তরুণ লেখক নাকি সস্তা লেখক
তরুণ লেখকদের যে কোন মূল্য নেই সেটা আমি এবয়সেই টের পেয়ে গেছি।তাদেরকে যেমন ইচ্ছা ব্যবহার করা যায়।টাকায় একটা কথা লেখা থাকে,"চাহিবামাত্র ইহার বাহককে একশত টাকা দিতে বাধ্য থাকিবেন" অনুরূপভাবে তরুণ লেখকদেরকেও বাধ্য থাকতে হয় যে কারো চাওয়াতে।এইতো কিছুদিন আগে এক ছেলে বলল, তার প্রেমিকার নামে একটা কবিতা লিখে দিতে হবে।আমি কোনকালেই ভাল লিখিনা।আমি কারো জন্য লিখিনা, লিখি নিজের জন্য।সস্তা লেখক হিসেবে আমাকে বেছে নেওয়াটাকে সাধুবাদ জানাই।কবিতা লেখার জন্য কিছু উজ্জ্বল টাকাও দিয়েছে।কিন্তু আমি কবিতা লিখতে পারিনি।টাকাটা ফেরত দিয়েছি।আসলে এখন পর্যন্ত যত লেখা আমি লিখেছি সবগুলো নিজের ভাল লাগা থেকে।কেউ চাপ প্রয়োগ করে আমাকে লেখাতে পারে না।অনেকের ধারণা কবিরা কুকুরের মত একবারে সাত আটটা কবিতা প্রসব করে।অথচ গত বছরের শুরুতে একটা কবিতার চার লাইন লিখেছিলাম আজও শেষ করতে পারিনি।সস্তা লেখক হিসেবে কামরুজ্জামানের একটা পরিচিতি আছে।এইতো কিছুদিন আগে এক বড় আপা আমার কবিতার একটা লাইনে তার নাম উল্লেখ করার আবদার করলো।এটাকে আমি আবদারই বলবো।অনেকে এটাকে আদেশ বলে ভুল করতে পারে।তাকে আমি এককথায় না বলে দিলাম।মহেশপুরের এক ছোটভাই তার তিক্ত ভালবাসার কাহিনী শুনিয়ে এর উপর একটা গল্প লিখতে বলল।অথচ আমি না করে দিলাম।আসলে সত্য জিনিস আমার গল্পে স্থান পায় না,সত্য লেখার জন্য প্রবন্ধকে ব্যবহারেই তৃপ্তি পাই।আমি সস্তা লেখক তবে কারো চাকর নই।অনেকে আমার মত তরুণ লেখককে পাবলিক টয়লেটের ট্যাব মনে করে যেটা কিনা চালু করলেই কলকলিয়ে পানির পরিবর্তে কবিতা পড়বে।কি সাংঘাতিক!লেখাগুলো অনেক কষ্ট করে লিখতে হয়।একটা কবিতায় আপনার নাম বসিয়ে শব্দবাজি করে ভালো কবিতা হয়তো লিখতে পারবো যেটা আমার ভাষায় কুকুরের তের নম্বর বাচ্চার মতোই লাগে।
মন্তব্য যোগ করুন
এই লেখার উপর আপনার মন্তব্য জানাতে নিচের ফরমটি ব্যবহার করুন।
মন্তব্যসমূহ
-
অনির্বাণ সূর্যকান্ত ২৪/০৮/২০১৭মনের মধ্যে খুব যন্ত্রণা নিয়ে লিখেছেন। শুভ হোক ।।
-
সুশান্ত বিশ্বাস ২৩/০৮/২০১৭সঠিক কথা,,,, তরুন কবিরা সস্তা না এই কথা সবাই কে বুঝাতে হবে আমাদের লেখার মাধ্যমে।।।।।।