অদ্ভুত এক স্মার্টনেসের গল্প
রম্য : অদ্ভুত এক স্মার্টনেসের গল্প
আমি বরাবরই গ্রামের ছেলে।স্মার্ট হওয়ার চেষ্টা করি,কিন্তু স্মার্ট হতে পারিনা।চুল বড় রাখলে আমার জন্য কঠিন শাস্তি অপেক্ষা করে,ঠিক যখন খেতে যাব তখনি মনে হয় এই বুঝি চুলগুলো ছিড়ে গেল।আম্মু সাফ জানিয়ে দেবে চুল ছোট না করলে নেক্সটে যেন খেতে না আসি।পাড়ার এক বড়ভাইয়ের পরামর্শে নাইজেরিয়ান খেলোয়ারদের মত চুলের স্টাইল করলাম।এতে হয়কি মাথার পাশের চুলগুলো ছোট থাকে।গুড আইডিয়া।ওমা! রাতে আমার খাওয়া ফুলস্টপ।আব্বু অনেকটা আমাকে শুনিয়েই বলল ও যেন নরসুন্দরের কাছ থেকে চুল ভালভাবে কেটে আসে অথবা মাথা মুন্ডন করে আসে।যাই হোক স্মার্ট হওয়ার সাধ ওই একটা কথা শুনে উবে গেল।কাল বিলম্ব না করে সেলুনে গিয়ে মাথা কামিয়ে আসলাম।খাঁটি কথায় টাক হয়ে যাওয়া।পরে বুঝলাম স্মার্ট আমাকে টাক হতে বাধ্য করছে।টাক মাথা নিয়ে তো আর বন্ধুদের সাথে আড্ডা দিতে পারব না।তাই কয়েকটা দিন বাড়িতে কাটানোর চিন্তা করছিলাম।সেই মুহুর্তেই বেজে উঠলো সাধের মোবাইলটা। অর্পার কল ।বিপদ আসলে তল্পিতল্পাসহ আসে।অনিচ্ছাসত্ত্বেও রিসিভ করতে হলো।
-মাহিন, একটু পার্কে আসো তো।
-পারব না ।
-জান,খুবই গুরুত্বপূর্ণ কথা তুমি চলে আসো ।
-ম্যাডাম কথাটা কি আজ না বললে হয় না?
-না,এক্ষুনি বলতে হবে।
এ ধরনের জেদের কাছে আমি সবসময়ই দুর্বল।অগত্যা একটা ক্যাপ মাথায় দিয়ে অর্পার সামনে গেলাম।ভাগ্যের নির্মম পরিহাস।এতো হাই সিকিউরিটির পরও অর্পা টাক মাথা দেখে ফেলল।আমার পাগলামি দেখে রীতিমতো আক্কেলগুড়ুম। দ্বিতীয় কোন কথা না বলেই ব্রেকআপ ঘোষণা করল।মেয়েটা একরকম অতিষ্টই বলা চলে।স্মার্ট হতে গিয়ে ৩৩ বারের মত ব্রেকআপে পড়লাম।এবং এটা চূড়ান্ত ব্রেক আপ বলেই মনে হচ্ছে।আসলে আমার জন্য আনস্মার্ট থাকাই বেশি ভাল। এরকম পাগলামি আর করা যাবে না।আর এটা তো একটা দুর্ঘটনা।কিন্তু অর্পাকে কি বুঝাতে পারবো?নাকি আরো একটি মহাকাব্য রচিত হবে?জগতের কিছু মানুষ আনস্মার্ট থাকলেই যেন তাদের বেশি ভাল লাগে , হয়তো আমিও তাদের দলেই।ভাল থাকুক আমার মতো আনস্মার্টরা এই প্রত্যাশা।
