সমাপ্তি - শেষ পর্ব
অনেক দিন পরে সুমন বাইরে বেরাল, অনেকটা অক্সিজেন সে পুরে নিল শ্বাসযন্ত্রে।দীর্ঘ ৪ মাস সে অসুস্থ।যমে মানুষে টানাটানির পর সে আজ অনেকটা সুস্থ।পাশে পেয়েছে অসংখ্য বন্ধু-বান্ধবকে, দীসাও এসেছিল।আচ্ছা দীসা কে? দীসা হল সুমনের কলেজ জীবনের প্রেমীকা।আবার সে একটা সুখবরও সে পেয়েছে । তার বাবা হওয়ার খবর।না দীসার সাথে বিয়েটা তার হয়নি, হয়েছে প্রীয়ার সাথে, তার মায়ের বান্ধবীর মেয়ে।কিন্তু সে যন্ত্রনা তাকে কুড়ে কুড়ে খেয়েছে।আজ খুব মন করছে দীসাকে জিজ্ঞেস করতে কেন তাকে বিয়ে করল না সে?
দেখাই যাক না একটা ফোন করে।সাহস যোগিয়ে যেই ফোন তা হাতে নেওয়া, হটাত একটা মেসেজ ধুকল...কেমন আছিস এখন? আমি দীসা...সত্যি নিজের চোখকে বিশ্বাস হচ্ছে না।কি লিখবে খুজে পাচ্ছে না সুমন।শেষ মেষ লিখেই ফেলল, অভিমানের কথা, কেন ছাড়লি আমাকে?
আবার একটা মেসেজ...আমার কিছু করার ছিল না রে...সুমনঃ আমাকে একটা সুযোগও দিলি না, ইউ সেল্ফিস!...দীসাঃ বেশ আমি তাই, আর কনটাক্ট করবি না কোনদিন...মনটা আবার খারাপ হয়ে গেল সুমনের।
সাল টা ২০০৭,১৯শে এপ্রিল ক্লাসের সবাই হই হই করতে করতে চলে গেল দিসার বিয়েতে , সে দিনটা সুমনের জীবনের সবথেকে খারাপ দিন।
কেন ছাড়লি,কেন ছাড়লি বলে চিৎকার করেছে আর মদ খেয়েছিল সুমন।
সত্যি কেন যে দীসা ছাড়ল সে প্রশ্নটা আজও তাকে তাড়া করে।না কেন করছে আজ এই সব চিন্তা, যাক একটু ওই দিকটা যাওয়া যাক, অভিমান হ্যা অভিমান হল ...আবার কেন সে দিসাকে ভুলতে পারছে না।।আজ দীসা নেই শুধুই প্রীয়া...আবার একটা মেস...আমি সেল্ফিস নই ...আমার কিছু করার ছিল না ।। প্লীজ বিশ্বাস কর...সুমন : আজ আর কি লাভ? দীসা : সত্যি , কিন্তু আমরা কি ভাল বন্ধু হতে পারি না...সুমন : না...
তারপর তিনদিন কেটে গেছে...কোন মেসেজ নেই।ডাক্তার বলেছে কন্সার পেসেন্টদের অতিরিক্ত সাবধানে থাকা উচিত।তাই সুমন শুধু রেস্টের মধ্যে আছে।প্রিয়া অফিসে গেল।কি করবে ।।কি করবে খুজে পায় না।ডাক্তার আরো ৩ সপ্তাহ রেস্ট নিতে বলেছে।একটু ফেসবুক দেখা যাক...দেখব একবার দীসার প্রফাইল।।না থাক...দেখাই যাক না।কি রকম লাগে দিসাকে দেখতে এখন, যখন এসে ছিল দেখতে পায়নি ঠিক করে।সার্চ করে সহজেই পেয়ে যায় দিসার প্রফাইল।।এটা কি? "বড় একা লাগে, তোকে আজও ভুলতে পারিনি!" , একটা কোট...আবার সুমনকে দুর্বল করে দেয়।শেষ মেষ একটা মেসেজ সে করেই ফেলে, সত্যি আমাকে ভুলতে পারিসনি আজও,পারবি ফিরিয়ে দিতে সেই সোনালি দিনগুলো,পারবি আমার কাছে আসতে, সবকিছু ভুলিইয়ে...সত্যি কি সম্ভব?...দিসা : তুই পারলে আমিও পারব...আমার মন নিয়ে যেমন একদিন ছেলেখেলা হয়েছিল আমি না আমরা আজ এই পৃথিবী কে নিয়ে ছেলেখেলা করব...সুমন : সত্যি তুই আজো এত ভালবাসিস আমাকে?...দীসা : সত্যি...শুরু হোক
একটা সম্পর্কের জন্য অনেক সম্পর্কের সমাপ্তি।
দেখাই যাক না একটা ফোন করে।সাহস যোগিয়ে যেই ফোন তা হাতে নেওয়া, হটাত একটা মেসেজ ধুকল...কেমন আছিস এখন? আমি দীসা...সত্যি নিজের চোখকে বিশ্বাস হচ্ছে না।কি লিখবে খুজে পাচ্ছে না সুমন।শেষ মেষ লিখেই ফেলল, অভিমানের কথা, কেন ছাড়লি আমাকে?
