www.tarunyo.com

সাম্প্রতিক মন্তব্যসমূহ

হরিমন বিবি ও চার দিনের থিওরি

উনার নাম দেখে আপনারা ভাবছেন উনার বয়স মনে হয় বেশি, কিন্তু না, উনি ২৮ বছর বয়সী একজন অভিজ্ঞতা সম্পূর্ণ গৃহিণী। অভিজ্ঞ বললাম এজন্য যে, উনি একা ১২ জন পরিবারের সদস্যদের খুবই দক্ষতার সাথে সব খাবার ও অন্যান্য ফরমায়েশ পূরণ করেন নিমিষেই। এ যেমন রোজ সকালে স্বামীর সাথে ৫ কিলোমিটার হাঁটতে যাওয়া, বাসায় এসে সকলের নাস্তা তৈরী করা, খাবার হয়ে গেলে বাজারে যাওয়া, এসে শাশুড়ির জন্য গরম পানি করে দেওয়া, তারপর দুপুরের রান্না করা, স্বামী ও দেবরদের টিফিন রেডি করে অফিসে পাঠানো খাবার ডেলিভারি বয়ের মাধ্যমে, তারপর ২ বাচ্চা ও পরিবারের সবাইকে দুপুরের খাবার দিয়ে ও নিজে খাওয়ার পর ৩ ঘন্টা ঘুমাতে যাওয়া। তারপর শাশুড়ী ও বাচ্চাদের নিয়ে আবার সামনের বাগানে ১ ঘন্টা ঘুরতে যাওয়া। তারপর এসে সকলের জন্য নাস্তা তৈরী করা ও খাওয়ানো। তারপর রাতের খাবার রেডি করা। অবশেষে শ্বশুর, শাশুড়ি ও স্বামীকে ওষুধ খাওয়ানো। এটা হলো উনার প্রতি দিনের আবশ্যিক রুটিন।


একদিন ভাবলেন, সপ্তাহের সাত দিন কাজ করেন, তাহলে আমি তো কোনো অবকাশ পায় না। তাই তিনি ভাবলেন, কিছু করা যায় কিনা, যাতে করে তিনি অবকাশে যেতে পারবেন, আবার সকলের চাহিদাও মেটাতে পারেন। তাই তিনি ভাবলেন চার দিনের কাজ যদি একদিনে করা যায় তাহলে তিনি চার দিনের জন্য বাপের বাড়ি যেতে পারবেন। তাই তিনি সকল কিছু চার দিনের জন্য করবেন সিদ্ধান্ত নিয়েছেন এবং সকলকে উনার ধারণার কথা জানিয়েছেন। সবাই হরিমন বিবির পরিবারের প্রতি এতটা একনিষ্ঠ তৎপরায়ণতা কথা চিন্তা করে রাজিও হয়ে গেলেন।


পরের দিন রীতিমত, স্বামীর সাথে ২০ কিলোমিটার হাঁটলেন, তারপর বাসায় এসে সকলের জন্য ৪ দিনের রান্না করলেন। এভাবে করে সকল কাজ ৪ দিনের জন্য করলেন এবং রাতের বেলা ঔষধ ও ৪ দিনের একসাথে খাওয়ালেন।


এরপর কি হতে পারে পরের দিন গুলোতে তা আপনারা অনুমান করতে পারেন নিজেদের অবস্থানে থেকে।
বিষয়শ্রেণী: গল্প
ব্লগটি ৫০০ বার পঠিত হয়েছে।
প্রকাশের তারিখ: ১০/০৫/২০২০

মন্তব্য যোগ করুন

এই লেখার উপর আপনার মন্তব্য জানাতে নিচের ফরমটি ব্যবহার করুন।

Use the following form to leave your comment on this post.

মন্তব্যসমূহ

  • রবিউল আলম ১২/০৫/২০২০
    Mon chuye jaoar moto
  • ফয়জুল মহী ১০/০৫/২০২০
    Osadon
 
Quantcast