রাজনীতির র ১ম পর্ব
১.
আমেরিকা একটা ইসলামী দেশ। সেখানে নারী নেতৃত্ব হারাম। সমালোচকরা না বুঝে তাদের সমালোচনা করে। কমলা আর হিলারি পাশ করলে মৌলবাদী আমেরিকার ইমান নিয়েও প্রশ্ন উঠতো। এখন দুই কূলই রক্ষা পেল।
নোট: ট্রাম্প জিতলেও ডেমোক্র্যাটদের জনপ্রিয়তা নিয়ে কোনো প্রশ্ন নেই। তারপরও কমলা হেরেছে, নারী হওয়াতেই। যে যেভাবেই ব্যাখ্যা করুক।
২.
মধ্যবিত্তের দল জামায়াতকে বার্তা দিতে একটি অরাজনৈতিক ইসলামী সংগঠন ঢাকার প্রাণকেন্দ্রে সমাবেশ করেছে। জামায়াতই যে রাষ্ট্রে প্রভাব সৃষ্টিকারী একমাত্র দল নয় সেটাও প্রমাণ হল; তারা চাইলে যেকোন সরকারকে নাড়া দিয়ে বে অব বেঙ্গলে ডুবাইতে পারে। সেন শাসন এবং শেখ শাসন তার উদাহরণ। এই সমাবেশের একটা মেসেজ ছিল আমেরিকায় নারী নেতৃত্ব মেনে নেওয়া হবে না। সেটাই ঘটেছে। পাওয়ার অব পলিটিক্স।
নোট: জামায়াতের বর্তমান অবস্থা ইসলামকে কিভাবে মধ্যপন্থা হিসেবে ব্যবহার করা যায়। ক্ষমতায় গেলে জামায়াত স্টাইল মিশরে বেশিদিন টিকতে পারেনি। ব্রাদারহুদের মুরসিকে ফাঁসিতে ঝোলানো হয়েছে। এরকম উদাহরণ যাদের আছে তারা সবাইকে নিয়ে রাজনীতির নতুন ফর্মুলা আবিষ্কার করতে চাইবে। এজন্য তাদের দরকার মধ্যবিত্তের কাছে যাওয়া। বিএনপি সেটা হতে দিলে জামায়াত ইসলামী হবে বাংলাদেশের রাজনীতিতে মধ্যবিত্তের আকর্ষণ। উচ্চবিত্তকে আরও উঁচু করা আর নিম্নবিত্তকে নিচু করার রাজনীতি করে আওয়ামীলিগ ও বিএনপি। নিম্নবিত্তকে আশা জাগিয়ে ভোট ব্যাংক বাড়ানো যায়। জামায়াত যদি মধ্যবিত্তকে নিজেদের দলে ভিড়িয়ে নিতে পারে তাহলে বড় দুইটা দলেরই ক্ষতি। মধ্যবিত্ত শ্রেণী একটু ভালো সময় হইলে উচ্চবিত্তের মতো লাইফ লিড করে, খারাপ গেলে নিম্নবিত্ত সাজে। এরা রাজনীতির অনেক কিছুই পরিবর্তন করে দিতে পারে। এরকম জায়গায় হেফাজতকে আওয়ামীলিগ ব্যবহার করেছে; এখন বিএনপি করবে।
৩.
