সংবিধানের ষোড়শ সংশোধনী ও আওয়ামী বিশ্লেষণ
রাজনৈতিক অঙ্গন কিছুদিন যাবত সরগরম রয়েছে ষোড়শ সংশোধনী রায়কে কেন্দ্র করে।সাবেক বিচারপতি থেকে শুরু করে প্রধানমন্ত্রী,মন্ত্রী ও সাংসদেরা যে বক্তব্য দিয়েছে তা ন্যাক্কারজনক।ক্ষমতাসীন আওয়ামীলীগ এরায়ে যে ভূমিকা পালন করছে তা কারো জন্যই ভাল ফল বয়ে আনবে না।সর্বশেষ একুশে আগস্ট প্রধানমন্ত্রী যে বক্তব্য দিয়েছেন তা জাতিকে অন্ধকারে নিক্ষেপ করবে।তিনি রায়ের পর্যবেক্ষণ নিয়ে প্রশ্ন তুলেছেন।তিনি প্রধান বিচারপতিকে আপাতদৃষ্টিতে হুমকি দিচ্ছেন।তার বক্তব্যে একটা জিনিস স্পষ্ট যে এরায়ের পর প্রধান বিচারপতির পদত্যাগ করা উচিত ছিলো।রাষ্ট্রপতি তাকে নিয়োগ দিয়েছেন তাই বলে কি সুষ্ঠু বিচার তিনি করতে পারবেন না?আওয়ামীলীগ যেটাকে সুষ্ঠু মনে করবে সেটা যে সর্বজনস্মীকৃত হতে হবে এমনটা কোথাও বলা বা লেখা নেই।ক্ষমতাসীনদের বাক্যবাণে এটা স্পষ্ট যে,তার এ রায়ে খুশি নন।এটা নিয়ে আরো আইনি প্রক্রিয়া তারা অতিক্রম করবে।যদি তাই হয় তবে বিচারাধীন একটা বিষয় নিয়ে কথা বলা আদালত অবমাননার শামিল।বিচারপতি তার পর্যবেক্ষণে রায় ছাড়া যে বিষয়গুলোর অবতারণা করেছেন সেগুলো আওয়ামীলীগের পছন্দ না হলেও জনগণ কিছুটা হলেও তৃপ্তি পেয়েছে বলেই মনে হয়।প্রথম আলোসহ দেশের শীর্ষ পত্রিকাগুলোতে কিছু নিবন্ধ প্রকাশ করা হয়েছে যাতে এই বিচারকে সুষ্ঠু বলে বিবেচনা করা হয়েছে।সংবিধানকে সঠিকভাবে উপস্থাপন করেছে আদালত।আওয়ামীলীগ সভানেত্রী রায় নিয়ে কথা বলার আগে পদত্যাগ করা উচিত ছিলো কিনা সেটা ভাববার বিষয়।মূলত রায়ের পরে প্রধান বিচারপতিকে বিভিন্নভাবে হেয় করা হয়েছে।বিভিন্ন সাংসদের বক্তব্যে সেটা স্পষ্ট।সর্বশেষ প্রধানমন্ত্রীর বক্তব্যের মাধ্যমে এটা আরো জোরালো হলো যে,রায় নিয়ে যত বক্তব্য ইতোপূর্বে হয়েছে সবগুলো দলীয় বক্তব্যের কাতারেই পড়ে।রায় নিয়ে উচ্চবাচ্য না করার অনুরোধ জানাব।বিচারবিভাগকে যেভাবে উপস্থাপন করার চেষ্টা সরকার করছে এতে করে বিচারবিভাগ বিতর্কিত হতে পারে।এরায়ে জনগণের মনেরভাব প্রকাশ হয়েছে কিনা সেটা নির্ধারণ করার ক্ষমতা জনগণ আওয়ামীলীগকে দেয়নি।এরায়ে বিএনপি ক্ষতিগ্রস্থ হয়েছে তবে ক্ষমতাসীনদের মতো নয়।তাই বলে বিএনপির নির্ভার হওয়ার সুযোগ নেই।তাদের বিপক্ষে যা বলা হয়েছে সেটাও ঐতিহাসিক।মূলত এরায়ে দেশের আর্থসামাজিক প্রেক্ষাপট,সংস্কৃতি অনেককিছু স্থান পেয়েছে।সংবিধান রক্ষণাবেক্ষণের দায়িত্ব সর্বোচ্চ আদালতের কাছে দেওয়া সত্ত্বেও এরকম যুক্তিযুক্ত রায় মানতে আওয়ামিলীগের কষ্ট হওয়ার কথা নয়।
-কামরুজ্জামান সাদ
কবি ও লেখক
-কামরুজ্জামান সাদ
কবি ও লেখক
মন্তব্য যোগ করুন
এই লেখার উপর আপনার মন্তব্য জানাতে নিচের ফরমটি ব্যবহার করুন।
মন্তব্যসমূহ
-
শঙ্খজিৎ ভট্টাচার্য ২৬/১২/২০২৩দারুণ
-
মো: মাসুদুর রহমান ২৬/০৮/২০১৭দারুন
-
মনিরুল ইসলাম ফারাবী ২৩/০৮/২০১৭চালিয়ে যান
-
ধ্রুবক ২২/০৮/২০১৭গুরুত্বপূর্ণ।