Hate story 81 (১ম পর্ব)
Musical phone নম্বরের তালিকায় আমাদের এলাকার আওতাভুক্ত ছিল (আছে) ৬ টি গ্রামীণফোন নম্বর ।তার মধ্যে তোমাদের ৮১ নম্বরটাও আছে । এই সুবাদেই নম্বরটি পাওয়া !আমাকেই দেওয়া হয়েছিল নম্বরগুলি সম্পর্কে ডিটেইল তথ্য জমা দেওয়ার জন্য ।আইডেন্টিটি গোপন রেখে এসব পার্সোনাল কাজ করার একটা মজা আছে ,আবার একটু রিস্কিও আছে ।সেখানেই ফেঁসে গেলাম তোমার হাতে ! ...
বিনয় সারের বাসায় প্রথম যেদিন পড়তে গেলাম তার আগের ঘটনাই বলছি ।হ্যাঁ ,সেইদিন আমি এটা জানতাম যে ৮১ নম্বরের গ্রাহক "সাজাহান সরদারে পরে এবং সে সাইন্সের ছাত্রী" ।কিন্তু সেটা তুমি তখনও জানতাম না ।তবে প্রথম দিনই স্যার যখন তোমার আম্মুর নম্বরটা চাইল ,তোমার প্রতিউত্তরে আমি রিতিমত অবাক ঠিকই হয়েছিলাম ।কিন্তু তখনও তোমার নামটা জানি না ! বাসায় ফিরে Mrs. musician নামেই সেফ করলাম ।(প্রসঙ্গতঃ এর আগেও বেশ কয়েকটা ছদ্ম নামে তোমার আব্বু এবং আম্মু (,তুমিও থাকতে পার)র সাথে কথা বলেছি ।) সেদিন রাতে আবার ফোন করলাম ,এবার প্রফেশনাল নয় ব্যক্তিগত চাহিদায় ।তবে কোন কথা বলতে পারিনি ।সাইলেন্ড মুডে ছিলাম । তারও কয়েকদিন পর তোমার নাম জানতে পারলাম , Jamee ।ফ্রেন্ড লিস্টে এই নামেই সেভ করলাম ।তারপর ভালই যাচ্ছিল ।
কিন্তু ঐ ১১ তারিখে (হারিজ বলে এটা ওর লাকি সংখ্যা) একটা মেসেজ করলাম ফ্রেন্ড লিস্টের সবাইকে (Auto) ।সবাইকে একটা করে ফোনও দিলাম ।(প্রসঙ্গতাঃ এটা ছিল আমার ফাস্ট SMS এবং আমার ফাস্ট ইমারজেন্সি নম্বর দিয়ে তোমাকে SMS এন্ড PHONE ) । পরেরদিন কলেজে গেলাম ।এক একটা ক্লাস পিরিয়ডে তোমার নম্বর থেকে কমপক্ষে ১০ টা ফোন আসছিল ।বুঝলাম আংকেল খুব অলস সময় কাটাচ্ছেন তাই আমাকে নিয়ে একটু মজা করতে চাচ্ছেন । কিন্তু আমি বল্টু নই ,আমার এই একটা জিনিসই খুব বিরক্তিকর লাগে যখন আমাকে নিয়ে কেউ মজা করার চেষ্টা করে । তাই একটু চটেছিলাম ।যাইহোক , রাত্রে সরাসরি কথা বলবো বলে ফোন দিলাম ।তোমরা আমার পরিচয় যানতে চাচ্ছ ,অথচ তোমার কাছে পরিচয় দেওয়ার মত কোন সুপরিচয় তখনও আমার ছিল না ,ইভেন আমি সিওর ছিলাম আমার নামটাও তখন তোমার পরিচিত না । সো যেভাবেই হোক খারাপ রাত্রিটা কেটে গেল । সত্যি কথা বলতে ঐ রাত্রে শপথ করেছিলাম ,তোমার দিকে আর একপাও এগুবোনা এবং সেই ভাবেই চলতে ছিলাম ।এবং আরো একটা সত্য কথা ,তোমার প্রতি ইক্সট্রা ফোকাস তখনও আমার মাঝে তৈরী হয় নি ।এবং আমার চ্যাপ্টার থেকে তোমার নামটি সময়ের সাথে সমানুতিক হারে মুছে যাচ্ছিল ।কিন্তু বাধ সাধল তোমার তত্পরতা ।তুমি আমাকে খুজে বের করলে !
