পতিতাবৃত্তি ও লাল বাতি
বাস্তব হতে অনেক দূরে থেকে সমসাময়িক জীবনের উপর নির্ভর করে আমরা অবুঝ এক সমাজের চিত্রপট একে চলেছি, জানিনা এর ফলাফল ভবিষ্যতে কি প্রভাব আনবে যখন পরের আরও শিক্ষিত প্রজন্ম অতীত কে জেনে প্রশ্ন করে ফেলবে । কেউ প্রশ্ন করে সানি লিওনিকে তার অতীত জীবন নিয়ে, কেউ তার উপর দাড়িয়ে ব্যাবসায়িক সিনেমা বানায় দুর্বল চিত্রনাট্য নিয়ে , কেউ ধর্মীয় কারন দেখিয়ে ঘৃণা করতে শেখায় যৌনতাকে । কিন্তু কেউই এর উৎসকে জানার চেস্থা করে না ।
বৃতি মানে কাজ , এর সাথে যুক্ত পতিতা আর সেটা যদি হয় ধর্মীয় কারন তবে আমাদের ভক্তিটা একটু অন্যরকম হয় । ভক্তিমুলক পতিতাবৃত্তি (Sacred prostitution) প্রাচীন প্রাচ্য দেশের সামাজিক দৈনন্দিন রীতি ছিল, তা সে মেসোপটেমিয়া হোক, বা গ্রিক , ব্যাবিলন বা ভারত । ইসলাম বা বুদ্ধ তখন পৃথিবীতে আসেই নি । ভারতের এই কর্মে যুক্ত মেয়েদের বলা হতো দেবদাসী । ধর্মীয় প্রথা অনুযায়ী গ্রাম থেকে ছোট ছোট মেয়েদের নিয়ে এসে দেবতাদের সাথে বা মন্দিরের সাথে বিয়ে দেওয়া হতো আর উপভোগ করত উচু স্তরের হিন্দুরা , এটাই রীতি বা পরম্পরা । লজ্জার হল এই প্রথা বন্ধ করতে লেগেছে আইন , শেষ আইন ছিল অন্ধপ্রদেশ তাও ১৯৮৮ সাল । পাশ্চাত্য তো প্রাচ্যের অনেক পরে এসব নিয়ে এসেছে ও আইএসআইএস এর যৌনদাসী আমাদেরই জমানো আসলের সুদ বলা যায় ।
সমস্ত দেশের রাজাই যুদ্ধের সময় সেনা ছাউনির পাশে এক বিশেষ আলয় রাখত । লাল বাতি জ্বেলে সেনারা সেখানে প্রবেশ করত যাতে বোঝা যায় , তা সে বিশ্বযুদ্ধের সেনা হোক, দীর্ঘ পথের আলেকজেন্ডার এর সেনা বা সুলতান মামুদের ১৮ বার আক্রমনের সেনা, লাল বাতির এলাকা দরকার ছিল তরুণ তাজা দেহ ও মনকে চনমনে রাখার জন্য । পরম্পরা কি আমার জানা নেই , কিন্তু পুরুষ -পৃথিবীতে ভোগ আর ভোগী যে কারা কারা সেটা অতীত আর বর্তমানকে ঘাঁটলেই জানা যায় । বর্তমান সময়ে আমরা পাশ্চাত্যকে দোষী আর প্রাচের দেখানো মহানতায় ডুবে চোখে কালো কাপড় লাগিয়ে ছোট ছিদ্র বানিয়ে সেই সানি লিওনিকেই দেখি কিন্তু মনকে ঢাকতে রক্ষণশীলতায় ভরা সমাজকে সমর্থন করে বলি আমরা সহিস্নু, আমরা উদার , আমরা ভদ্র । ঈশ্বর তুমি সত্যি সুন্দর ।
