স্বপ্ন যখন আকাশ ছোঁয়া
গণিত অলিম্পিয়াডে থার্ড হওয়া মেয়েটা ফিজিক্সের বস্তাপচা সূত্রে হাবুডুবু খাচ্ছে।তারকাছে এগুলো বস্তাপচাই বটে।গণিতে কি ভাল দখল অথচ তাকে কিনা পড়তে হচ্ছে ফিজিক্সে।
আইনে পড়তে চাওয়া ছেলেটা দিব্যি ইতিহাসের শিক্ষার্থীতে পরিণত হয়েছে।তাকে পড়তে হচ্ছে গৌড়াধিপতি শশাঙ্কের জীবনী।অথচ এই ছেলেটিই আইনে পড়তে চেয়েছিল।হয়ত ইতিহাসে পড়ে কি চাকুরি করবে এটা ভেবেই একলা বিকেল পেরিয়ে যায়।সম্রাট বাবরকে পড়তে গিয়ে জট পাকিয়ে ফেলে।ধুর ছাই!
বাংলা সাহিত্যের বই দেখলে ঘুম পাওয়া ছাত্রটা দিব্যি শরৎচন্দ্রের গল্পসমগ্র পড়ে যাচ্ছে।কিংবা কপালকুণ্ডলা পড়তে গিয়ে নবকুমারের প্রতি ঘৃণায় মরে যেতে ইচ্ছে করছে।অথচ এই ছেলেটার ইংরেজিতে পড়ার কি দারুণ ইচ্ছে ছিল।ভিক্টোরিয়ান যুগ থেকে শুরু করে আধুনিক যুগ পর্যন্ত সব লেখকের বই প্রায় সম্পন্ন।
আমাদের শিক্ষাব্যবস্থাটা ঘুণে খাওয়া ।যেখানে কলা বিভাগের ছেলেকেও লিখতে হচ্ছে বড় হয়ে সেও হবে ডাক্তার অথচ সেটা সম্ভব কিনা ভাবার সময় কই?কোন ছেলে জীবনের লক্ষ্য হিশেবে কবি কিংবা সাংবাদিকতা বেছে নেয়না।প্রাইমারীতে শিক্ষকতা করা মেয়েটাও একসময় তার জীবনের লক্ষ্য হিশেবে বেছে নিয়েছিল ইঞ্জিনিয়ার!
লক্ষ্য আমার পক্ষ নেওয়া।
যেই মেয়েটির কবিতা স্কুল ম্যাগাজিনে নিয়মিত প্রকাশ হত সেও এখন পুরোদস্তুর গৃহিনী।
অ্যাইম ইন লাইফ রচনাতে কাউকে লিখতে দেখি না সে যখন বাবা হবে অথবা মা হবে তখন আদর্শ বাবা অথবা আদর্শ মা হবে।
চাকুরিটা যেখানে শেষ কথা সেখানে এগুলো ভাবার সময় কই।সরকারি বিভিন্ন দপ্তরে এই মূহুর্তে সাড়ে তিন লাখের উপরে চাকুরির শুণ্যপদ খালি রয়েছে ।গত ৩৮তম বিসিএস পরীক্ষায় প্রায় সাড়ে তিন লাখ চাকুরিপ্রার্থী অংশগ্রহণ করেছে।যোগ্যদের মাঝে চাকুরিগুলো বন্টন করা যেত অথচ সেদিকে নজর দেওয়ার সময় কই!যতদিন পর্যন্ত বেকারত্ব দূর করা সম্ভব হবে না ততদিন পর্যন্ত শিক্ষার্থীকে হীনমন্যতায় ভুগতে হবে।সরকারের কর্তাব্যক্তিদের এদিকে নজর দেওয়া উচিত।তাহলে রাষ্ট্রবিজ্ঞানে অনার্স পড়ুয়া শিক্ষার্থীটি অসহায়ত্বে ভুগবে না।ইসলামের ইতিহাস পড়েও স্বপ্ন দেখা যাবে আকাশ ছোঁয়ার।হিসাববিজ্ঞানও হয়ে উঠবে মজার কোন বিষয়।
কলমে — কামরুজ্জামান সাদ
আইনে পড়তে চাওয়া ছেলেটা দিব্যি ইতিহাসের শিক্ষার্থীতে পরিণত হয়েছে।তাকে পড়তে হচ্ছে গৌড়াধিপতি শশাঙ্কের জীবনী।অথচ এই ছেলেটিই আইনে পড়তে চেয়েছিল।হয়ত ইতিহাসে পড়ে কি চাকুরি করবে এটা ভেবেই একলা বিকেল পেরিয়ে যায়।সম্রাট বাবরকে পড়তে গিয়ে জট পাকিয়ে ফেলে।ধুর ছাই!
