দীপাবলির আলোয়
দীপাবলির রাত । সারা দার্জিলিং পাহাড় আলোয় ঝলমল করছে । তার সাথে পাল্লা দিয়ে তাল দিচ্ছে আতসবাজি । লাল, নীল, সবুজ, হলুদ, বেগুনীর রঙিন মেলায় আকাশ বর্ণাঢ্য হয়ে উঠেছে । সেন্ট-পিটারস স্কুলের অফিস কর্মী সুমিতা ঘরে আজ একা । ওর তিন রুমমেট রীতা, রোজি, জেসমিন তাদের বাড়ি গিয়েছে ছুটি কাটাতে । ওদের সকলেরই বাড়ি জলপাইগুড়ি । সুমিতা ঘরের বারান্দায় এসে দাঁড়ালো । বারান্দার জানালার কাঁচটা সরিয়ে আলোকমালার অপরূপ দৃশ্য দেখতে দেখতে স্মৃতি-মেদুর হয়ে পড়ল সে ।
গতবছর দীপাবলির রাতে সে আর নির্ঝর তাদের জলপাইগুড়ির বাড়ির ছাদে কত আতসবাজি জ্বালিয়েছিল । শব্দ-বাজি একেবারেই সহ্য করতে পারেনা সুমিতা । তাই তুবড়ি, চরকি, রঙ-মশালের সমারোহই ছিল বেশী । সারা ছাদ রঙ-বেরঙের ইলেকট্রিক টুনি বাল্বের সাথে মোমের তৈরি সুন্দর সুন্দর বাতি দিয়েও সাজিয়েছিল তারা দু'জনে । মোমবাতির বিচ্ছুরিত আলোয় সেদিন নির্ঝরকে আরও নতুন করে দেখেছিল সুমিতা । নির্ঝরের হাতে হাত রেখে সুমিতা গেয়ে উঠেছিল - ' আলোকের এই ঝর্না-ধারায় ধুইয়ে দাও ... ।' তার সাথে নির্ঝরও গলা মিলিয়েছিল । এক নামী কোম্পানির ইলেক্ট্রিক্যাল ইঞ্জিনিয়ার নির্ঝর । পরের মাসে আমেরিকায় যাবে ট্রেনিং-এ । সেদিন সুমিতার হাতদুটো ধরে নির্ঝর বলেছিল সামনের বছর ট্রেনিং শেষ করে দেশে ফিরে এসেই তারা দু'জনে নতুন জীবন শুরু করবে । লজ্জাবনত মুখে সুমিতা বলেছিল - ' আমি কিন্তু তোমার প্রতীক্ষায় থাকবো নির্ঝর ।' পরের মাসে নির্দিষ্ট দিনে নির্ঝর কোলকাতা হয়ে নিউইয়র্ক পাড়ি দিল ।
মানুষ ভাবে এক, হয়ে যায় আর এক । নিজের অজান্তেই একটা দীর্ঘশ্বাস বেরিয়ে এল সুমিতার । আলোর রোশনাই ছেড়ে বারান্দার জানালাগুলো বন্ধ করে নিজের ঘরে এসে বসল সে । সারা ঘর অন্ধকার করে বড় সাইজের একটা লাল-রঙের মোমবাতি ধরিয়ে সেন্টার টেবিলে রাখল । তারপর সোফায় বসে সে এক দৃষ্টিতে ঐ মোমবাতিটার দিকে তাকিয়ে রইল । সারা ঘরে তখন শুধু মোমবাতিটাই দৃশ্যমান । তার মনের আকাশে এক নতুন অনুভুতির স্পর্শ পেল । লাল মোমবাতির আলোয় নিঃস্তব্ধ অন্ধকার ঘরটা যেন রোমান্টিক হয়ে উঠেছে । সোফায় গা এলিয়ে দিয়ে সুমিতা চোখদুটো বন্ধ করল । অন্তরের চোখ দিয়ে সে দেখতে পেল নির্ঝরকে । নির্ঝরকে নিয়ে এর আগেও সে অনেকবার ভেবেছে, কিন্তু আজকের মত তাকে কোনদিন ভাবায়নি । গত ছ'মাস নির্ঝরের কোন সংবাদ সে জানেনা । কোন ফোনও সে করেনি । আমেরিকায় গিয়ে মাত্র দু'বার ফোনে কথা বলেছিল । বেশ কয়েকদিন চেষ্টা করেও সুমিতা তাকে ফোনে ধরতে পারেনি ।
