ঊনচল্লিশ বছর এভাবেই
এভাবেই কেটে গেল ঊনচল্লিশ বছর।
একই ঠিকানায়,একটানা।মাঝে কিছুদিনের জন্য নিরুদ্দেশ হয়েছিলাম।
আভিধানিক অর্থে নয়,নিজের কাছ থেকে পালিয়ে থাকার চেষ্টা মাত্র।
তখন যমুনা দেখে খুব লোভ হয়েছিল।পা ডুবিয়েছিলাম গোড়ালি অবধি,
স্রোতের সে কি টান!ভয়ে পা উঠিয়ে নিয়েছিলাম।তারপর থেকে আগের
ঠিকানায়,পুরনো সেই আধপাকা ভাড়া বাড়ি।খিড়কীর দরজা টা এখনো
আছে।পশ্চিমের জানালা,দেড় রুমের বাড়ি, একটুও বদলায়নি।
বাইরে থেকে আমিও খুব একটা বদলাইনি, ভেতরে যতটা।তথাকথিত
সেই নিরুদ্দেশ থেকে ফিরে এসেছি চার বছর হতে চলল।পায়ে লেগে
থাকা যমুনা,শুকিয়েছে অনেক দিন,যদিও স্রোতের সেই টান এখনো মাঝে
মাঝেই ঘুম ভাঙ্গিয়ে দেয়।আমি তখন মনে মনে সমুদ্র কল্পনা করি।অথৈ
নীল জলরাশি,যমুনা সে তুলনায় নগণ্য।ভেতরে ভেতরে এই পরিবর্তন দেখে
আমি নিজেও মাঝে মাঝে চমকে উঠি, আয়নার সামনে গিয়ে দাঁড়াই,পূর্ববৎ
প্রতিবিম্ব।বুঝতে পারি,ওটা আমিই,শুধু ভেতরে অন্য কেউ।
বদলেছে বিলপাড়ের আট ফুট চওড়া রাস্তাটা।রাস্তার দু’পাশে এখন সারি
বেঁধে দাঁড়ানো আকাশমণি গাছ।পৌরসভার বাতি এখন জ্যোৎস্না গিলে খায়।
আলোকিত পথ, তবুও কেমন যেন গা ছমছমে পরিবেশ।শিয়াল কুকুরের
অবৈধ আনাগোনা টের পাই।
এইখানেই শেষ নয়।বদলেছে আরও অনেক কিছু।কাঁথা, কম্বল,বিছানা,
বালিশ, রাসেল পার্ক, এইসব যা ছিল গচ্ছিত।এই বদলে যাওয়া দেখতে
দেখতে কেটে গেল ঊনচল্লিশ বছর, একই ঠিকানায়, একটানা। পুরনো
সেই আধপাকা ভাড়া বাড়ি।খিড়কীর দরজা টা এখনো আছে,পশ্চিমের
জানালা,দেড় রুমের বাড়ি, একটুও বদলায়নি।
হাসপাতাল রোড, জয়দেবপুর।।
২৪/১২/২০১৪।।
একই ঠিকানায়,একটানা।মাঝে কিছুদিনের জন্য নিরুদ্দেশ হয়েছিলাম।
আভিধানিক অর্থে নয়,নিজের কাছ থেকে পালিয়ে থাকার চেষ্টা মাত্র।
তখন যমুনা দেখে খুব লোভ হয়েছিল।পা ডুবিয়েছিলাম গোড়ালি অবধি,
স্রোতের সে কি টান!ভয়ে পা উঠিয়ে নিয়েছিলাম।তারপর থেকে আগের
ঠিকানায়,পুরনো সেই আধপাকা ভাড়া বাড়ি।খিড়কীর দরজা টা এখনো
আছে।পশ্চিমের জানালা,দেড় রুমের বাড়ি, একটুও বদলায়নি।
বাইরে থেকে আমিও খুব একটা বদলাইনি, ভেতরে যতটা।তথাকথিত
সেই নিরুদ্দেশ থেকে ফিরে এসেছি চার বছর হতে চলল।পায়ে লেগে
থাকা যমুনা,শুকিয়েছে অনেক দিন,যদিও স্রোতের সেই টান এখনো মাঝে
মাঝেই ঘুম ভাঙ্গিয়ে দেয়।আমি তখন মনে মনে সমুদ্র কল্পনা করি।অথৈ
নীল জলরাশি,যমুনা সে তুলনায় নগণ্য।ভেতরে ভেতরে এই পরিবর্তন দেখে
আমি নিজেও মাঝে মাঝে চমকে উঠি, আয়নার সামনে গিয়ে দাঁড়াই,পূর্ববৎ
প্রতিবিম্ব।বুঝতে পারি,ওটা আমিই,শুধু ভেতরে অন্য কেউ।
বদলেছে বিলপাড়ের আট ফুট চওড়া রাস্তাটা।রাস্তার দু’পাশে এখন সারি
বেঁধে দাঁড়ানো আকাশমণি গাছ।পৌরসভার বাতি এখন জ্যোৎস্না গিলে খায়।
আলোকিত পথ, তবুও কেমন যেন গা ছমছমে পরিবেশ।শিয়াল কুকুরের
অবৈধ আনাগোনা টের পাই।
এইখানেই শেষ নয়।বদলেছে আরও অনেক কিছু।কাঁথা, কম্বল,বিছানা,
বালিশ, রাসেল পার্ক, এইসব যা ছিল গচ্ছিত।এই বদলে যাওয়া দেখতে
দেখতে কেটে গেল ঊনচল্লিশ বছর, একই ঠিকানায়, একটানা। পুরনো
সেই আধপাকা ভাড়া বাড়ি।খিড়কীর দরজা টা এখনো আছে,পশ্চিমের
জানালা,দেড় রুমের বাড়ি, একটুও বদলায়নি।
হাসপাতাল রোড, জয়দেবপুর।।
২৪/১২/২০১৪।।
মন্তব্য যোগ করুন
এই লেখার উপর আপনার মন্তব্য জানাতে নিচের ফরমটি ব্যবহার করুন।
মন্তব্যসমূহ
-
ইঞ্জিনিয়ার সজীব ইমাম ০৯/০২/২০১৫
-
ফিরোজ মানিক ২৯/০১/২০১৫একটুও বদলাবে না আপনার এতো সুন্দর কবিতা।
-
অ ২৯/০১/২০১৫খুব সুন্দর হয়েছে ।
শুভেচ্ছা রইল । -
আহমাদ মাগফুর ২৯/০১/২০১৫আহ্!
দিন আসে দিন যায়....!
চমৎকার! কবি . চমৎকার...! -
সুব্রত দাশ আপন ২৯/০১/২০১৫অনেক স্মৃতিচারণ মূলক কথাগুলো, বেশ ভালো লাগলো। শুভেচ্ছা আপনাকে।
-
চিরন্তন ২৯/০১/২০১৫আয়নার সামনে গিয়ে ,,, লাইনটা হৃদয় ছুঁয়ে গেল ।। 😊
-
সবুজ আহমেদ কক্স ২৯/০১/২০১৫ভালো লাগলো ............।।
কবি কামরুল হাসান
ভালো লাগলো আপনার লেখাটি।