প্রথম ভালবাসা
শ্রাবণের ধারায় স্নাত গাছপালাগুলো যেন নতুন রূপ ধরেছে । সুছন্দা তার ঘরের খোলা জানালার ধারে বসে একদৃষ্টে বৃষ্টির রূপ উপভোগ করে চলেছে । আজ তার স্কুল ছুটি । ক্লাসের মেয়েদের পরীক্ষার খাতা দেখা এখনও অনেক বাকি । কিন্তু সকাল থেকেই আজ আর তার কিছুই ভালো লাগছে না । বৃষ্টির দিনে খোলা জানালার ওপারের দৃশ্য তার ভীষণ ভালো লাগছে । হঠাৎই তার বুকের মধ্যে অব্যক্ত একটা ব্যথা সে অনুভব করল । হৃদয় বেদনা-বিদ্ধ হয়ে পড়ল । সুছন্দা ফিরে যায় বেশ কয়েক বছর আগের এক বর্ষণ মুখর দিনে । সেদিনের কথা ভাবতেই তার দু'চোখের কোণ দুটো চিকচিক করে উঠল । চোখ থেকে গড়িয়ে পড়ল কয়েক ফোঁটা জল ।
সুছন্দা তখন দশম শ্রেণীর ছাত্রী । সরস্বতী পুজোর আগে তার মাসি তাদের বাড়িতে বেড়াতে এসেছিল । সে-সময় সে সুছন্দাকে একটা সুন্দর শাড়ি উপহার দিয়েছিল । জড়ির কাজ করা মেরুন রঙের শাড়িটা পেয়ে সুছন্দা খুব খুশি । সরস্বতী পুজো উপলক্ষে শাড়িটা পড়ে বান্ধবীদের সঙ্গে সে বেরোবে ভাবতেই তার মন আনন্দে ভরে উঠল । এর আগে দু-এক বার শখ করে সে মায়ের শাড়ি পড়েছে । কিন্তু এই শাড়ির ব্যপারটাই সম্পূর্ণ আলাদা । এই শাড়িটা তার একান্তই নিজের ।
বঙ্গোপসাগর উপকূলে হঠাৎ নিম্নচাপ ঘনীভূত হওয়ায় পুজোর আগের দিন থেকেই মাঝে মাঝে ভারী বৃষ্টি হচ্ছিল । পুজোর দিন সকালেও তার রেশ চলতে থাকল । সুছন্দারা পাঁচ বান্ধবী মিলে ঠিক করল যত বৃষ্টিই হোক না কেন সকালে তারা বেরোবেই । বছরে এই একটা দিনই তো তারা নিজেদের মত করে পায় । কিছুতেই তারা সেটা ভেস্তে দিতে চায় না । তারপর স্কুলে তাদের এই বছরই শেষ বছর । এরপর এ-রকম সুযোগ আর কোন দিনই তারা পাবে না । বৃষ্টি সামান্য কমলে মাসির দেওয়া সেই সুন্দর শাড়িটা পড়ল সুছন্দা । সাথে ম্যাচিং ইমিটেশন গহনা । ইতিমধ্যে তার চার বান্ধবী অরুণা, শিল্পি, চায়না, অহনা তাদের বাড়িতে এসে হাজির । সুছন্দাকে দেখে বান্ধবীরা নিজেদের মধ্যে মুখ চাওয়া-চাওই করতে লাগল । তারপর মুখ টিপে হাসতে লাগল । সুছন্দা বুঝে উঠতে পারছিল না তার বান্ধবীদের । তার বান্ধবীরা কি বলতে চায় ? এবার অরুণাই মুখ খুলল - ' সুছন্দা এই শাড়িটায় তোকে খুব মানিয়েছে । ভীষণ সুন্দর লাগছে তোকে ।' সুছন্দা আর কি বলবে ? লাজুক মুখে সে শুধু বলল - ' ধ্যাত ।'
