বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন ও সমন্বয়ক কালচার
জাতীয় ছাত্র সংগ্রাম পরিষদ গঠন করা ছাড়া বিকল্প নেই। এই সমন্বয়ক-সমন্বয়ক খেলা বেশিদিন চলতে পারে না। বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনে ফাটল দেখা দিয়েছে; গণঅভ্যুত্থানের প্রেক্ষিতে নেতৃত্ব কেমন হতে পারে সে বিষয়ে তাদের কোনো ধারণাই নেই।
এখন প্রশ্ন হলো, সাধারণ শিক্ষার্থীর ব্যানারে কারা সমন্বয়ক হতে চাচ্ছে? সোজা উত্তর হলো সুবিধাভোগী গোষ্ঠী। এই আন্দোলনে বিভিন্ন ছাত্র সংগঠনের ছেলেরাই নেতৃত্বের কাতারে ছিল। বাম ছাত্র সংগঠন, ছাত্রদল ও ছাত্রশিবিরের ছেলেরাই সারা দেশে মোট নেতৃত্বের ৯৫% ছিল। কেন্দ্রীয় নেতৃত্ব ছিল গণতান্ত্রিক ছাত্রশক্তির মতো দলের হাতে। এরা অধিকাংশই করে আদর্শভিত্তিক রাজনীতি। ছাত্র ইউনিয়নের একটা ছেলে তার নিজ দলের পদ পদবী ছেড়ে শুধু সমন্বয়ক হতে চাইবে না। কিংবা ছাত্রদল কিংবা ছাত্রশিবিরও আদর্শিক জায়গা থেকে নিজেদের দলকে বিসর্জন দিবে না। মুষ্টিমেয় কিছু সাধারণ শিক্ষার্থীর নেতৃত্ব দিলেও তাদের অবস্থানটা এতটা প্রকটভাবে সামনে আসেনি। তাহলে সমন্বয়ক হতে চাইছে কারা সে বিষয়টা খুবই পরিষ্কার। কোনো দলে জায়গা না পাওয়ারা কিংবা দল থেকে ছাঁটাই করা লোকজনই এই পোস্টটিকে লোভনীয় ভাবছে।
দলীয় পদ ছেড়ে যারা সমন্বয়ক হতেই বেশি আগ্রহী তাদের বিষয়ে সাবধান থাকতে হবে। বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন আজকের দিন পর্যন্ত নতুন দল গঠনের বিষয়ে নিজেদের অবস্থান পরিষ্কার করেছে এভাবে– তারা আপাতত দল গঠনের কথা চিন্তাও করছে না।
এখন জাতীয় ছাত্র সংগ্রাম পরিষদ গঠন করার প্রয়োজনীয়তা কেন? গণ-অভ্যুত্থানের ফসলটা যাতে নষ্ট না হয় সেজন্য হলেও পরিষদ গঠন করতে হবে। বিভিন্ন বিশ্ববিদ্যালয় ও কলেজে ছাত্র সংসদ নির্বাচনের ব্যবস্থা করতে হবে। ছাত্র সমাজের ভিতরে এই মুহুর্তে বিভাজন তৃতীয় শক্তিকে সুযোগ তৈরি করার মতো।
জাতীয় প্রশ্নে এখনই যেমন বিভেদ তৈরি হয়েছে, সেটা থামাতে হলেও জাতীয় ছাত্র সংগ্রাম পরিষদ গঠন করতে হবে।
— কামরুজ্জামান সাদ
এখন প্রশ্ন হলো, সাধারণ শিক্ষার্থীর ব্যানারে কারা সমন্বয়ক হতে চাচ্ছে? সোজা উত্তর হলো সুবিধাভোগী গোষ্ঠী। এই আন্দোলনে বিভিন্ন ছাত্র সংগঠনের ছেলেরাই নেতৃত্বের কাতারে ছিল। বাম ছাত্র সংগঠন, ছাত্রদল ও ছাত্রশিবিরের ছেলেরাই সারা দেশে মোট নেতৃত্বের ৯৫% ছিল। কেন্দ্রীয় নেতৃত্ব ছিল গণতান্ত্রিক ছাত্রশক্তির মতো দলের হাতে। এরা অধিকাংশই করে আদর্শভিত্তিক রাজনীতি। ছাত্র ইউনিয়নের একটা ছেলে তার নিজ দলের পদ পদবী ছেড়ে শুধু সমন্বয়ক হতে চাইবে না। কিংবা ছাত্রদল কিংবা ছাত্রশিবিরও আদর্শিক জায়গা থেকে নিজেদের দলকে বিসর্জন দিবে না। মুষ্টিমেয় কিছু সাধারণ শিক্ষার্থীর নেতৃত্ব দিলেও তাদের অবস্থানটা এতটা প্রকটভাবে সামনে আসেনি। তাহলে সমন্বয়ক হতে চাইছে কারা সে বিষয়টা খুবই পরিষ্কার। কোনো দলে জায়গা না পাওয়ারা কিংবা দল থেকে ছাঁটাই করা লোকজনই এই পোস্টটিকে লোভনীয় ভাবছে।
দলীয় পদ ছেড়ে যারা সমন্বয়ক হতেই বেশি আগ্রহী তাদের বিষয়ে সাবধান থাকতে হবে। বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন আজকের দিন পর্যন্ত নতুন দল গঠনের বিষয়ে নিজেদের অবস্থান পরিষ্কার করেছে এভাবে– তারা আপাতত দল গঠনের কথা চিন্তাও করছে না।
এখন জাতীয় ছাত্র সংগ্রাম পরিষদ গঠন করার প্রয়োজনীয়তা কেন? গণ-অভ্যুত্থানের ফসলটা যাতে নষ্ট না হয় সেজন্য হলেও পরিষদ গঠন করতে হবে। বিভিন্ন বিশ্ববিদ্যালয় ও কলেজে ছাত্র সংসদ নির্বাচনের ব্যবস্থা করতে হবে। ছাত্র সমাজের ভিতরে এই মুহুর্তে বিভাজন তৃতীয় শক্তিকে সুযোগ তৈরি করার মতো।
জাতীয় প্রশ্নে এখনই যেমন বিভেদ তৈরি হয়েছে, সেটা থামাতে হলেও জাতীয় ছাত্র সংগ্রাম পরিষদ গঠন করতে হবে।
— কামরুজ্জামান সাদ
মন্তব্য যোগ করুন
এই লেখার উপর আপনার মন্তব্য জানাতে নিচের ফরমটি ব্যবহার করুন।
মন্তব্যসমূহ
-
ফয়জুল মহী ১৮/০৮/২০২৪সুন্দর লিখেছেন
-
শঙ্খজিৎ ভট্টাচার্য ১৭/০৮/২০২৪সঠিক