রোমান্টিক আবেশে সুমিতা তখন মগ্ন । মনে পড়ে গেল তার জন্মদিনের কথা । গত জানুয়ারি মাসে তার জন্মদিনে সুন্দর একটা কার্ড পাঠিয়েছিল নির্ঝর । সেটা সুমিতা সযত্নে তুলে রেখেছে । সুমিতা রবীন্দ্র-সঙ্গীত গাইতে ভালবাসে বলে গত বছরের জন্মদিনে "গীত-বিতান" উপহার দিয়েছিল নির্ঝর । চোখদুটো খুলে সুমিতা সোফা থেকে উঠে দাঁড়ালো । ধীরে ধীরে বইয়ের তাকের কাছে গিয়ে বইয়ের ভিড়ের মধ্যে থেকে 'গীত-বিতান' খুঁজে বের করে আবার সোফায় এসে বসল । বইয়ের মলাট ওলটাতেই প্রথম পাতায় সুন্দর হস্তাক্ষরে লেখা - " এমন দিন ফিরে আসুক বার বার, কথামালা-গানের ডালি সাজিয়ে তোল তুমি মন-প্রাণ - নির্ঝর ।" কয়েকটা পাতা ওলটাতেই পৃষ্ঠার ভাঁজ থেকে বেরিয়ে এল তার জন্মদিনে নির্ঝরের পাঠানো সেই সুন্দর কার্ডটা । সুমিতা আলতো করে কার্ডটায় হাত বোলাতে লাগল । লাল মোমবাতির লাল আলোয় কার্ডটা যেন জীবন্ত-সুন্দর দেখাচ্ছে, তার হাতে অপরূপ শোভা পাচ্ছে । রোমান্টিক আবেগে কখন যে তার চোখদুটো ভিজে গেছে সে টেরও পায়নি । 'গীত-বিতান'-এর পৃষ্ঠায় জলের ফোঁটা পড়তেই সুমিতা আর নিজেকে ধরে রাখতে পারল না । 'গীত-বিতান'-এ মুখ ঢেকে ডুকরে কেঁদে উঠল - ' এ তুমি কি করলে নির্ঝুর ? তুমি ছাড়া আমি অসম্পূর্ণ । আমার সারা পৃথিবী অন্ধকার ।'
হঠাৎ ঘরের কোণের টেবিলে রাখা টেলিফোনটা বেজে উঠল । সুমিতার ইচ্ছে করল না টেলিফোনটা ধরতে । নিশ্চয়ই জলপাইগুড়ি থেকে রুমমেটদের মধ্যে কেউ ফোন করেছে । আজ এ-সময়ে তার কিচ্ছু ভাল লাগছে না । এ-মুহূর্তে নির্ঝর ছাড়া তার হৃদয়ে কেউ নেই । দু-দুবার টেলিফোনটা ক্রমাগত বেজে বেজে থেমে গেল । অল্প কিছুক্ষন পরেই টেলিফোনটা আবার বেজে উঠল । সুমিতা এবার বেশ বিরক্তির সাথেই রিসিভারটা ওঠালো -
- ' হ্যালো ... ।'
- ' হ্যালো সুমিতা - ?'
অপর প্রান্তের পুরুষ কণ্ঠে চমকে উঠল সুমিতা । রিসিভারটা ধরে সে নির্বাক দাঁড়িয়ে রইল । মুখে কোন ভাষা আসছে না তার । স্বাভাবিকতা আনতে বেশ সময় লেগে গেল তার । ও-প্রান্ত থেকে পুরুষ কণ্ঠে শুধুই শোনা যায় - ' হ্যালো ...সুমিতা তুমি চুপ কেন ?'
সুমিতা রাগান্বিত স্বরে বলল - ' নির্ঝর তুমি ? কেন, কেন তুমি আমাকে ফোন করছ ? লজ্জা করে না । এতদিন আমি কি মানসিক যন্ত্রণায় দিন কাটাচ্ছি তার খবর তুমি রাখ ? আমেরিকায় গিয়ে এত পাল্টে গেলে তুমি ? আমাদের সাজানো স্বপ্নের জগৎ তুমি শেষ করে দিলে নির্ঝর ? '
- ' হ্যাঁ সব জানি । কিচ্ছু শেষ হয়ে যায়নি সুমিতা । আমি এখনও শুধু তোমারই । তুমি তো এখন দার্জিলিং-এর সেন্ট-পিটারস স্কুলে চাকরি করছ । '
- ' তুমি কি করে জানলে ?'