বৃতি মানে কাজ , এর সাথে যুক্ত পতিতা আর সেটা যদি হয় ধর্মীয় কারন তবে আমাদের ভক্তিটা একটু অন্যরকম হয় । ভক্তিমুলক পতিতাবৃত্তি (Sacred prostitution) প্রাচীন প্রাচ্য দেশের সামাজিক দৈনন্দিন রীতি ছিল, তা সে মেসোপটেমিয়া হোক, বা গ্রিক , ব্যাবিলন বা ভারত । ইসলাম বা বুদ্ধ তখন পৃথিবীতে আসেই নি । ভারতের এই কর্মে যুক্ত মেয়েদের বলা হতো দেবদাসী । ধর্মীয় প্রথা অনুযায়ী গ্রাম থেকে ছোট ছোট মেয়েদের নিয়ে এসে দেবতাদের সাথে বা মন্দিরের সাথে বিয়ে দেওয়া হতো আর উপভোগ করত উচু স্তরের হিন্দুরা , এটাই রীতি বা পরম্পরা । লজ্জার হল এই প্রথা বন্ধ করতে লেগেছে আইন , শেষ আইন ছিল অন্ধপ্রদেশ তাও ১৯৮৮ সাল । পাশ্চাত্য তো প্রাচ্যের অনেক পরে এসব নিয়ে এসেছে ও আইএসআইএস এর যৌনদাসী আমাদেরই জমানো আসলের সুদ বলা যায় ।
সমস্ত দেশের রাজাই যুদ্ধের সময় সেনা ছাউনির পাশে এক বিশেষ আলয় রাখত । লাল বাতি জ্বেলে সেনারা সেখানে প্রবেশ করত যাতে বোঝা যায় , তা সে বিশ্বযুদ্ধের সেনা হোক, দীর্ঘ পথের আলেকজেন্ডার এর সেনা বা সুলতান মামুদের ১৮ বার আক্রমনের সেনা, লাল বাতির এলাকা দরকার ছিল তরুণ তাজা দেহ ও মনকে চনমনে রাখার জন্য । পরম্পরা কি আমার জানা নেই , কিন্তু পুরুষ -পৃথিবীতে ভোগ আর ভোগী যে কারা কারা সেটা অতীত আর বর্তমানকে ঘাঁটলেই জানা যায় । বর্তমান সময়ে আমরা পাশ্চাত্যকে দোষী আর প্রাচের দেখানো মহানতায় ডুবে চোখে কালো কাপড় লাগিয়ে ছোট ছিদ্র বানিয়ে সেই সানি লিওনিকেই দেখি কিন্তু মনকে ঢাকতে রক্ষণশীলতায় ভরা সমাজকে সমর্থন করে বলি আমরা সহিস্নু, আমরা উদার , আমরা ভদ্র । ঈশ্বর তুমি সত্যি সুন্দর ।
মন্তব্য যোগ করুন
এই লেখার উপর আপনার মন্তব্য জানাতে নিচের ফরমটি ব্যবহার করুন।
মন্তব্যসমূহ
-
পরশ ১৩/০৬/২০১৬সথিক
-
এস. কে. সুবল চন্দ্র মামাহাত্ম্য ২৭/০৫/২০১৬যেটা শুরু হয়, সেটা কিন্তু শেষ হয় না। আমরা শেষ করে আসি কিছু পরিবর্তনের মধ্য দিয়ে। হয় সেটা ভালভাবে পরিবর্তন হয় নয়তো আগের চেয়ে বেশি মাত্রায়। তবে পরিবর্তন কিন্তু হচ্ছেই। শুধু আমাদের নিজেদের বদলাতে হবে।
-
জে এস সাব্বির ২৫/০৫/২০১৬কারো লালবাতি কারো নীলপর্দা ।উত্স সেই একই- প্রবৃত্তি ।।বাসনা পূরণে রসনার দরকার হয় ।বর্বর যুগে দাসীর প্রথা ছিল ।আমরা সভ্য হয়েছি ।সভ্যতা এহেনে না ঢুকলে সেই অসভ্য বর্বরের সাথে পার্থক্য কোথায়??
-
আজকের চাকরির বাজার বিডি.কম ২৪/০৫/২০১৬ওয়াও, গবেষনা মুলক ঐতিহাসিক লেখা।