর্থাৎ হেঁটে যাওয়া, পা ফেলে ফেলে এগোন।
*অমাবস্যা থেকে থেকে পূর্ণিমা এবং পূর্ণিমা থেকে অমাবস্যায় যেতে পনেরোটি করে পদ আছে।
অমাবস্যা থেকে পূর্ণিমায় যাত্রা শুরু হলো- এক্ষেত্রে প্রথম পদটি প্রতিপদ।
আবার পূর্ণিমা থেকে অমাবস্যায় যখন যাত্রা শুরু তখনও প্রথম পদটি প্রতিপদ।
তাহলে প্রতিপদ দুটি (১)শুক্লা প্রতিপদ
------------------------------(২)কৃষ্ণা প্রতিপদ।
শুক্লা প্রতিপদ হলো শুক্লপক্ষ
কৃষ্ণা প্রতিপদ হলো কৃষ্ণপক্ষ।
তিথিঃ
--------
*১।চন্দ্রকলার হ্রাসবৃদ্ধি দ্বারা সীমাবদ্ধ কাল,চান্দ্রমাসের ত্রিশ ভাগের একভাগ,চান্দ্রদিন প্রতিপাদাদি পূর্ণিমান্ত।
--২।সময়,দিন কাল, ক্ষণ।
একটি চান্দ্রদিনকে তিথি বলে।চাঁদ ও সূর্যের মধ্যে ১২ডিগ্রী দ্রাঘিমাকোণ বৃদ্ধির সময়কে একটি তিথির সময়কাল ধরা হয়।তিথির সূচনার সময় দিন অনুযায়ী বদল হয় এবং তিথির মোট সময়কাল ১৯ ঘন্টা থেকে ২৬ ঘন্টার মধ্যে থাকে।
*প্রথমা হলো- পক্ষের প্রথম তিথি।যেমন শুক্লপক্ষের প্রথম তিথি প্রথমা।দ্বিতীয়া হলো পক্ষের দ্বিতীয়া তিথি,যেমন শুক্লপক্ষের দ্বিতীয়া তিথি।
ঠিক একই রকম কৃষ্ণপক্ষেরও প্রথম তিথি প্রথমা, দ্বিতীয় তিথি দ্বিতীয়া।
* একই রকম যেতে থাকে শুক্ল থেকে কৃষ্ণে আর কৃষ্ণ থেকে শুক্লে।
চন্দ্রকলাঃ
----------
পৃথিবীকে প্রদক্ষিণ করার সময় চন্দ্রের যে বিভিন্ন রূপ দৃশ্যমান হয় তাকে চন্দ্রকলা বলে।পৃথিবী হতে দৃশ্যমান চাঁদের ক্ষয় ও বৃদ্ধিই চন্দ্রকলা।সূর্যের চারপাশে পৃথিবী এবং পৃথিবীর চারপাশে চাঁদের অবস্থানের সাপেক্ষে চন্দ্রকলার আকৃতির পরিবর্তন ঘটে।প্রতিবার এতে সময় লাগে প্রায় ২৯.৫৩ দিন এবং এ সময়কালকে চান্দ্রমাস বলে।
শেষকথাঃ
---------
চাঁদ নিয়ে কথার কোনও শেষ নেই।চাঁদ মামা টিপ দিয়ে যায় মায়ের খোকাকে।
চন্দ্রকলার নায়ে বেড়াতে যায় কল্পনায় ভাবুকেরা।আর বিজ্ঞানীরা খুঁজে বেড়ান নতুন নতুন তথ্য।আমরা সাধারণ মানুষ,আমরা শুধু জানি দেখতে।চাঁদটা কেনো বাড়ে কমে, জোয়ার কেনো আসে,এ প্রশ্ন নিয়ে আমরা তেমন ব্যতিব্যস্ত নই।কারণ We are the ordinary people.
---- ধন্যবাদ।
( তথ্যসূত্রঃ বঙ্গীয় শব্দার্থকোষ ( কলিম খান রবি চক্রবর্তী প্রণীত),উইকিপিডিয়া ও ইংলিশ বাংলা ডিকশনারী)
----১৪/১২/২০১৮
---
বাঙালী মাত্রই আবেগপ্রবণ,কল্পনাবিলাসী।চাঁদকে নিয়ে তাই কাব্যের শেষ নেই,আবেগ সবেগে ধাবিত হয় চাঁদের আবর্তনকে ঘিরে।বিভিন্ন উৎসব পার্বণও চন্দ্রকেন্দ্রিক।চাঁদকে আমরা ভালোবাসি সূর্যের চেয়ে বেশি,যদিও চাঁদের নিজস্ব আলো নেই।
সূর্য আমাদের প্রচণ্ড উপকার করে,কিন্তু সূর্যের প্রখরতা আমরা সইতে পারিনা,স্নিগ্ধ চাঁদই আমাদের প্রিয় খুব।
চাঁদ হচ্ছে রহস্যময় এক অধরা বস্তু,একে ঘিরে অনেক অজানা প্রশ্ন আছে,চাঁদ কেন মানুষকে আবেগতাড়িত করে- চাঁদকে ঘিরে ছড়া হয়,কবিতা হয়।
বেশ আগে বিথী আমাকে তিথি নিয়ে প্রশ্ন করেছিলো।বলেছিলাম একদিন লিখবো তিথিকে নিয়ে।না,তিথি কোনও মেয়ের নাম নয়।চাঁদকে চিনতে তিথিকে চিনতে হয়,জানতে হয় আরও বেশ কিছু বিষয়,যাকে সাধারণ জ্ঞান বলা যায়।জানার কি কোনও শেষ আছে?
