www.tarunyo.com

সাম্প্রতিক মন্তব্যসমূহ

খালাতো বোনের বিয়ে।

খালাতো বোনের বিয়ে এ যেন স্বর্গের করি ডোরে উচ্চস্বরে লাফানো। মনের মাঝে আলপনা একে গোধূলির আকাশে চাঁদকে নিমন্ত্রণ করা। সবাই মিলে হাসাহাসি নাচানাচিতে মাতাল হয়ে যাওয়া। আমার বড়ো খালার মেয়ে আরিফা আমাদের তিন মা-খালা। তাদের মধ্যে সাতজন ভাই বোন, এই সাতজনের ভিতর দুটি মাত্র বোন। ১ম জন হচ্ছে বড়ো খালার মেয়ে আরিফা, অর্থাৎ আমার খালাতো বোন। আর ২য় জন হচ্ছে আমার বোন, আমার আপন বোন রূপা। ছোট খালা-খালু, মামা-মামীরা এবং আমরা সবাই। সকলেই যেন সুখের দোলায় দোল খেতে প্রস্তুতি নিয়ে যাচ্ছে খুলনায়। আমিও যাচ্ছি মনের আবেগ যেন উৎফুল্লতায় ভাসছে। নানা-নানি নৃত্যরতে উদ্বেলিত চিত্তে উপস্থিত হয়েছে। জীবনের প্রথম মনে হয় কোনো একজনের বিয়েতে হৈ-হুল্লোড়ে মেতে উঠেছি। হৃদয়ের মনি কোঠায় আঁটকে গেছে এই উল্লাস। প্রেম, আবেগ ও ভালোবাসা এ যেন স্বর্গ থেকে নেমে এসেছে। এতোটা মজা, আনন্দ, মন খুলে করেছি। যা ভাষায় বলে বুঝানো যাবে না। বাড়ির সবাই মিলে যেন একটা পরিবারের বন্ধন তৈরী করে ফেলেছি। আরিফ,আরিফা, রূপা, মিমি আপু, মারিয়া, মুসলিমা, জুই, মুরছালিন, সাকিব, কাকিমা, মিরাজ ভাই, রবিউল, শারমিন ভাভি,তিশা ভাবি,এবং আরো অনেক ভাই ভাবি বন্ধু, এরা সবাই মিলে হলুদ সন্ধায় সন্ধিত হয়েছি। প্রেম যুগোলে ভালোবাসার পরস খুঁজেছি। ভাবি ও বোনদের সাথে ডান্সে যোগ হয়ে আনন্দ করা।মনে হয় কোনো এক রাজ্যের বেলি ড্যান্স আবির্ভূত হয়েছে। বাড়ির সবাই মিলে নতুন নাম উন্মোচন করা এটাও যেন আনন্দের জমকালো এক মুহূর্ত। বিরক্তিকর হলেও ভালোই লেগেছে এই বিশেষ কফি আপু, বার বার তার বাসায় যাওয়া,কফি খাওয়া, গল্প করা, আনন্দের সান্নিধ্যে মিশে যাওয়া। কাকি, কাকা, এঁদের সঙ্গে জীবনের গল্পে হারিয়ে যাওয়া। এ যেন জনম জনমের পরিচয়। প্রেম না করেও প্রেমের ছোঁয়ায় ভেসে যাওয়া। এটাই যেন এহকালের শ্রেষ্ঠ সুখ। এই ছোট জীবনের মাঝে সর্বশ্রেষ্ট সপ্ন বলতে এটাই, এই বিয়ে। মানুষের জীবনের দ্বিতীয় আর কোনো বড়ো আশা নাই। আমি আনন্দিত, প্রফুল্ল, আমি সিক্ত। তাদের এই ভালোবাসা পেয়ে। বড়ো খালা-খালু জীবনের উৎকৃষ্ট সময় আমাদের মাঝেই ব্যায় করেছেন। তার এই একমাত্র কন্যার বিয়েতে ভূয়সী আনন্দ করেছেন। আমরাও করেছি নিজের ইচ্ছে মতো, গেট ধরা, সরবত খাওয়ানো জুতো লুকানো এগুলো বরের সঙ্গে পরিচিত একটা সম্পর্ক। বৌ-ভাত খেয়ে এসে দুলাভাই নিয়ে ঘুরতে যাওয়া। চা খাওয়া কফি খাওয়া। এটা সুপরিচিত একটা রীতি। দুলাভাই তার শালা-শালীদের নিয়ে ঘুরতে যাবে এটা সকল শালা-শালীদের একটা সপ্ন। মনের মতো করে কথা বলবে, যা-ইচ্ছে তাই করবে এটাই শালা-দুলা ভাইয়ের আসল সম্পর্ক। কেউ প্যান্ট পরবে, আবার কেউ লুঙ্গী পড়ে ঘুরতে যাবে। কিন্তু সব জায়গায় সব নিয়মনীতি এক ভাবে বয়ে যায় না। জায়গা অনুযায়ী সমাজ পরিবর্তন হয়। তারপরও আমরা সবাই একইভাবে তালে-তালমিলিয়ে উৎস্বর্গ করেছি আনন্দকে। ভালোবেসেছি সময়কে। জয়নাল কাকুর অঙ্গ-ভঙ্গী সবার হাসির কারণ হয়ে দাড়িয়েছে। খুশী মনে সবার মাঝে ভালোবাসার মানুষ হয়েছে। বোনকে সুখে থাকার কামনা করছি। তোমার জীবন চিরন্তন সুখী হোক। ভালো কাটুক তোমার দিন গুলো। আমরা সকলেই তোমার মঙ্গল কামনা করছি। আল্লাহ তায়ালা যেন তোমার সংসারে রহমতের চাদর বিছিয়ে দেন।

জে এস এম অনিক
২৬/০২/২৫
বিষয়শ্রেণী: অভিজ্ঞতা
ব্লগটি ৮৫ বার পঠিত হয়েছে।
প্রকাশের তারিখ: ২৭/০২/২০২৫

মন্তব্য যোগ করুন

এই লেখার উপর আপনার মন্তব্য জানাতে নিচের ফরমটি ব্যবহার করুন।

Use the following form to leave your comment on this post.

মন্তব্যসমূহ

 
Quantcast