আতেল ও বাঙ্গালী
খুবই আচ্ছন্ন একটা আবহাওয়া । যেকোনো সোশাল মিডিয়াতে দেখছি আমরা প্রত্যেকে কেমন যেন ভাবলেশহীন । কেউ কেউ নিজেকে প্রতিষ্ঠা করতে আগ্রহী, কেউ তুলনা করতে , কেউ ধর্মের বা জাতের অহঙ্কার দেখাতে , কেউবা রাজনৈতিক দলের ছবি হতে । পছন্দ , মতামত আর ভাগপ্রতিস্থা করা যেন একটা সাধারন বৈশিষ্ট যদি ওটা লোকের দৃষ্টিনন্দন হয় ।সমাজিক বা সোশাল হতে গেলে কি যোগ্যতা লাগে এটা ছোটবেলায় পিতা মাতারা খুব শিখিয়েছেন । কিন্তু আমারা শিখতে পারিনি সমাজ মানে নিজের সাথে সাথে সবার একসাথে পরিস্ফুটন। । সবাই জানি কথাটা কে বলেছিল “ পশ্চাতে রেখেছ যারে , সে তোমারে পশ্চাতে টানিছে।“ কোন কোন দেশ তো সামাজিক বন্ধনটাই বন্ধ করে রেখেছে। কোন কোন দেশে আবার কিছু বলতে গেলে মৌলবি বা কট্টরবাদিদের ভয় পেতে হয়। পাশ্চাত্য দেশে আবার সোশাল মিডিয়াতে ব্যঙ্গ যদি হয় ঈশ্বরের নামে ভুল পথে চালিত পাগল লোকের তাণ্ডব দেখতে হয় ।
এর চেয়ে একশো বছর আগের সমাজ ভালো ছিল । ধর্মের ভাঁড়ামি, কুসংস্কার ছিল বটে তবে একাটা চায়ের দোকান তো ছিল বাঙ্গালীদের, সেখানে সমাজের সমলোচনা থেকে সমাজের উন্নতিসাধন এবং দরকার পড়লে আগুনে প্রতিবাদের খসড়া তৈরি হতো । সেখান থেকেই তৈরি হতো ভালো ব্যাক্তিত্বের সূচনা। আজ বর্তমানে কিছু নির্দিষ্ট মানুষ ছাড়া কটা লোক আছে যাদের ছবি পরবর্তী কালে কেউ বাধিয়ে রাখবে ? ইতিহাস প্রমান বাঙ্গালা ভাগ হবার আগে প্রতি প্রান্তে প্রান্তে সমস্ত স্তরের লোকদের মধ্যে বাঙ্গালীদের উজ্জ্বল উপস্থিতি পাওয়া যায়।
তা সে রাজনীতিক, বিপ্লবী, গল্পকার,কবি, শিক্ষক ,ইতিহাসবিদ, বিজ্যানী, সুরকার, গীতিকার, গায়ক, গায়িকা, নাট্যকার, অভিনেতা, সিনেমা- নির্দেশক, চিত্রকার যত ব্যাক্তিত্ব পাওয়া যায় সবই সেকেলের। বরং বর্তমান অমর্ত্য সেন থেকে হুমায়ূন আহমেদের ভিতটাও সেকেলের প্রাপ্তি । তবে আমরা কি আধুনিক সমাজের মধ্যে সত্যিই নিজের সেই প্রসিদ্ধি হারিয়ে ফেলছি । চুরান্ত অলসতা আর স্বার্থপরতার ফলাফল হল এই বর্তমান বাঙ্গালীদের ভাবলেশহীন ভাব । আমি তো বলব বাঙ্গালা ভাগের আসল কারন বোধহয় হিন্দু মুসলিম নয়, বাঙ্গালী জাতির উত্থানকে আটকানো, যেটা গ্রেট ব্রিটেনের ইংলিশরাও বুঝতে পেরেছিল । কিছু লোক একটু এগিয়ে আসে বটে কিন্তু তাদের নাম হয়ে যায় আতেল । তাই আতলেমি করতে চাওয়া সমস্ত মানুষকে বলব বুদ্ধিজীবি হতে গেলে অনেক ডিপ্লোম্যাটিক হতে হয় , তার চেয়ে এস আমরা এই ছোট ছোট আতেলই হই, সংখ্যাটা বাড়লে , আমরা না হয় কোন দিন আবার চায়ের দোকানেই বসব ।