সুছন্দারা পাঁচ বান্ধবী মিলে বেরিয়ে পড়ল । বেশ কিছুটা যাবার পর টিপটিপ করে বৃষ্টি পড়তে শুরু করল । কিছুক্ষন পরেই টিপটিপ বৃষ্টি ঝমাঝম ঝম রূপ ধারন করল । বৃষ্টি মাথায় নিয়ে আর এগোনো সম্ভব নয় দেখে একটা দোকানের শেডের নিচে তাদের ঠাসাঠাসি করে দাঁড়িয়ে আশ্রয় নিতে হল । সুছন্দার পাশে দাঁড়িয়ে ছিল শিল্পী । হঠাৎই সে আস্তে করে তাকে ধাক্কা মারল । শিল্পীর দিকে তাকাতেই সে ইশারায় তার অপর পাশে দাঁড়িয়ে থাকা একটি ছেলেকে দেখিয়ে তার কানে কানে বলল - ' দ্যাখ তোকে তারিয়ে তারিয়ে কেমন করে দেখছে ! ' ছেলেটির দিকে চোখ পড়তেই সে একটু মুচকি হেসে চোখ ফিরিয়ে নিল । তারপর মান্না দে'র সেই বিখ্যাত গান - 'রিমঝিম ঝিম বৃষ্টি ' গুণগুণ করে সে গাইতে লাগল । অদ্ভুত একটা ভালো লাগার শিহরণ সারা শরীরে খেলে গেল সুছন্দার । ভাল করে এবার সে ছেলেটির দিকে তাকালো । একহারা লম্বা ফর্সা চেহারা । চেহারার মধ্যে একটা আকর্ষণ আছে । সুছন্দার ইচ্ছা করছিল ছেলেটির সঙ্গে কথা বলতে । কিন্তু কিভাবে সে শুরু করবে ভেবে পাচ্ছিল না । এদিকে বৃষ্টিও কমতে শুরু করেছে । বৃষ্টি কমতেই সুছন্দারা বেরিয়ে পড়তে যাবে ঠিক সেই মুহূর্তে একটা কাণ্ড ঘটে গেল । পাশে দাঁড়ানো ছেলেটির হাত-ঘড়ির চেনে লেগে সুছন্দার নতুন শাড়ির আঁচল বেশ কিছুটা ছিড়ে গেল । নতুন শাড়ি ছেড়ার দুঃখে সুছন্দার কিশোরী মনের আবেগ তখন ঢাকা পড়ে গেল । সুছন্দা বেশ রেগেই ছেলেটিকে বলল - ' কি ভাবে দাঁড়ান ? ছিঁড়লেন তো আমার নতুন শাড়িটা ! ' সুছন্দার কথায় ছেলেটি একটু ভয়ই পেয়ে গেল । শুধু কাঁপা কাঁপা গলায় বলল - ' স্যরি ।' ছেলেটির সংক্ষিপ্ত উত্তরে সুছন্দা আরও রেগে গিয়ে উচ্চস্বরে বলল - ' স্যরি বললেই সব মিটে গেল তাই না ? '
অঞ্জলি দিয়ে প্রসাদ খেয়ে বাড়ি ফিরতে ফিরতে দুপুর হয়ে গেল । শাড়ি ছেঁড়ার জন্য সুছন্দার মনটা এমনিতেই খারাপ লাগছিল । তারপর আবার মায়ের কাছে বকুনিও খেতে হল । কি আর করা যাবে ? পরিস্থিতিকে মানিয়ে নিতে হবে । বিকালের পর থেকে বৃষ্টির জোর এত বেড়ে গেল যে তারা আর বেরোতেই পারল না । শাড়ি ছেঁড়ার জন্য মন খারাপ ছিল ঠিকই কিন্তু সুছন্দার মনের দরজায় আজ কে যেন নাড়া দিচ্ছে । প্রথম অনুরাগের ছোঁয়ায় সে আপ্লুত হয়ে পড়ল । সন্ধ্যার পর দোতলার ঘরের জানালার পাশে দাঁড়িয়ে বৃষ্টির রূপ দেখতে দেখতে তার কানে ভেসে এল - ' কি ভাবে এ বাতাস এখুনি বয়ে যায় । '
