প্রিয় রোদসী
প্রিয় রোদসী,
কেমন আছ?তোমাকে খুব দেখতে ইচ্ছে করছে।তোমাকে যে রোদসী বলি এটা কি জানো?তোমাকে কখনো বিকেলের আসন্ন আলোয় দেখা হয়নি।এর আগে যতবার দেখেছি ওই কড়া রোদ্দুরেই।পুরনো সুর পুরনো সময় কেটে গেছে শেষ শব্দ পর্যন্ত।অথচ তোমাকেও তো কত কথা বলার ছিল।কত পদচিহ্ন ছিল সঙ্গে নেয়ার মত।জানো তো শহুরে জীবন বড় নির্জনতার।শহর যত বড় ততটাই বড় নির্জনতা।আমার গ্রামের গল্পটা তো বলাই হয়নি কখনো।মেঠো পথ ধরে কিছুটা এগিয়ে গেলেই বিশাল এক তালগাছ।তাতে সাতটা বাবুই পাখির বাসা।বিকেলে হাঁটতে বেরিয়ে ওদের কিচিরমিচির শোনা যায়।আর যখন রাত্রি নামে তখন জোছনাটা সবচেয়ে সুন্দর দেখা যায় আমাদের উঠান থেকে।আমার উঠানের নাম জোছনাবিলাসী উঠান।এখানে আমি তাঁরা গোণার খেলা করতাম।ঠিক মাঝরাতে কোন তারাটা কোথায় ওঠে কখন ওঠে এগুলো চোখ বন্ধ করে বলা যেত।আমার শৈশব এবং যৌবন কাটানোর ইচ্ছা ছিল গ্রামেই।ব্র্যাকের যে প্রতিষ্ঠানটাতে পড়তাম সেটাতে পড়াতেন হিরা আপা।চমৎকার গানের গলা ছিল।মাঝে মাঝে এখনো তার সাথে দেখা হয় তবে সেটা কুশল বিনিময়েই সমাপ্ত।বাবুল নামের যে ছেলেটা আড়াইশত নম্বরের মধ্যে দুইশত উনপঞ্চাশ পেয়েছিলো।বাবুল বিয়ে করেছে।শুনেছি এবছরই বাবা হয়েছে।রাজনের কথাটা তো বলাই হলো না ওর গানগুলো হৃদয় ছুঁয়ে যেত।এখন মালয়েশিয়াতে থিতু হয়েছে।স্বজন সংঘের কার্যক্রম নেই বললেই চলে,অথচ এখানে কত স্বপ্নই রচনা করতাম আমরা।
এসব গল্প তোমাকে বলা হয়নি।আসন্ন বিকেলে বলব বলে সাজিয়ে রেখেছি।আমার লাল মুরগির কথাটাই ধরো,কি এক ঝিমুনী রোগে মরে গেলো।সারাটাদিন কি কান্নাটাই না করেছিলাম! অথবা হিন্দুপাড়ায় বৈশাখে যে মেলাটা বসে সেখান থেকে কেনা মাটির ব্যাংকটা রাস্তাতে ভেঙে গেল টাকা জমানোর আগেই।এই টাকা জমিয়ে লাখপতি হওয়ার কি অদম্য ইচ্ছাটাই না ছিলো।আমাদের অংক স্যারের কথাটাই বলি শোনো।ছুটির ঘন্টা বাঁজলেই আমি আর সোহেল ওহাব স্যারের কাছে অংক করতে বসতাম।কি সহজ নিয়মেই না অংক করাতেন।এসব কথা কি শুনবে তুমি?যদি শুনতে চাও তাহলে একটা আসন্ন বিকেল আমার নামে লিখে দিও।আরও কত কি যে বলব তার ইয়াত্তা নেই।স্কুলের সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানে কবিতা আবৃত্তিতে পুরষ্কার পাওয়ার গল্প,খেলার মাঠের গল্প হাবিজাবি সবই বলব তোমাকে।নিজের যত্ন নিয়ো।ভাল থেকো।দেখা হলেই বাকিটা বলব।
ইতি,
কামরুল।
(আমার চিঠি//কামরুজ্জামান সাদ)
