একাত্তরের মুক্তিযোদ্ধা
৭১এর মুক্তিযুদ্ধে শহীদের সংখ্যা নিয়ে এক মহল খুব ক্যাচাল করে যাচ্ছে ।ওদিকে আরেকমহল ক্যাচাল করছে খোদ মুক্তিযোদ্ধার সংখ্যা নিয়ে । বীরঙ্গনাদের স্বীকৃতি দেওয়া হলো অনেক পরে ।শিশু মুক্তিযোদ্ধার স্বীকৃতি আসলো একেবারে শেষে ।সর্বশেষ গেজেট প্রকাশ হলো- মুক্তিযোদ্ধার সর্বনিন্ম বয়স ১২.৪ বছর ।
আমার একটা প্রশ্ন আছে ,শেখ মুজিব কি মুক্তিযোদ্ধা ছিলেন?? যদি না হয় ,তাহলে সে কিসের নেতা !! যে নিজের মাতৃভূমির স্বাধিকার স্বার্থে যুদ্ধ করতে পারেনি । কিন্তু আমি বলি ,শেখ মুজিবও একজন মুক্তিযোদ্ধা ছিলেন ।দুর্ভাগ্য তার-শহীদ হতে পারেন নি ।গাজী ।।তিনি অস্ত্র হাতে নিতে পারেন নি- কিন্তু কেউকি আছে যে বলতে পারবে ,শেখ মুজিবর রহমান যুদ্ধে সক্রীয় ছিলেন না । কেউ বলতে পারবে?? জামায়াত ? আজকের বিএনপি ? বা অন্য কেউ ?তাহলে শেখ মুজিব কেন মুক্তিযোদ্ধার স্বীকৃতি পাবে না ???
ওদিকে যে নারী সমভ্রম হারালো তাকে ঠিকই মুক্তিযোদ্ধা স্বীকৃতি দেওয়া হলো ।অথচ যে মা শেখ মুজিবকে জন্ম দিয়েছে সেই মা-ই যখন ভবিষ্যতের আরেক শেখ মুজিবকে বাঁচাতে গিয়ে পাকবাহিণীর দ্বারা জীবন হারালো তাকে কেন স্বীকৃতি দেওয়া হবে না ??সেই শিশুর কি দোষ ছিল সেদিন- যে পরম শান্তিতে সেদিন ঘুমাচ্ছিল মায়েল বুকে ।সেও রেহাই পেল না ।খুন বের হলো ।খুন হলো ।তার মাংস কেন সেদিন শকুনে খাবে?? মায়ের রক্তাক্ত কোলে তার নিথর লাশটাতো সেদিন পরে থাকার কথা ছিল না ঝোপের ধারে ,নদীর কিনারায় ।।তাহলে কেন?? এটাও কি দেশের জন্য ত্যাগ নয়? যদি হয়- তবে কেন সেই মা ,সেই শিশু অমর হতে পারবেনা ।কেন তাদেরকে স্বীকৃতি দেওয়া হবে না ।।
এই প্রজন্মের একজন তরুণ হিসেবে আমার যেমন আফসোস হয়- যুদ্ধে অংশে না নিতে পারার ।তেমনি আজকে এও মনে হয়- যুদ্ধে কাউকে মুক্তিযোদ্ধা স্বীকৃতি দেওয়ার প্রয়োজন ছিলনা । ৭১'এর সকল বাংলাদেশীকে এবং যারা বাংলাদেশকে যুদ্ধে সমর্থন করেছে তাদের সকলকে সাধারণ মুক্তিযোদ্ধা স্বীকৃতি দিলেই হতো ।কোন বিতর্ক থাকত না ।আর থাকত মুক্তিযোদ্ধার নাম বিক্রী করে তাদেরকে অসম্মান করে আজকের কুরাজনীতি-কুশিক্ষানীতি (যেখানে পদে পদে কোটা নামক ন্যাক্কারজনক ছায়া পাতানো)।
আমার একটা প্রশ্ন আছে ,শেখ মুজিব কি মুক্তিযোদ্ধা ছিলেন?? যদি না হয় ,তাহলে সে কিসের নেতা !! যে নিজের মাতৃভূমির স্বাধিকার স্বার্থে যুদ্ধ করতে পারেনি । কিন্তু আমি বলি ,শেখ মুজিবও একজন মুক্তিযোদ্ধা ছিলেন ।দুর্ভাগ্য তার-শহীদ হতে পারেন নি ।গাজী ।।তিনি অস্ত্র হাতে নিতে পারেন নি- কিন্তু কেউকি আছে যে বলতে পারবে ,শেখ মুজিবর রহমান যুদ্ধে সক্রীয় ছিলেন না । কেউ বলতে পারবে?? জামায়াত ? আজকের বিএনপি ? বা অন্য কেউ ?তাহলে শেখ মুজিব কেন মুক্তিযোদ্ধার স্বীকৃতি পাবে না ???
