নোন্টেউবাচঃ ভোটের দিন
সকালটা যেন অন্ন দিনের থেকে কিছু আগেই হয়ে গেলো আজ। কাল রাতে যখন শুতে গিয়েছিলো খালি মনে হয়েছিল আজ রাতটা যদি অনন্তের সাথে গিয়ে মেসে তাহলে কি ভালোই না হয়। কিন্তু তা আর হোলো কই সময়ের নিয়ম যে বড়ই কঠিন একটু এদিক থেকে ওদিক হওয়ার নয়। নোন্টে বিছনায় শুয়ে শুয়েই দেখল পূব আকাশে সূর্যদেব ডিউটিতে যাওয়ার জন্ন তৈরী হচেছন, হাত মুখ ধুয়ে এখনই পৃথিবীকে আলোয় ভরিয়ে দিতে বেড়িয়ে পড়বেন। কিন্তু এদিকে বিছানায় এপাশ-ওপাশ করেও আল্সীমী যে আর কাটেনা। এইভাবে কিছুক্ষণ পড়ে থাকার পর নিজের মনে নিজেই বললো "না:, সূর্যদেব গাঝাড়া দিয়ে কাজে বেরিয়ে পড়েছে এবার উঠতে হবে।"
মুখ হাত ধুয়ে একটু ফ্রেস হয়ে বারান্দায় গিয়ে বসলে। কিছুক্ষণ আগেই মা চা দিয়ে গিয়েছে। চায়ে চুমুক দিয়ে মনে পড়ল হমম আজ তো ভোট। মনে অবশ্য সবই ছিল আর এই কারনেই একটুও কাজে মন পাচ্ছেনা আজ, রাতের অনন্তের সাথে দোস্তীর চিন্তা-ভাবনা মাথায় ঘুরছে। আসলে কাকে কেনো কি জন্ন যে ভোট দেবে সেখানেই কনফিউশনটা ক্রিয়েট হয়েছে। নোন্টে আর একটা চুমুক দিয়ে একটু আয়েশ করে বললে -ধূর, সবকটা শালা চোর এ বলে আমায় দেখ তো ও বলে আমায় কাকে যে ভোট দেবো সব বেকার; ভস্মে ঘী ঢালা আর আমাদের দেশে ভোট দেওয়া অনেকটা একইরকম। বৈচিত্র আছে কিন্তু কোন চরিত্র নেই; বৈসম্ম আছে কিন্তু কোন প্রভেদ নেই; সব শালা নিজের আখেরটা গোছাবে আর আমরা শালা আঙ্গুল চুষবো আর রোদে গরমে ঘেমে এই মালগুলোকে লাল বাত্তি দেওয়া গাড়িতে ঘোড়ার ব্যবস্থা করে দেবো।
মা ডাকল-"নোন্টে, স্নান করে নিস খাবার টেবল-এ ঢাকা দেওয়া আছে, আমি আর তোর বাবা ভোটটা দিয়ে আসি গিয়ে এরপর বেলা হয়ে গেলে আর পারবনা, যা রোদ দিচ্ছে আজকাল।" নোন্টের বাবা মা ভোট দিতে বেড়িয়ে গেলেন। ঘড়িতে তখন বাজে ৭:০৫, নোন্টে চোখ বন্ধ করে আর একটু ভাবনার ছলে ঘুমপাড়ে পাড়ি দেওয়ার চেষ্টা করল কিন্তু সূর্যদেবের চোখ রাঙানীতে বিরক্ত হয়ে স্নানে যেতে বাধ্য হোলো।
"নোন্টেদা ও নোন্টেদা ভোট দেবেনা, ও নোন্টেদা কি গো চল নোন্টেদা ও নোন্টেদা ....."
