অসংলগ্ন প্রশ্নের উত্তর খুজি
আঘাত না পেলে নাকি পরিশুদ্ধ হওয়া যায়না !
গুরুজনদের এই কথাটি আমি খুবই শ্রদ্ধা ভরে অবিশ্বাস করতাম ,এই ৬ মাস আগেও ।
একটা অলিখিত সার্টিফিকেট আমার সেই দুরন্ত মনা বয়স থেকেই ছিল- ভদ্র ছেলে ! আমি নিজেকে তাই মনে করতাম ,আমি ভাবতাম চরিত্রের দিক থেকে আমি পরিশুদ্ধ ।কিন্তু গত ৬ টা মাসে যে অভিঞ্জতা অর্জন করলাম ,তাতে সহজ ভাষায় নিজেকে একটা খারাপ ছেলে হিসেবে মানতে আমারও কষ্ট হয় না ।
প্রথম ২ মাসেই নষ্ট হলাম ,প্রেমে পরলাম । যে ছেলেটা মেয়েদের দিকে তাকানোর আগে ৫ বার হিসেব করে নিত কোন সাইড ইফেক্ট হওয়া সম্ভাবনা আছে কিনা ।আজ সেই ছেলেটাই একটা মেয়েকে শুধুই না দেখতে মেয়ে বিপজ্জনক রাস্তার মোড়েও নিজেকে সামলে রাখতে সচেষ্ট হয়না । প্রায় দু'মাস এভাবে কাটার পর যেদিন ওকে বললাম নিজের মনের কথাটা - ও যেন অবাক হলো (!) , রাগ হলো , ঘৃণা হলো ।ব্যাপারটা এরকম যেন আমি যা বললাম তা 100 টাকার ময়লা নোট নিয়ে স্বর্ণের নেকলেস কিনতে যাওয়া ।
আমি এতটা অপমাণিত কোন দিন হইনি ,হব বলে কল্পনাও করিনি । কিন্তু এদিন হঠাত্ এরকম হওয়ায় ,আমি মানসিক ভাবে অনেক সিক হয়ে পরি । অসংলগ্নের মত সব আচরণ আমার থেকে বের হতে থাকে । আর ঐ ঘটনার প্রায় ২মাস ধরে এরকম চলতে থাকে ।
ব্যাপারটা এরকম ,একবার ভাবি ও যেই হোক আমার সাথে এরকম করতে পারেনা ,এটা আমি কোন ভাবেই মেনে নিতে পারিনা । কিন্তু পরমুহুর্তেই অনুভব করি ওকে এখনো ভালবাসি । এই অসংলগ্ন অবস্থা আমার মধ্যে প্রায় দুই মাস ছিল ,ওকে প্রচন্ড ভালবাসছিলাম বলেই হয়ত । তারপর বন্ধুদের সহায়তায় আস্তে আস্তে নিজেকে ফিরে পাই এবং ওকে ভুলে যাই ।
তবে একটা প্রশ্ন এখনো মাথার মধ্যে ঘুরে ,ও সেদিন ঐরকম ব্যবহার করল কেন আমার সাথে ।উত্তর টা আজ পেলাম ।সকাল ভোরে ।
মনালিসার বাবার ফোনে ঘুম থেকে উঠলাম । আজ এত সকালে আংকেলের ফোন পেয়ে ইতঃস্তত হয়ে পরলাম ।
: আসসালামু আলাইকুম ।
: ওলাইকুম আসসালাম ,ভাল আছ বাবা ?
: হ্যাঁ আংকেল ,আপনি ?
: বাবা তোমাকে আমি খুব ভাল করে চিনি ,তুমি খুব ভাল ছেলে ।
: জ্বি আংকেল ,এজন্যই....
: না আসলে বাবা কালকে কলেজ শেষে মনালিসা বাসায় ফেরেনি !
