উৎসব মানেই কি ঈশ্বর
সংস্কৃতি ছাড়া হয়ত একই । সেই উন্মাদনা । সন্ধ্যেবেলা আরতি , গনপতি বাপ্পা মোরিয়া অথবা দুর্গা ঠাকুর মাই কি জয় , বিসর্জনে উচ্চ শব্দে গান আর নাচা , রাস্তায় দাড়িয়ে থাকা সাধারন গোবেচারা মুখগুলো , মূর্তি ভাসানে আতশবাজি আর বৈভব্যের প্রতিযোগীতা , ট্রাফিক জ্যাম , এম্বুলেন্সের আটকে থাকা , নাচতে নাচতে অন্য মেয়ের গায়ে ঢলে পরা তারপর মাল খেয়ে টাল হওয়া দাদাদের মধ্যে মারপিট , পুলিশের নিরুপায় অবস্থা , স্থানীয় নেতা নেত্রীদের তদারকি , আসছে বছর আবার হবার প্রতিশ্রুতি ।
কিন্তু অদ্ভুত মিল হল এই উৎসবগুলোর উদযাপনের ইতিহাসেও । ইতিহাস সুত্র বলছে গনপতি প্রথম শুরু করেন ছত্রপতি শিবাজি । কিন্তু সেটা বারোয়ারী করেন লোকমান্য তিলক তাও ১৮৯৩ ।
এদিকে একটা সুত্র বলছে দিনাজপুর ও মালদার জমিদার প্রথম শুরু করেন দুর্গা পুজা ১৫০০ শতাব্দীতে , অন্য সুত্র বলছে নদীয়ার রাজা ভবানন্দ প্রথম শুরু করেন তাও ১৬০০ শতাব্দীতে । বারোয়ারী প্রথম করে ১৭৯০ হুগলীর গুপ্তিপারায় বারো জন মিলে । কলকাতায় আসে ১৮৩২ সালে ।
অথচ আজকের উন্মাদনা দেখে মনে হয় এ যেন জাতের সাথে , রক্তের সাথে মিশে আছে । বাঙ্গালী হলে দুর্গা পুজা আর মারাঠি হলে গনপতি । যদিও দুটোর মিল -বিকাশ ব্যাপক হারে হচ্ছে । কিন্তু প্রশ্ন হল যে বিশ্বাস থেকে এসবের জন্ম সেই মাইথলজি তো হাজার হাজার বছর পুরানো । হটাৎ করে এক একটা উৎসবের সৃষ্টি তে আসল সৃষ্টি কর্তার মত আছে তো ? ভারতীয় সংস্কৃতির ধাচে যখন আরব বা পাশ্চাত্য ঈশ্বরের উৎসবগুলো প্রতিযোগীতায় নামে তখন তারা খুশী হন কি ? যখন সর্ব ধর্মের লোক এক হয়ে যায় কোনও উৎসবের জন্য সেটা বছর বছর আবার হবার প্রতিশ্রুতি নেয় তখন আলাদা আলাদা ঈশ্বরের জন্য লড়াই, এর কোনও মুল্য আছে কি ?
কিন্তু অদ্ভুত মিল হল এই উৎসবগুলোর উদযাপনের ইতিহাসেও । ইতিহাস সুত্র বলছে গনপতি প্রথম শুরু করেন ছত্রপতি শিবাজি । কিন্তু সেটা বারোয়ারী করেন লোকমান্য তিলক তাও ১৮৯৩ ।
এদিকে একটা সুত্র বলছে দিনাজপুর ও মালদার জমিদার প্রথম শুরু করেন দুর্গা পুজা ১৫০০ শতাব্দীতে , অন্য সুত্র বলছে নদীয়ার রাজা ভবানন্দ প্রথম শুরু করেন তাও ১৬০০ শতাব্দীতে । বারোয়ারী প্রথম করে ১৭৯০ হুগলীর গুপ্তিপারায় বারো জন মিলে । কলকাতায় আসে ১৮৩২ সালে ।
অথচ আজকের উন্মাদনা দেখে মনে হয় এ যেন জাতের সাথে , রক্তের সাথে মিশে আছে । বাঙ্গালী হলে দুর্গা পুজা আর মারাঠি হলে গনপতি । যদিও দুটোর মিল -বিকাশ ব্যাপক হারে হচ্ছে । কিন্তু প্রশ্ন হল যে বিশ্বাস থেকে এসবের জন্ম সেই মাইথলজি তো হাজার হাজার বছর পুরানো । হটাৎ করে এক একটা উৎসবের সৃষ্টি তে আসল সৃষ্টি কর্তার মত আছে তো ? ভারতীয় সংস্কৃতির ধাচে যখন আরব বা পাশ্চাত্য ঈশ্বরের উৎসবগুলো প্রতিযোগীতায় নামে তখন তারা খুশী হন কি ? যখন সর্ব ধর্মের লোক এক হয়ে যায় কোনও উৎসবের জন্য সেটা বছর বছর আবার হবার প্রতিশ্রুতি নেয় তখন আলাদা আলাদা ঈশ্বরের জন্য লড়াই, এর কোনও মুল্য আছে কি ?
মন্তব্য যোগ করুন
এই লেখার উপর আপনার মন্তব্য জানাতে নিচের ফরমটি ব্যবহার করুন।
মন্তব্যসমূহ
-
মোঃ মুসা খান ১২/০৯/২০১৬ভাল
-
সাইয়িদ রফিকুল হক ১২/০৯/২০১৬মানুষে-মানুষে এই ভিন্ন-ভাবনা দূর হবে না।
-
স্বপন রোজারিও (মাইকেল) ১২/০৯/২০১৬সুন্দর
-
সোলাইমান ১২/০৯/২০১৬ভাল