- ' জানি ডার্লিং । তুমি কি ভাবছ, তোমার কোন খবর রাখিনা ? তোমার সব খবর আমি জানি । দেখছিলাম তুমি আমাকে এখনও কতটা ভালবাস ।'
- ' আমাকে কষ্ট দিয়ে তুমি আমার ভালবাসার পরীক্ষা নিলে ? তোমার সাথে আর কোন কথা নেই আমার ।'
- ' আমার সত্যিই ভীষণ ভুল হয়ে গেছে । এবারের মত আমায় ক্ষমা করে দাও ডার্লিং । আমি সামনের ডিসেম্বরের দশ তারিখে ফিরছি । রিসিভ করতে আসবে তো এয়ারপোর্টে ? এখন প্লিজ চোখের জল মোছো । ভাল থেকো । হ্যাপি দেওয়ালি ।'
চোখের জল মুছতে মুছতে ভাঙ্গা ভাঙ্গা গলায় সুমিতা বলল -
- ' সেম টু ইউ । তুমিও ভাল থেকো ।'
নির্ঝর রিসিভারটা রেখে দিতেই সুমিতাও টেলিফোনের রিসিভারটা রেখে দিল । তারপর সুমিতা ঘরের সব আলো জ্বেলে একছুটে বারান্দায় এসে জানালার কাঁচগুলো সরিয়ে দিল । বাইরের ঠাণ্ডা হাওয়ার সাথে দীপাবলির রামধনু-রঙ আছড়ে পড়ল বারান্দায় । আনন্দ-অশ্রুসিক্ত নয়নে সুমিতা গেয়ে উঠল -
-' আলোকের এই ঝরনা-ধারায় ধুইয়ে দাও ... ... ।।'
গতবছর দীপাবলির রাতে সে আর নির্ঝর তাদের জলপাইগুড়ির বাড়ির ছাদে কত আতসবাজি জ্বালিয়েছিল । শব্দ-বাজি একেবারেই সহ্য করতে পারেনা সুমিতা । তাই তুবড়ি, চরকি, রঙ-মশালের সমারোহই ছিল বেশী । সারা ছাদ রঙ-বেরঙের ইলেকট্রিক টুনি বাল্বের সাথে মোমের তৈরি সুন্দর সুন্দর বাতি দিয়েও সাজিয়েছিল তারা দু'জনে । মোমবাতির বিচ্ছুরিত আলোয় সেদিন নির্ঝরকে আরও নতুন করে দেখেছিল সুমিতা । নির্ঝরের হাতে হাত রেখে সুমিতা গেয়ে উঠেছিল - ' আলোকের এই ঝর্না-ধারায় ধুইয়ে দাও ... ।' তার সাথে নির্ঝরও গলা মিলিয়েছিল । এক নামী কোম্পানির ইলেক্ট্রিক্যাল ইঞ্জিনিয়ার নির্ঝর । পরের মাসে আমেরিকায় যাবে ট্রেনিং-এ । সেদিন সুমিতার হাতদুটো ধরে নির্ঝর বলেছিল সামনের বছর ট্রেনিং শেষ করে দেশে ফিরে এসেই তারা দু'জনে নতুন জীবন শুরু করবে । লজ্জাবনত মুখে সুমিতা বলেছিল - ' আমি কিন্তু তোমার প্রতীক্ষায় থাকবো নির্ঝর ।' পরের মাসে নির্দিষ্ট দিনে নির্ঝর কোলকাতা হয়ে নিউইয়র্ক পাড়ি দিল ।
মানুষ ভাবে এক, হয়ে যায় আর এক । নিজের অজান্তেই একটা দীর্ঘশ্বাস বেরিয়ে এল সুমিতার । আলোর রোশনাই ছেড়ে বারান্দার জানালাগুলো বন্ধ করে নিজের ঘরে এসে বসল সে । সারা ঘর অন্ধকার করে বড় সাইজের একটা লাল-রঙের মোমবাতি ধরিয়ে সেন্টার টেবিলে রাখল । তারপর সোফায় বসে সে এক দৃষ্টিতে ঐ মোমবাতিটার দিকে তাকিয়ে রইল । সারা