কিছুদিন পর এক বান্ধবীর মাধ্যমে সেই ছেলেটির সাথে যোগাযোগ হয় সুছন্দার । অর্ণব, খুব মেধাবি ছেলে । ফিজিক্সে এম,এস,সি, পড়ছিল । সুছন্দা তখন একাদশ শ্রেণীতে । ধীরে ধীরে ভালোলাগা পরিণত হল ভালোবাসায় । মেলবন্ধন ছিল সেই শাড়ি । অর্ণবের সাথে গল্প করার ফাঁকে মাঝে মাঝে শাড়ি ছেঁড়ার ঘটনার কথা উঠলেই অর্ণব সেটা নিয়ে হাসি ঠাট্টাও করত । হঠাৎই সুছন্দার জীবনের প্রথম ভালোবাসা আকস্মিক হারিয়ে গেল নিয়তির বেড়াজালে । এক মর্মান্তিক পথ দুর্ঘটনা অর্ণবের জীবন রেখায় ইতি টেনে দিল ।
কালের অমোঘ নিয়মে দিনগুলো তরতর করে এগিয়ে চলেছে । সুছন্দা কলেজ বিশ্ববিদ্যালয়ের গণ্ডি পেরিয়ে এখন এক নামী স্কুলের শিক্ষিকা । এত দিন পরেও সে ভুলতে পারেনি অর্ণবকে । সে যে তার প্রথম অনুরাগের প্রথম ভালবাসা । সামনে এখনও ভাসছে তার শান্ত চোখ দুটো । জীবনের প্রথম ভালবাসা কুঁড়ি হয়ে ফুটতে না ফুটতেই ঝরে গেল । তার প্রথম ভালবাসার স্বপ্ন স্বপ্নেই থেকে গেল ।
সুছন্দা তাড়াতাড়ি উঠে গিয়ে আলমারিটা খুলে সযত্নে রাখা মেরুন রঙের সেই শাড়িটা বের করে নিয়ে এসে ঘরের সোফায় বসল । শাড়িটায় হাত বোলাতে বোলাতে আবার স্মৃতি-মেদুর হয়ে পড়ল । কানে ভেসে এলো - ' রিমঝিম ঝিম বৃষ্টি ... । ' কতক্ষন যে সে কোলে শাড়িটা নিয়ে বসে আছে তা তার খেয়ালই নেই । হঠাৎ মায়ের ডাকে চমক ভাঙল । কোলে রাখা শাড়িটার দিকে তাকাতেই সে দেখল শাড়িটা তার চোখের জলে ভিজে গেছে ।
_____________________
সুছন্দা তখন দশম শ্রেণীর ছাত্রী । সরস্বতী পুজোর আগে তার মাসি তাদের বাড়িতে বেড়াতে এসেছিল । সে-সময় সে সুছন্দাকে একটা সুন্দর শাড়ি উপহার দিয়েছিল । জড়ির কাজ করা মেরুন রঙের শাড়িটা পেয়ে সুছন্দা খুব খুশি । সরস্বতী পুজো উপলক্ষে শাড়িটা পড়ে বান্ধবীদের সঙ্গে সে বেরোবে ভাবতেই তার মন আনন্দে ভরে উঠল । এর আগে দু-এক বার শখ করে সে মায়ের শাড়ি পড়েছে । কিন্তু এই শাড়ির ব্যপারটাই সম্পূর্ণ আলাদা । এই শাড়িটা তার একান্তই নিজের ।
বঙ্গোপসাগর উপকূলে হঠাৎ নিম্নচাপ ঘনীভূত হওয়ায় পুজোর আগের দিন থেকেই মাঝে মাঝে ভারী বৃষ্টি হচ্ছিল । পুজোর দিন সকালেও তার রেশ চলতে থাকল । সুছন্দারা পাঁচ বান্ধবী মিলে ঠিক করল যত বৃষ্টিই হোক না কেন সকালে তারা বেরোবেই । বছরে এই একটা দিনই তো তারা নিজেদের মত করে পায় । কিছুতেই তারা সেটা ভেস্তে দিতে চায় না । তারপর স্কুলে তাদের এই বছরই শেষ বছর । এরপর এ-রকম সুযোগ আর কোন দিনই তারা পাবে না । বৃষ্টি সামান্য কমলে মাসির দেওয়া সেই সুন্দর শাড়িটা পড়ল সুছন্দা । সাথে ম্যাচিং ইমিটেশন গহনা । ইতিমধ্যে তার চার বান্ধবী অরুণা, শিল্পি, চায়না, অহনা তাদের বাড়িতে এসে হাজির । সুছন্দাকে দেখে বান্ধবীরা নিজেদের মধ্যে মুখ চাওয়া-চাওই করতে লাগল । তারপর মুখ টিপে হাসতে লাগল । সুছন্দা বুঝে উঠতে পারছিল না তার বান্ধবীদের । তার বান্ধবীরা কি বলতে চায় ? এবার অরুণাই মুখ খুলল - ' সুছন্দা এই শাড়িটায় তোকে খুব মানিয়েছে । ভীষণ সুন্দর লাগছে তোকে ।' সুছন্দা আর কি বলবে ? লাজুক মুখে সে শুধু বলল - ' ধ্যাত ।'
সুছন্দারা পাঁচ বান্ধবী মিলে বেরিয়ে পড়ল । বেশ কিছুটা যাবার পর টিপটিপ করে বৃষ্টি পড়তে শুরু করল । কিছুক্ষন পরেই টিপটিপ বৃষ্টি ঝমাঝম ঝম রূপ ধারন করল । বৃষ্টি মাথায় নিয়ে আর এগোনো সম্ভব নয় দেখে একটা দোকানের শেডের নিচে তাদের ঠাসাঠাসি করে দাঁড়িয়ে আশ্রয় নিতে হল । সুছন্দার পাশে দাঁড়িয়ে ছিল শিল্পী । হঠাৎই সে আস্তে করে তাকে ধাক্কা মারল । শিল্পীর দিকে তাকাতেই সে ইশারায় তার অপর পাশে দাঁড়িয়ে থাকা একটি ছেলেকে দেখিয়ে তার কানে কানে বলল - ' দ্যাখ তোকে তারিয়ে তারিয়ে কেমন করে দেখছে ! ' ছেলেটির দিকে চোখ পড়তেই সে একটু মুচকি হেসে চোখ ফিরিয়ে নিল । তারপর মান্না দে'র সেই বিখ্যাত গান - 'রিমঝিম ঝিম বৃষ্টি ' গুণগুণ করে সে গাইতে লাগল । অদ্ভুত একটা ভালো লাগার শিহরণ সারা শরীরে খেলে গেল সুছন্দার । ভাল করে এবার সে ছেলেটির দিকে তাকালো । একহারা লম্বা ফর্সা চেহারা । চেহারার মধ্যে একটা আকর্ষণ আছে । সুছন্দার ইচ্ছা করছিল ছেলেটির সঙ্গে কথা বলতে । কিন্তু কিভাবে সে শুরু করবে ভেবে পাচ্ছিল না । এদিকে বৃষ্টিও কমতে শুরু করেছে । বৃষ্টি কমতেই সুছন্দারা বেরিয়ে পড়তে যাবে ঠিক সেই মুহূর্তে একটা কাণ্ড ঘটে গেল । পাশে দাঁড়ানো ছেলেটির হাত-ঘড়ির চেনে লেগে সুছন্দার নতুন শাড়ির আঁচল বেশ কিছুটা ছিড়ে গেল । নতুন শাড়ি ছেড়ার দুঃখে সুছন্দার কিশোরী মনের আবেগ তখন ঢাকা পড়ে গেল । সুছন্দা বেশ রেগেই ছেলেটিকে বলল - ' কি ভাবে দাঁড়ান ? ছিঁড়লেন তো আমার নতুন শাড়িটা ! ' সুছন্দার কথায় ছেলেটি একটু ভয়ই পেয়ে গেল । শুধু কাঁপা কাঁপা গলায় বলল - ' স্যরি ।' ছেলেটির সংক্ষিপ্ত উত্তরে সুছন্দা আরও রেগে গিয়ে উচ্চস্বরে বলল - ' স্যরি বললেই সব মিটে গেল তাই না ? '