: বলেন কি ? রিলেটিফস দের মাঝে খবর নিয়েছেন ?
: হ্যাঁ ,বাবা ।কোথাও নেই । তোমার বন্ধুদের মাঝে যদী একটু খবর নিতে ।
: আচ্ছা আংকেল আপনি টেনশন কইরেন না আমি দেখছি ।
এত সুন্দরভাবে বাবা বলে যে ডাকে তার মেয়ের তো একটু খবর নিতেই হয় ।সোর্স কাজে লাগালাম ।
জানতে পারলাম , জানতে পারলাম আমাদের দুই ইয়ার্স সিনিয়র ফরিদুল সাথে নিরুদ্দেশ ।এখনো একসাথেই আছে ,তবে এখনো বিয়ে হয়েছে কিনা খবর পাইনি । ওদের রিলেশনের দুই বছরের বর্ষপূর্তিতে ঔরা সেলিব্রেট করছে । আর আমার প্রশ্নের উত্তরটাও পেয়েগেলাম ।
এইরে আংকেল আবার ফোন করেছে ।
: আংকেল আমি খবর নিয়েছি । লিসা ভাল আছে ....................
গুরুজনদের এই কথাটি আমি খুবই শ্রদ্ধা ভরে অবিশ্বাস করতাম ,এই ৬ মাস আগেও ।
একটা অলিখিত সার্টিফিকেট আমার সেই দুরন্ত মনা বয়স থেকেই ছিল- ভদ্র ছেলে ! আমি নিজেকে তাই মনে করতাম ,আমি ভাবতাম চরিত্রের দিক থেকে আমি পরিশুদ্ধ ।কিন্তু গত ৬ টা মাসে যে অভিঞ্জতা অর্জন করলাম ,তাতে সহজ ভাষায় নিজেকে একটা খারাপ ছেলে হিসেবে মানতে আমারও কষ্ট হয় না ।
প্রথম ২ মাসেই নষ্ট হলাম ,প্রেমে পরলাম । যে ছেলেটা মেয়েদের দিকে তাকানোর আগে ৫ বার হিসেব করে নিত কোন সাইড ইফেক্ট হওয়া সম্ভাবনা আছে কিনা ।আজ সেই ছেলেটাই একটা মেয়েকে শুধুই না দেখতে মেয়ে বিপজ্জনক রাস্তার মোড়েও নিজেকে সামলে রাখতে সচেষ্ট হয়না । প্রায় দু'মাস এভাবে কাটার পর যেদিন ওকে বললাম নিজের মনের কথাটা - ও যেন অবাক হলো (!) , রাগ হলো , ঘৃণা হলো ।ব্যাপারটা এরকম যেন আমি যা বললাম তা 100 টাকার ময়লা নোট নিয়ে স্বর্ণের নেকলেস কিনতে যাওয়া ।
আমি এতটা অপমাণিত কোন দিন হইনি ,হব বলে কল্পনাও করিনি । কিন্তু এদিন হঠাত্ এরকম হওয়ায় ,আমি মানসিক ভাবে অনেক সিক হয়ে পরি । অসংলগ্নের মত সব আচরণ আমার থেকে বের হতে থাকে । আর ঐ ঘটনার প্রায় ২মাস ধরে এরকম চলতে থাকে ।
ব্যাপারটা এরকম ,একবার ভাবি ও যেই হোক আমার সাথে এরকম করতে পারেনা ,এটা আমি কোন ভাবেই মেনে নিতে পারিনা । কিন্তু পরমুহুর্তেই অনুভব করি ওকে এখনো ভালবাসি । এই অসংলগ্ন অবস্থা আমার মধ্যে প্রায় দুই মাস ছিল ,ওকে প্রচন্ড ভালবাসছিলাম বলেই হয়ত । তারপর বন্ধুদের সহায়তায় আস্তে আস্তে নিজেকে ফিরে পাই এবং ওকে ভুলে যাই ।
তবে একটা প্রশ্ন এখনো মাথার মধ্যে ঘুরে ,ও সেদিন ঐরকম ব্যবহার করল কেন আমার সাথে ।উত্তর টা আজ পেলাম ।সকাল ভোরে ।
মনালিসার বাবার ফোনে ঘুম থেকে উঠলাম । আজ এত সকালে আংকেলের ফোন পেয়ে ইতঃস্তত হয়ে পরলাম ।
: আসসালামু আলাইকুম ।
: ওলাইকুম আসসালাম ,ভাল আছ বাবা ?
