নিয়তি (শেষ পর্ব)
কল্লোল, কেন ডাকছিস আমাকে?কি চাস তুই আমার কাছ থেকে?যা তুই এখান থেকে, বলে চিৎকার করতে লাগল তিয়া।পাশে সুজয় বসে।কি বলছো,কেন এমন করছো।কি হলল তোমার?আজ দশদিন হল, সকাল-সন্ধ্যা,তিয়া যেন কাকে দেখতে পায়, কাকে, কি নাম তিয়া ব লে, হ্যা কল্লোল!সুমিতের সঙ্গে যখন তিয়ার বিয়ে হয়, তিয়ায় তার বয়ফ্রেন্ড কল্লোলের ব্যপারে বলেছিল।আর তারপর থেকেই সুমিত আর তিয়াতে কতবার যে ঝগড়া হয়েছে কল্লোলকে নিয়ে তার ঠিক নেই শেষ পর্যন্ত ঝগড়া থেমেছে দুইপক্ষের সামঝতায়।সে যাই হোক আসল গল্পে আসা যাক।হটাত একদিন সুজয়ের ফোন তিয়াকে, জানিস একটা খুব খারাপ খবর আছে।তিয়া ক্যসুয়ালি রেস্পন্স করে বললো কি হয়েছে? কল্লোলের একুউট লিউকেমিয়া ধরা পড়েছে।তিয়ার বুকটা ছ্যাঁত করে উঠল।কার বললি, আরে কল্লোলের।নিজের কানকে যেন বিশ্বাস করতে পারছে না তিয়া।কি করে? বলেই যেন জ্ঞান এলো, প্রশ্নটা কি বোকা বোকা।খুব খারাপ লাগছেরে, ইত্যাদি ইত্যাদি ব লে কোন রকমে ফোনটা শেষ করে হাউ হাউ ক রে কেঁদে ফেললো পাশ থেকে ছোট্ট কিট্টু শুধু মাকে ধরে কাঁদছে। কিছুক্ষন পরে নিজেকে সামলে সুমিতকে একটা মেসেজ করল, একটু কল্লোলের কন্টাক্ট নাম্বার টা দিতে পারবি?সুজ য়: ৯৮৭৬৫৪৩২১।তিয়া:থ্যনক্স।
তিয়া এবার ঘোর চিন্তায় মগ্ন হল।স্মৃতিপটে ভেসে উঠল,অতীতের সোনালি দিন গুলি।ক ত ক থা, ক ত গান, স ত্যি আজ তিয়া ভাবতেই পারছে না, দীর্ঘ ৮ ব ছ র প রে আবার সে ক ল্লোলের সঙ্গে ক থা ব ল বে, সেও আবার এই র ক ম অবস্থায়।কি ব ল বে,কে ফোন টা ধ র বে, হা জার প্রশ্ন তিয়াকে ক্ষেপেয়ে তুল ল।না এক টা মেসেজ ক রা যাক।তিয়া: আমি তিয়া, কেম ন আছিস এখন? কল্লোল :আমি ক ল্লোলের স্ত্রী সুমি, ও ভাল নেই, প্লীজ ওর জন্য পার্থনা ক রুন।তিয়ার হার্ট বীট টা ১০০ গুন বাড়িয়ে দিল, নিজেকে কিছুতেই স্থীর রখ তে পারছে না।অবশেষে ঠীক ক র ল সুমীত কে ব ল বে।সুমিত শোনার প র ২৫ হা জার টাকার একটা চেক লিখে দিয়ে ব ল লো চ লো একদিন দেখে আসি তাকে।তিয়া যেন আকাশ থেকে পড়ল, সেদিন প্রথম সুমিতকে অনেক অনেক প্রশংসা করলো।তার পর সুমিতের অফিসের কাজে ক ল কাতা যাওয়ার দিন ক ল্লোল যে হাস পাতালে ছিল সেখানে ড্রপ করে চ লে গেল।ফেরার প থে পিক করে নেবে মিষ্টি হাসি দিয়ে তিয়া ব ল ল।কিন্তু কল্লোলকে দেখার প র তিয়া খুব ভেঙে পড় ল।সুমি না থাকার জন্য কল্লোলের উ দ্দ্যেশ্যে কিছু পারসোনাল ক থাও ব ল ল, কিন্তু বুঝ ল না ক ল্লোল কি ব ল ল।এ র প র বিভিন্ন বন্ধু বান্ধবের থেকে ক ল্লোলের খোজ নিত তিয়া।