এর চেয়ে একশো বছর আগের সমাজ ভালো ছিল । ধর্মের ভাঁড়ামি, কুসংস্কার ছিল বটে তবে একাটা চায়ের দোকান তো ছিল বাঙ্গালীদের, সেখানে সমাজের সমলোচনা থেকে সমাজের উন্নতিসাধন এবং দরকার পড়লে আগুনে প্রতিবাদের খসড়া তৈরি হতো । সেখান থেকেই তৈরি হতো ভালো ব্যাক্তিত্বের সূচনা। আজ বর্তমানে কিছু নির্দিষ্ট মানুষ ছাড়া কটা লোক আছে যাদের ছবি পরবর্তী কালে কেউ বাধিয়ে রাখবে ? ইতিহাস প্রমান বাঙ্গালা ভাগ হবার আগে প্রতি প্রান্তে প্রান্তে সমস্ত স্তরের লোকদের মধ্যে বাঙ্গালীদের উজ্জ্বল উপস্থিতি পাওয়া যায়।
তা সে রাজনীতিক, বিপ্লবী, গল্পকার,কবি, শিক্ষক ,ইতিহাসবিদ, বিজ্যানী, সুরকার, গীতিকার, গায়ক, গায়িকা, নাট্যকার, অভিনেতা, সিনেমা- নির্দেশক, চিত্রকার যত ব্যাক্তিত্ব পাওয়া যায় সবই সেকেলের। বরং বর্তমান অমর্ত্য সেন থেকে হুমায়ূন আহমেদের ভিতটাও সেকেলের প্রাপ্তি । তবে আমরা কি আধুনিক সমাজের মধ্যে সত্যিই নিজের সেই প্রসিদ্ধি হারিয়ে ফেলছি । চুরান্ত অলসতা আর স্বার্থপরতার ফলাফল হল এই বর্তমান বাঙ্গালীদের ভাবলেশহীন ভাব । আমি তো বলব বাঙ্গালা ভাগের আসল কারন বোধহয় হিন্দু মুসলিম নয়, বাঙ্গালী জাতির উত্থানকে আটকানো, যেটা গ্রেট ব্রিটেনের ইংলিশরাও বুঝতে পেরেছিল । কিছু লোক একটু এগিয়ে আসে বটে কিন্তু তাদের নাম হয়ে যায় আতেল । তাই আতলেমি করতে চাওয়া সমস্ত মানুষকে বলব বুদ্ধিজীবি হতে গেলে অনেক ডিপ্লোম্যাটিক হতে হয় , তার চেয়ে এস আমরা এই ছোট ছোট আতেলই হই, সংখ্যাটা বাড়লে , আমরা না হয় কোন দিন আবার চায়ের দোকানেই বসব ।
মন্তব্য যোগ করুন
এই লেখার উপর আপনার মন্তব্য জানাতে নিচের ফরমটি ব্যবহার করুন।
মন্তব্যসমূহ
-
নির্ঝর ১৭/১২/২০১৫ভাল লেখা চাই
-
জে এস সাব্বির ১৭/১২/২০১৫তার চেয়ে এস আমরা এই ছোট ছোট আতেলই হই, সংখ্যাটা বাড়লে , আমরা না হয় কোন দিন আবার চায়ের দোকানেই বসব ।
ভাল বলেছেন ।কিন্তু আমার মনে হয় কি , সময়টা পাল্টে গেছে ,আমরা বাঙ্গালীরা পাল্টাইনি ।আমাদের সীমাবদ্ধতা থেকে ।