: হ্যাঁ আংকেল ,আপনি ?
: বাবা তোমাকে আমি খুব ভাল করে চিনি ,তুমি খুব ভাল ছেলে ।
: জ্বি আংকেল ,এজন্যই....
: না আসলে বাবা কালকে কলেজ শেষে মনালিসা বাসায় ফেরেনি !
: বলেন কি ? রিলেটিফস দের মাঝে খবর নিয়েছেন ?
: হ্যাঁ ,বাবা ।কোথাও নেই । তোমার বন্ধুদের মাঝে যদী একটু খবর নিতে ।
: আচ্ছা আংকেল আপনি টেনশন কইরেন না আমি দেখছি ।
এত সুন্দরভাবে বাবা বলে যে ডাকে তার মেয়ের তো একটু খবর নিতেই হয় ।সোর্স কাজে লাগালাম ।
জানতে পারলাম , জানতে পারলাম আমাদের দুই ইয়ার্স সিনিয়র ফরিদুল সাথে নিরুদ্দেশ ।এখনো একসাথেই আছে ,তবে এখনো বিয়ে হয়েছে কিনা খবর পাইনি । ওদের রিলেশনের দুই বছরের বর্ষপূর্তিতে ঔরা সেলিব্রেট করছে । আর আমার প্রশ্নের উত্তরটাও পেয়েগেলাম ।
এইরে আংকেল আবার ফোন করেছে ।
: আংকেল আমি খবর নিয়েছি । লিসা ভাল আছে ....................
মন্তব্য যোগ করুন
এই লেখার উপর আপনার মন্তব্য জানাতে নিচের ফরমটি ব্যবহার করুন।
মন্তব্যসমূহ
-
হাসান কাবীর ১৯/১২/২০১৫ভালো লিখেছো।
-
সমরেশ সুবোধ পড়্যা ২৬/০৮/২০১৫সত্যিকারের ভদ্র ছেলে। গল্পটা আকৃষ্ট করে। উপস্থাপনা দারুন।
-
বিমূর্ত পথিক ২০/০৭/২০১৫সুন্দর কিছু একটা পড়লাম।
-
মোবারক হোসেন ০৬/০৭/২০১৫লিসা ভাল থাক আমরাও চাই। তেমনি লিসারও যদি যাদ
আমাদের মত সমাজ,সংসার এমনকি যাদের জন্য আজ লিসা তাদের কথা ভাবে তাহলে পরস্পরের হ্রদয় জয় করিয়া বিবাহ করিবার রীতিতে মতের যে একটা একটা
দ্বন্ধ আছে তা হয়তো বিলীন হবে।ধন্যবাদ ।লেখায নিয়মীত হওয়ার আহবান রইলো । -
ঐশিকা বসু ২৭/০৬/২০১৫ঠিক এই ধরনেরই একটা ঘটনা আমাদের এখানেও ঘটেছে। খুব ভাল লেখা।
-
সাইদুর রহমান ২৬/০৬/২০১৫খুব সুন্দর উপস্থাপনা।
-
অগ্নিপক্ষ ২২/০৬/২০১৫তাই বিয়ের পরে প্রেম ( স্বকীয়া ) করাটা সব দিক দিয়েই সেফ!
-
T s J ২২/০৬/২০১৫সুন্দর হয়েছে