ট্রাম্প জয় পাওয়াতে বাংলাদেশে সংখ্যালঘু নির্যাতনের ঘটনা সংঘটিত হবে না। এইটা একটা ভালো দিক। ইসলামী দলগুলোর আর মন্দির পাহারা দেওয়া লাগবে না।
নোট: তিন নম্বরে মার্কিন নির্বাচন আর বাংলাদেশের লঘুদের রাখছি মকারি হিসেবে। সংখ্যালঘু ইস্যু হইলো ভোট পাইতে ছাগলের তিন নম্বর বাচ্চার ব্যবহার করা। সংখ্যালঘু নিয়ে ট্রাম্পের বক্তব্য ভারতীয় বংশোদ্ভূত আমেরিকান ভোটকে ভাগ করে ফেলেছে। সংখ্যায় কম হলেও আলাদা হয়েছে। যার কারণে কমলার প্রায় নিশ্চিত আসনও ছুটে গেছে। এই বক্তব্য ট্রাম্পকে নির্বাচনী বৈতরণী পার করলেও বাংলাদেশে সংখ্যালঘুদের নিরাপত্তাকে হুমকিতে ফেলেছে। আদতে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের পররাষ্ট্র দপ্তরের এই বিষয়ে কোনো আগ্রহ নেই। আবার পাহারা বসানো লাগে কিনা সেইটা বিষয় হয়ে দাঁড়াবে। এজেন্সিগুলো তৎপর হবে।
৪.
আওয়ামী মুসলিম লীগ কী চট করে ঢুকবে, নাকি জুলাই হত্যার জন্য ক্ষমা চেয়ে রাজনীতি শুরু করবে অথবা আওয়ামী কথাটা বাদ দিয়ে হেফাজতের সাহায্য নিয়ে মুসলিম লীগ আবার পুনরুদ্ধার করবে। জামায়াতের উত্থান ঠেকাতে এটা কাজে দেবে। শেখ মুজিবের শাসনের সময় আওয়ামীলিগ নিষিদ্ধ করে বাকশাল কায়েম করা হইছিল। শেখ সাহেবের সিদ্ধান্ত ভুল হইতে পারে না; তিনি বুঝেই আওয়ামীলিগের কার্যক্রম বন্ধ করছিল। ইউনূস সাহেবও গণশক্তি একই কারণে বন্ধ করছে। আখতার সাহেবও ছাত্রশক্তি একই কারণে বন্ধ করছে। রাজনীতিতে এইটারে বলে প্রাজ্ঞতা।
নোট: এইটার নোট এইটা নিজেই
— কামরুজ্জামান সাদ
আমেরিকা একটা ইসলামী দেশ। সেখানে নারী নেতৃত্ব হারাম। সমালোচকরা না বুঝে তাদের সমালোচনা করে। কমলা আর হিলারি পাশ করলে মৌলবাদী আমেরিকার ইমান নিয়েও প্রশ্ন উঠতো। এখন দুই কূলই রক্ষা পেল।
নোট: ট্রাম্প জিতলেও ডেমোক্র্যাটদের জনপ্রিয়তা নিয়ে কোনো প্রশ্ন নেই। তারপরও কমলা হেরেছে, নারী হওয়াতেই। যে যেভাবেই ব্যাখ্যা করুক।
২.
মধ্যবিত্তের দল জামায়াতকে বার্তা দিতে একটি অরাজনৈতিক ইসলামী সংগঠন ঢাকার প্রাণকেন্দ্রে সমাবেশ করেছে। জামায়াতই যে রাষ্ট্রে প্রভাব সৃষ্টিকারী একমাত্র দল নয় সেটাও প্রমাণ হল; তারা চাইলে যেকোন সরকারকে নাড়া দিয়ে বে অব বেঙ্গলে ডুবাইতে পারে। সেন শাসন এবং শেখ শাসন তার উদাহরণ। এই সমাবেশের একটা মেসেজ ছিল আমেরিকায় নারী নেতৃত্ব মেনে নেওয়া হবে না। সেটাই ঘটেছে। পাওয়ার অব পলিটিক্স।
নোট: জামায়াতের বর্তমান অবস্থা ইসলামকে কিভাবে মধ্যপন্থা হিসেবে ব্যবহার করা যায়। ক্ষমতায় গেলে জামায়াত স্টাইল মিশরে বেশিদিন টিকতে পারেনি। ব্রাদারহুদের মুরসিকে ফাঁসিতে ঝোলানো হয়েছে। এরকম উদাহরণ যাদের আছে তারা সবাইকে নিয়ে রাজনীতির নতুন ফর্মুলা আবিষ্কার করতে চাইবে। এজন্য তাদের দরকার মধ্যবিত্তের কাছে যাওয়া। বিএনপি সেটা হতে দিলে জামায়াত ইসলামী হবে বাংলাদেশের রাজনীতিতে মধ্যবিত্তের আকর্ষণ। উচ্চবিত্তকে আরও উঁচু করা আর নিম্নবিত্তকে নিচু করার রাজনীতি করে আওয়ামীলিগ ও বিএনপি। নিম্নবিত্তকে আশা জাগিয়ে ভোট ব্যাংক বাড়ানো যায়। জামায়াত যদি মধ্যবিত্তকে নিজেদের দলে ভিড়িয়ে নিতে পারে তাহলে বড় দুইটা দলেরই ক্ষতি। মধ্যবিত্ত শ্রেণী একটু ভালো সময় হইলে উচ্চবিত্তের মতো লাইফ লিড করে, খারাপ গেলে নিম্নবিত্ত সাজে। এরা রাজনীতির অনেক কিছুই পরিবর্তন করে দিতে পারে। এরকম জায়গায় হেফাজতকে আওয়ামীলিগ ব্যবহার করেছে; এখন বিএনপি করবে।
৩.