সেইদিন তোমার কাজিন এনামুল যখন মিট করল আমি একটা কথা তাকে বলেছিলাম ,"যে কালি রাবার দিয়ে মুছে ফেলা যায় তাকে মুছার জন্য পৃষ্ঠাটাই ছিড়ে ফেলতে হয় না ।কারণ তখন পৃষ্ঠার উপর কালি ঠিকই লেগে থাকে ।" সে হয়ত ব্যাপারটা কিছু বুঝেছিল ।
তবুও একটা প্রশ্নই সে করছিল ,আমি তোমার নম্বরটা কোথায় পেলাম ?
প্রশ্নটা শুনে আমার একটু অবাকই লাগছিল ।আজকের দিনে কারো নম্বর কি সিন্দুকে লুকানো থাকে নাকি (!) যে পাওয়া যাবে না ? তবুও ব্যাপারটা আমি সিরিয়াসলি নিয়েছিলাম ।উত্তরটা করতে আমাকে অনেক ভাবতে হয়েছে ।
আমার ভাবনার কারণঃ
আমি একজন স্টুডেন্ট ,এই পরিচয়টা সবাই জানে ।কিন্তু এর বাইরেও ভার্চুয়াল জগতে আমার আরেকটা পরিচয় আছে !আমি একজন ওয়েব ডেভলপার ।ওয়েব সাইড ডিজাইনে ডিজাইনারদের চাহিদা অনুসারে হেল্প করে থাকি ।কাজ টা অনেক মজার ,তবে চ্যালেন্জিংও ।নিজের একটা জায়গা তৈরী করতে অনেক কাঠ খড় পোহাতে হয় ।এখানে রিস্কিও আছে ।কিছু কাজ খুব গোপনে করতে হয় ।কারণ আমাদের মাঠ পর্যায়ের কাজগুলি ওয়েব পাবলিশের আগেই প্রকাশ হয়ে গেলে সব চেষ্টা জলে ডুবে মরে । কিছু কাজে বিপদও হতে পারে । কারণ অনেক সময় আমাদেরকে অন্যের পারসোনালিটির ভিতরে ঢুকতে হয় । আর সেই ধরণেরই একটা কাজ ছিল তোমাদের এইটা ।
আমি যদি এনামুলকে এই কথা বলি ,তাহলে প্রথমত সে বিশ্বাস করবে না ।দ্বিতীয়ত সে যদি এই ডেভলপের কাজ জেনে থাকে তো আমার ক্যারিয়ার শেষ ।তাই একটু খাটো লেন্থে ভাবলাম আর বললাম ঐদিন প্রাইবেটে স্যারের কাছে তুমি দিচ্ছিলে আর আমি টুকে নিলাম !! সত্যিই এক অর্থ এটাই সত্যি ।কারণ ওটা তোমার নম্বর হিসেবে আমি সেদিনই পেয়েছিলাম ।
(চলবে....)
বিনয় সারের বাসায় প্রথম যেদিন পড়তে গেলাম তার আগের ঘটনাই বলছি ।হ্যাঁ ,সেইদিন আমি এটা জানতাম যে ৮১ নম্বরের গ্রাহক "সাজাহান সরদারে পরে এবং সে সাইন্সের ছাত্রী" ।কিন্তু সেটা তুমি তখনও জানতাম না ।তবে প্রথম দিনই স্যার যখন তোমার আম্মুর নম্বরটা চাইল ,তোমার প্রতিউত্তরে আমি রিতিমত অবাক ঠিকই হয়েছিলাম ।কিন্তু তখনও তোমার নামটা জানি না ! বাসায় ফিরে Mrs. musician নামেই সেফ করলাম ।(প্রসঙ্গতঃ এর আগেও বেশ কয়েকটা ছদ্ম নামে তোমার আব্বু এবং আম্মু (,তুমিও থাকতে পার)র সাথে কথা বলেছি ।) সেদিন রাতে আবার ফোন করলাম ,এবার প্রফেশনাল নয় ব্যক্তিগত চাহিদায় ।তবে কোন কথা বলতে পারিনি ।সাইলেন্ড মুডে ছিলাম । তারও কয়েকদিন পর তোমার নাম জানতে পারলাম , Jamee ।ফ্রেন্ড লিস্টে এই নামেই সেভ করলাম ।তারপর ভালই যাচ্ছিল ।