আমি বরাবরই গ্রামের ছেলে।স্মার্ট হওয়ার চেষ্টা করি,কিন্তু স্মার্ট হতে পারিনা।চুল বড় রাখলে আমার জন্য কঠিন শাস্তি অপেক্ষা করে,ঠিক যখন খেতে যাব তখনি মনে হয় এই বুঝি চুলগুলো ছিড়ে গেল।আম্মু সাফ জানিয়ে দেবে চুল ছোট না করলে নেক্সটে যেন খেতে না আসি।পাড়ার এক বড়ভাইয়ের পরামর্শে নাইজেরিয়ান খেলোয়ারদের মত চুলের স্টাইল করলাম।এতে হয়কি মাথার পাশের চুলগুলো ছোট থাকে।গুড আইডিয়া।ওমা! রাতে আমার খাওয়া ফুলস্টপ।আব্বু অনেকটা আমাকে শুনিয়েই বলল ও যেন নরসুন্দরের কাছ থেকে চুল ভালভাবে কেটে আসে অথবা মাথা মুন্ডন করে আসে।যাই হোক স্মার্ট হওয়ার সাধ ওই একটা কথা শুনে উবে গেল।কাল বিলম্ব না করে সেলুনে গিয়ে মাথা কামিয়ে আসলাম।খাঁটি কথায় টাক হয়ে যাওয়া।পরে বুঝলাম স্মার্ট আমাকে টাক হতে বাধ্য করছে।টাক মাথা নিয়ে তো আর বন্ধুদের সাথে আড্ডা দিতে পারব না।তাই কয়েকটা দিন বাড়িতে কাটানোর চিন্তা করছিলাম।সেই মুহুর্তেই বেজে উঠলো সাধের মোবাইলটা। অর্পার কল ।বিপদ আসলে তল্পিতল্পাসহ আসে।অনিচ্ছাসত্ত্বেও রিসিভ করতে হলো।
-মাহিন, একটু পার্কে আসো তো।
-পারব না ।
-জান,খুবই গুরুত্বপূর্ণ কথা তুমি চলে আসো ।
-ম্যাডাম কথাটা কি আজ না বললে হয় না?
-না,এক্ষুনি বলতে হবে।
এ ধরনের জেদের কাছে আমি সবসময়ই দুর্বল।অগত্যা একটা ক্যাপ মাথায় দিয়ে অর্পার সামনে গেলাম।ভাগ্যের নির্মম পরিহাস।এতো হাই সিকিউরিটির পরও অর্পা টাক মাথা দেখে ফেলল।আমার পাগলামি দেখে রীতিমতো আক্কেলগুড়ুম। দ্বিতীয় কোন কথা না বলেই ব্রেকআপ ঘোষণা করল।মেয়েটা একরকম অতিষ্টই বলা চলে।স্মার্ট হতে গিয়ে ৩৩ বারের মত ব্রেকআপে পড়লাম।এবং এটা চূড়ান্ত ব্রেক আপ বলেই মনে হচ্ছে।আসলে আমার জন্য আনস্মার্ট থাকাই বেশি ভাল। এরকম পাগলামি আর করা যাবে না।আর এটা তো একটা দুর্ঘটনা।কিন্তু অর্পাকে কি বুঝাতে পারবো?নাকি আরো একটি মহাকাব্য রচিত হবে?জগতের কিছু মানুষ আনস্মার্ট থাকলেই যেন তাদের বেশি ভাল লাগে , হয়তো আমিও তাদের দলেই।ভাল থাকুক আমার মতো আনস্মার্টরা এই প্রত্যাশা।
মন্তব্য যোগ করুন
এই লেখার উপর আপনার মন্তব্য জানাতে নিচের ফরমটি ব্যবহার করুন।
মন্তব্যসমূহ
-
ফয়জুল মহী ২৩/০৯/২০১৭অসাধারণ প্রকাশ, অপার মুগ্ধতা
-
মোঃশাহীন আক্তার। ১৯/০৯/২০১৭ভালো লাগলো
-
আফরিনা নাজনীন মিলি ১৭/০৯/২০১৭হা হা হা............ দারুণ অভিজ্ঞতা। আসলে নিজের মতো করে থাকাটাই মনে হয় আসল স্মার্টনেস। সুন্দর লিখেছেন।
-
কামরুজ্জামান সাদ ১৭/০৯/২০১৭ফেসবুকে একসময় ছদ্মনামে লিখতাম সেসময়কার একটি লেখা।এই লেখাটিতে সাহিত্যগুণ নেই বললেই চলে তারপরও ওইসময় এগুলোই ফেসবুক পাঠকরা পড়তে চাইতো।এখনো কিছু ফেসবুক পেজে এধরনের লেখাই বহুল ব্যবহৃত হয়।এটা পাঠককে আনন্দ দেওয়ার অপচেষ্টাও বলা যেতে পারে