অঞ্জলি দিয়ে প্রসাদ খেয়ে বাড়ি ফিরতে ফিরতে দুপুর হয়ে গেল । শাড়ি ছেঁড়ার জন্য সুছন্দার মনটা এমনিতেই খারাপ লাগছিল । তারপর আবার মায়ের কাছে বকুনিও খেতে হল । কি আর করা যাবে ? পরিস্থিতিকে মানিয়ে নিতে হবে । বিকালের পর থেকে বৃষ্টির জোর এত বেড়ে গেল যে তারা আর বেরোতেই পারল না । শাড়ি ছেঁড়ার জন্য মন খারাপ ছিল ঠিকই কিন্তু সুছন্দার মনের দরজায় আজ কে যেন নাড়া দিচ্ছে । প্রথম অনুরাগের ছোঁয়ায় সে আপ্লুত হয়ে পড়ল । সন্ধ্যার পর দোতলার ঘরের জানালার পাশে দাঁড়িয়ে বৃষ্টির রূপ দেখতে দেখতে তার কানে ভেসে এল - ' কি ভাবে এ বাতাস এখুনি বয়ে যায় । '
কিছুদিন পর এক বান্ধবীর মাধ্যমে সেই ছেলেটির সাথে যোগাযোগ হয় সুছন্দার । অর্ণব, খুব মেধাবি ছেলে । ফিজিক্সে এম,এস,সি, পড়ছিল । সুছন্দা তখন একাদশ শ্রেণীতে । ধীরে ধীরে ভালোলাগা পরিণত হল ভালোবাসায় । মেলবন্ধন ছিল সেই শাড়ি । অর্ণবের সাথে গল্প করার ফাঁকে মাঝে মাঝে শাড়ি ছেঁড়ার ঘটনার কথা উঠলেই অর্ণব সেটা নিয়ে হাসি ঠাট্টাও করত । হঠাৎই সুছন্দার জীবনের প্রথম ভালোবাসা আকস্মিক হারিয়ে গেল নিয়তির বেড়াজালে । এক মর্মান্তিক পথ দুর্ঘটনা অর্ণবের জীবন রেখায় ইতি টেনে দিল ।
কালের অমোঘ নিয়মে দিনগুলো তরতর করে এগিয়ে চলেছে । সুছন্দা কলেজ বিশ্ববিদ্যালয়ের গণ্ডি পেরিয়ে এখন এক নামী স্কুলের শিক্ষিকা । এত দিন পরেও সে ভুলতে পারেনি অর্ণবকে । সে যে তার প্রথম অনুরাগের প্রথম ভালবাসা । সামনে এখনও ভাসছে তার শান্ত চোখ দুটো । জীবনের প্রথম ভালবাসা কুঁড়ি হয়ে ফুটতে না ফুটতেই ঝরে গেল । তার প্রথম ভালবাসার স্বপ্ন স্বপ্নেই থেকে গেল ।
সুছন্দা তাড়াতাড়ি উঠে গিয়ে আলমারিটা খুলে সযত্নে রাখা মেরুন রঙের সেই শাড়িটা বের করে নিয়ে এসে ঘরের সোফায় বসল । শাড়িটায় হাত বোলাতে বোলাতে আবার স্মৃতি-মেদুর হয়ে পড়ল । কানে ভেসে এলো - ' রিমঝিম ঝিম বৃষ্টি ... । ' কতক্ষন যে সে কোলে শাড়িটা নিয়ে বসে আছে তা তার খেয়ালই নেই । হঠাৎ মায়ের ডাকে চমক ভাঙল । কোলে রাখা শাড়িটার দিকে তাকাতেই সে দেখল শাড়িটা তার চোখের জলে ভিজে গেছে ।
_____________________
মন্তব্য যোগ করুন
এই লেখার উপর আপনার মন্তব্য জানাতে নিচের ফরমটি ব্যবহার করুন।
মন্তব্যসমূহ
-
শূন্য ০৭/০৬/২০১৪
-
টি আই রাজন ০৩/০৬/২০১৪ভাল লাগল।
অনেক ভালো লিখেছেন।