আবার একটা মেসেজ...আমার কিছু করার ছিল না রে...সুমনঃ আমাকে একটা সুযোগও দিলি না, ইউ সেল্ফিস!...দীসাঃ বেশ আমি তাই, আর কনটাক্ট করবি না কোনদিন...মনটা আবার খারাপ হয়ে গেল সুমনের।
সাল টা ২০০৭,১৯শে এপ্রিল ক্লাসের সবাই হই হই করতে করতে চলে গেল দিসার বিয়েতে , সে দিনটা সুমনের জীবনের সবথেকে খারাপ দিন।
কেন ছাড়লি,কেন ছাড়লি বলে চিৎকার করেছে আর মদ খেয়েছিল সুমন।
সত্যি কেন যে দীসা ছাড়ল সে প্রশ্নটা আজও তাকে তাড়া করে।না কেন করছে আজ এই সব চিন্তা, যাক একটু ওই দিকটা যাওয়া যাক, অভিমান হ্যা অভিমান হল ...আবার কেন সে দিসাকে ভুলতে পারছে না।।আজ দীসা নেই শুধুই প্রীয়া...আবার একটা মেস...আমি সেল্ফিস নই ...আমার কিছু করার ছিল না ।। প্লীজ বিশ্বাস কর...সুমন : আজ আর কি লাভ? দীসা : সত্যি , কিন্তু আমরা কি ভাল বন্ধু হতে পারি না...সুমন : না...
তারপর তিনদিন কেটে গেছে...কোন মেসেজ নেই।ডাক্তার বলেছে কন্সার পেসেন্টদের অতিরিক্ত সাবধানে থাকা উচিত।তাই সুমন শুধু রেস্টের মধ্যে আছে।প্রিয়া অফিসে গেল।কি করবে ।।কি করবে খুজে পায় না।ডাক্তার আরো ৩ সপ্তাহ রেস্ট নিতে বলেছে।একটু ফেসবুক দেখা যাক...দেখব একবার দীসার প্রফাইল।।না থাক...দেখাই যাক না।কি রকম লাগে দিসাকে দেখতে এখন, যখন এসে ছিল দেখতে পায়নি ঠিক করে।সার্চ করে সহজেই পেয়ে যায় দিসার প্রফাইল।।এটা কি? "বড় একা লাগে, তোকে আজও ভুলতে পারিনি!" , একটা কোট...আবার সুমনকে দুর্বল করে দেয়।শেষ মেষ একটা মেসেজ সে করেই ফেলে, সত্যি আমাকে ভুলতে পারিসনি আজও,পারবি ফিরিয়ে দিতে সেই সোনালি দিনগুলো,পারবি আমার কাছে আসতে, সবকিছু ভুলিইয়ে...সত্যি কি সম্ভব?...দিসা : তুই পারলে আমিও পারব...আমার মন নিয়ে যেমন একদিন ছেলেখেলা হয়েছিল আমি না আমরা আজ এই পৃথিবী কে নিয়ে ছেলেখেলা করব...সুমন : সত্যি তুই আজো এত ভালবাসিস আমাকে?...দীসা : সত্যি...শুরু হোক
একটা সম্পর্কের জন্য অনেক সম্পর্কের সমাপ্তি।
মন্তব্য যোগ করুন
এই লেখার উপর আপনার মন্তব্য জানাতে নিচের ফরমটি ব্যবহার করুন।
মন্তব্যসমূহ
-
মুহাম্মদ মোজাম্মেল হোসেন ১১/১০/২০১৭
-
টি এম আমান উল্লাহ ১১/১০/২০১৭valo likhechen
-
আব্দুল হক ০৯/১০/২০১৭বেশ!
-
ফয়জুল মহী ০৯/১০/২০১৭মিহি অনুভুতির বৃত্তান্ত বর্ণন উপভোগ্য হল
-
মুহাম্মাদ রাসেল উদ্দীন ০৯/১০/২০১৭লেখায় ধার আছে
-
কামরুজ্জামান সাদ ০৯/১০/২০১৭গোছানো লেখা
সমাপ্তি হলো প্রীতির দুজন দুজনা ।
ধন্যবাদ ।