ইতিহাসের দায় থেকে কেউ পালাতে পারে না
আমার দাদীর কাছে যখন আমরা গান শুনতে চাই; উনি কিছু ছন্দ আওড়ান। তেমনি একটি ছন্দ হলো— “ঈশ্বরকে বন্দনা করো, পূর্বাভাস ভালো নয়”। আজ কেনো যেন মনে হচ্ছে পূর্বাভাস ভালো নয়।
একটি ফ্যাসিবাদী ব্যবস্থা প্রতিস্থাপিত হতে পারে নতুন এক ফ্যাসিবাদী ব্যবস্থার দ্বারা। বিপ্লবের নামে যদি প্রতিশোধপরায়ণতা জন্ম নেয়, তবে তা পুরনো নিপীড়নেরই নতুন সংস্করণ হয়ে দাঁড়ায়। বিপ্লবীরা যদি ইতিহাসের প্রতীককে ধ্বংসের মধ্যে তাদের শক্তির প্রকাশ খুঁজে নেয়, তবে একসময় তারাই নতুন নিপীড়ক হয়ে উঠবে।
ইতিহাস ভাঙার চেয়ে ইতিহাসকে নতুন দৃষ্টিকোণ থেকে দেখা ও সংরক্ষণ করা বেশি গুরুত্বপূর্ণ। কারণ, স্মৃতিচিহ্ন ধ্বংস করা যায়, কিন্তু ইতিহাসের দায় থেকে কেউ পালাতে পারে না।
কিন্তু যে সমাজ একবার ধ্বংসের নেশায় অভ্যস্ত হয়ে পড়ে, সে সমাজে নতুন ধ্বংসের সম্ভাবনাও বেড়ে যায়।
অতএব, বিপ্লবীরা সতর্ক থাকুন। ইতিহাসের প্রতীকের সাথে নয়, বরং ইতিহাসের প্রকৃত ন্যায়বিচার ও মুক্তির প্রশ্নের সাথে যুক্ত থাকুন। অন্যথায়, আজকের ভাঙচুর ভবিষ্যতের নতুন নিপীড়নের ভিত্তি হয়ে উঠতে পারে। দয়া করে নিপীড়ক হয়ে উঠবেন না।
ইতিহাস কেবল কাগজে লেখা তথ্য নয়; এটি সময়ের সাথে গড়ে ওঠা প্রতীক, স্থাপনা, ও স্মৃতির সমষ্টি। অস্ট্রিয়ায় হিটলারের জন্মভবন ভাঙা হয়েছিল এই ভয়ে যে এটি একসময় নাৎসিদের তীর্থস্থানে পরিণত হতে পারে। আপনারা নিপীড়ক হয়ে উঠলে, আজকের বিপ্লবীদের গড়ে ওঠা প্রতীক, স্থাপনা, ও স্মৃতির সমষ্টি অন্য কোন প্রতিবিপ্লবী দ্বারা ধ্বংস হতে পারে। তারাও ধ্বংস করবে এগুলো আপনাদের তীর্থস্থান ভেবে।
ইতিহাস বলে, ফরাসি বিপ্লবের সময়েও জনতা রাজতন্ত্রের চিহ্ন ধ্বংস করেছিল, কিন্তু পরবর্তীতে নেপোলিয়ন একনায়কতন্ত্র কায়েম করেছিলেন।
কামরুজ্জামান সাদ
ঢাকা, বাংলাদেশ।
০৮/০২/২০২৫ খ্রি.
একটি ফ্যাসিবাদী ব্যবস্থা প্রতিস্থাপিত হতে পারে নতুন এক ফ্যাসিবাদী ব্যবস্থার দ্বারা। বিপ্লবের নামে যদি প্রতিশোধপরায়ণতা জন্ম নেয়, তবে তা পুরনো নিপীড়নেরই নতুন সংস্করণ হয়ে দাঁড়ায়। বিপ্লবীরা যদি ইতিহাসের প্রতীককে ধ্বংসের মধ্যে তাদের শক্তির প্রকাশ খুঁজে নেয়, তবে একসময় তারাই নতুন নিপীড়ক হয়ে উঠবে।
ইতিহাস ভাঙার চেয়ে ইতিহাসকে নতুন দৃষ্টিকোণ থেকে দেখা ও সংরক্ষণ করা বেশি গুরুত্বপূর্ণ। কারণ, স্মৃতিচিহ্ন ধ্বংস করা যায়, কিন্তু ইতিহাসের দায় থেকে কেউ পালাতে পারে না।
কিন্তু যে সমাজ একবার ধ্বংসের নেশায় অভ্যস্ত হয়ে পড়ে, সে সমাজে নতুন ধ্বংসের সম্ভাবনাও বেড়ে যায়।
অতএব, বিপ্লবীরা সতর্ক থাকুন। ইতিহাসের প্রতীকের সাথে নয়, বরং ইতিহাসের প্রকৃত ন্যায়বিচার ও মুক্তির প্রশ্নের সাথে যুক্ত থাকুন। অন্যথায়, আজকের ভাঙচুর ভবিষ্যতের নতুন নিপীড়নের ভিত্তি হয়ে উঠতে পারে। দয়া করে নিপীড়ক হয়ে উঠবেন না।
ইতিহাস কেবল কাগজে লেখা তথ্য নয়; এটি সময়ের সাথে গড়ে ওঠা প্রতীক, স্থাপনা, ও স্মৃতির সমষ্টি। অস্ট্রিয়ায় হিটলারের জন্মভবন ভাঙা হয়েছিল এই ভয়ে যে এটি একসময় নাৎসিদের তীর্থস্থানে পরিণত হতে পারে। আপনারা নিপীড়ক হয়ে উঠলে, আজকের বিপ্লবীদের গড়ে ওঠা প্রতীক, স্থাপনা, ও স্মৃতির সমষ্টি অন্য কোন প্রতিবিপ্লবী দ্বারা ধ্বংস হতে পারে। তারাও ধ্বংস করবে এগুলো আপনাদের তীর্থস্থান ভেবে।
ইতিহাস বলে, ফরাসি বিপ্লবের সময়েও জনতা রাজতন্ত্রের চিহ্ন ধ্বংস করেছিল, কিন্তু পরবর্তীতে নেপোলিয়ন একনায়কতন্ত্র কায়েম করেছিলেন।
কামরুজ্জামান সাদ
ঢাকা, বাংলাদেশ।
০৮/০২/২০২৫ খ্রি.
মন্তব্য যোগ করুন
এই লেখার উপর আপনার মন্তব্য জানাতে নিচের ফরমটি ব্যবহার করুন।
মন্তব্যসমূহ
-
ফয়জুল মহী ০৮/০২/২০২৫সুন্দর লিখেছেন
-
নুরনবী সরকার ০৮/০২/২০২৫ইতিহাস কাউকে ছেড়ে দেয় না