ভৌতিক
সকাল থেকেই শরীরটা ভালোলাগছিল না। আগের রাতে ভালো ঘুম হয়নি। খুব একটা কাজও ছিলনা সারাদিন,শুধু এ সপ্তাহের অসমাপ্ত উপন্যাস টা পড়া ছাড়া।সকাল সকাল ব্রেকফাস্ট সেরেই বই টা তারাতারি শেষ করে ফেললাম।প্রাইভেট টিউশন গুলো আজ সব বন্ধ।তাই আজ সারাটা দিন শুয়ে শুয়ে কাটিয়ে দিলাম।
শুধু বিকেলে একটু শরীরটাকে হালকা রোদে ষেকে নিতে সরষে খেতের দিকে গেলাম,মাঠে।
চারিদিকে হলুদ সবুজ ঝকঝকে চিত্র চোখ জুরিয়ে গেল।সরষের কাঁচা গন্ধ ভেসে আসছিল নাকে।মধু মৌমাছিরা মধু সংগ্রহে খুবই ব্যাস্ত।মাঠের পশ্চিম দিকের বাঁশ ঝাড়ে পাখির কিচিরমিচির ডেকে মাঝে মাঝেই মনোযোগ নষ্ট করছিল।
বাঁশের ডগা গুলো যেখানে সরষের খেতে ঠেকেছে সেখান দিয়ে অন্ধকার হয়ে কিছুক্ষণের মধ্যে নেমে এল সন্ধ্যা। শরীরে ঠান্ডা ঠান্ডা ভাবটা অনুভব করেছি অনেক আগেই,এবারে স্পষ্ট হল অন্ধকারে।চারদিকটা একটু কুয়াশায় গাঢ় অন্ধকার। আশপাশ টা যদিও চেনা যাচ্ছিল।
প্রায় প্রতিদিন বিকেল বেলাটা কেটে যায় এ ভাবেই,এখানে পুকুর পারটা বেশ ফাঁকা।পাড়ায় আমার বন্ধু বান্ধবও নেই বেশি। পুকুর পাড়টাই যা আমার অবসর বিকেল কাটানোর সঙ্গহীন নির্জন সঙ্গী।অনেক অন্ধকার পর্যন্ত এখানেই কেটে যায়.......আকাশ পাতাল নানা ভাবনার জাল বুনতে বুনতে।
কিন্তু সন্ধে্যর অন্ধকার নামতেই আজ কেমন যেন ভয় ভয় করছিল ভেতরটা।চারদিকটা কেমন যেন অস্বাভাবিক থমথমে। মনে পড়ল পানের বরোজের শেয়াল গুলো আজ অস্বাভাবিক ভাবে চুপচাপ।গায়ে কাঁটা দিয়ে এল আমার।বাঁশ ঝাঁড় থেকে একটা প্যাঁচা -'কুত কুত' করছিল থেকে থেকে। একটা পাখি চিতকার করে উড়ে গেল মাথার উপর দিয়ে।ভয়টা একটু গাঢ় হলো মনের মধ্যে।ফনিমনসার ঝোপের দিকে চোখ পড়তেই সাড়া শরীরের লোমগুলো খারা হয়ে উঠল। মাথার চুল গুলোও সেটা অনুভব করল।মাথাটা ঝিমঝিম করে উঠল আমার।
অদূরে দেখি সাদা ধপ্-ধপে ভৌতিক মানুষের মত এক প্রানী।
দাত বের করে হাঁসছে।চোখ দিয়ে যেন আগুনের গোলা বেরিয়ে আসছে।আমি তখন নিজের অজান্তেই রাম রাম কোরছি।
ভাবলাম আজ আমার ইহ লোকের অন্তিম দিন।পরক্ষনে নিজেকে শামলে রাম রাম করতে করতে পালিয়ে এলাম এক ছুটে। গ্রামে ঢুকতেই হাফ ছেড়ে বাচলাম।মনে মনে ভাবলাম ওখানে আর যাবনা।বড় বাঁচা বেঁচেছি আজ।
