চিঠি৩
ফেরী,
তোকে নিয়ে আর পারি না।
অনেকদিন হল আমি তোকে লিখি না, তাই বলে তুইও এরকম
চুপচাপ কাটিয়ে দিবি দিন?আমি না হয় নানা সরবরে সাঁতার
কাটায় ব্যস্ত, কিন্তু তুই তো এসব পাণ্ডব বর্জিত ক্রিয়া থেকে
অনেক দূরে বসবাস করিস। তবে তুই কেন আড়ালে আছিস?
নাকি পড়েছিস শূর্পণখার প্রেমে?দেখিস মজে না যাস আবার !!
একবার মজে গেলে তোকে দলিত মথিত করে তবেই থামবে
অর্বাচীন প্রেম।
তোকে একটা গল্প বলার ছিল।
যমুনার বুকে সমর্পিত হওয়ার আগের কথা বলছি,আমাকে তখন
থাকতে হতো,বিপুল জনারণ্যে।আসলে থাকতে হতো মানুষের আগুনে।
প্রবল পরাক্রমশালী সেই আগুনে আমি প্রতিনিয়ত ঝলসে যেতাম।
মারমুখো জনতার প্রবল অগ্নিবাণ,তুই কি দেখেছিস কখনো?চাক্ষুস
না দেখলেও পত্রিকার পাতায় নিশ্চয়ই দেখেছিস।কিন্তু আমি তো নই
কোন আহামরি কেউ, তাহলে আমার প্রতি কেন তখন খেপেছিল
মানুষ?পান থেকে চুন খসলেই সেকি তাণ্ডব নৃত্য !জেনেছিলাম পরে।
কবিতা লেখাই কাল হয়েছিল তখন।দু’একটা কবিতা লেখার জের
যদি এই হয়, তাহলে কোন সাহসে কবিতা লিখি বল?পালিয়ে চলে
গিয়েছিলাম কবিতার রাজত্ব থেকে। তারপরের কথা তো তুই জানিস।
ফিরতে হয়েছিল। ফিরে ছিলাম সেই কবিতার রাজ্যেই। তবে এবার
লোকচক্ষুর আড়ালে বসবাস।গোপনে যাই শাহবাগ,শহীদ মিনার,
ছবির হাট, নাটক পাড়া,শিল্পকলা।কেউ চিনতে পারে না আমাকে।
কান পেতে থাকি লোকজনের মাঝে, কেউ পড়ে কিনা আমার লেখা
কোন কবিতা, শোনার চেষ্টা করি। কোথাও শুনতে পাই না।একবার
ছবির হাটে চা খেতে খেতে জনপ্রিয় এক আবৃত্তি শিল্পী কে জিজ্ঞেস
করেছিলাম, “কবি অনন্তের কোন কবিতা পড়েছেন?” সে আমার
দিকে এমন ভাবে তাকিয়ে ছিল যেন ভিনগ্রহ থেকে সদ্যই নেমে এসেছি
আমি।“অনন্ত নামে কোন কবির নাম তো শুনিনি আমি”।উত্তর দিয়েছিল
সে।আমি এই শহর ছেড়ে চলে যাবার পর আমার কবিতার আবর্জনা
পরিস্কার করেছিল কর্পোরেশনের ট্রাক।অথচ এই আবর্জনাই তখন লাগিয়েছিল
আগুন।
এখন আমি আবার সেই আবর্জনা তৈরি করে চলেছি। তবে এবার আর
আগের মতো এগুলো পরিস্কার করতে কর্পোরেশনের ট্রাক লাগবে না।
দিনের বেলায় তৈরি করা আবর্জনা রাতের আঁধারে আমিই পরিস্কার করি।
ভালো থাকিস।
তোর অনন্ত।
তোকে নিয়ে আর পারি না।
অনেকদিন হল আমি তোকে লিখি না, তাই বলে তুইও এরকম
চুপচাপ কাটিয়ে দিবি দিন?আমি না হয় নানা সরবরে সাঁতার
কাটায় ব্যস্ত, কিন্তু তুই তো এসব পাণ্ডব বর্জিত ক্রিয়া থেকে
অনেক দূরে বসবাস করিস। তবে তুই কেন আড়ালে আছিস?
নাকি পড়েছিস শূর্পণখার প্রেমে?দেখিস মজে না যাস আবার !!
