আমি এই নব প্রজন্মকে বলছি
এই তৃণঘাস পূর্বাকাশ ছঁইয়ে
আমি বিদীর্ণ বাংলার কোমলাঙ্গ সাজিয়েছি
সাজিয়েছি সহস্র জীর্ণ জড়তা জেরে।
রচিয়েছি সুপ্রিয় বাংলাদেশ
তমসার বসুধা ঠেলে,
শুধুই,,,,
শুধুই ভাবি প্রজন্মের তরে।
প্রজন্ম, নব সচেতন প্রজন্ম।
আমি আমার তনু ছিঁড়ে
শুধুই তোমাদেরই তরে
রক্তে রঞ্জিত করেছি তৃণঘাস, ঐ পূর্বাকাশ।
আমার দেহের শেষ রক্ত বিন্দু রক্ত,
রক্তিম রংতুলি দিয়ে এঁকেছি, এই তৃণঘাসে
ঐ পূর্বাকাশে চির যৌবনের প্রতীক
এঁকেছি লাল সবুজের তসবির।
আমি এই নব প্রজন্মকে বলছি,
আমি তোমাকে বলছি,
আমি বলছি এই বংগের লুব্ধ আত্মগ্রাহী জনতাকে।
তারা কি আমার সেই তসবির বয়ে বেড়াই
নাকি,,,
নাকি হারিয়ে গেছে অন্য তসবিরের নেশায়।
এই তৃণঘাস পূর্বাকাশ ছুঁয়ে,
আমি এই বাংলার ওষ্ঠে, জিভে,
কোমলতালুতে কন্ঠনালিতে।
মিশিয়েছি আমার সমস্ত রক্ত
মিশিয়েছি শত যৌবনের সংগীত।
মিশিয়েছি এই তৃণঘাসে ঐ পূর্বাকাশে
হয়তো বা ঢাকার রাজপথে।
আপন সখার মতো,
শুধুই তোমাদেরই তরে
আমি এই নব প্রজন্মকে বলছি।
বলছি এই বাংলার অতি শিক্ষিত সমাজকে
তারাকি বাংলাকে ব্যবচ্ছেদ করে
আমার রক্ত বিদীর্ণ করছে?
তারা কি আমায় উপেক্ষা করে, অপসারণ করে
সেই ওষ্ঠে, জিভে, কোমলতালুতে
অন্যরকম আস্বাদন নিচ্ছে...?
এই তৃণঘাস পূর্বাকাশ ছুঁয়ে
আমি পড়তে চেয়েছিলাম সবুজ শাড়ি
হয়তো বা পড়েছিলাম।
আমি পড়তে চেয়েছিলাম রক্তিম রবির মতো
চির যৌবনের লাল টিপ,
হয়তো পড়েছিলাম।
সাজতে চেয়েছিলাম এই বংগের কন্যা
কিন্তু,,,,,
কিন্তু তারা আমায় সাজতে দেয়নি
হ্যাঁ হ্যাঁ সাজতে দেয়নি।
তাদের ভেতর মনুষ্যত্ব নেই
তারা পলদ, শ্বাপদ জন্তুর মতো
তারা আমায় ব্যবচ্ছেদ করে কেটে নিয়েছে
ছিঁড়ে নিয়েছে দেহের সব কয়টি পলল।
আমি এই নব প্রজন্মকে বলছি
আমি বলছি এই বাংলার যবসমাজকে
আমি তোমায় বলছি
তোমরা কি আজও যৌবনের তাড়নায়
আমাদের তাড়িত করছো?
সেই একাত্তরের পলদ পশুর মতো
নীলখোর জলসরপিনীর মতো।
এই তৃণঘাস পূর্বাকাশ ছুঁয়ে
একাত্তর, বায়ান্নের পটভূমি ছঁইয়ে
ছিয়াত্তরের মন্বন্তর, বাঁশের কেল্লা ছুঁয়ে,
ছুঁয়ে ঐ পলাশীর প্রান্তর,
হয়তো বা কৈবর্ত বিদ্রোহ ছুঁয়ে
ছুঁয়ে সিধু কানুর সাঁওতাল বিদ্রোহ।
হ্যাঁ আমি এনেছি--
হ্যাঁ আমরা এনেছি,
এনেছি এক সর্গীয় আস্বাদন।
তোমরা কি কখনো দেখনি
কি করে মাকড়সা ঘর বুনে,
বন্ধুর পথ পেড়িয়ে শত সহস্র তন্তু দিয়ে
দিয়ে শত প্রেম, বুনে তার স্বর্ণালয়
তোমরা কি কভি দেখছ?
শত, সহস্র তন্তু দিয়ে
দিয়ে জমানো প্রেম,
আমি আমার বাংলাকে বুনেছি।
আমি, আমরা তথা সহস্র শান্তিপ্রিয় বীরাত্মা
আমার বাংলাকে বুনেছি।
আমি এই নব প্রজন্মকে বলছি
এই বাংলার সচেতন নাগরিকদের বলছি,
আমি তোমায় বলছি......
তোমরা কি আজ ও আমার দেওয়া
সোনার হরিণকে লালন পালন করছো ?
নাকি.......?
