যাও তবে ফিরে
-এবার যাবো সখি,
অনেক কাল তোমার সান্নিধ্যে
কাটিয়েছি।তোমার লালিত্য,
প্রেমসুধা পান করেছি আকন্ঠ।
তৃপ্ত আমি।এখন সমুহ সম্ভাবনা
অনিষ্টের,তাই যেতে চাই নিজ
ঘরে ফিরে।
হয়তো শোনাল অকৃতজ্ঞ,লম্পট
পুরুষালি বানী।কিন্তু ভেবে দেখ,
এইই কি যথার্থ নয়?তোমার এবং
আমার সুখের তরে।
জানি কস্ট পাচ্ছ খুব,আমিও তাই।
তবুও যেতে হবে।যেতে চাই ঘরে।
-পুরন হয়েছে ইচ্ছে?
তৃপ্ত তুমি।আমিও তৃপ্ত,পরিপুর্ন।
যাও তবে ফিরে।কিন্তু জানার খুব
ইচ্ছে কেন এসেছিলে,কেন ডুবেছিলে
আকন্ঠ আমাতে? কি এমন ছিল,
যা পাওনি ঘরে?নারী আমি,বহুবাহু লগ্না,
সমাজে পতিতা বলে,
এই আমাতে কি এমন ছিল,নাকি
আছে এখনো,নিয়েছো হৃদয় ভরে?
অধিকার নাই জানবার,
জল ভরে আসে চোখে,তোমার
তৃপ্ত চোখের দিকে তাকাতে পারি না,
যদি বল,অস্পৃশ্যা আমি,শান্তি পাই মনে।
-ঘর বল?
ঘরই বটে।চারদিকে দেয়াল,মাথার ওপরে ছাদ।
দরজা জানালা সব ঠিকঠাক। ওখানে সব আছে,
শুধু নাই সুধা ।তাই সন্ধান করি এখানে ওখানে।
গিয়েছি নানা ঘরে,পান করেছি সুধা,
মাতাল অশ্ব,ঘুরেছি বহুনারী গৃহ।তুমি সখি
আনন্দ দিয়েছো,তৃপ্তি দিয়েছো তুমি।
পতিতা কাকে বলে?সেকি তুমি চরিত্র?
বলুক সবাই,আমি তোমাকে সখি বলেছি,
বলবো তোমায় আনন্দদায়িনী।
-ভালো বলেছ,আনন্দদায়িনী, পতিতার নতুন
বিশেষন।চোখে জল এল প্রিয়।অর্থের জন্যই
জনে জনে উন্মুক্ত হয় এই দেহ,
কিন্তু ক'জন ঝড়াতে পেরেছে এ
চোখের জল?পেরেছিল একজন,
বহু কাল আগে,তারপর জল শুকিয়েছে।
চোখের সেই শুকনো নদীতে ফের ডেকেছে বান।
ভেসে যাওয়ার আগে চলে যাও,
চলে যাও ঘরে। এদিকে আর
এসো না।দুর্বল আমি,নিজেকে
ধরে রাখতে না পারলে অনিষ্ট
নিশ্চিত।
-তবে যাই এবার।
দরজা টা বন্ধ করে দিও ভেতর থেকে।
বাইরে থেকে লাম্পট্যএর ডাকে আর খুলবে না
বন্ধ আগল।সখি,কথা দাও,অনর্থের অর্থের পেছনে
আর নয় ছুটে চলা। যদি আমার তরেই
অশ্রু বিসর্জন, তবে দায়িত্ত আমার।
-কি পরিচয়ে?লোকের সম্মুখে?
আমি তোমার আনন্দদায়িনী,এই কি পরিচয়?
পাড়া থেকে তুলে নিয়ে একান্ত করে
বানাবে রক্ষিতা তোমার?
জানাজানি হবে,নত হবে তুমি সমাজে,আমার কাছেও।
এরচেয়ে যা আছে থাক তাইই।
তুমি যাও ফিরে,প্রয়জনে ফিরে এসো,
ভেতর থেকে এরপর শুধু তোমার জন্যই
খুলবে এই আগল আমার।
তবে কোন দায় নেই তোমার।
পোড়া চোখে জল এল,শাস্তি আমারই প্রাপ্য।
-এভাবে কেন বলছো?
দায় কি আমার নেই?সুধার লাগি
দ্বারে দ্বারে ঘুরে স্থির হয়েছি,তবে
কেন দায় শুধু তোমার একার?
-সে শুধু জানি আমি।
তুমি যাও ফিরে।পারো যদি নিজেকে
কর সংবরন।যদিও বাধা নেই এই ঘরে আসার।
কথা দিলাম,এই অধম দেহ শুধু
তোমারই আনন্দদায়িনী রবে,
তবুও সখা,এসো না আর।
নিজ গৃহে থাকো,কর ওখানেই সুধার সন্ধান।
আমায় যা দিয়েছো, চোখের শুকনো নদীতে বান,
জানবো এই আমার উপহার।
যাও তবে এবার,যাও তবে ফিরে।
২৪/০৩/২০১৫।।
রুমা, বান্দরবান।।
অনেক কাল তোমার সান্নিধ্যে
কাটিয়েছি।তোমার লালিত্য,
প্রেমসুধা পান করেছি আকন্ঠ।
তৃপ্ত আমি।এখন সমুহ সম্ভাবনা
অনিষ্টের,তাই যেতে চাই নিজ
ঘরে ফিরে।
হয়তো শোনাল অকৃতজ্ঞ,লম্পট
পুরুষালি বানী।কিন্তু ভেবে দেখ,
এইই কি যথার্থ নয়?তোমার এবং
আমার সুখের তরে।
জানি কস্ট পাচ্ছ খুব,আমিও তাই।
তবুও যেতে হবে।যেতে চাই ঘরে।
-পুরন হয়েছে ইচ্ছে?
