মাথা হেট হয়ে যাচ্ছে
একজন শিক্ষক প্রায় পঁয়ত্রিশ বছর শিক্ষকতা করেছেন একটি বেসরকারি হাইস্কুলে।
এখন তিনি বুড়ো হয়েছেন তাই পেনশন পাবার বয়স হয়েছে। কাজেই তিনি আর চাকুরি করতে পারবেন না। বাকি জিবনটা পেনশনের টাকায় কোনপ্রকার চালিয়ে যাবেন এটাই স্বাভাবিক নিয়ম।
তবে কোন কারনে যদি তিনি পেনশন এর টাকা পাবার ক্যাটাগরি তে না পড়েন, আর উনার আর্থিক অবস্থা খারাপ থাকে তাহলে কি হবে?
একবার ভাবুন প্লিজ
যে লোকটি সমাজে শিক্ষার আলো ছড়াতে গিয়ে নিজের ঘড়ে আলো জালানো ভুলে গেলেন।
যিনি নিজের জিবনের পুরোটা সময় দেশের কল্যানে ব্যয় করতে গিয়ে নিজের চরকায় তেল দেবার কথা বেমালুম ভুলে গেলেন।
যিনি সারাটা জিবন ক্লাসরুম ,ব্লাকবোর্ড ,চক - ডাস্টার ,প্ররীক্ষার খাতা, আর ছাত্রছাত্রী দের বিমলিন হাসি মাখা মুখের দিকে তাকিয়ে নিজের সুখ স্বাচ্ছ্যন্দের কথা চিন্তার অবসর পান নি
যিনি ছাত্রছাত্রিদের উজ্জ্বল ভবিষ্যৎ গড়ার স্বপ্নে নিজের পরিবারের সপ্ন ভুলে গেলেন
যিনি কাদা মাটির মত শিশু কিশুরদের বড় হবার, মানুষের মত মানুষ হবার, দেশপ্রেমিক হবার,সমাজনেতা হবার স্বপ্নের রং চোখে লাগিয়ে দিলেন
আবার সেই স্বপ্নকে বাস্তব রুপ দানের শিক্ষা দিলেন
যেই মহান শিক্ষাগুরুদের নি:স্বার্থ প্রচেষ্টাই আমাদের আজকের এই অবস্থানে নিয়ে এসেছে
আমরা স্বনির্ভরতা অর্জন করেছি
যিনি কখনোই নিজের মাথাকে নত হতে দেননি কোন অনৈতিকতা আর না পাওয়ার অভিব্যক্তির কাছে
সেই শিক্ষাগুরুদের কোন একজন যদি আজ ক্ষুধার জালায়, বিনা চিকিৎসায় জির্ন শীর্ন হয়ে সাহায্যের হাত পাতেন স্বীয় আনুকূল্য প্রাপ্তদের কাছে
তাহলে আমাদের মাথা কি হেট হয়ে পায়ে এসে ঠেকেনা?
আমাদের কি কিছুই করনীয় নেই?
আমরা কি আমাদের শির কে উচ্চে ধরে রাখতে পারব না?
এখন তিনি বুড়ো হয়েছেন তাই পেনশন পাবার বয়স হয়েছে। কাজেই তিনি আর চাকুরি করতে পারবেন না। বাকি জিবনটা পেনশনের টাকায় কোনপ্রকার চালিয়ে যাবেন এটাই স্বাভাবিক নিয়ম।
তবে কোন কারনে যদি তিনি পেনশন এর টাকা পাবার ক্যাটাগরি তে না পড়েন, আর উনার আর্থিক অবস্থা খারাপ থাকে তাহলে কি হবে?