ক খ ন ভাল ক খ ন খারাপ।খারাপ শুন লে তিয়ার দিন টা ভাল যেত না।ক্রমে কেমো নিতে নিতে ক ল্লোল সুস্থ হল।একদিন তিয়া ফোন কর ল, অপ র দিক থেকে ক ল্লোলের আওয়াজ টা প্রথমে তিয়াকে খুব চ ঞ্চল ক রেদিল কিন্তু তিয়া বুঝতে দিল না।স্বাভাবিক ভাবে ক থা ব ল ল, শুধু একটা ক থা তিয়াকে নাড়িয়ে দিল,কথার শেষে তিয়ার অভ্যসবসত যখন ব ল লো বাই, ক ল্লোল আগের ম ত ই ব লে ফেল ল বাই ন য়, বলল সি ইউ সুন।কিছুদিন ধ রে স্বাভাবিক কথা চ লার প র, ক ল্লোলের দিক থেকে এল প্রেম প্রস্তাব।তিয়া অনেক বারন ক র ল কিন্তু ক ল্লোল নাছোড় যেম ন টি ছিল আগে,সব যুক্তিকে হারিয়ে সে তিয়াকে রঙীন স্বপ্ন দেখাল।তিয়াও কিছুদিন প রে হেরে গেল ক ল্লোলের কাছে।তার প র শুরু হ ল লুকিয়ে লুকিয়ে দেখা ক রা,আরো কিছু।।।।
দিন টা ছিল বৃহ:স্পতিবার তিয়ার নাম্বারে সুমির ফোন তাও আবার ক ল্লোলের ফোন থেকে প্রথম টাকেই ধ রা পড়েগেল, কি ব ল ছো, এত স কালে ফোন ক র লে, ব ল তে গিয়ে।তীব্র তিরস্কার স হ্য ক র তে হ ল তিয়াকে,কারন কিছু আপ ত্তি ক র মেসেজ সুমি পেয়েছিল।শেষ টা হ ল সুমিত কে জানিয়ে।আর শেষ হ য়ে গেল বিশ্বাস। সুমিত তিয়াকে কোর্ট প র্যন্ত নিয়ে গেছিল ডিভোর্স দেবে ব লে কিন্তু ছেলের ক থা ভেবে সেটা আর হয় নি।কিন্তু ক্রমে তিয়া সুমিতের স ম্প র্ক তলানি তে গিয়ে ঠেক ল।কোনক্রমে দিন গুলো অতিক্রান্ত হচ্ছিল কিন্তু তিয়াকে একটা আত্মগ্লানি কুড়ে কুড়ে খাচ্ছিল।তিয়া ক্রমে ডিপ ডিপ্রসেনের রুগী হ য়ে যাচ্ছিল,রাতে ঘুমের বড়ি ছাড়া ঘুম আসে না।দুমাস প র একটা ফোন তিয়াকে আরো অ সুস্থ ক রে দিল।
সুজ য়: ক ল্লোল ইস নো মোর।তিয়া :কল্লোল, কেন ডাকছিস আমাকে?কি চাস তুই আমার কাছ থেকে?যা তুই এখান থেকে।
তিয়া এবার ঘোর চিন্তায় মগ্ন হল।স্মৃতিপটে ভেসে উঠল,অতীতের সোনালি দিন গুলি।ক ত ক থা, ক ত গান, স ত্যি আজ তিয়া ভাবতেই পারছে না, দীর্ঘ ৮ ব ছ র প রে আবার সে ক ল্লোলের সঙ্গে ক থা ব ল বে, সেও আবার এই র ক ম অবস্থায়।কি ব ল বে,কে ফোন টা ধ র বে, হা জার প্রশ্ন তিয়াকে ক্ষেপেয়ে তুল ল।না এক টা মেসেজ ক রা যাক।তিয়া: আমি তিয়া, কেম ন আছিস এখন? কল্লোল :আমি ক ল্লোলের স্ত্রী সুমি, ও ভাল নেই, প্লীজ ওর জন্য পার্থনা ক রুন।তিয়ার হার্ট বীট টা ১০০ গুন বাড়িয়ে দিল, নিজেকে কিছুতেই স্থীর রখ তে পারছে না।অবশেষে ঠীক ক র ল সুমীত কে ব ল বে।সুমিত শোনার প র ২৫ হা জার টাকার একটা চেক লিখে দিয়ে ব ল লো চ লো একদিন দেখে আসি তাকে।