১-১-১৬ইং
বাড়াই,কসবা,বি-বাড়ীয়া।
©মুহম্মদ কবীর সরকার
আমি বিদীর্ণ বাংলার কোমলাঙ্গ সাজিয়েছি
সাজিয়েছি সহস্র জীর্ণ জড়তা জেরে।
রচিয়েছি সুপ্রিয় বাংলাদেশ
তমসার বসুধা ঠেলে,
শুধুই,,,,
শুধুই ভাবি প্রজন্মের তরে।
প্রজন্ম, নব সচেতন প্রজন্ম।
আমি আমার তনু ছিঁড়ে
শুধুই তোমাদেরই তরে
রক্তে রঞ্জিত করেছি তৃণঘাস, ঐ পূর্বাকাশ।
আমার দেহের শেষ রক্ত বিন্দু রক্ত,
রক্তিম রংতুলি দিয়ে এঁকেছি, এই তৃণঘাসে
ঐ পূর্বাকাশে চির যৌবনের প্রতীক
এঁকেছি লাল সবুজের তসবির।
আমি এই নব প্রজন্মকে বলছি,
আমি তোমাকে বলছি,
আমি বলছি এই বংগের লুব্ধ আত্মগ্রাহী জনতাকে।
তারা কি আমার সেই তসবির বয়ে বেড়াই
নাকি,,,
নাকি হারিয়ে গেছে অন্য তসবিরের নেশায়।
এই তৃণঘাস পূর্বাকাশ ছুঁয়ে,
আমি এই বাংলার ওষ্ঠে, জিভে,
কোমলতালুতে কন্ঠনালিতে।
মিশিয়েছি আমার সমস্ত রক্ত
মিশিয়েছি শত যৌবনের সংগীত।
মিশিয়েছি এই তৃণঘাসে ঐ পূর্বাকাশে
হয়তো বা ঢাকার রাজপথে।
আপন সখার মতো,
শুধুই তোমাদেরই তরে
আমি এই নব প্রজন্মকে বলছি।
বলছি এই বাংলার অতি শিক্ষিত সমাজকে
তারাকি বাংলাকে ব্যবচ্ছেদ করে
আমার রক্ত বিদীর্ণ করছে?
তারা কি আমায় উপেক্ষা করে, অপসারণ করে
সেই ওষ্ঠে, জিভে, কোমলতালুতে
অন্যরকম আস্বাদন নিচ্ছে...?
এই তৃণঘাস পূর্বাকাশ ছুঁয়ে
আমি পড়তে চেয়েছিলাম সবুজ শাড়ি
হয়তো বা পড়েছিলাম।
আমি পড়তে চেয়েছিলাম রক্তিম রবির মতো
চির যৌবনের লাল টিপ,
হয়তো পড়েছিলাম।
সাজতে চেয়েছিলাম এই বংগের কন্যা
কিন্তু,,,,,
কিন্তু তারা আমায় সাজতে দেয়নি
হ্যাঁ হ্যাঁ সাজতে দেয়নি।
তাদের ভেতর মনুষ্যত্ব নেই
তারা পলদ, শ্বাপদ জন্তুর মতো
তারা আমায় ব্যবচ্ছেদ করে কেটে নিয়েছে
ছিঁড়ে নিয়েছে দেহের সব কয়টি পলল।
আমি এই নব প্রজন্মকে বলছি
আমি বলছি এই বাংলার যবসমাজকে
আমি তোমায় বলছি
তোমরা কি আজও যৌবনের তাড়নায়
আমাদের তাড়িত করছো?
সেই একাত্তরের পলদ পশুর মতো
নীলখোর জলসরপিনীর মতো।
এই তৃণঘাস পূর্বাকাশ ছুঁয়ে
একাত্তর, বায়ান্নের পটভূমি ছঁইয়ে
ছিয়াত্তরের মন্বন্তর, বাঁশের কেল্লা ছুঁয়ে,
ছুঁয়ে ঐ পলাশীর প্রান্তর,
হয়তো বা কৈবর্ত বিদ্রোহ ছুঁয়ে
ছুঁয়ে সিধু কানুর সাঁওতাল বিদ্রোহ।
হ্যাঁ আমি এনেছি--
হ্যাঁ আমরা এনেছি,
এনেছি এক সর্গীয় আস্বাদন।
তোমরা কি কখনো দেখনি
কি করে মাকড়সা ঘর বুনে,
বন্ধুর পথ পেড়িয়ে শত সহস্র তন্তু দিয়ে
দিয়ে শত প্রেম, বুনে তার স্বর্ণালয়
তোমরা কি কভি দেখছ?
শত, সহস্র তন্তু দিয়ে
দিয়ে জমানো প্রেম,
আমি আমার বাংলাকে বুনেছি।
আমি, আমরা তথা সহস্র শান্তিপ্রিয় বীরাত্মা
আমার বাংলাকে বুনেছি।
আমি এই নব প্রজন্মকে বলছি
এই বাংলার সচেতন নাগরিকদের বলছি,
আমি তোমায় বলছি......
তোমরা কি আজ ও আমার দেওয়া
সোনার হরিণকে লালন পালন করছো ?
নাকি.......?
১-১-১৬ইং
বাড়াই,কসবা,বি-বাড়ীয়া।
©মুহম্মদ কবীর সরকার
মন্তব্য যোগ করুন
এই লেখার উপর আপনার মন্তব্য জানাতে নিচের ফরমটি ব্যবহার করুন।
মন্তব্যসমূহ
-
শাহারিয়ার ইমন ২৪/০৫/২০১৭অসাধারন
-
আব্দুল হক ২৪/০৫/২০১৭সুন্দর , ধন্যবাদ!
-
সুদীপ কুমার ঘোষ(চোখেরবালি) ২৪/০৫/২০১৭অপূর্ব সুন্দর লেখা পড়ে ভালো লাগলো কবিবর 💕
-
আলম সারওয়ার ২৩/০৫/২০১৭ভাল লাগল আমার