একবার মজে গেলে তোকে দলিত মথিত করে তবেই থামবে
অর্বাচীন প্রেম।
তোকে একটা গল্প বলার ছিল।
যমুনার বুকে সমর্পিত হওয়ার আগের কথা বলছি,আমাকে তখন
থাকতে হতো,বিপুল জনারণ্যে।আসলে থাকতে হতো মানুষের আগুনে।
প্রবল পরাক্রমশালী সেই আগুনে আমি প্রতিনিয়ত ঝলসে যেতাম।
মারমুখো জনতার প্রবল অগ্নিবাণ,তুই কি দেখেছিস কখনো?চাক্ষুস
না দেখলেও পত্রিকার পাতায় নিশ্চয়ই দেখেছিস।কিন্তু আমি তো নই
কোন আহামরি কেউ, তাহলে আমার প্রতি কেন তখন খেপেছিল
মানুষ?পান থেকে চুন খসলেই সেকি তাণ্ডব নৃত্য !জেনেছিলাম পরে।
কবিতা লেখাই কাল হয়েছিল তখন।দু’একটা কবিতা লেখার জের
যদি এই হয়, তাহলে কোন সাহসে কবিতা লিখি বল?পালিয়ে চলে
গিয়েছিলাম কবিতার রাজত্ব থেকে। তারপরের কথা তো তুই জানিস।
ফিরতে হয়েছিল। ফিরে ছিলাম সেই কবিতার রাজ্যেই। তবে এবার
লোকচক্ষুর আড়ালে বসবাস।গোপনে যাই শাহবাগ,শহীদ মিনার,
ছবির হাট, নাটক পাড়া,শিল্পকলা।কেউ চিনতে পারে না আমাকে।
কান পেতে থাকি লোকজনের মাঝে, কেউ পড়ে কিনা আমার লেখা
কোন কবিতা, শোনার চেষ্টা করি। কোথাও শুনতে পাই না।একবার
ছবির হাটে চা খেতে খেতে জনপ্রিয় এক আবৃত্তি শিল্পী কে জিজ্ঞেস
করেছিলাম, “কবি অনন্তের কোন কবিতা পড়েছেন?” সে আমার
দিকে এমন ভাবে তাকিয়ে ছিল যেন ভিনগ্রহ থেকে সদ্যই নেমে এসেছি
আমি।“অনন্ত নামে কোন কবির নাম তো শুনিনি আমি”।উত্তর দিয়েছিল
সে।আমি এই শহর ছেড়ে চলে যাবার পর আমার কবিতার আবর্জনা
পরিস্কার করেছিল কর্পোরেশনের ট্রাক।অথচ এই আবর্জনাই তখন লাগিয়েছিল
আগুন।
এখন আমি আবার সেই আবর্জনা তৈরি করে চলেছি। তবে এবার আর
আগের মতো এগুলো পরিস্কার করতে কর্পোরেশনের ট্রাক লাগবে না।
দিনের বেলায় তৈরি করা আবর্জনা রাতের আঁধারে আমিই পরিস্কার করি।
ভালো থাকিস।
তোর অনন্ত।
মন্তব্য যোগ করুন
এই লেখার উপর আপনার মন্তব্য জানাতে নিচের ফরমটি ব্যবহার করুন।
মন্তব্যসমূহ
-
আবিদ আল আহসান ২৮/০১/২০১৫ভাল হইছে খুব ভাল
-
কুয়াশা রায় ২৮/০১/২০১৫দারুন লাগল।আপনার এই 'চিঠি' সিরিজ খুব ভাল লাগছে।
-
ইঞ্জিনিয়ার সজীব ইমাম ২৮/০১/২০১৫চিঠির কথা মনে করে দিলেন। অনেক সুন্দর। ভালো লাগলো।
-
সবুজ আহমেদ কক্স ২৮/০১/২০১৫ভালো লাগলো ............।।
-
স্বপন রোজারিও(১) ২৭/০১/২০১৫খুবই সুন্দর হয়েছে।
-
অ ২৭/০১/২০১৫সুন্দর কথন ।
বেশ ভালো লাগল । -
ফিরোজ মানিক ২৭/০১/২০১৫কাব্যিক গল্প। খুবই ভাল লেগেছে আমার।