নারী
কালচে পড়া দাগের উপর কাজলের লেপন
বিবর্ণতা তাকে ঘিরে ধরেছে চার পাশ দিয়ে !
ক্লান্তি ভরা দৃষ্টি আর নিরিহ চাহনি
নিজেকে গুটিয়ে নেয়ার প্রতিশ্রুতি দেয়া এক অবয়ব
নারী বলে নাকি তাকে সকলে !
কেন বলে সে জানে না ?
চিরকাল ক্রীতদাসীর জীবনাবসানে ক্ষতবিক্ষত আজ শরীর
এ এক অলিখিত সংবিধান সমাজের কালিমায় লেখা
মৌলবাদী চেতনা ,
কেন তুমি আজ উচ্চ স্বরে কথা বললে ?
তুমি তো ক্রীতদাসী !সমাজের কীট !
বেঁচে থাকো আঁধারে,জঞ্জালে ভরা পৃথিবীতে
যেখানে সকল মোহময়তা,উচ্চাভিলাস
আগুনে লাফিয়ে মারা যায় ।
এক সময় যে চোখে কেউ দেখত ভালবাসা, মমতা
আর স্বপ্ন !
সেই চোখে আজ আধোছায়া ঘোর কালো আর কালো !
স্বামী নামক প্রভুর কারণে নিজস্ব চিন্তা চেতনা হয়েছে বিসর্জন
তাতেও কষ্ট নেই ,নেই টু শব্দ ,
নিজেকে কষ্টের কাছে ইজারা দেয়ার মত
শুধু কষ্টের দাপট চলে দিবা রাত্রি অহর্নিশ ।
কাল্পনিক দুনিয়ার কথা বলে যায় কয়েক জন সমগোত্রীয় ক্রীতদাসীরা
ভয়ার্ত মন সাড়া দেই না ,শেয়ালের লেজ কাটা গল্পের কথা মনে পড়ে ।
প্রতিক্ষণ নির্যাতন আর অমর্যাদার বিষয় টি গা সয়ে গেছে !
জমাট রক্ত,আর পরিস্রুত ধারার রক্তে পার্থক্য নেই----
এই রক্ত পুরুষের জন্য,তাদের জন্য সৃষ্টি হওয়া এই দেহ ,সব কিছু ।
জীবনটা বেঁচে থাকবে হয়ত তাদেরই জন্য ।
এই ভাবেই কি চলবে ?
কোনদিন কি নারী নামক বস্তুটি দেখবে না প্রশান্তির সূর্য ???
বিবর্ণতা তাকে ঘিরে ধরেছে চার পাশ দিয়ে !
ক্লান্তি ভরা দৃষ্টি আর নিরিহ চাহনি
নিজেকে গুটিয়ে নেয়ার প্রতিশ্রুতি দেয়া এক অবয়ব
নারী বলে নাকি তাকে সকলে !
কেন বলে সে জানে না ?
চিরকাল ক্রীতদাসীর জীবনাবসানে ক্ষতবিক্ষত আজ শরীর
এ এক অলিখিত সংবিধান সমাজের কালিমায় লেখা
মৌলবাদী চেতনা ,
কেন তুমি আজ উচ্চ স্বরে কথা বললে ?
তুমি তো ক্রীতদাসী !সমাজের কীট !
বেঁচে থাকো আঁধারে,জঞ্জালে ভরা পৃথিবীতে
যেখানে সকল মোহময়তা,উচ্চাভিলাস
আগুনে লাফিয়ে মারা যায় ।
এক সময় যে চোখে কেউ দেখত ভালবাসা, মমতা
আর স্বপ্ন !
সেই চোখে আজ আধোছায়া ঘোর কালো আর কালো !