ওদিকে যে নারী সমভ্রম হারালো তাকে ঠিকই মুক্তিযোদ্ধা স্বীকৃতি দেওয়া হলো ।অথচ যে মা শেখ মুজিবকে জন্ম দিয়েছে সেই মা-ই যখন ভবিষ্যতের আরেক শেখ মুজিবকে বাঁচাতে গিয়ে পাকবাহিণীর দ্বারা জীবন হারালো তাকে কেন স্বীকৃতি দেওয়া হবে না ??সেই শিশুর কি দোষ ছিল সেদিন- যে পরম শান্তিতে সেদিন ঘুমাচ্ছিল মায়েল বুকে ।সেও রেহাই পেল না ।খুন বের হলো ।খুন হলো ।তার মাংস কেন সেদিন শকুনে খাবে?? মায়ের রক্তাক্ত কোলে তার নিথর লাশটাতো সেদিন পরে থাকার কথা ছিল না ঝোপের ধারে ,নদীর কিনারায় ।।তাহলে কেন?? এটাও কি দেশের জন্য ত্যাগ নয়? যদি হয়- তবে কেন সেই মা ,সেই শিশু অমর হতে পারবেনা ।কেন তাদেরকে স্বীকৃতি দেওয়া হবে না ।।
এই প্রজন্মের একজন তরুণ হিসেবে আমার যেমন আফসোস হয়- যুদ্ধে অংশে না নিতে পারার ।তেমনি আজকে এও মনে হয়- যুদ্ধে কাউকে মুক্তিযোদ্ধা স্বীকৃতি দেওয়ার প্রয়োজন ছিলনা । ৭১'এর সকল বাংলাদেশীকে এবং যারা বাংলাদেশকে যুদ্ধে সমর্থন করেছে তাদের সকলকে সাধারণ মুক্তিযোদ্ধা স্বীকৃতি দিলেই হতো ।কোন বিতর্ক থাকত না ।আর থাকত মুক্তিযোদ্ধার নাম বিক্রী করে তাদেরকে অসম্মান করে আজকের কুরাজনীতি-কুশিক্ষানীতি (যেখানে পদে পদে কোটা নামক ন্যাক্কারজনক ছায়া পাতানো)।
মন্তব্য যোগ করুন
এই লেখার উপর আপনার মন্তব্য জানাতে নিচের ফরমটি ব্যবহার করুন।
মন্তব্যসমূহ
-
পরশ ১৭/০২/২০১৬ভাল
-
রাসেল আহাম্মেদ ২৯/০১/২০১৬বাহ বেশ বলছেন।এই ভাবনা যদি দেশের প্রধান যারা তাদের মদ্ধে থাকতো তবে বাংলাদেশ আজ বিশ্বের উন্নত দেশের তালিকায় থাকতো।
-
সাইদুর রহমান ২২/০১/২০১৬সুন্দর উপস্থাপনা।
-
নির্ঝর ২১/০১/২০১৬নানা জনে নানা মত। এতাই সত্য।