তৃপ্ত তুমি।আমিও তৃপ্ত,পরিপুর্ন।
যাও তবে ফিরে।কিন্তু জানার খুব
ইচ্ছে কেন এসেছিলে,কেন ডুবেছিলে
আকন্ঠ আমাতে? কি এমন ছিল,
যা পাওনি ঘরে?নারী আমি,বহুবাহু লগ্না,
সমাজে পতিতা বলে,
এই আমাতে কি এমন ছিল,নাকি
আছে এখনো,নিয়েছো হৃদয় ভরে?
অধিকার নাই জানবার,
জল ভরে আসে চোখে,তোমার
তৃপ্ত চোখের দিকে তাকাতে পারি না,
যদি বল,অস্পৃশ্যা আমি,শান্তি পাই মনে।
-ঘর বল?
ঘরই বটে।চারদিকে দেয়াল,মাথার ওপরে ছাদ।
দরজা জানালা সব ঠিকঠাক। ওখানে সব আছে,
শুধু নাই সুধা ।তাই সন্ধান করি এখানে ওখানে।
গিয়েছি নানা ঘরে,পান করেছি সুধা,
মাতাল অশ্ব,ঘুরেছি বহুনারী গৃহ।তুমি সখি
আনন্দ দিয়েছো,তৃপ্তি দিয়েছো তুমি।
পতিতা কাকে বলে?সেকি তুমি চরিত্র?
বলুক সবাই,আমি তোমাকে সখি বলেছি,
বলবো তোমায় আনন্দদায়িনী।
-ভালো বলেছ,আনন্দদায়িনী, পতিতার নতুন
বিশেষন।চোখে জল এল প্রিয়।অর্থের জন্যই
জনে জনে উন্মুক্ত হয় এই দেহ,
কিন্তু ক'জন ঝড়াতে পেরেছে এ
চোখের জল?পেরেছিল একজন,
বহু কাল আগে,তারপর জল শুকিয়েছে।
চোখের সেই শুকনো নদীতে ফের ডেকেছে বান।
ভেসে যাওয়ার আগে চলে যাও,
চলে যাও ঘরে। এদিকে আর
এসো না।দুর্বল আমি,নিজেকে
ধরে রাখতে না পারলে অনিষ্ট
নিশ্চিত।
-তবে যাই এবার।
দরজা টা বন্ধ করে দিও ভেতর থেকে।
বাইরে থেকে লাম্পট্যএর ডাকে আর খুলবে না
বন্ধ আগল।সখি,কথা দাও,অনর্থের অর্থের পেছনে
আর নয় ছুটে চলা। যদি আমার তরেই
অশ্রু বিসর্জন, তবে দায়িত্ত আমার।
-কি পরিচয়ে?লোকের সম্মুখে?
আমি তোমার আনন্দদায়িনী,এই কি পরিচয়?
পাড়া থেকে তুলে নিয়ে একান্ত করে
বানাবে রক্ষিতা তোমার?
জানাজানি হবে,নত হবে তুমি সমাজে,আমার কাছেও।
এরচেয়ে যা আছে থাক তাইই।
তুমি যাও ফিরে,প্রয়জনে ফিরে এসো,
ভেতর থেকে এরপর শুধু তোমার জন্যই
খুলবে এই আগল আমার।
তবে কোন দায় নেই তোমার।
পোড়া চোখে জল এল,শাস্তি আমারই প্রাপ্য।
-এভাবে কেন বলছো?
দায় কি আমার নেই?সুধার লাগি
দ্বারে দ্বারে ঘুরে স্থির হয়েছি,তবে
কেন দায় শুধু তোমার একার?
-সে শুধু জানি আমি।
তুমি যাও ফিরে।পারো যদি নিজেকে
কর সংবরন।যদিও বাধা নেই এই ঘরে আসার।
কথা দিলাম,এই অধম দেহ শুধু
তোমারই আনন্দদায়িনী রবে,
তবুও সখা,এসো না আর।
নিজ গৃহে থাকো,কর ওখানেই সুধার সন্ধান।
আমায় যা দিয়েছো, চোখের শুকনো নদীতে বান,
জানবো এই আমার উপহার।
যাও তবে এবার,যাও তবে ফিরে।
২৪/০৩/২০১৫।।
রুমা, বান্দরবান।।
মন্তব্য যোগ করুন
এই লেখার উপর আপনার মন্তব্য জানাতে নিচের ফরমটি ব্যবহার করুন।
মন্তব্যসমূহ
-
সাইদুর রহমান ৩০/০৩/২০১৫
-
ফারুক নুর ২৯/০৩/২০১৫ভালো লাগলো । শুভকামনা রইলো
-
সবুজ আহমেদ কক্স ২৯/০৩/২০১৫মুগ্ধকর
-
অ ২৮/০৩/২০১৫বেশ ভালো ।
শুভেচ্ছা রইল । -
স্বপন রোজারিও(১) ২৮/০৩/২০১৫লম্বা সুন্দর কবিতা।
শুভেচ্ছা জানবেন।