শুধু বিকেলে একটু শরীরটাকে হালকা রোদে ষেকে নিতে সরষে খেতের দিকে গেলাম,মাঠে।
চারিদিকে হলুদ সবুজ ঝকঝকে চিত্র চোখ জুরিয়ে গেল।সরষের কাঁচা গন্ধ ভেসে আসছিল নাকে।মধু মৌমাছিরা মধু সংগ্রহে খুবই ব্যাস্ত।মাঠের পশ্চিম দিকের বাঁশ ঝাড়ে পাখির কিচিরমিচির ডেকে মাঝে মাঝেই মনোযোগ নষ্ট করছিল।
বাঁশের ডগা গুলো যেখানে সরষের খেতে ঠেকেছে সেখান দিয়ে অন্ধকার হয়ে কিছুক্ষণের মধ্যে নেমে এল সন্ধ্যা। শরীরে ঠান্ডা ঠান্ডা ভাবটা অনুভব করেছি অনেক আগেই,এবারে স্পষ্ট হল অন্ধকারে।চারদিকটা একটু কুয়াশায় গাঢ় অন্ধকার। আশপাশ টা যদিও চেনা যাচ্ছিল।
প্রায় প্রতিদিন বিকেল বেলাটা কেটে যায় এ ভাবেই,এখানে পুকুর পারটা বেশ ফাঁকা।পাড়ায় আমার বন্ধু বান্ধবও নেই বেশি। পুকুর পাড়টাই যা আমার অবসর বিকেল কাটানোর সঙ্গহীন নির্জন সঙ্গী।অনেক অন্ধকার পর্যন্ত এখানেই কেটে যায়.......আকাশ পাতাল নানা ভাবনার জাল বুনতে বুনতে।
কিন্তু সন্ধে্যর অন্ধকার নামতেই আজ কেমন যেন ভয় ভয় করছিল ভেতরটা।চারদিকটা কেমন যেন অস্বাভাবিক থমথমে। মনে পড়ল পানের বরোজের শেয়াল গুলো আজ অস্বাভাবিক ভাবে চুপচাপ।গায়ে কাঁটা দিয়ে এল আমার।বাঁশ ঝাঁড় থেকে একটা প্যাঁচা -'কুত কুত' করছিল থেকে থেকে। একটা পাখি চিতকার করে উড়ে গেল মাথার উপর দিয়ে।ভয়টা একটু গাঢ় হলো মনের মধ্যে।ফনিমনসার ঝোপের দিকে চোখ পড়তেই সাড়া শরীরের লোমগুলো খারা হয়ে উঠল। মাথার চুল গুলোও সেটা অনুভব করল।মাথাটা ঝিমঝিম করে উঠল আমার।
অদূরে দেখি সাদা ধপ্-ধপে ভৌতিক মানুষের মত এক প্রানী।
দাত বের করে হাঁসছে।চোখ দিয়ে যেন আগুনের গোলা বেরিয়ে আসছে।আমি তখন নিজের অজান্তেই রাম রাম কোরছি।
ভাবলাম আজ আমার ইহ লোকের অন্তিম দিন।পরক্ষনে নিজেকে শামলে রাম রাম করতে করতে পালিয়ে এলাম এক ছুটে। গ্রামে ঢুকতেই হাফ ছেড়ে বাচলাম।মনে মনে ভাবলাম ওখানে আর যাবনা।বড় বাঁচা বেঁচেছি আজ।
মন্তব্য যোগ করুন
এই লেখার উপর আপনার মন্তব্য জানাতে নিচের ফরমটি ব্যবহার করুন।
মন্তব্যসমূহ
-
আব্দুর রহমান আনসারী ১১/০৭/২০২৩ভ্রমন কাহিনী ভালো হোয়েছে
-
শুভজিৎ বিশ্বাস ০২/০১/২০২২বেশ সুন্দর তো !
-
একনিষ্ঠ অনুগত ৩০/১২/২০২১-কি হয়েছে?
--খোকা ভুত দেখেছে।
-আহা, ওকে একটু জল দাও। -
শ.ম.ওয়াহিদুজ্জামান ৩০/১২/২০২১বেশ।