চিঠি ৪
ফেরী,
এই মাত্র যে প্রহরটি শেষ হল সেটা কাটিয়েছি বেশ অবহেলায়।
এতোটা অবহেলা আমি কখনো কাউ কে করিনি। বিশ্বাস ছিল না
যে এতোটুকু অবহেলা আমি করতে পারবো।শুধু এই একটি মাত্র
কারনে আমি ব্যার্থ জীবন সাজাতে। জীবন মানে জাগতিক কর্মকাণ্ড।
সঙ্গত বয়সের কারনে যখন সবাই প্রেম ভালোবাসায় ডুবে থাকে
আমি তখন আপাত পরিপূর্ণ একটা নারী কে নিয়ে যুদ্ধ ক্ষেত্রে
নেমে গিয়েছিলাম। অথচ আমার কাছে তখন যুদ্ধ ক্ষেত্রে যাবার মতো
কোন অস্ত্রসস্ত্র ছিল না। চারিদিকের অজস্র বাণে আমি তখন নির্মম
ভাবে আহত। আমার আহত চিৎকার কেউ তখন কানে তুলেনি।
তারপরেও অনবরত যুদ্ধ ক্ষেত্রে থেকে থেকে এখন ওষ্ঠাগত প্রান।
কালের পথপরিক্রমায় আমি বেশ সাবলিল যদিও যুদ্ধ ক্ষেত্রে, ভেতরের
তৃষ্ণা গেছে মরে।এখন নিতান্তই দায় থেকেই পড়ে আছি সমরাঙ্গনে।
আমার চারপাশের মানুষ গুলো আমাকে পদার্থের উল্টো বিশেষণে
বিশেষায়িত করেছে। অথচ আমার কর্তব্য গুলোকে আমি নিপুণ কারিগরের
মতো একের পর এক করে গেছি। ছন্নছাড়া জীবন কে নিয়মের সুতোয় বাঁধতে
চাইলেই যদি বাঁধা যেতো তাহলে হয়তো আমাকে ঐ বিশেষ বিশেষণে ভূষিত
হতে হতো না। আমি ছন্নছাড়া এই দায় আমার, কেউ নেবে না জানি।
তোকে এতো কথা বলছি কেন?
বললাম এই কারনে যে এই মাত্র যে প্রহরটি শেষ হল সেটা
কাটিয়েছি বেশ অবহেলায়। এতোটা অবহেলা আমি কখনো কাউ কে
করিনি। বিশ্বাস ছিল না যে এতোটুকু অবহেলা আমি করতে পারবো।
শুধু এই একটি মাত্র কারনে আমি ব্যার্থ জীবন সাজাতে। জীবন মানে
জাগতিক কর্মকাণ্ড। এবার আমি সফল হবো, কি বলিস?
তোর কাব্য।
পুনশ্চঃ তোর সাফল্যের সূত্র টুকু জানাস। মিলিয়ে নেব নিজের সঙ্গে।
১১/৫/২০১৪,
জয়দেবপুর।
এই মাত্র যে প্রহরটি শেষ হল সেটা কাটিয়েছি বেশ অবহেলায়।
এতোটা অবহেলা আমি কখনো কাউ কে করিনি। বিশ্বাস ছিল না
যে এতোটুকু অবহেলা আমি করতে পারবো।শুধু এই একটি মাত্র
কারনে আমি ব্যার্থ জীবন সাজাতে। জীবন মানে জাগতিক কর্মকাণ্ড।
সঙ্গত বয়সের কারনে যখন সবাই প্রেম ভালোবাসায় ডুবে থাকে
আমি তখন আপাত পরিপূর্ণ একটা নারী কে নিয়ে যুদ্ধ ক্ষেত্রে
নেমে গিয়েছিলাম। অথচ আমার কাছে তখন যুদ্ধ ক্ষেত্রে যাবার মতো
কোন অস্ত্রসস্ত্র ছিল না। চারিদিকের অজস্র বাণে আমি তখন নির্মম
ভাবে আহত। আমার আহত চিৎকার কেউ তখন কানে তুলেনি।
তারপরেও অনবরত যুদ্ধ ক্ষেত্রে থেকে থেকে এখন ওষ্ঠাগত প্রান।
কালের পথপরিক্রমায় আমি বেশ সাবলিল যদিও যুদ্ধ ক্ষেত্রে, ভেতরের
তৃষ্ণা গেছে মরে।এখন নিতান্তই দায় থেকেই পড়ে আছি সমরাঙ্গনে।
আমার চারপাশের মানুষ গুলো আমাকে পদার্থের উল্টো বিশেষণে
বিশেষায়িত করেছে। অথচ আমার কর্তব্য গুলোকে আমি নিপুণ কারিগরের
মতো একের পর এক করে গেছি। ছন্নছাড়া জীবন কে নিয়মের সুতোয় বাঁধতে
চাইলেই যদি বাঁধা যেতো তাহলে হয়তো আমাকে ঐ বিশেষ বিশেষণে ভূষিত
হতে হতো না। আমি ছন্নছাড়া এই দায় আমার, কেউ নেবে না জানি।
তোকে এতো কথা বলছি কেন?
বললাম এই কারনে যে এই মাত্র যে প্রহরটি শেষ হল সেটা
কাটিয়েছি বেশ অবহেলায়। এতোটা অবহেলা আমি কখনো কাউ কে
করিনি। বিশ্বাস ছিল না যে এতোটুকু অবহেলা আমি করতে পারবো।
শুধু এই একটি মাত্র কারনে আমি ব্যার্থ জীবন সাজাতে। জীবন মানে
জাগতিক কর্মকাণ্ড। এবার আমি সফল হবো, কি বলিস?
তোর কাব্য।
পুনশ্চঃ তোর সাফল্যের সূত্র টুকু জানাস। মিলিয়ে নেব নিজের সঙ্গে।
১১/৫/২০১৪,
জয়দেবপুর।
মন্তব্য যোগ করুন
এই লেখার উপর আপনার মন্তব্য জানাতে নিচের ফরমটি ব্যবহার করুন।
মন্তব্যসমূহ
-
কুয়াশা রায় ১১/০২/২০১৫আমারও মনে হল আরেকটু স্পষ্ট হলে আরও ভাল লাগত।কিন্তু এটাও খুব ভাল।
-
ইঞ্জিনিয়ার সজীব ইমাম ০৯/০২/২০১৫আরকেটু স্পষ্ট হলে বুঝতে পারতাম পুরো ঘটনার মানে।
-
জাহিদুর রহমান ০৫/০২/২০১৫Sundor
-
সবুজ আহমেদ কক্স ৩০/০১/২০১৫ভালো লাগলো.........।।
-
ফিরোজ মানিক ২৯/০১/২০১৫এটা কবিতা না সত্যিই চিঠি কবি? নাকি ধারাবাহিক গল্প। দারুণ।
-
অ ২৯/০১/২০১৫চিঠি সিরিজ বেশ ভালো লাগছে ।
চালিয়ে যান । -
সুজন ২৯/০১/২০১৫গহীনে গবীর থেকে না শব্দ খুবই সুন্দর কবিতা খানি
-
শ্রাবনের মেঘ ২৯/০১/২০১৫অসাধারন
-
সুব্রত দাশ আপন ২৯/০১/২০১৫কি আর বলবো চমৎকার লিখেছেন। অভিনন্দন আপনাকে। ভালো থাকবেন।