রোম যখন পুড়ছিল
রোম যখন পুড়ছিল, নিরো তখন সত্যি কী করছিলেন?
‘রোম যখন পুড়ছিল, নিরো তখন বাঁশি বাজাচ্ছিলেন’ এই প্রবাদটি বাংলায় এত বেশি ব্যবহার হয়েছে যা একটি মিথে পরিণত হয়েছে। মিথ না-কি সত্য সেই হিশেব পরে হবে। প্রবাদটি যেই ইংরেজি প্রবাদের (Nero fiddles while Rome burns) অনুবাদ, সেখানে মূলত বাঁশি নয় বরং বেহালার কথা বলা হয়েছিল।
৬৪ খ্রিস্টাব্দের জুলাইতে নিরো অ্যান্টিমে (আধুনিক ইতালির অ্যানজিও শহর) অবসর যাপনের সময় রোমে আগুন লাগার কথা জানতে পারেন, যেটি পরবর্তীতে ইতিহাসে দ্য গ্রেট ফায়ার অব রোম নামে পরিচিতি পায়। সপ্তাহখানেক পর যখন আগুন নিয়ন্ত্রণে আসে, ততক্ষণে রোমের ১৪টি জেলার ১০টি পুরোপুরি ভষ্ম হয়ে যায় এবং শহরের ৫-১০ লাখ মানুষ পরিণত হয় সর্বহারা ও উদ্বাস্তু।
অনেকের ধারণা নিরো নিজেই এই আগুন লাগিয়েছেন। যাইহোক, সেটি অবশ্য অন্য আলাপ।
নিরো হয়তো অতটা খারাপ শাসক ছিলেন না, যতটা খারাপভাবে ইতিহাস তাকে স্মরণ করে। তবে, তার শাসনামল ছিল অস্থিতিশীল আর জঘন্য। সে সময়কার অন্যান্য অত্যচারী শাসকদের মতো তিনি নিজেও অনেক অযৌক্তিক কাজ করেছেন। সেগুলোই তাকে জনমনে ঘৃণ্য করেছে।
নিরোর বাঁশি বাজানোটাও তাই রূপক হতে পারে। দায়িত্বজ্ঞানহীনতার স্মারকও হতে পারে।
অগ্নিকাণ্ডের পরে নিরো সর্বহারাদের জন্য নতুন গৃহ নির্মাণ করে দিয়েছিল। কিন্তু এগুলো সেভাবে ইতিহাসের পাতায় আসেনি; কারণ সে সময় ইতিহাস লিখেছে নিরোর ঘোর বিরোধীরা।
‘রোম যখন পুড়ছিল, নিরো তখন বাঁশি বাজাচ্ছিলেন’ এই প্রবাদটি বাংলায় এত বেশি ব্যবহার হয়েছে যা একটি মিথে পরিণত হয়েছে। মিথ না-কি সত্য সেই হিশেব পরে হবে। প্রবাদটি যেই ইংরেজি প্রবাদের (Nero fiddles while Rome burns) অনুবাদ, সেখানে মূলত বাঁশি নয় বরং বেহালার কথা বলা হয়েছিল।
৬৪ খ্রিস্টাব্দের জুলাইতে নিরো অ্যান্টিমে (আধুনিক ইতালির অ্যানজিও শহর) অবসর যাপনের সময় রোমে আগুন লাগার কথা জানতে পারেন, যেটি পরবর্তীতে ইতিহাসে দ্য গ্রেট ফায়ার অব রোম নামে পরিচিতি পায়। সপ্তাহখানেক পর যখন আগুন নিয়ন্ত্রণে আসে, ততক্ষণে রোমের ১৪টি জেলার ১০টি পুরোপুরি ভষ্ম হয়ে যায় এবং শহরের ৫-১০ লাখ মানুষ পরিণত হয় সর্বহারা ও উদ্বাস্তু।
অনেকের ধারণা নিরো নিজেই এই আগুন লাগিয়েছেন। যাইহোক, সেটি অবশ্য অন্য আলাপ।
নিরো হয়তো অতটা খারাপ শাসক ছিলেন না, যতটা খারাপভাবে ইতিহাস তাকে স্মরণ করে। তবে, তার শাসনামল ছিল অস্থিতিশীল আর জঘন্য। সে সময়কার অন্যান্য অত্যচারী শাসকদের মতো তিনি নিজেও অনেক অযৌক্তিক কাজ করেছেন। সেগুলোই তাকে জনমনে ঘৃণ্য করেছে।
নিরোর বাঁশি বাজানোটাও তাই রূপক হতে পারে। দায়িত্বজ্ঞানহীনতার স্মারকও হতে পারে।
অগ্নিকাণ্ডের পরে নিরো সর্বহারাদের জন্য নতুন গৃহ নির্মাণ করে দিয়েছিল। কিন্তু এগুলো সেভাবে ইতিহাসের পাতায় আসেনি; কারণ সে সময় ইতিহাস লিখেছে নিরোর ঘোর বিরোধীরা।
মন্তব্য যোগ করুন
এই লেখার উপর আপনার মন্তব্য জানাতে নিচের ফরমটি ব্যবহার করুন।
মন্তব্যসমূহ
-
suman ০৭/০৮/২০২৪অসাধারণ লেখা, সমসাময়িক...
-
আলমগীর সরকার লিটন ০৪/০৮/২০২৪সুন্দর লেখেছেন
-
ফয়জুল মহী ০৩/০৮/২০২৪Right
-
শঙ্খজিৎ ভট্টাচার্য ০৩/০৮/২০২৪বেশ সুন্দর