নোন্টে সবে খে উঠেছে এদের হাঁক ডাকে বুঝল পাগলা গুলো এসে গেছে। একটু জোরে হাঁক দিলো - এই থাম, আসছি।
ভালো করে দরজা দিয়ে সাইকেলটা নিয়ে বেরিয়ে এসে বলল "দাঁড়া রে মা-বাবা ভোট দিতে গিয়েছে আগে ফিরে আসুক তারপর না হয় --"
"আরে ধুর কাকু কাকিমার হয়ে গিয়েছে; ওই তো মোড়ের মাথায় দেখলাম যতিকার সাথে কথা বলছে, আমাদের এদিকে আসতেও দেখেছে তুমি চলো তো"
"বলছিস শম্ভু এসে যাবে না। চল তাহলে"
খানিক ইতস্তত করে লাল্টু ভোম্বল শম্ভু সৌরভ জিত দের সাথে নিয়ে বেরিয়ে গেলো।
কিছুদূর গিয়ে দেখা হোলো বাবা-মার সাথে, "-আমি আসছি" বলেই হুশ করে গতিবেগের সাথে তাঁদের পিছনে ফেলে হাওয়ায় গা ঢাকা দিলো নোন্টে।
লাল্টু: কি ভাই সব কে কোনদিকে যাচেছ এবার
ভোম্বল: বাইটাতো তোরই বেশি তুই বলনা কাকে
দেওয়া উচিত
লাল্টু: কেনো বে তুই মনে হয় হরির লূট নিতে যাচ্ছিস
ভোম্বল: বাজে কেন বকছিস ঝাণ্ডা নিয়ে ঘুরলি প্রচারে গেলি তো বাই কার সেতো সবাই জানে হিহি
লাল্টু: হাসিসনা ভোম্বল, এটা আমাদের কর্তব্য, দেশকে বাঁচানো বাংলাকে রক্ষা করা, আমাদের দায় এটা তাই বি.জে.পি একমাত্র ভরসা বুঝলিরে হতভাগা তবে সেটা সৌরভরা বুঝবেনা, সেই ছি.পি.এম ছি.পি.এম করে চেঁচাবে, হা:, ৩৪ বছর জালিয়েও আঁশ মেটেনি শালা
সৌরভ: এ-একদম বাজে বকবিনা লাল্টু খু-খুব খারাপ হয়ে যাবে কিন্তু শালা তোদের বি.জে.পি বাঙলায়ে গুজরাট-দাঙ্গার ইতিহাসের পুনরাবৃত্তি করতে চায় তাই না কিন্তু সেটা কখনোই হতে দেবনা বলে দিচ্ছি।
শম্ভু: শালা তোরা যতই হাঙ্গামা করিস না কেনো জিতব তো আলটিমেটলি আমরাই তাতে কোন সন্দেহই নেই হাহাহা কি বলিস রে জিত
জিত: আমি কিছুই বলবনা তোরা বকে যা। আরে গুরু তুমি চুপ থাকলে হবে কিছু বল মালগুলো তো হেব্বি বকর বকর করছে
লাল্টু: হ্যাঁ নোন্টেদা কিছু বলো তুমি তো একেবারে চুপ মেরে আছো
নোন্টে: কি বলব রে তোরা তো দেশের সাথে সাথে পুরো চোদ্দ গুষ্ঠি উদ্ধার করে দিলি।
লাল্টু: কেনো তুমি কার পক্ষ
নোন্টে: শালা নিজের পক্ষ রে। এই যে তুই বি.জে.পি বি.জে.পি করে লাফাচ্ছিস তোদের পার্টির পক্ষপাতিত্ব তো এতো বেশি এতো বেশি এতো বেশি যে তা কিনা বিজ্ঞাপনেও আড়াল রাখতে পারেনি।
লাল্টু: মানেটা কি?
