মশাদের গান আর ফ্যানের গরম বাতাস
রাত তখন ১২ টা, ফেসবুক থেকে বের হলাম।
ঘুমও পাচ্ছে অনেক। পড়ার চেয়ার থেকে উঠলাম, ঘুমানোর জন্য বিছানাটা ঝেড়ে ফেললাম।
বেলকুনি'র দিকের দরজাটা খোলা ছিলো। কারণ এই সময়টা তে যা গরম পরেছে। ইলেক্ট্রনিক ফ্যানের বাতাসও গরম অনুভূত হচ্ছে।
গরমের সাথে সাথে মশাদের উৎপাতও কম নয়।
চেয়ারে বসে থাকা অবস্থায় মশারা আমার সাথে খেলা /গান করলেও সে ভাবে বুঝে উঠতে পারি নি,কারণ ফেসবুকে মেসেজিং এ অনেকটা ব্যস্ত ছিলাম।
সময় না কাটলে, ফেসবুক চালালে সময় কোন পাশ দিয়ে কেটে যায় বুঝা বড় কঠিন। তাই আমার মতে মনে হয় ফেসবুক অলসদের সময় পার করানোর খেলনা।
আমি যে রুমে থাকি,তা তিন জনের থাকার রুম।বাকী দুই জন আমার সমবয়সী, এক জন তানফি সে আইন বিভাগে পড়াশুনা করে, রনি সে পাবলিক এডমিনিস্ট্রেশন বিভাগে।
মশার উৎপাতের হাত থেকে রেহায় পাওয়ার জন্য দু জনই মশারি কিনে ফেলেছে।
বাড়ি থেকে আমাকে ঠিকি টাকা পাঠায় কিন্তু কোন দিক দিয়ে খরচ হয়ে যায় আমি নিজেও অনেক সময় হিসাব কষে মিলাতে পারি না।
মাথার উপরে ঘুরছে পাখা,দিচ্ছে গরম বাতাস অন্য দিকে মশাদে'র ভয়ানক কন্ঠের গান,ঘুম আমার আজকে'র মত হারাম হয়ে গেলো।
চোখের পাতা দুটো'কে কোন ভাবেই মিলাতে পারছিনা।।
তবুও অনেক কষ্টে শুয়ে আছি।কয়েল জ্বালানো নিষেদ তানফির আবার কয়েলের ধোয়ার গন্ধ সয়তে পারে না।
ঘুমতো একদম চোখের পাতায় নাই।অনেক কষ্টে চোখে'র পাতা মিলালাম।
আর এই মশা'র গান আর ফ্যানের গা গরম করা বাতাস,আমার চিন্তা শক্তিকে প্রখর করে তুলছে।।
আমি চিন্তা করতে লাগালাম, যাদের ঘরে ফ্যান নেই এই গরমে তারা কিভাবে আছে? মেনে নিলাম হাত পাখার বাতাসে গা'কে শীতল করে।আমার মনে পড়ে আমি যখন ছোট ছিলাম আমাদের গ্রামে কোন বিদ্যুৎ ছিলো না।হাত পাখার বাতাসে গা খানি শীতল করতে হতো।অনেক কষ্ট হতো, গরমের জ্বালায়। ঘর থেকে বাহিরে পাটিপত্র বিছিয়ে শুয়ে পড়তাম।
বাহিরে শুইলে আবার কয়েল ধরেতে লাগতো না হলে এক মুহূর্ত থাকা যেতো না।
কিন্তু যাদের নুন আনতে পান্তা ফুরায় যায় তারা কিভাবে কয়েল কেনার পয়সা পায়?
