www.tarunyo.com

সাম্প্রতিক মন্তব্যসমূহ

গোধূলির অন্তিমে

মহাকালের অনন্ত গ্রন্থি হতে ধেয়ে আসা অতীত যখন
সাক্ষ্য দেয় বিপ্লব, প্রেম, আড্ডা কিংবা
রংচটা সেই গীটারের সুর ঝংকার,
এক অস্ফুট ক্ষীণ বিষাদের ছায়া ঢেকে দেয়-
রৌদ্রকরোজ্বল সজীব বোধন।

নীল বিষের জলাঙ্গি হয়ে প্রতিটি মুহূর্ত তার
স্বার্থপর থাবায় আহত করছে হৃদয়,
পুরাতন অতিথির মতো দুঃখ এসে করা নারে জীবনের দারে-
ফুলেল সৌরভ ভরা সেই রডডেন্ড্রনগুচ্ছ কেবল
শুঁকনো হাহাকারের ঝাঁঝালো রূপ আজ।

যখন চৈতালি বিকেলের অন্তিমে অস্তগামী সূর্য
গোধূলিকে জাগিয়ে তুলত এক অপরূপ মোহময় আবেশে,
দিবসের শত ক্লান্তি যখন ওই ভ্রমরকৃষ্ণ কেশের ছোঁয়ায়
কর্পূরের মতো উড়ে গিয়ে উষ্ণ ভবিষ্যতের রূপোলী আভায়
স্বপ্নে স্পশিত হতো দুটি হাত, অমোঘ রাত্রি তখন
কল্পনারও অতীত- ছিল সুখের আচ্ছাদন।

আজ এই সুরে রুদ্ধতার শৃঙ্খল,
আজ এই বক্ষে যন্ত্রণার কালো ক্ষত-
আজ সেই গোধূলি বেলা ফেলে আসা নিথর অতীত।
সত্ত্বা জুড়ে যার বিচরণ, যার বুকে ছিল বসুধার আশ্রয়-
যার অশ্রুতে এই হৃদয়ে বেদনার ঊর্মিলহর-
আজ কেবল সে বর্ণহীন স্মৃতির ধুম্রজালে
মলিন গল্পকন্যা।

সপ্তবর্ণে যদি কখনো এসে ছুঁয়ে দেখো এই রিক্ত বক্ষতল,
অনুভব করবে মধ্যানহের কালতুল্য সূর্যের উত্তাপজ্বালা,
জানি, হয়তো মনে হবে - এ কোনো সস্তা প্রেমের উশৃঙ্খল বিলাপ
কিংবা উম্মাদ বসন্তে স্বপ্ন ভঙ্গের ঈর্ষা।

তবু বলছি শোনো-
যখন কণ্ঠে ছিল সাম্যের উত্তাল সুর,
যখন হস্ত মুস্থি ঊর্ধ্বমুখী আওভানে অধিকারের শ্লোগানে মুখর
যখন সময়ের অলংকার ছিল মিছিল, প্ল্যাকার্ড আর গণসংগীতের
উত্তাল মূর্ছনা। তোমায় উপমা করে হাজারো কবিতা
তখনো জমে ছিল ডায়রির পাতায়,
ভালোবাসা তখনো সুর তুলত সেই রংচটা গীটারে
ক্ষীণ ডাকতো- গোধূলি...
বিষয়শ্রেণী: কবিতা
ব্লগটি ৫৭১ বার পঠিত হয়েছে।
প্রকাশের তারিখ: ২৫/০৯/২০১৪

মন্তব্য যোগ করুন

এই লেখার উপর আপনার মন্তব্য জানাতে নিচের ফরমটি ব্যবহার করুন।

Use the following form to leave your comment on this post.

মন্তব্যসমূহ

  • মাসুম মুনাওয়ার ২৬/০৯/২০১৪
    মুগ্ধ
  • অনেক ভাল লাগলো ।
  • মোহাম্মদ তারেক ২৫/০৯/২০১৪
    ভাল লেগেছে অনেক......
 
Quantcast