কেমন আছ?তোমাকে খুব দেখতে ইচ্ছে করছে।তোমাকে যে রোদসী বলি এটা কি জানো?তোমাকে কখনো বিকেলের আসন্ন আলোয় দেখা হয়নি।এর আগে যতবার দেখেছি ওই কড়া রোদ্দুরেই।পুরনো সুর পুরনো সময় কেটে গেছে শেষ শব্দ পর্যন্ত।অথচ তোমাকেও তো কত কথা বলার ছিল।কত পদচিহ্ন ছিল সঙ্গে নেয়ার মত।জানো তো শহুরে জীবন বড় নির্জনতার।শহর যত বড় ততটাই বড় নির্জনতা।আমার গ্রামের গল্পটা তো বলাই হয়নি কখনো।মেঠো পথ ধরে কিছুটা এগিয়ে গেলেই বিশাল এক তালগাছ।তাতে সাতটা বাবুই পাখির বাসা।বিকেলে হাঁটতে বেরিয়ে ওদের কিচিরমিচির শোনা যায়।আর যখন রাত্রি নামে তখন জোছনাটা সবচেয়ে সুন্দর দেখা যায় আমাদের উঠান থেকে।আমার উঠানের নাম জোছনাবিলাসী উঠান।এখানে আমি তাঁরা গোণার খেলা করতাম।ঠিক মাঝরাতে কোন তারাটা কোথায় ওঠে কখন ওঠে এগুলো চোখ বন্ধ করে বলা যেত।আমার শৈশব এবং যৌবন কাটানোর ইচ্ছা ছিল গ্রামেই।ব্র্যাকের যে প্রতিষ্ঠানটাতে পড়তাম সেটাতে পড়াতেন হিরা আপা।চমৎকার গানের গলা ছিল।মাঝে মাঝে এখনো তার সাথে দেখা হয় তবে সেটা কুশল বিনিময়েই সমাপ্ত।বাবুল নামের যে ছেলেটা আড়াইশত নম্বরের মধ্যে দুইশত উনপঞ্চাশ পেয়েছিলো।বাবুল বিয়ে করেছে।শুনেছি এবছরই বাবা হয়েছে।রাজনের কথাটা তো বলাই হলো না ওর গানগুলো হৃদয় ছুঁয়ে যেত।এখন মালয়েশিয়াতে থিতু হয়েছে।স্বজন সংঘের কার্যক্রম নেই বললেই চলে,অথচ এখানে কত স্বপ্নই রচনা করতাম আমরা।
এসব গল্প তোমাকে বলা হয়নি।আসন্ন বিকেলে বলব বলে সাজিয়ে রেখেছি।আমার লাল মুরগির কথাটাই ধরো,কি এক ঝিমুনী রোগে মরে গেলো।সারাটাদিন কি কান্নাটাই না করেছিলাম! অথবা হিন্দুপাড়ায় বৈশাখে যে মেলাটা বসে সেখান থেকে কেনা মাটির ব্যাংকটা রাস্তাতে ভেঙে গেল টাকা জমানোর আগেই।এই টাকা জমিয়ে লাখপতি হওয়ার কি অদম্য ইচ্ছাটাই না ছিলো।আমাদের অংক স্যারের কথাটাই বলি শোনো।ছুটির ঘন্টা বাঁজলেই আমি আর সোহেল ওহাব স্যারের কাছে অংক করতে বসতাম।কি সহজ নিয়মেই না অংক করাতেন।এসব কথা কি শুনবে তুমি?যদি শুনতে চাও তাহলে একটা আসন্ন বিকেল আমার নামে লিখে দিও।আরও কত কি যে বলব তার ইয়াত্তা নেই।স্কুলের সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানে কবিতা আবৃত্তিতে পুরষ্কার পাওয়ার গল্প,খেলার মাঠের গল্প হাবিজাবি সবই বলব তোমাকে।নিজের যত্ন নিয়ো।ভাল থেকো।দেখা হলেই বাকিটা বলব।
ইতি,
কামরুল।
(আমার চিঠি//কামরুজ্জামান সাদ)
মন্তব্য যোগ করুন
এই লেখার উপর আপনার মন্তব্য জানাতে নিচের ফরমটি ব্যবহার করুন।
মন্তব্যসমূহ
-
নাজরিন নাহার (রিয়া) ১৪/১১/২০১৮অসাধারন!
-
মোঃ আব্দুর রব ০৪/১০/২০১৮Onak valo
-
অরন্য রানা ০২/১০/২০১৮চিঠি পড়তে ও লিখতে দুটোই ভাল লাগে
তবে আর চিঠি আসেনা সেই কবে থেকে হয়তো ভুলেই
গেছে সে। -
মোঃ ইমরান হোসেন (ইমু) ০২/১০/২০১৮দারুণ!!!!