বাংলা সাহিত্যের বই দেখলে ঘুম পাওয়া ছাত্রটা দিব্যি শরৎচন্দ্রের গল্পসমগ্র পড়ে যাচ্ছে।কিংবা কপালকুণ্ডলা পড়তে গিয়ে নবকুমারের প্রতি ঘৃণায় মরে যেতে ইচ্ছে করছে।অথচ এই ছেলেটার ইংরেজিতে পড়ার কি দারুণ ইচ্ছে ছিল।ভিক্টোরিয়ান যুগ থেকে শুরু করে আধুনিক যুগ পর্যন্ত সব লেখকের বই প্রায় সম্পন্ন।
আমাদের শিক্ষাব্যবস্থাটা ঘুণে খাওয়া ।যেখানে কলা বিভাগের ছেলেকেও লিখতে হচ্ছে বড় হয়ে সেও হবে ডাক্তার অথচ সেটা সম্ভব কিনা ভাবার সময় কই?কোন ছেলে জীবনের লক্ষ্য হিশেবে কবি কিংবা সাংবাদিকতা বেছে নেয়না।প্রাইমারীতে শিক্ষকতা করা মেয়েটাও একসময় তার জীবনের লক্ষ্য হিশেবে বেছে নিয়েছিল ইঞ্জিনিয়ার!
লক্ষ্য আমার পক্ষ নেওয়া।
যেই মেয়েটির কবিতা স্কুল ম্যাগাজিনে নিয়মিত প্রকাশ হত সেও এখন পুরোদস্তুর গৃহিনী।
অ্যাইম ইন লাইফ রচনাতে কাউকে লিখতে দেখি না সে যখন বাবা হবে অথবা মা হবে তখন আদর্শ বাবা অথবা আদর্শ মা হবে।
চাকুরিটা যেখানে শেষ কথা সেখানে এগুলো ভাবার সময় কই।সরকারি বিভিন্ন দপ্তরে এই মূহুর্তে সাড়ে তিন লাখের উপরে চাকুরির শুণ্যপদ খালি রয়েছে ।গত ৩৮তম বিসিএস পরীক্ষায় প্রায় সাড়ে তিন লাখ চাকুরিপ্রার্থী অংশগ্রহণ করেছে।যোগ্যদের মাঝে চাকুরিগুলো বন্টন করা যেত অথচ সেদিকে নজর দেওয়ার সময় কই!যতদিন পর্যন্ত বেকারত্ব দূর করা সম্ভব হবে না ততদিন পর্যন্ত শিক্ষার্থীকে হীনমন্যতায় ভুগতে হবে।সরকারের কর্তাব্যক্তিদের এদিকে নজর দেওয়া উচিত।তাহলে রাষ্ট্রবিজ্ঞানে অনার্স পড়ুয়া শিক্ষার্থীটি অসহায়ত্বে ভুগবে না।ইসলামের ইতিহাস পড়েও স্বপ্ন দেখা যাবে আকাশ ছোঁয়ার।হিসাববিজ্ঞানও হয়ে উঠবে মজার কোন বিষয়।
কলমে — কামরুজ্জামান সাদ
মন্তব্য যোগ করুন
এই লেখার উপর আপনার মন্তব্য জানাতে নিচের ফরমটি ব্যবহার করুন।
মন্তব্যসমূহ
-
সাইয়িদ রফিকুল হক ১৪/০১/২০১৮স্বপ্ন অধরা থেকে যায়!