ঘরে তখন শুধু মোমবাতিটাই দৃশ্যমান । তার মনের আকাশে এক নতুন অনুভুতির স্পর্শ পেল । লাল মোমবাতির আলোয় নিঃস্তব্ধ অন্ধকার ঘরটা যেন রোমান্টিক হয়ে উঠেছে । সোফায় গা এলিয়ে দিয়ে সুমিতা চোখদুটো বন্ধ করল । অন্তরের চোখ দিয়ে সে দেখতে পেল নির্ঝরকে । নির্ঝরকে নিয়ে এর আগেও সে অনেকবার ভেবেছে, কিন্তু আজকের মত তাকে কোনদিন ভাবায়নি । গত ছ'মাস নির্ঝরের কোন সংবাদ সে জানেনা । কোন ফোনও সে করেনি । আমেরিকায় গিয়ে মাত্র দু'বার ফোনে কথা বলেছিল । বেশ কয়েকদিন চেষ্টা করেও সুমিতা তাকে ফোনে ধরতে পারেনি ।
রোমান্টিক আবেশে সুমিতা তখন মগ্ন । মনে পড়ে গেল তার জন্মদিনের কথা । গত জানুয়ারি মাসে তার জন্মদিনে সুন্দর একটা কার্ড পাঠিয়েছিল নির্ঝর । সেটা সুমিতা সযত্নে তুলে রেখেছে । সুমিতা রবীন্দ্র-সঙ্গীত গাইতে ভালবাসে বলে গত বছরের জন্মদিনে "গীত-বিতান" উপহার দিয়েছিল নির্ঝর । চোখদুটো খুলে সুমিতা সোফা থেকে উঠে দাঁড়ালো । ধীরে ধীরে বইয়ের তাকের কাছে গিয়ে বইয়ের ভিড়ের মধ্যে থেকে 'গীত-বিতান' খুঁজে বের করে আবার সোফায় এসে বসল । বইয়ের মলাট ওলটাতেই প্রথম পাতায় সুন্দর হস্তাক্ষরে লেখা - " এমন দিন ফিরে আসুক বার বার, কথামালা-গানের ডালি সাজিয়ে তোল তুমি মন-প্রাণ - নির্ঝর ।" কয়েকটা পাতা ওলটাতেই পৃষ্ঠার ভাঁজ থেকে বেরিয়ে এল তার জন্মদিনে নির্ঝরের পাঠানো সেই সুন্দর কার্ডটা । সুমিতা আলতো করে কার্ডটায় হাত বোলাতে লাগল । লাল মোমবাতির লাল আলোয় কার্ডটা যেন জীবন্ত-সুন্দর দেখাচ্ছে, তার হাতে অপরূপ শোভা পাচ্ছে । রোমান্টিক আবেগে কখন যে তার চোখদুটো ভিজে গেছে সে টেরও পায়নি । 'গীত-বিতান'-এর পৃষ্ঠায় জলের ফোঁটা পড়তেই সুমিতা আর নিজেকে ধরে রাখতে পারল না । 'গীত-বিতান'-এ মুখ ঢেকে ডুকরে কেঁদে উঠল - ' এ তুমি কি করলে নির্ঝুর ? তুমি ছাড়া আমি অসম্পূর্ণ । আমার সারা পৃথিবী অন্ধকার ।'
হঠাৎ ঘরের কোণের টেবিলে রাখা টেলিফোনটা বেজে উঠল । সুমিতার ইচ্ছে করল না টেলিফোনটা ধরতে । নিশ্চয়ই জলপাইগুড়ি থেকে রুমমেটদের মধ্যে কেউ ফোন করেছে । আজ এ-সময়ে তার কিচ্ছু ভাল লাগছে না । এ-মুহূর্তে নির্ঝর ছাড়া তার হৃদয়ে কেউ নেই । দু-দুবার টেলিফোনটা ক্রমাগত বেজে বেজে থেমে গেল । অল্প কিছুক্ষন পরেই টেলিফোনটা আবার বেজে উঠল । সুমিতা এবার বেশ বিরক্তির সাথেই রিসিভারটা ওঠালো -
- ' হ্যালো ... ।'
- ' হ্যালো সুমিতা - ?'