নোন্টে: কেনো মুদ্রাযোজনা জনোজনযোজনা নিয়ে ওই যে বিজ্ঞাপনটা? শালা কেন্দ্রের প্রকল্পর সুবিধাতো এমনই পাবো তা নিয়ে add দেওয়ার কি আছে সেটাতো বুঝলামনা। তার মানে কি ওরা বাঙলার রাজত্ব পেলেই এই সুজগ আমরা পাবো নচেত্ নয় এটা পক্ষপাতিত্ব ছাড়া আর কি শুনি?
সৌরভ: হাহাহা যা বলেছো নোন্টেদা একদম
নোন্টে: তুই আর বকিসনা সৌরভ। এত দিন জানতাম কংগ্রেস কমুনিস্ট মিত্রতা হয়না, নীতিগত প্রভেদ আছে নাকি। সারা জীবন একে অপরের বিরোধীতা করে গেলো। তো ভাই আজ কি হোলো?? যেই গদির টান পড়ল নীতি রইল পড়ে আর সব শালা এক হয়ে গেলো।সুকুমার রায়ের কবিতায় হাঁসজারু পড়েছিলাম আজ দেখলাম সিংগ্রেস। শালা। এইতো বামনীতি আবার মুখে বড় বড় কথা। সবকটা সুবিদাবাদী
লাল্টু: তবে বুঝি জোড়া ফুল বেটর??ধোয়া তুলসী পাতা।
সৌরভ: কি নোন্টেদা শেষে গিয়ে জোড়া ফুলে দেবে নাকি হ্যাঁ???
শম্ভু: তোরা যে যা বলিস ভাই বাংলায় আবার জোড়া ফুল চাই।
জিত: তো দাদা সবুজ পার্টি জিন্দাবাদ
লাল্টু: সারদা নারদ এতো প্রবলেম তাও সেই সবুজ? তোমরা কি?
নোন্টে: তা ভাই বি.জে.পি বা কোন্ ধোয়া তুলসী পাতা শুনি? গুজরাট দাঙ্গা বাবরী মসজিদ কয়লা কেলেঙ্কারি সব তো এদের আমলেই আর তোরা এটাও বলতে পারিসনা যে নেতারা সবাই বদলে গেছে। আর ...
লাল্টু: ওটা অন্ন সময় এখন অন্ন সরকার তাছাড়া।
নোন্টে: তুই থাম গুজরাট দাঙ্গা মোদী আমলেই হয়েছে আর বাকি সব কটা কেলেঙ্কারির সময়ও ইনারা অনুপস্থিত ছিলেন তাও কিন্তু নয়।
আর সৌরভ ২জি কেলেঙ্কারি আর জমি কেলেঙ্কারি মিশে এবার কোন্ কেলেঙ্কারিটা হবে বলতে পারিস??
সৌরভ: তো আবার সারদা নারদ কাম্দুনীর পুনরাবৃত্তি করতে চাইছো নাকি নোন্টেদা??
নোন্টে: আমি কে ভাই? কোনো পুনরাবৃত্তি ঘটাবার কি ক্ষমতা আছে আমার?
আমি তো শুধু এটাই বলছি যে আজ যাই হচেছ সেটা ভস্মে ঘি ঢালা ছাড়া আর কিছুই না।
জিত: হমম এটা খাঁটি বলেছো দাদা সত্যি সব বেকার অনেকটা ওই রকম "তুলসী তলায় জ্বেলে বাতি 'সবাই' বলে আমি সতী"। শালা
লাল্টু : হমম বোঝা গেলো, ভাল না লাগলেও প্রতিবাদ করতেও পারছিনা।
সৌরভ: কিন্তু বুথ তো এসে গেলো বস। তো কি ঠিক করলে???