আমার মনে হয় তাদের এই রকম একটা করে রাত এক মাস কিংবা এক বছর মনে হয়।
একটি রাত তারা ভালো করে, শান্তিতে ঘুমাতে পারে না।।
এই লোকেরাও রক্তে মাংসে গড়া সুতরাং তাদেরও একটি সুস্থ মন আছে কষ্ট তাদের মনেও অনুভূত হয়।।
যাদের মশারি কেনার সামর্থ নাই তাদের মশারি কিনে দেই,যাদের কয়েল কেনার টাকা নাই,তাদের কয়েল কিনে দেই।।।
মানুষ নামের বড় পরিচয়ঃ_আমরা একে অপরের জন্য,পৃথিবীতে আমারা হলাম সুস্থ মস্তিষ্কের অধিকারী, অসময়ে একে অপরের পাশে দাঁড়ানো আমদের কর্তব্য।।
নতুন বাজার,সদর,গোপালগঞ্জ
২৮ মে ২০১৮
রাত ০১.০০টা
https://m.facebook.com/story.php?story_fbid=385044478570902&id=100011960596905
ঘুমও পাচ্ছে অনেক। পড়ার চেয়ার থেকে উঠলাম, ঘুমানোর জন্য বিছানাটা ঝেড়ে ফেললাম।
বেলকুনি'র দিকের দরজাটা খোলা ছিলো। কারণ এই সময়টা তে যা গরম পরেছে। ইলেক্ট্রনিক ফ্যানের বাতাসও গরম অনুভূত হচ্ছে।
গরমের সাথে সাথে মশাদের উৎপাতও কম নয়।
চেয়ারে বসে থাকা অবস্থায় মশারা আমার সাথে খেলা /গান করলেও সে ভাবে বুঝে উঠতে পারি নি,কারণ ফেসবুকে মেসেজিং এ অনেকটা ব্যস্ত ছিলাম।
সময় না কাটলে, ফেসবুক চালালে সময় কোন পাশ দিয়ে কেটে যায় বুঝা বড় কঠিন। তাই আমার মতে মনে হয় ফেসবুক অলসদের সময় পার করানোর খেলনা।
আমি যে রুমে থাকি,তা তিন জনের থাকার রুম।বাকী দুই জন আমার সমবয়সী, এক জন তানফি সে আইন বিভাগে পড়াশুনা করে, রনি সে পাবলিক এডমিনিস্ট্রেশন বিভাগে।
মশার উৎপাতের হাত থেকে রেহায় পাওয়ার জন্য দু জনই মশারি কিনে ফেলেছে।
বাড়ি থেকে আমাকে ঠিকি টাকা পাঠায় কিন্তু কোন দিক দিয়ে খরচ হয়ে যায় আমি নিজেও অনেক সময় হিসাব কষে মিলাতে পারি না।
মাথার উপরে ঘুরছে পাখা,দিচ্ছে গরম বাতাস অন্য দিকে মশাদে'র ভয়ানক কন্ঠের গান,ঘুম আমার আজকে'র মত হারাম হয়ে গেলো।
চোখের পাতা দুটো'কে কোন ভাবেই মিলাতে পারছিনা।।
তবুও অনেক কষ্টে শুয়ে আছি।কয়েল জ্বালানো নিষেদ তানফির আবার কয়েলের ধোয়ার গন্ধ সয়তে পারে না।
ঘুমতো একদম চোখের পাতায় নাই।অনেক কষ্টে চোখে'র পাতা মিলালাম।
আর এই মশা'র গান আর ফ্যানের গা গরম করা বাতাস,আমার চিন্তা শক্তিকে প্রখর করে তুলছে।।
আমি চিন্তা করতে লাগালাম, যাদের ঘরে ফ্যান নেই এই গরমে তারা কিভাবে আছে? মেনে নিলাম হাত পাখার বাতাসে গা'কে শীতল করে।আমার মনে পড়ে আমি যখন ছোট ছিলাম আমাদের গ্রামে কোন বিদ্যুৎ ছিলো না।হাত পাখার বাতাসে গা খানি শীতল করতে হতো।অনেক কষ্ট হতো, গরমের জ্বালায়। ঘর থেকে বাহিরে পাটিপত্র বিছিয়ে শুয়ে পড়তাম।
বাহিরে শুইলে আবার কয়েল ধরেতে লাগতো না হলে এক মুহূর্ত থাকা যেতো না।
কিন্তু যাদের নুন আনতে পান্তা ফুরায় যায় তারা কিভাবে কয়েল কেনার পয়সা পায়?
আমার মনে হয় তাদের এই রকম একটা করে রাত এক মাস কিংবা এক বছর মনে হয়।
একটি রাত তারা ভালো করে, শান্তিতে ঘুমাতে পারে না।।
এই লোকেরাও রক্তে মাংসে গড়া সুতরাং তাদেরও একটি সুস্থ মন আছে কষ্ট তাদের মনেও অনুভূত হয়।।
যাদের মশারি কেনার সামর্থ নাই তাদের মশারি কিনে দেই,যাদের কয়েল কেনার টাকা নাই,তাদের কয়েল কিনে দেই।।।
মানুষ নামের বড় পরিচয়ঃ_আমরা একে অপরের জন্য,পৃথিবীতে আমারা হলাম সুস্থ মস্তিষ্কের অধিকারী, অসময়ে একে অপরের পাশে দাঁড়ানো আমদের কর্তব্য।।
নতুন বাজার,সদর,গোপালগঞ্জ
২৮ মে ২০১৮
রাত ০১.০০টা
https://m.facebook.com/story.php?story_fbid=385044478570902&id=100011960596905
মন্তব্য যোগ করুন
এই লেখার উপর আপনার মন্তব্য জানাতে নিচের ফরমটি ব্যবহার করুন।
মন্তব্যসমূহ
-
পবিত্র চক্রবর্তী ৩০/০৫/২০১৮সুন্দর
-
সাইয়িদ রফিকুল হক ২৮/০৫/২০১৮সমাজ সচেতনামূলক!