সাঁওতাল মেয়ে থেকে সুন্দরী রমণী হয়েছে রাজশাহী
এই কথাটির চাইতে বর্ণবাদী, জাতিবিদ্বেষী, নারীবিদ্বেষী কথা আমি আর পড়ি নাই এবং শুনি নাই।এমন বক্তব্যের কাছে মঈনুল হোসেনের কথা নগন্য।'সাঁওতাল মেয়ে থেকে সুন্দরী রমণী হয়েছে 'রাজশাহী'' এমন একটি কথা যে একটা সম্প্রদায়ের কাছে কতটা অপমানজনক সেটা অকল্পনীয়।উপমহাদেশের জনপ্রিয় কথা সাহিত্যিক হাসান হাফিজুল হক সাহেব এই কথাটি বলেছেন।আমি চিন্তাও করতে পারছি না।ফিলসফির শিক্ষক, একজন বয়োঃজ্যোষ্ঠ সাহিত্যিকের কাছে 'সৌন্দর্য'র ধারণা এমন নাকি!! সাঁওতালদের প্রতি তার দৃষ্টিভঙ্গিই বা কেমন? সাঁওতাল সম্প্রদায়কে এত হীন ভাবা উচিত কতটুকু সেটা তিনিই ভাল জানেন ও বোঝেন।সাঁওতাল মেয়েরা কবে অসুন্দর ছিলো এই প্রশ্নটা লেখকের কাছে অবশ্যই থাকবে।কিসের ভিত্তিতে হক সাহেব সাঁওতাল মেয়েদেরকে অসুন্দর ভাবলো সেই মানদণ্ডটি একটু জানা প্রয়োজন।মাসুদা ভাট্টির জন্য নারীবাদীরা বিবৃত্তি দেয় কারণ সমাজে ভাট্টিজীর আলাদা স্থান আছে।তবে সাঁওতাল মেয়েরা যে চির অবহেলিত সেটা আর বলে দিতে হয় না।নারীবাদীরা এটা নিয়ে কিছু বলবে না কারণ এতে করে মজবুত শিরোনাম হওয়া যায় না।মানুষের মনোজগতের অনেকখানি রিফ্লেকশন আসে তার ব্যবহৃত উপমায়, এনালজিতে।যদি বয়সজনিত অসতর্কতায় তিনি এই ধরণের মন্তব্য করে থাকেন, তাও লজ্জিত হওয়া উচিত।'লজ্জা কি আছে কারো'।আহারে!‘আমরা যে কবে থেকে এতোটা সাম্প্রদায়িকতার বিষবাক্য ছড়াতে শিখেছি জানতেও পারিনি, পেরেছি কি?’
মন্তব্য যোগ করুন
এই লেখার উপর আপনার মন্তব্য জানাতে নিচের ফরমটি ব্যবহার করুন।
মন্তব্যসমূহ
-
মোঃ নূর ইমাম শেখ বাবু ০৬/১১/২০১৮বেশ