সৌরভ লাল্টু ও বাকিদের চোখে গভীর বিস্ময় ও কৌতুহল। সবাই ভাবছে একটাই কথা নোন্টে চাইছেটা কি?? সকলের দৃষ্টি অনুসরণ করে নোন্টে বলল,-
-ভাবাভাবির কি আছে ব্রো? এখানে এসে তো কিছুই আর ভাবার নেই। বুথ এসে গেছে, তো চল, আরো একবার অপাত্রে ভোটদানটা করেই আসি।
মুখ হাত ধুয়ে একটু ফ্রেস হয়ে বারান্দায় গিয়ে বসলে। কিছুক্ষণ আগেই মা চা দিয়ে গিয়েছে। চায়ে চুমুক দিয়ে মনে পড়ল হমম আজ তো ভোট। মনে অবশ্য সবই ছিল আর এই কারনেই একটুও কাজে মন পাচ্ছেনা আজ, রাতের অনন্তের সাথে দোস্তীর চিন্তা-ভাবনা মাথায় ঘুরছে। আসলে কাকে কেনো কি জন্ন যে ভোট দেবে সেখানেই কনফিউশনটা ক্রিয়েট হয়েছে। নোন্টে আর একটা চুমুক দিয়ে একটু আয়েশ করে বললে -ধূর, সবকটা শালা চোর এ বলে আমায় দেখ তো ও বলে আমায় কাকে যে ভোট দেবো সব বেকার; ভস্মে ঘী ঢালা আর আমাদের দেশে ভোট দেওয়া অনেকটা একইরকম। বৈচিত্র আছে কিন্তু কোন চরিত্র নেই; বৈসম্ম আছে কিন্তু কোন প্রভেদ নেই; সব শালা নিজের আখেরটা গোছাবে আর আমরা শালা আঙ্গুল চুষবো আর রোদে গরমে ঘেমে এই মালগুলোকে লাল বাত্তি দেওয়া গাড়িতে ঘোড়ার ব্যবস্থা করে দেবো।
মা ডাকল-"নোন্টে, স্নান করে নিস খাবার টেবল-এ ঢাকা দেওয়া আছে, আমি আর তোর বাবা ভোটটা দিয়ে আসি গিয়ে এরপর বেলা হয়ে গেলে আর পারবনা, যা রোদ দিচ্ছে আজকাল।" নোন্টের বাবা মা ভোট দিতে বেড়িয়ে গেলেন। ঘড়িতে তখন বাজে ৭:০৫, নোন্টে চোখ বন্ধ করে আর একটু ভাবনার ছলে ঘুমপাড়ে পাড়ি দেওয়ার চেষ্টা করল কিন্তু সূর্যদেবের চোখ রাঙানীতে বিরক্ত হয়ে স্নানে যেতে বাধ্য হোলো।
"নোন্টেদা ও নোন্টেদা ভোট দেবেনা, ও নোন্টেদা কি গো চল নোন্টেদা ও নোন্টেদা ....."
নোন্টে সবে খে উঠেছে এদের হাঁক ডাকে বুঝল পাগলা গুলো এসে গেছে। একটু জোরে হাঁক দিলো - এই থাম, আসছি।
ভালো করে দরজা দিয়ে সাইকেলটা নিয়ে বেরিয়ে এসে বলল "দাঁড়া রে মা-বাবা ভোট দিতে গিয়েছে আগে ফিরে আসুক তারপর না হয় --"
"আরে ধুর কাকু কাকিমার হয়ে গিয়েছে; ওই তো মোড়ের মাথায় দেখলাম যতিকার সাথে কথা বলছে, আমাদের এদিকে আসতেও দেখেছে তুমি চলো তো"
"বলছিস শম্ভু এসে যাবে না। চল তাহলে"
খানিক ইতস্তত করে লাল্টু ভোম্বল শম্ভু সৌরভ জিত দের সাথে নিয়ে বেরিয়ে গেলো।
কিছুদূর গিয়ে দেখা হোলো বাবা-মার সাথে, "-আমি আসছি" বলেই হুশ করে গতিবেগের সাথে তাঁদের পিছনে ফেলে হাওয়ায় গা ঢাকা দিলো নোন্টে।