আসুন চাঁদকে জানতে কিছু শব্দ ও তথ্য জানিঃ-
প্রতিপদঃ
---------------
১।*প্রতিপদ-প্রতিরূপ পদ যাহাতে
----*প্রতিপদ-মাস-পক্ষাদির আরম্ভ যাহাতে
-----*প্রতিপদ-পক্ষের প্রতি তিথি।
২।*প্রতিপদ-প্রতির সঙ্গে পদ জুড়ে হয় প্রতিপদ
----*প্রতিপদ-প্রতি প্রথম যে পা'টি ফেলেছে তাই প্রতিপদ
----*প্রতিপদ-প্রত্যেকটি পদ অর্থে প্রতিপদ।
*গমন হল একস্থান থেকে অন্যস্থানে পৌঁছানো।
যাওয়া হল গতি ও স্থিতির নিয়মে যাওয়া,অর্থাৎ হেঁটে যাওয়া, পা ফেলে ফেলে এগোন।
*অমাবস্যা থেকে থেকে পূর্ণিমা এবং পূর্ণিমা থেকে অমাবস্যায় যেতে পনেরোটি করে পদ আছে।
অমাবস্যা থেকে পূর্ণিমায় যাত্রা শুরু হলো- এক্ষেত্রে প্রথম পদটি প্রতিপদ।
আবার পূর্ণিমা থেকে অমাবস্যায় যখন যাত্রা শুরু তখনও প্রথম পদটি প্রতিপদ।
তাহলে প্রতিপদ দুটি (১)শুক্লা প্রতিপদ
------------------------------(২)কৃষ্ণা প্রতিপদ।
শুক্লা প্রতিপদ হলো শুক্লপক্ষ
কৃষ্ণা প্রতিপদ হলো কৃষ্ণপক্ষ।
তিথিঃ
--------
*১।চন্দ্রকলার হ্রাসবৃদ্ধি দ্বারা সীমাবদ্ধ কাল,চান্দ্রমাসের ত্রিশ ভাগের একভাগ,চান্দ্রদিন প্রতিপাদাদি পূর্ণিমান্ত।
--২।সময়,দিন কাল, ক্ষণ।
একটি চান্দ্রদিনকে তিথি বলে।চাঁদ ও সূর্যের মধ্যে ১২ডিগ্রী দ্রাঘিমাকোণ বৃদ্ধির সময়কে একটি তিথির সময়কাল ধরা হয়।তিথির সূচনার সময় দিন অনুযায়ী বদল হয় এবং তিথির মোট সময়কাল ১৯ ঘন্টা থেকে ২৬ ঘন্টার মধ্যে থাকে।
*প্রথমা হলো- পক্ষের প্রথম তিথি।যেমন শুক্লপক্ষের প্রথম তিথি প্রথমা।দ্বিতীয়া হলো পক্ষের দ্বিতীয়া তিথি,যেমন শুক্লপক্ষের দ্বিতীয়া তিথি।
ঠিক একই রকম কৃষ্ণপক্ষেরও প্রথম তিথি প্রথমা, দ্বিতীয় তিথি দ্বিতীয়া।
* একই রকম যেতে থাকে শুক্ল থেকে কৃষ্ণে আর কৃষ্ণ থেকে শুক্লে।
চন্দ্রকলাঃ
----------
পৃথিবীকে প্রদক্ষিণ করার সময় চন্দ্রের যে বিভিন্ন রূপ দৃশ্যমান হয় তাকে চন্দ্রকলা বলে।পৃথিবী হতে দৃশ্যমান চাঁদের ক্ষয় ও বৃদ্ধিই চন্দ্রকলা।সূর্যের চারপাশে পৃথিবী এবং পৃথিবীর চারপাশে চাঁদের অবস্থানের সাপেক্ষে চন্দ্রকলার আকৃতির পরিবর্তন ঘটে।প্রতিবার এতে সময় লাগে প্রায় ২৯.৫৩ দিন এবং এ সময়কালকে চান্দ্রমাস বলে।
শেষকথাঃ
---------
চাঁদ নিয়ে কথার কোনও শেষ নেই।চাঁদ মামা টিপ দিয়ে যায় মায়ের খোকাকে।
চন্দ্রকলার নায়ে বেড়াতে যায় কল্পনায় ভাবুকেরা।আর বিজ্ঞানীরা খুঁজে বেড়ান নতুন নতুন তথ্য।আমরা সাধারণ মানুষ,আমরা শুধু জানি দেখতে।চাঁদটা কেনো বাড়ে কমে, জোয়ার কেনো আসে,এ প্রশ্ন নিয়ে আমরা তেমন ব্যতিব্যস্ত নই।কারণ We are the ordinary people.
---- ধন্যবাদ।
( তথ্যসূত্রঃ বঙ্গীয় শব্দার্থকোষ ( কলিম খান রবি চক্রবর্তী প্রণীত),উইকিপিডিয়া ও ইংলিশ বাংলা ডিকশনারী)
----১৪/১২/২০১৮
মন্তব্য যোগ করুন
এই লেখার উপর আপনার মন্তব্য জানাতে নিচের ফরমটি ব্যবহার করুন।
মন্তব্যসমূহ
-
মনিরুজ্জামান/জীবন ২০/১২/২০১৮
-
পি পি আলী আকবর ১৯/১২/২০১৮দারুণ লিখেছেন
-
আশা মনি ১৮/১২/২০১৮thanks for the informative post.
-
মীর মুহাম্মাদ আলী ১৮/১২/২০১৮দারুন
আপনার দীর্ঘায়ু কামনা করি।