ট্রাম্প জয় পাওয়াতে বাংলাদেশে সংখ্যালঘু নির্যাতনের ঘটনা সংঘটিত হবে না। এইটা একটা ভালো দিক। ইসলামী দলগুলোর আর মন্দির পাহারা দেওয়া লাগবে না।
নোট: তিন নম্বরে মার্কিন নির্বাচন আর বাংলাদেশের লঘুদের রাখছি মকারি হিসেবে। সংখ্যালঘু ইস্যু হইলো ভোট পাইতে ছাগলের তিন নম্বর বাচ্চার ব্যবহার করা। সংখ্যালঘু নিয়ে ট্রাম্পের বক্তব্য ভারতীয় বংশোদ্ভূত আমেরিকান ভোটকে ভাগ করে ফেলেছে। সংখ্যায় কম হলেও আলাদা হয়েছে। যার কারণে কমলার প্রায় নিশ্চিত আসনও ছুটে গেছে। এই বক্তব্য ট্রাম্পকে নির্বাচনী বৈতরণী পার করলেও বাংলাদেশে সংখ্যালঘুদের নিরাপত্তাকে হুমকিতে ফেলেছে। আদতে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের পররাষ্ট্র দপ্তরের এই বিষয়ে কোনো আগ্রহ নেই। আবার পাহারা বসানো লাগে কিনা সেইটা বিষয় হয়ে দাঁড়াবে। এজেন্সিগুলো তৎপর হবে।
৪.
আওয়ামী মুসলিম লীগ কী চট করে ঢুকবে, নাকি জুলাই হত্যার জন্য ক্ষমা চেয়ে রাজনীতি শুরু করবে অথবা আওয়ামী কথাটা বাদ দিয়ে হেফাজতের সাহায্য নিয়ে মুসলিম লীগ আবার পুনরুদ্ধার করবে। জামায়াতের উত্থান ঠেকাতে এটা কাজে দেবে। শেখ মুজিবের শাসনের সময় আওয়ামীলিগ নিষিদ্ধ করে বাকশাল কায়েম করা হইছিল। শেখ সাহেবের সিদ্ধান্ত ভুল হইতে পারে না; তিনি বুঝেই আওয়ামীলিগের কার্যক্রম বন্ধ করছিল। ইউনূস সাহেবও গণশক্তি একই কারণে বন্ধ করছে। আখতার সাহেবও ছাত্রশক্তি একই কারণে বন্ধ করছে। রাজনীতিতে এইটারে বলে প্রাজ্ঞতা।
নোট: এইটার নোট এইটা নিজেই
— কামরুজ্জামান সাদ
মন্তব্য যোগ করুন
এই লেখার উপর আপনার মন্তব্য জানাতে নিচের ফরমটি ব্যবহার করুন।
মন্তব্যসমূহ
-
শঙ্খজিৎ ভট্টাচার্য ০৭/১১/২০২৪অনবদ্য