জনতার শক্তি ও নেতৃত্বের পুনর্জন্ম
জনতার শক্তি ও নেতৃত্বের পুনর্জন্ম
জনগণের ইচ্ছাই প্রকৃত ক্ষমতার উৎস—এ ধারণা শুধু একটি স্লোগান নয়, বরং এটি এক অনিবার্য ঐতিহাসিক সত্য। যুগে যুগে রাষ্ট্র ও সমাজের গঠনপ্রক্রিয়ায় জনগণের আকাঙ্ক্ষাই নেতৃত্বের প্রকৃত মানদণ্ড নির্ধারণ করেছে। যে ব্যক্তি জনতার প্রতিনিধি হয়ে ওঠেন, তিনি কেবল কোনো দলের মুখপাত্র নন; তিনি হয়ে ওঠেন জনতার আশা-আকাঙ্ক্ষার প্রতিচ্ছবি, সংগ্রামের প্রতীক। নাহিদ ইসলামের পুনরাগমন সেই গণতান্ত্রিক সত্যের পুনরাবৃত্তি, যেখানে ব্যক্তি নয়, বরং জনগণের ইচ্ছাই সর্বোচ্চ বিচারক।
অতীতে বাংলার রাজপথের ওপর দিয়ে হেঁটেছেন অনেক মহানায়ক—তাদের মধ্যে কেউ স্বাধীনতার ভিত্তি রচনা করেছেন, কেউ সমাজতান্ত্রিক ভাবধারা প্রতিষ্ঠার চেষ্টা করেছেন, কেউ আপসহীনভাবে গণতন্ত্রের জন্য লড়াই করেছেন। সোহরাওয়ার্দী, শেরে বাংলা, মওলানা ভাসানী, শেখ মুজিব, জিয়াউর রহমান, খালেদা জিয়া—তাঁরা সকলেই কোনো না কোনো সময় জনগণের প্রতিনিধি হয়ে রাজপথে নেমেছিলেন। আজ সেই পথ আবার একজন নতুন অভিযাত্রীর জন্য প্রস্তুত। টেকনাফ থেকে তেতুলিয়া, রূপসা থেকে পাথুরিয়া—বাংলার প্রতিটি প্রান্তর যেন অপেক্ষা করছে নতুন নেতৃত্বের জন্য, নতুন আন্দোলনের জন্য।
কিন্তু ইতিহাস সাক্ষী, জনপ্রিয়তা কেবল নেতৃত্বের সূচনা করতে পারে, তাকে সংহত করতে পারে না। জনপ্রিয়তার ভিত্তিতে অর্জিত শক্তি যদি নৈতিকতা, বিচক্ষণতা এবং জনস্বার্থের প্রতি দায়বদ্ধতার দ্বারা পরিচালিত না হয়, তবে তা একসময় ক্ষয়প্রাপ্ত হয়। অতএব, যাঁর হাতে পতাকা উঠতে চলেছে, তাঁর সামনে প্রধান চ্যালেঞ্জ হলো এই জনপ্রিয়তাকে নৈতিকতা ও দায়িত্ববোধের ভিত্তিতে রূপান্তরিত করা। শুধু নেতৃত্ব পাওয়া নয়, বরং জনতার জন্য নেতৃত্ব দেওয়া—এটাই প্রকৃত দেশপ্রেমের পরীক্ষা।
আজকের বিশ্ব রাজনীতির বাস্তবতায় ব্যক্তি-নির্ভর রাজনীতি এক নতুন সংকটের মধ্যে পড়েছে। শুধু একটি মুখ নয়, বরং একটি আদর্শ, একটি দৃষ্টিভঙ্গি, একটি সুগঠিত কাঠামোই পরিবর্তনের প্রকৃত পথ দেখাতে পারে। নাহিদ ইসলাম যদি সেই পথের দিশারি হতে চান, তবে তাঁকে ক্ষমতার প্রলোভন এড়িয়ে জনগণের প্রকৃত স্বার্থের কথা চিন্তা করতে হবে। ক্ষমতার কাছে আত্মসমর্পণ নয়, বরং জনগণের প্রতি দায়বদ্ধতা নিয়ে এগিয়ে যেতে হবে।
যে পতাকা তিনি হাতে নিতে যাচ্ছেন, সেটি কেবল একটি রাজনৈতিক প্রতীক নয়; এটি সংগ্রামের, আত্মত্যাগের, পরিবর্তনের প্রতীক। এই পতাকা বহন করার শক্তি ও নৈতিকতা যেন তিনি অর্জন করেন, সেটাই আমাদের চাওয়া। কেননা ইতিহাস সাক্ষ্য দেয়, প্রকৃত নেতৃত্ব ক্ষমতা নয়, বরং জনতার সেবা ও ত্যাগের মাধ্যমে গড়ে ওঠে। ইনকিলাব জিন্দাবাদ!