লাল্টু: কি ভাই সব কে কোনদিকে যাচেছ এবার
ভোম্বল: বাইটাতো তোরই বেশি তুই বলনা কাকে
দেওয়া উচিত
লাল্টু: কেনো বে তুই মনে হয় হরির লূট নিতে যাচ্ছিস
ভোম্বল: বাজে কেন বকছিস ঝাণ্ডা নিয়ে ঘুরলি প্রচারে গেলি তো বাই কার সেতো সবাই জানে হিহি
লাল্টু: হাসিসনা ভোম্বল, এটা আমাদের কর্তব্য, দেশকে বাঁচানো বাংলাকে রক্ষা করা, আমাদের দায় এটা তাই বি.জে.পি একমাত্র ভরসা বুঝলিরে হতভাগা তবে সেটা সৌরভরা বুঝবেনা, সেই ছি.পি.এম ছি.পি.এম করে চেঁচাবে, হা:, ৩৪ বছর জালিয়েও আঁশ মেটেনি শালা
সৌরভ: এ-একদম বাজে বকবিনা লাল্টু খু-খুব খারাপ হয়ে যাবে কিন্তু শালা তোদের বি.জে.পি বাঙলায়ে গুজরাট-দাঙ্গার ইতিহাসের পুনরাবৃত্তি করতে চায় তাই না কিন্তু সেটা কখনোই হতে দেবনা বলে দিচ্ছি।
শম্ভু: শালা তোরা যতই হাঙ্গামা করিস না কেনো জিতব তো আলটিমেটলি আমরাই তাতে কোন সন্দেহই নেই হাহাহা কি বলিস রে জিত
জিত: আমি কিছুই বলবনা তোরা বকে যা। আরে গুরু তুমি চুপ থাকলে হবে কিছু বল মালগুলো তো হেব্বি বকর বকর করছে
লাল্টু: হ্যাঁ নোন্টেদা কিছু বলো তুমি তো একেবারে চুপ মেরে আছো
নোন্টে: কি বলব রে তোরা তো দেশের সাথে সাথে পুরো চোদ্দ গুষ্ঠি উদ্ধার করে দিলি।
লাল্টু: কেনো তুমি কার পক্ষ
নোন্টে: শালা নিজের পক্ষ রে। এই যে তুই বি.জে.পি বি.জে.পি করে লাফাচ্ছিস তোদের পার্টির পক্ষপাতিত্ব তো এতো বেশি এতো বেশি এতো বেশি যে তা কিনা বিজ্ঞাপনেও আড়াল রাখতে পারেনি।
লাল্টু: মানেটা কি?
নোন্টে: কেনো মুদ্রাযোজনা জনোজনযোজনা নিয়ে ওই যে বিজ্ঞাপনটা? শালা কেন্দ্রের প্রকল্পর সুবিধাতো এমনই পাবো তা নিয়ে add দেওয়ার কি আছে সেটাতো বুঝলামনা। তার মানে কি ওরা বাঙলার রাজত্ব পেলেই এই সুজগ আমরা পাবো নচেত্ নয় এটা পক্ষপাতিত্ব ছাড়া আর কি শুনি?
সৌরভ: হাহাহা যা বলেছো নোন্টেদা একদম
নোন্টে: তুই আর বকিসনা সৌরভ। এত দিন জানতাম কংগ্রেস কমুনিস্ট মিত্রতা হয়না, নীতিগত প্রভেদ আছে নাকি। সারা জীবন একে অপরের বিরোধীতা করে গেলো। তো ভাই আজ কি হোলো?? যেই গদির টান পড়ল নীতি রইল পড়ে আর সব শালা এক হয়ে গেলো।সুকুমার রায়ের কবিতায় হাঁসজারু পড়েছিলাম আজ দেখলাম সিংগ্রেস। শালা। এইতো বামনীতি আবার মুখে বড় বড় কথা। সবকটা সুবিদাবাদী
লাল্টু: তবে বুঝি জোড়া ফুল বেটর??ধোয়া তুলসী পাতা।
সৌরভ: কি নোন্টেদা শেষে গিয়ে জোড়া ফুলে দেবে নাকি হ্যাঁ???