স্বামী নামক প্রভুর কারণে নিজস্ব চিন্তা চেতনা হয়েছে বিসর্জন
তাতেও কষ্ট নেই ,নেই টু শব্দ ,
নিজেকে কষ্টের কাছে ইজারা দেয়ার মত
শুধু কষ্টের দাপট চলে দিবা রাত্রি অহর্নিশ ।
কাল্পনিক দুনিয়ার কথা বলে যায় কয়েক জন সমগোত্রীয় ক্রীতদাসীরা
ভয়ার্ত মন সাড়া দেই না ,শেয়ালের লেজ কাটা গল্পের কথা মনে পড়ে ।
প্রতিক্ষণ নির্যাতন আর অমর্যাদার বিষয় টি গা সয়ে গেছে !
জমাট রক্ত,আর পরিস্রুত ধারার রক্তে পার্থক্য নেই----
এই রক্ত পুরুষের জন্য,তাদের জন্য সৃষ্টি হওয়া এই দেহ ,সব কিছু ।
জীবনটা বেঁচে থাকবে হয়ত তাদেরই জন্য ।
এই ভাবেই কি চলবে ?
কোনদিন কি নারী নামক বস্তুটি দেখবে না প্রশান্তির সূর্য ???
মন্তব্য যোগ করুন
এই লেখার উপর আপনার মন্তব্য জানাতে নিচের ফরমটি ব্যবহার করুন।
মন্তব্যসমূহ
-
সবুজ আহমেদ কক্স ০৩/০৩/২০১৫ভেরি নাইস
-
পিয়ালী দত্ত ০২/০৩/২০১৫খুব ভাল লাগল
-
স্বপন রোজারিও(১) ০২/০৩/২০১৫নারীদের নিয়ে সুন্দর কবিতা। অতুলনীয়।
-
অ ০২/০৩/২০১৫বেশ ।
-
মো ফয়সাল রহমান ০২/০৩/২০১৫Nice
-
হাসান কামরুল ০২/০৩/২০১৫দারুণ লিখেছেন ভাই।
-
মোহাম্মদ রফিক ০২/০৩/২০১৫নারী পুরুষ বিধাতার দুই সৃষ্টি। একের সৃষ্টি অন্যের জন্য। দুজনের সৃষ্টি দুজনার জন্য। একজন অন্য জনের পরিপুরক। একজন অন্যজন ছাড়া অপূর্ণ। নজরুল বলেছেন-“বিশ্বে যা কিছু মহান সৃষ্টি চির কল্যাণকর, অর্ধেক তার আনিয়াছে নারী অর্ধেক তার নর”। অতএব কাউকে ছোট করে দেখা অন্যায়। নারীকে পুরুষের সেবা করার জন্য তৈরী করা হয় নাই। আদমকে সৃষ্টি করার পর বেহেশতে তার কোন সেবক-সেবিকার অভাব ছিল না, অভাব ছিল একজন সঙ্গির। যে তার একাকিত্বের জীবনে বেহেশতের নয়নাভিরাম পরিবেশে সুখের সাথী হবে। সৃষ্টিকর্তা আদমের সঙ্গি হিসেবে সাথী হিসেবে হাওয়াকে সৃষ্টি করলেন। এই হাওয়া দুনিয়াতে আদমের সুখ-দুঃখ উভয়েরই সাথী হল। তাই নারী হলো পুরুষের জীবন সঙ্গী সেবাদাস নন। কিন্তু আমরা আমাদের প্রয়োজনে কেউ ধর্মের দোহাই দিয়ে কেউ ব্যবসার দোহাই দিয়ে, কেউ স্বাধীনতা দেয়ার নামে নারীকে ভোগ্য পণ্য হিসেবে উপস্থাপন করছি। ভোগ্য পণ্য হিসেবে ব্যবহার করছি। কেউ আমরা নারীকে আলো-বাতাস বঞ্চিত করে চার দেয়ালের মাঝে বন্ধি করে নির্যাতন করছি আর কেউ নারী স্বাধীনতার নামে নারীকে বাইরে বের করে উলঙ্গ করে খুবলে খুবলে নির্যাতন করছি। সবই পুরুষের স্বার্থে পুরুষরাই করছে। এখানে অন্য কারো দোষ দেয়া অন্যায়।