জনগণের ইচ্ছাই প্রকৃত ক্ষমতার উৎস—এ ধারণা শুধু একটি স্লোগান নয়, বরং এটি এক অনিবার্য ঐতিহাসিক সত্য। যুগে যুগে রাষ্ট্র ও সমাজের গঠনপ্রক্রিয়ায় জনগণের আকাঙ্ক্ষাই নেতৃত্বের প্রকৃত মানদণ্ড নির্ধারণ করেছে। যে ব্যক্তি জনতার প্রতিনিধি হয়ে ওঠেন, তিনি কেবল কোনো দলের মুখপাত্র নন; তিনি হয়ে ওঠেন জনতার আশা-আকাঙ্ক্ষার প্রতিচ্ছবি, সংগ্রামের প্রতীক। নাহিদ ইসলামের পুনরাগমন সেই গণতান্ত্রিক সত্যের পুনরাবৃত্তি, যেখানে ব্যক্তি নয়, বরং জনগণের ইচ্ছাই সর্বোচ্চ বিচারক।
অতীতে বাংলার রাজপথের ওপর দিয়ে হেঁটেছেন অনেক মহানায়ক—তাদের মধ্যে কেউ স্বাধীনতার ভিত্তি রচনা করেছেন, কেউ সমাজতান্ত্রিক ভাবধারা প্রতিষ্ঠার চেষ্টা করেছেন, কেউ আপসহীনভাবে গণতন্ত্রের জন্য লড়াই করেছেন। সোহরাওয়ার্দী, শেরে বাংলা, মওলানা ভাসানী, শেখ মুজিব, জিয়াউর রহমান, খালেদা জিয়া—তাঁরা সকলেই কোনো না কোনো সময় জনগণের প্রতিনিধি হয়ে রাজপথে নেমেছিলেন। আজ সেই পথ আবার একজন নতুন অভিযাত্রীর জন্য প্রস্তুত। টেকনাফ থেকে তেতুলিয়া, রূপসা থেকে পাথুরিয়া—বাংলার প্রতিটি প্রান্তর যেন অপেক্ষা করছে নতুন নেতৃত্বের জন্য, নতুন আন্দোলনের জন্য।
কিন্তু ইতিহাস সাক্ষী, জনপ্রিয়তা কেবল নেতৃত্বের সূচনা করতে পারে, তাকে সংহত করতে পারে না। জনপ্রিয়তার ভিত্তিতে অর্জিত শক্তি যদি নৈতিকতা, বিচক্ষণতা এবং জনস্বার্থের প্রতি দায়বদ্ধতার দ্বারা পরিচালিত না হয়, তবে তা একসময় ক্ষয়প্রাপ্ত হয়। অতএব, যাঁর হাতে পতাকা উঠতে চলেছে, তাঁর সামনে প্রধান চ্যালেঞ্জ হলো এই জনপ্রিয়তাকে নৈতিকতা ও দায়িত্ববোধের ভিত্তিতে রূপান্তরিত করা। শুধু নেতৃত্ব পাওয়া নয়, বরং জনতার জন্য নেতৃত্ব দেওয়া—এটাই প্রকৃত দেশপ্রেমের পরীক্ষা।
আজকের বিশ্ব রাজনীতির বাস্তবতায় ব্যক্তি-নির্ভর রাজনীতি এক নতুন সংকটের মধ্যে পড়েছে। শুধু একটি মুখ নয়, বরং একটি আদর্শ, একটি দৃষ্টিভঙ্গি, একটি সুগঠিত কাঠামোই পরিবর্তনের প্রকৃত পথ দেখাতে পারে। নাহিদ ইসলাম যদি সেই পথের দিশারি হতে চান, তবে তাঁকে ক্ষমতার প্রলোভন এড়িয়ে জনগণের প্রকৃত স্বার্থের কথা চিন্তা করতে হবে। ক্ষমতার কাছে আত্মসমর্পণ নয়, বরং জনগণের প্রতি দায়বদ্ধতা নিয়ে এগিয়ে যেতে হবে।
যে পতাকা তিনি হাতে নিতে যাচ্ছেন, সেটি কেবল একটি রাজনৈতিক প্রতীক নয়; এটি সংগ্রামের, আত্মত্যাগের, পরিবর্তনের প্রতীক। এই পতাকা বহন করার শক্তি ও নৈতিকতা যেন তিনি অর্জন করেন, সেটাই আমাদের চাওয়া। কেননা ইতিহাস সাক্ষ্য দেয়, প্রকৃত নেতৃত্ব ক্ষমতা নয়, বরং জনতার সেবা ও ত্যাগের মাধ্যমে গড়ে ওঠে। ইনকিলাব জিন্দাবাদ!
মন্তব্য যোগ করুন
এই লেখার উপর আপনার মন্তব্য জানাতে নিচের ফরমটি ব্যবহার করুন।
মন্তব্যসমূহ
-
শঙ্খজিৎ ভট্টাচার্য ০২/০৩/২০২৫সুন্দর অনুভূতি
-
আলমগীর সরকার লিটন ২৬/০২/২০২৫সুন্দর অনুভব প্রকাশ করেছেন