শম্ভু: তোরা যে যা বলিস ভাই বাংলায় আবার জোড়া ফুল চাই।
জিত: তো দাদা সবুজ পার্টি জিন্দাবাদ
লাল্টু: সারদা নারদ এতো প্রবলেম তাও সেই সবুজ? তোমরা কি?
নোন্টে: তা ভাই বি.জে.পি বা কোন্ ধোয়া তুলসী পাতা শুনি? গুজরাট দাঙ্গা বাবরী মসজিদ কয়লা কেলেঙ্কারি সব তো এদের আমলেই আর তোরা এটাও বলতে পারিসনা যে নেতারা সবাই বদলে গেছে। আর ...
লাল্টু: ওটা অন্ন সময় এখন অন্ন সরকার তাছাড়া।
নোন্টে: তুই থাম গুজরাট দাঙ্গা মোদী আমলেই হয়েছে আর বাকি সব কটা কেলেঙ্কারির সময়ও ইনারা অনুপস্থিত ছিলেন তাও কিন্তু নয়।
আর সৌরভ ২জি কেলেঙ্কারি আর জমি কেলেঙ্কারি মিশে এবার কোন্ কেলেঙ্কারিটা হবে বলতে পারিস??
সৌরভ: তো আবার সারদা নারদ কাম্দুনীর পুনরাবৃত্তি করতে চাইছো নাকি নোন্টেদা??
নোন্টে: আমি কে ভাই? কোনো পুনরাবৃত্তি ঘটাবার কি ক্ষমতা আছে আমার?
আমি তো শুধু এটাই বলছি যে আজ যাই হচেছ সেটা ভস্মে ঘি ঢালা ছাড়া আর কিছুই না।
জিত: হমম এটা খাঁটি বলেছো দাদা সত্যি সব বেকার অনেকটা ওই রকম "তুলসী তলায় জ্বেলে বাতি 'সবাই' বলে আমি সতী"। শালা
লাল্টু : হমম বোঝা গেলো, ভাল না লাগলেও প্রতিবাদ করতেও পারছিনা।
সৌরভ: কিন্তু বুথ তো এসে গেলো বস। তো কি ঠিক করলে???
সৌরভ লাল্টু ও বাকিদের চোখে গভীর বিস্ময় ও কৌতুহল। সবাই ভাবছে একটাই কথা নোন্টে চাইছেটা কি?? সকলের দৃষ্টি অনুসরণ করে নোন্টে বলল,-
-ভাবাভাবির কি আছে ব্রো? এখানে এসে তো কিছুই আর ভাবার নেই। বুথ এসে গেছে, তো চল, আরো একবার অপাত্রে ভোটদানটা করেই আসি।
মন্তব্য যোগ করুন
এই লেখার উপর আপনার মন্তব্য জানাতে নিচের ফরমটি ব্যবহার করুন।
মন্তব্যসমূহ
-
ফয়জুল মহী ০৬/১০/২০১৬চৌকশ লিখনী
-
পরশ ০৬/১০/২০১৬ভাল হইয়েছে
-
পরশ ০৫/১০/২০১৬ভাল লেগেছে
-
মোনালিসা ০৩/১০/২০১৬ভাল হয়েছে
-
রোজারিও ০৩/১০/২০১৬ভাল রাজনৈতিক দর্শন । এইমানের লেখা তারুণ্যে আসেনা বললেই চলে ।আপনি আপনার লেখা গুলো ছোট ছোট অংশ করে পোস্ট করবেন ।এখানের পাঠক এতবড় লেখি পড়ার জন্য প্রস্তুত না ।
-
সোলাইমান ০২/১০/২০১৬অনেক সুন্দর