অপর প্রান্তের পুরুষ কণ্ঠে চমকে উঠল সুমিতা । রিসিভারটা ধরে সে নির্বাক দাঁড়িয়ে রইল । মুখে কোন ভাষা আসছে না তার । স্বাভাবিকতা আনতে বেশ সময় লেগে গেল তার । ও-প্রান্ত থেকে পুরুষ কণ্ঠে শুধুই শোনা যায় - ' হ্যালো ...সুমিতা তুমি চুপ কেন ?'
সুমিতা রাগান্বিত স্বরে বলল - ' নির্ঝর তুমি ? কেন, কেন তুমি আমাকে ফোন করছ ? লজ্জা করে না । এতদিন আমি কি মানসিক যন্ত্রণায় দিন কাটাচ্ছি তার খবর তুমি রাখ ? আমেরিকায় গিয়ে এত পাল্টে গেলে তুমি ? আমাদের সাজানো স্বপ্নের জগৎ তুমি শেষ করে দিলে নির্ঝর ? '
- ' হ্যাঁ সব জানি । কিচ্ছু শেষ হয়ে যায়নি সুমিতা । আমি এখনও শুধু তোমারই । তুমি তো এখন দার্জিলিং-এর সেন্ট-পিটারস স্কুলে চাকরি করছ । '
- ' তুমি কি করে জানলে ?'
- ' জানি ডার্লিং । তুমি কি ভাবছ, তোমার কোন খবর রাখিনা ? তোমার সব খবর আমি জানি । দেখছিলাম তুমি আমাকে এখনও কতটা ভালবাস ।'
- ' আমাকে কষ্ট দিয়ে তুমি আমার ভালবাসার পরীক্ষা নিলে ? তোমার সাথে আর কোন কথা নেই আমার ।'
- ' আমার সত্যিই ভীষণ ভুল হয়ে গেছে । এবারের মত আমায় ক্ষমা করে দাও ডার্লিং । আমি সামনের ডিসেম্বরের দশ তারিখে ফিরছি । রিসিভ করতে আসবে তো এয়ারপোর্টে ? এখন প্লিজ চোখের জল মোছো । ভাল থেকো । হ্যাপি দেওয়ালি ।'
চোখের জল মুছতে মুছতে ভাঙ্গা ভাঙ্গা গলায় সুমিতা বলল -
- ' সেম টু ইউ । তুমিও ভাল থেকো ।'
নির্ঝর রিসিভারটা রেখে দিতেই সুমিতাও টেলিফোনের রিসিভারটা রেখে দিল । তারপর সুমিতা ঘরের সব আলো জ্বেলে একছুটে বারান্দায় এসে জানালার কাঁচগুলো সরিয়ে দিল । বাইরের ঠাণ্ডা হাওয়ার সাথে দীপাবলির রামধনু-রঙ আছড়ে পড়ল বারান্দায় । আনন্দ-অশ্রুসিক্ত নয়নে সুমিতা গেয়ে উঠল -
-' আলোকের এই ঝরনা-ধারায় ধুইয়ে দাও ... ... ।।'
মন্তব্য যোগ করুন
এই লেখার উপর আপনার মন্তব্য জানাতে নিচের ফরমটি ব্যবহার করুন।
মন্তব্যসমূহ
-
চন্দ্রশেখর ১৮/১১/২০১৩আলোকের ঝর্ণাধারায় আমার আজকের সাহিত্য-স্নান সাড়া। এই কৃতিত্ব আমি তোমাকে ছাড়া আর কাকে দেব?
-
suman ০৩/১০/২০১৩মন ছুয়ে গেলো ...
-
Shubhajit majumdar ০২/১০/২০১৩Khub sundar my sweet @jaya
-
subhendu das ০১/১০/২০১৩r o aalo r o prran-er khonj pelam tomar ei lekhatay.....mon bhore gelo.
-
সহিদুল হক ৩০/০৯/২০১৩একটি বেদনাবিধুর গল্প।
-
ইব্রাহীম রাসেল ৩০/০৯/২০১৩--দারুণ এনডিং, ভালো লাগলো--
-
Înšigniã Āvî ৩০/০৯/২০১৩দারুন দারুন দারুন.......
দুর্দান্ত ফিনিশিং ।
খুব খুব ভাল লাগা জানাই ।