কিন্তু ঐ ১১ তারিখে (হারিজ বলে এটা ওর লাকি সংখ্যা) একটা মেসেজ করলাম ফ্রেন্ড লিস্টের সবাইকে (Auto) ।সবাইকে একটা করে ফোনও দিলাম ।(প্রসঙ্গতাঃ এটা ছিল আমার ফাস্ট SMS এবং আমার ফাস্ট ইমারজেন্সি নম্বর দিয়ে তোমাকে SMS এন্ড PHONE ) । পরেরদিন কলেজে গেলাম ।এক একটা ক্লাস পিরিয়ডে তোমার নম্বর থেকে কমপক্ষে ১০ টা ফোন আসছিল ।বুঝলাম আংকেল খুব অলস সময় কাটাচ্ছেন তাই আমাকে নিয়ে একটু মজা করতে চাচ্ছেন । কিন্তু আমি বল্টু নই ,আমার এই একটা জিনিসই খুব বিরক্তিকর লাগে যখন আমাকে নিয়ে কেউ মজা করার চেষ্টা করে । তাই একটু চটেছিলাম ।যাইহোক , রাত্রে সরাসরি কথা বলবো বলে ফোন দিলাম ।তোমরা আমার পরিচয় যানতে চাচ্ছ ,অথচ তোমার কাছে পরিচয় দেওয়ার মত কোন সুপরিচয় তখনও আমার ছিল না ,ইভেন আমি সিওর ছিলাম আমার নামটাও তখন তোমার পরিচিত না । সো যেভাবেই হোক খারাপ রাত্রিটা কেটে গেল । সত্যি কথা বলতে ঐ রাত্রে শপথ করেছিলাম ,তোমার দিকে আর একপাও এগুবোনা এবং সেই ভাবেই চলতে ছিলাম ।এবং আরো একটা সত্য কথা ,তোমার প্রতি ইক্সট্রা ফোকাস তখনও আমার মাঝে তৈরী হয় নি ।এবং আমার চ্যাপ্টার থেকে তোমার নামটি সময়ের সাথে সমানুতিক হারে মুছে যাচ্ছিল ।কিন্তু বাধ সাধল তোমার তত্পরতা ।তুমি আমাকে খুজে বের করলে !
সেইদিন তোমার কাজিন এনামুল যখন মিট করল আমি একটা কথা তাকে বলেছিলাম ,"যে কালি রাবার দিয়ে মুছে ফেলা যায় তাকে মুছার জন্য পৃষ্ঠাটাই ছিড়ে ফেলতে হয় না ।কারণ তখন পৃষ্ঠার উপর কালি ঠিকই লেগে থাকে ।" সে হয়ত ব্যাপারটা কিছু বুঝেছিল ।
তবুও একটা প্রশ্নই সে করছিল ,আমি তোমার নম্বরটা কোথায় পেলাম ?
প্রশ্নটা শুনে আমার একটু অবাকই লাগছিল ।আজকের দিনে কারো নম্বর কি সিন্দুকে লুকানো থাকে নাকি (!) যে পাওয়া যাবে না ? তবুও ব্যাপারটা আমি সিরিয়াসলি নিয়েছিলাম ।উত্তরটা করতে আমাকে অনেক ভাবতে হয়েছে ।
আমার ভাবনার কারণঃ
আমি একজন স্টুডেন্ট ,এই পরিচয়টা সবাই জানে ।কিন্তু এর বাইরেও ভার্চুয়াল জগতে আমার আরেকটা পরিচয় আছে !আমি একজন ওয়েব ডেভলপার ।ওয়েব সাইড ডিজাইনে ডিজাইনারদের চাহিদা অনুসারে হেল্প করে থাকি ।কাজ টা অনেক মজার ,তবে চ্যালেন্জিংও ।নিজের একটা জায়গা তৈরী করতে অনেক কাঠ খড় পোহাতে হয় ।এখানে রিস্কিও আছে ।কিছু কাজ খুব গোপনে করতে হয় ।কারণ আমাদের মাঠ পর্যায়ের কাজগুলি ওয়েব পাবলিশের আগেই প্রকাশ হয়ে গেলে সব চেষ্টা জলে ডুবে মরে । কিছু কাজে বিপদও হতে পারে । কারণ অনেক সময় আমাদেরকে অন্যের পারসোনালিটির ভিতরে ঢুকতে হয় । আর সেই ধরণেরই একটা কাজ ছিল তোমাদের এইটা ।
আমি যদি এনামুলকে এই কথা বলি ,তাহলে প্রথমত সে বিশ্বাস করবে না ।দ্বিতীয়ত সে যদি এই ডেভলপের কাজ জেনে থাকে তো আমার ক্যারিয়ার শেষ ।তাই একটু খাটো লেন্থে ভাবলাম আর বললাম ঐদিন প্রাইবেটে স্যারের কাছে তুমি দিচ্ছিলে আর আমি টুকে নিলাম !! সত্যিই এক অর্থ এটাই সত্যি ।কারণ ওটা তোমার নম্বর হিসেবে আমি সেদিনই পেয়েছিলাম ।
(চলবে....)
মন্তব্য যোগ করুন
এই লেখার উপর আপনার মন্তব্য জানাতে নিচের ফরমটি ব্যবহার করুন।
মন্তব্যসমূহ
-
T s J ১৬/০৬/২০১৫Lovely