একবার ভাবুন প্লিজ
যে লোকটি সমাজে শিক্ষার আলো ছড়াতে গিয়ে নিজের ঘড়ে আলো জালানো ভুলে গেলেন।
যিনি নিজের জিবনের পুরোটা সময় দেশের কল্যানে ব্যয় করতে গিয়ে নিজের চরকায় তেল দেবার কথা বেমালুম ভুলে গেলেন।
যিনি সারাটা জিবন ক্লাসরুম ,ব্লাকবোর্ড ,চক - ডাস্টার ,প্ররীক্ষার খাতা, আর ছাত্রছাত্রী দের বিমলিন হাসি মাখা মুখের দিকে তাকিয়ে নিজের সুখ স্বাচ্ছ্যন্দের কথা চিন্তার অবসর পান নি
যিনি ছাত্রছাত্রিদের উজ্জ্বল ভবিষ্যৎ গড়ার স্বপ্নে নিজের পরিবারের সপ্ন ভুলে গেলেন
যিনি কাদা মাটির মত শিশু কিশুরদের বড় হবার, মানুষের মত মানুষ হবার, দেশপ্রেমিক হবার,সমাজনেতা হবার স্বপ্নের রং চোখে লাগিয়ে দিলেন
আবার সেই স্বপ্নকে বাস্তব রুপ দানের শিক্ষা দিলেন
যেই মহান শিক্ষাগুরুদের নি:স্বার্থ প্রচেষ্টাই আমাদের আজকের এই অবস্থানে নিয়ে এসেছে
আমরা স্বনির্ভরতা অর্জন করেছি
যিনি কখনোই নিজের মাথাকে নত হতে দেননি কোন অনৈতিকতা আর না পাওয়ার অভিব্যক্তির কাছে
সেই শিক্ষাগুরুদের কোন একজন যদি আজ ক্ষুধার জালায়, বিনা চিকিৎসায় জির্ন শীর্ন হয়ে সাহায্যের হাত পাতেন স্বীয় আনুকূল্য প্রাপ্তদের কাছে
তাহলে আমাদের মাথা কি হেট হয়ে পায়ে এসে ঠেকেনা?
আমাদের কি কিছুই করনীয় নেই?
আমরা কি আমাদের শির কে উচ্চে ধরে রাখতে পারব না?
মন্তব্য যোগ করুন
এই লেখার উপর আপনার মন্তব্য জানাতে নিচের ফরমটি ব্যবহার করুন।
মন্তব্যসমূহ
-
জুবায়ের চৌধুরী ০১/১১/২০১৩
-
সাখাওয়াতুল আলম চৌধুরী. ২৭/১০/২০১৩খুবই সত্য একটি বাস্তবতা তুলে এনেছেন লেখায়।আসলেই আমরা কি অপারগ? না আমরা অপারগ নই।তবে আমাদের সমাজ রাষ্ট্র ব্যবস্থা এই ক্ষেত্রে অপারগ।তাই আমাদের শিক্ষা গুরুদের এই করুন দশা। রাষ্ট্র আরও আন্তরিক হলে এই করুন দশা থেকে উত্তোরন সম্ভব।
-
আরজু নাসরিন পনি ২৭/১০/২০১৩কী যে বলবো ...লজ্জায় মাথা হেট হয়ে যায় ।
আমরা সত্যিই বড়ই নির্মম, পিশাচ...
আমাদের শিক্ষকদের জন্যে আমাদের কি আসলেই করার কিছু নেই...
এই ভাবনাটা সর্বস্তরেই আসা উচিত ।
বিবেক নাড়িয়ে দেয়া লেখায় অনেক ধন্যবাদ জানাই ।। -
জহির রহমান ২৬/১০/২০১৩আপনাকে ব্লগে স্বাগতম...
-
জহির রহমান ২৬/১০/২০১৩কিছু সময়ের জন্য বাকরুদ্ধ হয়ে গেলাম। কি বলা উচিত? কি বলবো বুঝতে পারছিনা। এই আলোকিত মানুষদের জন্য আমার কি করার আছে? আমি কি করতে পারবো?
-
কবীর হুমায়ূন ২৬/১০/২০১৩আমাদের এই দুষ্টু কাঠামোতে অনেক কিছুই সম্ভব। ব্লগটা আরো স্পষ্ট হলে ভালো লাগতো। সাধারনীকরন না করে, নির্দিষ্ট করে বললে আরো ভাল হতো।
সমাজের একটু চরম সত্যের দিক তুলে এনেছো, তোমায় অনেক ধন্যবাদ।
যারা মন্তব্য করেছেন
ঘটনাটি আমার নিজের একজন শিক্ষক এর ক্ষেত্রে প্রযোয্য
তবে আমরা চেষ্ঠা করছি উনার জন্য কিছু করতে