তিয়া যেন আকাশ থেকে পড়ল, সেদিন প্রথম সুমিতকে অনেক অনেক প্রশংসা করলো।তার পর সুমিতের অফিসের কাজে ক ল কাতা যাওয়ার দিন ক ল্লোল যে হাস পাতালে ছিল সেখানে ড্রপ করে চ লে গেল।ফেরার প থে পিক করে নেবে মিষ্টি হাসি দিয়ে তিয়া ব ল ল।কিন্তু কল্লোলকে দেখার প র তিয়া খুব ভেঙে পড় ল।সুমি না থাকার জন্য কল্লোলের উ দ্দ্যেশ্যে কিছু পারসোনাল ক থাও ব ল ল, কিন্তু বুঝ ল না ক ল্লোল কি ব ল ল।এ র প র বিভিন্ন বন্ধু বান্ধবের থেকে ক ল্লোলের খোজ নিত তিয়া।ক খ ন ভাল ক খ ন খারাপ।খারাপ শুন লে তিয়ার দিন টা ভাল যেত না।ক্রমে কেমো নিতে নিতে ক ল্লোল সুস্থ হল।একদিন তিয়া ফোন কর ল, অপ র দিক থেকে ক ল্লোলের আওয়াজ টা প্রথমে তিয়াকে খুব চ ঞ্চল ক রেদিল কিন্তু তিয়া বুঝতে দিল না।স্বাভাবিক ভাবে ক থা ব ল ল, শুধু একটা ক থা তিয়াকে নাড়িয়ে দিল,কথার শেষে তিয়ার অভ্যসবসত যখন ব ল লো বাই, ক ল্লোল আগের ম ত ই ব লে ফেল ল বাই ন য়, বলল সি ইউ সুন।কিছুদিন ধ রে স্বাভাবিক কথা চ লার প র, ক ল্লোলের দিক থেকে এল প্রেম প্রস্তাব।তিয়া অনেক বারন ক র ল কিন্তু ক ল্লোল নাছোড় যেম ন টি ছিল আগে,সব যুক্তিকে হারিয়ে সে তিয়াকে রঙীন স্বপ্ন দেখাল।তিয়াও কিছুদিন প রে হেরে গেল ক ল্লোলের কাছে।তার প র শুরু হ ল লুকিয়ে লুকিয়ে দেখা ক রা,আরো কিছু।।।।
দিন টা ছিল বৃহ:স্পতিবার তিয়ার নাম্বারে সুমির ফোন তাও আবার ক ল্লোলের ফোন থেকে প্রথম টাকেই ধ রা পড়েগেল, কি ব ল ছো, এত স কালে ফোন ক র লে, ব ল তে গিয়ে।তীব্র তিরস্কার স হ্য ক র তে হ ল তিয়াকে,কারন কিছু আপ ত্তি ক র মেসেজ সুমি পেয়েছিল।শেষ টা হ ল সুমিত কে জানিয়ে।আর শেষ হ য়ে গেল বিশ্বাস। সুমিত তিয়াকে কোর্ট প র্যন্ত নিয়ে গেছিল ডিভোর্স দেবে ব লে কিন্তু ছেলের ক থা ভেবে সেটা আর হয় নি।কিন্তু ক্রমে তিয়া সুমিতের স ম্প র্ক তলানি তে গিয়ে ঠেক ল।কোনক্রমে দিন গুলো অতিক্রান্ত হচ্ছিল কিন্তু তিয়াকে একটা আত্মগ্লানি কুড়ে কুড়ে খাচ্ছিল।তিয়া ক্রমে ডিপ ডিপ্রসেনের রুগী হ য়ে যাচ্ছিল,রাতে ঘুমের বড়ি ছাড়া ঘুম আসে না।দুমাস প র একটা ফোন তিয়াকে আরো অ সুস্থ ক রে দিল।
সুজ য়: ক ল্লোল ইস নো মোর।তিয়া :কল্লোল, কেন ডাকছিস আমাকে?কি চাস তুই আমার কাছ থেকে?যা তুই এখান থেকে।
মন্তব্য যোগ করুন
এই লেখার উপর আপনার মন্তব্য জানাতে নিচের ফরমটি ব্যবহার করুন।
মন্তব্যসমূহ
-
কামরুজ্জামান সাদ ১৬/১০/২০১৭শুভেচ্ছা
-
মধু মঙ্গল সিনহা ১৪/১০/২০১৭অনেক সুন্দর।
-
আজাদ আলী ১৪/১০/২০১৭Valo