লুকিং গ্লাস
আমার গাড়ির ‘সাইড লুকিং গ্লাস’টি চুরি হয়ে গেছে। আমি গেলেম গাড়ির পার্টসের দোকানে কিন্তু কোথায়ও আমার গাড়ির মডেলের এবং রঙের লুকিং গ্লাসটি পেলেম না। একজন দোকানদার বললেন, ” স্যার, আপনি দোলাই খালের পুরোনো পার্টসের দোকানে খোঁজ করে দেখতে পারেন, পেয়ে যেতে পারেন।”
আমি গেলেম দোলাই খাল। একটি দোকানে দেখলেম, আমার চুরি যাওয়া লুকিং গ্লাসটি। আমি দোকানদারকে বললেম, ” এটিতো আমার গাড়ির লুকিং গ্লাস।”
দোকানদার বললেন - ” আমি চার হাজার টাকায় কিনেছি। পাঁচ হাজার টাকা দেন।”
অগত্যা পাঁচ হাজার টাকা দিয়েই তা কিনে আনলেম। কয়েকদিন পর আবার আমার গাড়ির লুকিং গ্লাসটি চুরি হয়ে গেলো। এবার আমি আর কোথাযও না খুঁজে সেই দোকানে গেলেম এবং দেখলেম সেই একই দোকানেই আমার গাড়ির সেই গ্লাসটি। অনেক কথা কাটাকাটির পর, এবারও তা কিনে নিয়ে এলেম। কিন্তু অবাক করা কান্ড, কয়েকদিন পর আবারো তা’ চুরি হয়ে গেলো। আমি রাগে ও ক্ষোভে আর ঐ দোকানে গেলেম না। ভাবলেম, লুকিং গ্লাস ছাড়াই গাড়ি চালাবো।
কয়েকদিন পর দোকানদার আমাকে টেলিফোন করে বললেন, ” স্যার, আপনার গাড়ির লুকিং গ্লাসটি নিবেন না?”
আমি ক্ষোভের সাথেই বললেম- ”না, দরকার নেই।”
দোকানদার বললেন, ” স্যার, আপনি আসুন। আপনার গ্লাসটি নিয়ে যান।”
নিজের গাড়িকে সুন্দর করে সাজানোর অভিপ্রায়ে আবার সেই দোকানে গেলেম। দোকানদার বললেন, ” স্যার, আপনার গাড়ির লুকিং গ্লাস বা অন্য কোন যন্ত্রাংশ আর কখনো চুরি হবে না; শুধু একটি শর্ত, আপনি মাসে মাসে দুইশত টাকা আমাকে পাঠিয়ে দিবেন।”
আমি হতবাক! তার শর্ত মেনেই চুরি যাওয়া লুকিং গ্লাস নিয়ে বাড়ি এলেম।
( এটি একটি রম্য।)
১৩/০১/২০১৫।
পল্লবী, ঢাকা।
আমি গেলেম দোলাই খাল। একটি দোকানে দেখলেম, আমার চুরি যাওয়া লুকিং গ্লাসটি। আমি দোকানদারকে বললেম, ” এটিতো আমার গাড়ির লুকিং গ্লাস।”
দোকানদার বললেন - ” আমি চার হাজার টাকায় কিনেছি। পাঁচ হাজার টাকা দেন।”
অগত্যা পাঁচ হাজার টাকা দিয়েই তা কিনে আনলেম। কয়েকদিন পর আবার আমার গাড়ির লুকিং গ্লাসটি চুরি হয়ে গেলো। এবার আমি আর কোথাযও না খুঁজে সেই দোকানে গেলেম এবং দেখলেম সেই একই দোকানেই আমার গাড়ির সেই গ্লাসটি। অনেক কথা কাটাকাটির পর, এবারও তা কিনে নিয়ে এলেম। কিন্তু অবাক করা কান্ড, কয়েকদিন পর আবারো তা’ চুরি হয়ে গেলো। আমি রাগে ও ক্ষোভে আর ঐ দোকানে গেলেম না। ভাবলেম, লুকিং গ্লাস ছাড়াই গাড়ি চালাবো।
কয়েকদিন পর দোকানদার আমাকে টেলিফোন করে বললেন, ” স্যার, আপনার গাড়ির লুকিং গ্লাসটি নিবেন না?”
আমি ক্ষোভের সাথেই বললেম- ”না, দরকার নেই।”
দোকানদার বললেন, ” স্যার, আপনি আসুন। আপনার গ্লাসটি নিয়ে যান।”
নিজের গাড়িকে সুন্দর করে সাজানোর অভিপ্রায়ে আবার সেই দোকানে গেলেম। দোকানদার বললেন, ” স্যার, আপনার গাড়ির লুকিং গ্লাস বা অন্য কোন যন্ত্রাংশ আর কখনো চুরি হবে না; শুধু একটি শর্ত, আপনি মাসে মাসে দুইশত টাকা আমাকে পাঠিয়ে দিবেন।”
আমি হতবাক! তার শর্ত মেনেই চুরি যাওয়া লুকিং গ্লাস নিয়ে বাড়ি এলেম।
( এটি একটি রম্য।)
১৩/০১/২০১৫।
পল্লবী, ঢাকা।
মন্তব্য যোগ করুন
এই লেখার উপর আপনার মন্তব্য জানাতে নিচের ফরমটি ব্যবহার করুন।
মন্তব্যসমূহ
-
অচিন্ত্য সরকার [পাষাণভেদী] ২১/০৪/২০২১সেই সপ্তা দিলেই নিশ্চিত
-
দীপঙ্কর বেরা ০৬/০২/২০২১বেশ বেশ
-
তূয়া নূর ০১/০১/২০২১বেশ্ত
-
জানবক্স খান ২৮/০৭/২০২০আর কত নিচে নামা যায়?
-
সেলিম রেজা সাগর ২৮/০৭/২০২০শুভ কামনা
-
ফয়জুল মহী ১২/০৭/২০২০কমনীয় ভাবনায় সৃজনশীল লেখা